#দোয়া_কবুল_না_হওয়ার_কারণগুলো_কি_কি?
----------------------------------------------------------------------
----------------------------------------------------------------------
কিছু পাপ আছে যা বান্দার মাঝে উপস্থিত থাকলে তার দুয়া কবুল হওয়ার জন্য বাঁধা হয়ে যায়। তাই খেয়াল রাখতে হবে, এই পাপগুলো এড়িয়ে চলতে হবে, যদি কেউ চায় তার দুয়া কবুল করা হোক।


-
কেউ হারাম কোনো খাবার খেলে বা কারো খাবার হারাম টাকায় কেনা হলে, পোশাক হারাম বা হারাম টাকায় কেনা হলে আল্লাহ ঐ অবস্থায় তার দুয়া কবুল করেন না।
-




-
মানুষকে ভালো কাজের দিকে আহবান না করলে বা খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে না বললে অর্থাৎ দাওয়াত ও তাবলীগে অবহেলা করলে তার দুয়া আল্লাহ কবুল করেন না।
-




-
অনেকে কিছুদিন দোয়া করার পরে আল্লাহর বিশেষ কোনো হেকমত অনুযায়ী দোয়া কবুল হতে দেরী হলে তাড়াহুড়া করে বা হতাশ হয়ে পড়ে। অভিযোগ করা শুরু করে দেয়, কই এতো দোয়া করলাম, আল্লাহ দোয়া কবুল করেন না। আল্লাহ মনে হয় আমাদের কথা শুনেন না। (নাউযুবিল্লাহ! নাফরমানী ও কুফুরী কথা)। এমন কথা বলার শাস্তিস্বরূপ সত্যিই আল্লাহ তার দোয়া আর কবুল করেন না। এইজন্য ধৈর্য ধরে দোয়া করে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে জাকারিয়া (আঃ) অনেক বছর দোয়া করার পরে তাঁর দোয়া কবুল হয়েছিলো, তিনি পুত্র সন্তান পেয়েছিলেন একেবারে বৃদ্ধ বয়সে। তিনি ছিলেন আল্লাহর নবী, আর আমরা নিশ্চয়ই তাঁর থেকে উত্তম না। এইজন্য অবস্থা যাইহোক, ধৈর্য ধরতে হবে ও মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহর কাছে আশা রেখে দোয়া করে যেতে হবে।
-


-
দোয়াতে এ ধরনের তাড়াহুড়া করা আল্লাহ অপছন্দ করেন।
-


-
তবে দোয়ার ভিতরে এ কথা বলা নিষেধ নয় যে, হে আল্লাহ এটা আমাকে খুব তাড়াতাড়ি দিয়ে দাও। দোয়াতে তাড়াহুড়া করার অর্থ হল, দোয়া করে কেন এখনো দোয়া কবুল হলো না, এমন ভাবনা নিয়ে ক্লান্ত হয়ে দোয়া করা ছেড়ে দেয়া।


-
মুখে দোয়া করে আর যদি দোয়ার প্রতি অন্তর উদাসীন থাকে, তাহলে দোয়া কবুল হয় না। অর্থাৎ যে দোয়া করে সে শুধু মুখে মুখে দোয়া করে, কিন্তু দোয়া কবুল হবে এমন দৃঢ় আশা, বিশ্বাস বা আল্লাহর প্রতি আস্থা নাই (নাউযুবিল্লাহ)! যেমন হাদীসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “দোয়া কবুল হবে এই দৃঢ় বিশ্বাস রেখে তোমরা দোয়া করবে। এবং জেনে রাখ আল্লাহ কোনো উদাসীন অন্তরের প্রার্থনা কবুল করেন না।”

-
অতএব দোয়ায় যা কিছু বলা হবে, তার প্রতি অন্তরের একনিষ্ঠ ভাব থাকতে হবে। মুখে যা বলা হল, মন তার কিছুই বুঝল না। আবার অন্তর বুঝল ঠিকই, কিন্তু তার কথার প্রতি একাগ্রতা ছিল না, মনে ছিল অন্য চিন্তা-ভাবনা। তাহলে এ দোয়াকে বলা হবে উদাসীন অন্তরের প্রার্থনা। যা আল্লাহ কবুল করেন না।


-
কিছু চারিত্রিক ত্রুটির কারণেও দোয়া কবুল করা হয়না। যেমন
-

❏ যে ব্যক্তির অধীনে দুশ্চরিত্রা নারী আছে কিন্তু সে তাকে তালাক দেয় না।
❏ যে ব্যক্তি অন্য লোকের কাছে তার পাওনা আছে কিন্তু সে তার স্বাক্ষী রাখেনি।
❏ যে ব্যক্তি নির্বোধ ব্যক্তিকে সম্পদ দিয়ে দেয় অথচ আল্লাহ বলেন, “তোমরা নির্বোধ লোকদেরকে তোমাদের সম্পদ দিও না।”

No comments:
Post a Comment