Sunday, November 5, 2017

কওমায় স্থিরতার গুরুত্ব

কওমায় স্থিরতার গুরুত্ব


আল্লাহর রসূল (সাঃ) এর এই কওমাহ্‌ প্রায় তাঁর রুকূর সমান হত। বরং তিনি কখনো কখনো এত লম্বা দাঁড়াতেন যে, অনেকে মনে করত, তিনি হয়তো বা সিজদায় যেতে ভুলে গেছেন। (বুখারী, মুসলিম,  আহমাদ, মুসনাদ, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩০৭নং)
নামায ভুলকারী সাহাবীকে তিনি এই কওমায় স্থিরতা অবলম্বন করতে আদেশ করে বলেছেন, “---অতঃপর মাথা তুলে সোজা খাড়া হবে; যাতে
প্রত্যেক হাড় তার নিজের জায়গায় ফিরে যায়।”
অন্য এক বর্ণনায় আছে, “যখন (রুকূ থেকে পিঠ) উঠাবে তখন পিঠ (মেরুদন্ড) কে সোজা কর। মাথাকে এমন সোজা করে তোল, যাতে সমস্ত হাড় নিজ নিজ জোড়ে ফিরে যায়।” (বুখারী, মুসলিম,  দারেমী, সুনান,হাকেম, মুস্তাদরাক, আহমাদ, মুসনাদ, শাফেয়ী)
তিনি আরো বলেনে, “আল্লাহ তাআলা সেই বান্দার নামাযের প্রতি তাকিয়েও দেখেন না, যে তার মেরুদন্ড (পিঠ)কে রুকূ ও সিজদার মাঝে সোজা করে না।” (আহমাদ, মুসনাদ ২/৫২৫, ত্বাবা কাবীর)
সুতরাং যাঁরা রুকূ থেকে সম্পূর্ণ খাড়া না হয়ে বা আধা খাড়া হয়ে হাঁটু ভেঙ্গে চটপট সিজদায় চলে যান তাঁদের নামায কেমন হবে তা সহজে অনুমেয়।

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ