তামাক,বিড়ি,জর্দা,সিগারেট গুল,মদ খাওয়া কি?♨♨♨♨
উত্তরইনশাআল্লাহ আপনি ছাড়তে পারবেন ।
হারাম, মাকরু নয়, কুরআন ও হাদিসের আলোকে হারামহারাম
ব্যাখ্যাঃ
(১)
তামাক, জর্দা, বিড়ি খাওয়া হারাম।
তামাক, জর্দা শরীরের জন্য কত টুকু উপকারী?
নিশ্চয়ই বলবেন যে, ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার
নেই!
তাহলে দেখুন আল্লাহ পাক কী বলছেন!
উত্তরইনশাআল্লাহ আপনি ছাড়তে পারবেন ।
হারাম, মাকরু নয়, কুরআন ও হাদিসের আলোকে হারামহারাম
ব্যাখ্যাঃ
(১)
তামাক, জর্দা, বিড়ি খাওয়া হারাম।
তামাক, জর্দা শরীরের জন্য কত টুকু উপকারী?
নিশ্চয়ই বলবেন যে, ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার
নেই!
তাহলে দেখুন আল্লাহ পাক কী বলছেন!
( ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻛُﻠُﻮﺍ ﻣِﻦْ ﻃَﻴِّﺒَﺎﺕِ ﻣَﺎ ﺭَﺯَﻗْﻨَﺎﻛُﻢْ
ﻭَﺍﺷْﻜُﺮُﻭﺍ ﻟِﻠَّﻪِ ﺇِﻥْ ﻛُﻨْﺘُﻢْ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭﻥَ )
[Surat Al-Baqara : 172]
অর্থঃ [হে ঈমানদারগণ, তোমরা পবিত্র (স্বাস্থ্য
সম্মত) বস্তু সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আমি
তোমাদেরকে রুযী হিসাবে দান করেছি এবং শুকরিয়া
আদায় কর আল্লাহর, যদি তোমরা তাঁরই বন্দেগী
কর।]
( ﻛُﻠُﻮﺍ ﻣِﻦْ ﻃَﻴِّﺒَﺎﺕِ ﻣَﺎ ﺭَﺯَﻗْﻨَﺎﻛُﻢْ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﻄْﻐَﻮْﺍ ﻓِﻴﻪِ ﻓَﻴَﺤِﻞَّ
ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻏَﻀَﺒِﻲ ۖ ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﺤْﻠِﻞْ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻏَﻀَﺒِﻲ ﻓَﻘَﺪْ ﻫَﻮَﻯٰ )
[Surat Ta-Ha : 81]
অর্থঃ [বলেছিঃ আমার দেয়া পবিত্র (স্বাস্থ্য সম্মত)
বস্তুসমূহ খাও এবং এতে সীমালংঘন করো না, তা হলে
তোমাদের উপর আমার ক্রোধ নেমে আসবে এবং
যার উপর আমার ক্রোধ নেমে আসে সে ধবংস
হয়ে যায়।]
এখন আল্লাহ তায়ালার ফতোয়া অনুযায়ী তামাক, জর্দা,
বিড়ি,মদ ইত্যাদি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় তা
হালালের বিপরীতে হারাম বস্তু বলে গণ্য হবে।
(২)★
*মদিনার ফতোয়া বোর্ড অনুযায়ীও জর্দাকে হারাম
বলা হয়েছে।
*1963 সালে Al Azhar.Ummul Kura.Madina Etc
সহ 30 টি মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলেম বোর্ড
জর্দাকে হারাম ঘোষনা করে আল- কোরআনের
দুটি আয়াতের ভিত্তিতে {Sura Baqarah:195} ও
{Sura Araf:31}
.Chairman Of The Board Yusuf Al Qaradawi.
*মদিনার ফতোয়া বোর্ড অনুযায়ীও জর্দাকে হারাম
বলা হয়েছে।
*1963 সালে Al Azhar.Ummul Kura.Madina Etc
সহ 30 টি মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলেম বোর্ড
জর্দাকে হারাম ঘোষনা করে আল- কোরআনের
দুটি আয়াতের ভিত্তিতে {Sura Baqarah:195} ও
{Sura Araf:31}
.Chairman Of The Board Yusuf Al Qaradawi.
(৩)★
"তোমরা তোমাদের নিজেদের হাতে
নিজেদের ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করো
না।....."[সুরা বাকারাহ-১৯৫]।
“সমস্ত নেশাকারী বস্তু মদ আর প্রত্যেক
নেশাকারী বস্তু হারাম।”(মুসলিম হা/৩৭৩৩)
“যার অধিক সেবন নেশা নিয়ে আসে তার অল্পও
হারাম।”(আবু দাউদ হা/৩১৯৬ তিরমিযী হা/ ১৭৮৮ ইবনু
মাজাহ্ হা/ ৩৩৮৪)
আধুনিক গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে ধূমপান তামাক
ক্যান্সারের অন্যতম কারন। ধূমপান ফুসফুসকে ছিন্ন
ভিন্ন করে দেয়।তামাক অধিক পরিমাণে খেলে
মানুষ অজ্ঞান কিংবা পাগল হয়ে যায়, এমনকি মৃত্যু
পর্যন্ত হতে পারে এবং তামাক একটি নেশা জাতীয়
দ্রব্য।যখন আধুনিক গবেষণায় তামাক ও সিগারেটের
এরূপ ক্ষতিকর দিক পাওয়া গেল তখন ফতোয়াও
পরিবর্তন হয়ে গেল।এসকল ক্ষতিকর বিষয়ের
কারনে ধূমপান, তামাক, জর্দা হারাম সাব্যস্ত হয়ে
গেছে।
"তোমরা তোমাদের নিজেদের হাতে
নিজেদের ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করো
না।....."[সুরা বাকারাহ-১৯৫]।
“সমস্ত নেশাকারী বস্তু মদ আর প্রত্যেক
নেশাকারী বস্তু হারাম।”(মুসলিম হা/৩৭৩৩)
“যার অধিক সেবন নেশা নিয়ে আসে তার অল্পও
হারাম।”(আবু দাউদ হা/৩১৯৬ তিরমিযী হা/ ১৭৮৮ ইবনু
মাজাহ্ হা/ ৩৩৮৪)
আধুনিক গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে ধূমপান তামাক
ক্যান্সারের অন্যতম কারন। ধূমপান ফুসফুসকে ছিন্ন
ভিন্ন করে দেয়।তামাক অধিক পরিমাণে খেলে
মানুষ অজ্ঞান কিংবা পাগল হয়ে যায়, এমনকি মৃত্যু
পর্যন্ত হতে পারে এবং তামাক একটি নেশা জাতীয়
দ্রব্য।যখন আধুনিক গবেষণায় তামাক ও সিগারেটের
এরূপ ক্ষতিকর দিক পাওয়া গেল তখন ফতোয়াও
পরিবর্তন হয়ে গেল।এসকল ক্ষতিকর বিষয়ের
কারনে ধূমপান, তামাক, জর্দা হারাম সাব্যস্ত হয়ে
গেছে।
যে হুজুর এগুলোকে মাকরুহ বলছেন তিনি কি কম
বুঝেন..?----------------------------------------------------
-------এটা একটা গুরুত্তপুর্ন প্রশ্ন।
উপরের আলোচনা যাচাই করে আপনিই স্বিদ্ধান্ত
গ্রহণ করেন যে এখনও ধূমপানকে মাকরুহ বল
আহুজুর কি আসলেই কম বুঝেন না ভাল বুঝেন।
বিভ্রান্তিকারী হুজুররাই ইসলামের জন্য অন্যতম
ক্ষতির কারন। এবং অজ্ঞরা নিজের অজ্ঞতা থাকা
সত্ত্বেও যখন ফতোয়া দিয়ে বেড়ায় এবং আসল ও
সঠিক ফতোয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তখন অজ্ঞ
মানুষরাই বিভ্রান্তির মধ্যে পতিত হয়।সচেতন আলেম
ও সচেতন মুসলিম কখনও বিভ্রান্তির মধ্যে পতিত হয়
না।'তোমরা যদি না জান, তাহ'লে জ্ঞানীদেরকে
জিজ্ঞেস কর' -সুরা নাহল ৪৩।ওইসকল ভ্রান্ত হুজুর
অজ্ঞের মতই পুর্বের বিধানে স্থির রয়ে বিভ্রান্ত
রয়েছে। পুর্বে মাকরুহ ফতোয়াদেয়া হয়েছিল
''দুর্গন্ধের'' কারনে তখন ক্ষতিকর বিষয়গুলো
আবিষ্কৃত হয় নি সে জন্য।কিন্তু বিজ্ঞ জ্ঞানী
আলেমরা সচেতন। তারা এটা জেনেছেন যে
ধূমপান তামাক জর্দা শুধু দুর্গন্ধেই সীমাবদ্ধ নয় বরং
এগুলো ভয়ংকর ক্ষতিকর ও প্রাণ নাশী।যার কারনে
তাঁরা ফতোয়াকে মাকরুহ থেকে উন্নীত করে
''হারাম'' পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।অতএব আমাদের
সচেতন হতে হবে এবং নিজেদেরও কিছু জানতে
হবে। কোন হুজুরেরই অন্ধ অনুসরণ করা যাবে না।
একাধিক হুজুরের কাছে প্রশ্ন করে তা যাচাই করে
নিতে হবে এবং প্রত্যেক ফতোয়ার পিছনে মূল
দলিল কি তা যাচাই করতে হবে। প্রত্যেক ফতোয়ার
পিছনেই কুরআন হাদিসের দলিল ইসলামে বাধ্যতামূলক।
আশা করি ধূমপান, তামাক জর্দা বিষয়ে বিভ্রান্তি কাটতে
এই লেখাটি অনেকের সহায় হবে।আর এটা বাস্তবতা
কিছু মানুষ বিভ্রান্তিতেই নিমজ্জিত থাকবেই।
বুঝেন..?----------------------------------------------------
-------এটা একটা গুরুত্তপুর্ন প্রশ্ন।
উপরের আলোচনা যাচাই করে আপনিই স্বিদ্ধান্ত
গ্রহণ করেন যে এখনও ধূমপানকে মাকরুহ বল
আহুজুর কি আসলেই কম বুঝেন না ভাল বুঝেন।
বিভ্রান্তিকারী হুজুররাই ইসলামের জন্য অন্যতম
ক্ষতির কারন। এবং অজ্ঞরা নিজের অজ্ঞতা থাকা
সত্ত্বেও যখন ফতোয়া দিয়ে বেড়ায় এবং আসল ও
সঠিক ফতোয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তখন অজ্ঞ
মানুষরাই বিভ্রান্তির মধ্যে পতিত হয়।সচেতন আলেম
ও সচেতন মুসলিম কখনও বিভ্রান্তির মধ্যে পতিত হয়
না।'তোমরা যদি না জান, তাহ'লে জ্ঞানীদেরকে
জিজ্ঞেস কর' -সুরা নাহল ৪৩।ওইসকল ভ্রান্ত হুজুর
অজ্ঞের মতই পুর্বের বিধানে স্থির রয়ে বিভ্রান্ত
রয়েছে। পুর্বে মাকরুহ ফতোয়াদেয়া হয়েছিল
''দুর্গন্ধের'' কারনে তখন ক্ষতিকর বিষয়গুলো
আবিষ্কৃত হয় নি সে জন্য।কিন্তু বিজ্ঞ জ্ঞানী
আলেমরা সচেতন। তারা এটা জেনেছেন যে
ধূমপান তামাক জর্দা শুধু দুর্গন্ধেই সীমাবদ্ধ নয় বরং
এগুলো ভয়ংকর ক্ষতিকর ও প্রাণ নাশী।যার কারনে
তাঁরা ফতোয়াকে মাকরুহ থেকে উন্নীত করে
''হারাম'' পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।অতএব আমাদের
সচেতন হতে হবে এবং নিজেদেরও কিছু জানতে
হবে। কোন হুজুরেরই অন্ধ অনুসরণ করা যাবে না।
একাধিক হুজুরের কাছে প্রশ্ন করে তা যাচাই করে
নিতে হবে এবং প্রত্যেক ফতোয়ার পিছনে মূল
দলিল কি তা যাচাই করতে হবে। প্রত্যেক ফতোয়ার
পিছনেই কুরআন হাদিসের দলিল ইসলামে বাধ্যতামূলক।
আশা করি ধূমপান, তামাক জর্দা বিষয়ে বিভ্রান্তি কাটতে
এই লেখাটি অনেকের সহায় হবে।আর এটা বাস্তবতা
কিছু মানুষ বিভ্রান্তিতেই নিমজ্জিত থাকবেই।
(৪)★
***কুতায়বা ইবনুূু সাঈদ (রহঃ) জাবির (রহঃ) থেকে
বর্ণিত। জায়শান থেকে এক ব্যক্তি আসলো।
জায়শান ইয়েমেনের একটি এলাকা। এরপর সে
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে তাদের
এলাকায় তারা শস্য দ্বারা তৈরি মিযর নামক যে শরাব পান
করে, সে সমন্ধে জিজ্ঞাসা করল নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা কি নেশা সৃষ্টি করে?
সে বললো, হ্যা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যা নেশা সৃষ্টি করে, তাই হারাম।
নিশ্চয়ই, আল্লাহ তা-আলার ওয়াদা, যে ব্যক্তি নেশা
জাতীয় বস্তু পান করবে, তাকে তিনি “তীনাতূল
খাবাল” পান করিয়ে ছাড়বেন। লোকেরা বললো,
ইয়া রাসুলুল্লাহ! “তীনাতুল খাবাল” কি? তিনি বললেন,
দোযখবাসীদের ঘাম বা দোযখবাসীদের
প্রস্রাব-পায়খানা।
(সহীহ্ মুসলিমঃ-৫০৪৭)
***কুতায়বা ইবনুূু সাঈদ (রহঃ) জাবির (রহঃ) থেকে
বর্ণিত। জায়শান থেকে এক ব্যক্তি আসলো।
জায়শান ইয়েমেনের একটি এলাকা। এরপর সে
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে তাদের
এলাকায় তারা শস্য দ্বারা তৈরি মিযর নামক যে শরাব পান
করে, সে সমন্ধে জিজ্ঞাসা করল নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা কি নেশা সৃষ্টি করে?
সে বললো, হ্যা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যা নেশা সৃষ্টি করে, তাই হারাম।
নিশ্চয়ই, আল্লাহ তা-আলার ওয়াদা, যে ব্যক্তি নেশা
জাতীয় বস্তু পান করবে, তাকে তিনি “তীনাতূল
খাবাল” পান করিয়ে ছাড়বেন। লোকেরা বললো,
ইয়া রাসুলুল্লাহ! “তীনাতুল খাবাল” কি? তিনি বললেন,
দোযখবাসীদের ঘাম বা দোযখবাসীদের
প্রস্রাব-পায়খানা।
(সহীহ্ মুসলিমঃ-৫০৪৭)
*★*ইসহাক ইবনুূু ইবরাহীম ও মুহাম্মদ ইবনুূু আহমাদ ইবনুূু
আবূ খালাফ (রহঃ) আবূ বুরদা তাঁর পিতা (রাঃ) থেকে
বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ও মু’আয (রাঃ)-কে
ইয়েমেনে পাঠালেন এবং বললেনঃ তোমরা
মানুষকে (দ্বীনের) দাওয়াত দেবে, সুসংবাদ
দেবে, কাউকে তাড়িয়ে দেবে না। সহজ করবে,
কঠিন করবে না। তিনি বলেনঃ অতঃপর আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! ইয়েমেনে আমরা দুধরনের শরাব
প্রস্তুত করি, আপনি সে সমন্ধে আমাদেরকে
অবহিত করুন। এক, “আলবিত” যা মধু পাকিয়ে গাঢ় করে তৈরি করা হয়; দুই, “আন-মিরয” যা যব পাকিয়ে গাঢ় করে প্রস্তুত করা হয়। বর্ণনাকারী বলেনঃ রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে অল্প শব্দ অথচ
ব্যাপক অর্থবোধক কথা পবিত্রতার সাথে প্রকাশ
করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেনঃ তিনি
প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী বস্তু যা সালাত থেকে
বিমুখ করে, তাই হারাম করেছেন।
(সহীহ্ মুসলিমঃ- ৫০৪৬)
আবূ খালাফ (রহঃ) আবূ বুরদা তাঁর পিতা (রাঃ) থেকে
বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ও মু’আয (রাঃ)-কে
ইয়েমেনে পাঠালেন এবং বললেনঃ তোমরা
মানুষকে (দ্বীনের) দাওয়াত দেবে, সুসংবাদ
দেবে, কাউকে তাড়িয়ে দেবে না। সহজ করবে,
কঠিন করবে না। তিনি বলেনঃ অতঃপর আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! ইয়েমেনে আমরা দুধরনের শরাব
প্রস্তুত করি, আপনি সে সমন্ধে আমাদেরকে
অবহিত করুন। এক, “আলবিত” যা মধু পাকিয়ে গাঢ় করে তৈরি করা হয়; দুই, “আন-মিরয” যা যব পাকিয়ে গাঢ় করে প্রস্তুত করা হয়। বর্ণনাকারী বলেনঃ রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে অল্প শব্দ অথচ
ব্যাপক অর্থবোধক কথা পবিত্রতার সাথে প্রকাশ
করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেনঃ তিনি
প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী বস্তু যা সালাত থেকে
বিমুখ করে, তাই হারাম করেছেন।
(সহীহ্ মুসলিমঃ- ৫০৪৬)
*★*“যে কোনো ধরনের নেশাজাত পানীয়
হারাম”। [বুখারী, হাদিস: ৫৫৮৫] তিনি আরও বলেন,
« ﻛُﻞُّ ﻣُﺴْﻜِﺮٍ ﺧَﻤْﺮٌ، ﻭَﻛُﻞُّ ﻣُﺴْﻜِﺮٍ ﺣَﺮَﺍﻡٌ، ﻭَﻣَﻦْ ﺷَﺮِﺏَ ﺍﻟْﺨَﻤْﺮَ
ﻓِﻲ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻓَﻤَﺎﺕَ ﻭَﻫُﻮَ ﻳُﺪْﻣِﻨُﻬَﺎ ﻟَﻢْ ﻳَﺘُﺐْ، ﻟَﻢْ ﻳَﺸْﺮَﺑْﻬَﺎ ﻓِﻲ
ﺍﻟْﺂﺧِﺮَﺓِ » ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ .
‘নেশাজাতীয় যেকোনো দ্রব্যই মাদক, আর
যাবতীয় মাদকই হারাম, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মাদক
সেবন করে, অতপর নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মারা যায়
এবং সে তাওবা না করে, আখিরাতে সে মদ পান করা
হতে বঞ্চিত হবে’। [মুসলিম, হাদিস: ২০০৩]
হারাম”। [বুখারী, হাদিস: ৫৫৮৫] তিনি আরও বলেন,
« ﻛُﻞُّ ﻣُﺴْﻜِﺮٍ ﺧَﻤْﺮٌ، ﻭَﻛُﻞُّ ﻣُﺴْﻜِﺮٍ ﺣَﺮَﺍﻡٌ، ﻭَﻣَﻦْ ﺷَﺮِﺏَ ﺍﻟْﺨَﻤْﺮَ
ﻓِﻲ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻓَﻤَﺎﺕَ ﻭَﻫُﻮَ ﻳُﺪْﻣِﻨُﻬَﺎ ﻟَﻢْ ﻳَﺘُﺐْ، ﻟَﻢْ ﻳَﺸْﺮَﺑْﻬَﺎ ﻓِﻲ
ﺍﻟْﺂﺧِﺮَﺓِ » ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ .
‘নেশাজাতীয় যেকোনো দ্রব্যই মাদক, আর
যাবতীয় মাদকই হারাম, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মাদক
সেবন করে, অতপর নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মারা যায়
এবং সে তাওবা না করে, আখিরাতে সে মদ পান করা
হতে বঞ্চিত হবে’। [মুসলিম, হাদিস: ২০০৩]
*★* মাদক ও নেশাজাত দ্রব্যের বিস্তার কিয়ামতের
আলামত। আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হাদিসে
রাসূল ( ﷺ ) বলেন,
ﺇﻥ ﻣﻦ ﺃﺷﺮﺍﻁ ﺍﻟﺴﺎﻋﺔ : ﺃﻥ ﻳﺮﻓﻊ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻭﻳﺜﺒﺖ ﺍﻟﺠﻬﻞ،
ﻭﻳُﺸﺮﺏ ﺍﻟﺨﻤﺮ، ﻭﻳﻈﻬﺮ ﺍﻟﺰﻧﺎ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻭﻣﺴﻠﻢ ،
“কিয়ামতের আলামতসমূহের কতক আলামত হল, দুনিয়া থেকে ইলম তুলে নেয়া হবে, অজ্ঞতা-নিরক্ষরতা-প্রতিস্থাপিত হবে, মদ্য পান ব্যাপক হবে এবং ব্যভিচার
বৃদ্ধি পাবে। [বর্ণনায় বুখারি, হাদিস: ৮০, মুসলিম, হাদিস: ২৬৭১]
আলামত। আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হাদিসে
রাসূল ( ﷺ ) বলেন,
ﺇﻥ ﻣﻦ ﺃﺷﺮﺍﻁ ﺍﻟﺴﺎﻋﺔ : ﺃﻥ ﻳﺮﻓﻊ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻭﻳﺜﺒﺖ ﺍﻟﺠﻬﻞ،
ﻭﻳُﺸﺮﺏ ﺍﻟﺨﻤﺮ، ﻭﻳﻈﻬﺮ ﺍﻟﺰﻧﺎ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻭﻣﺴﻠﻢ ،
“কিয়ামতের আলামতসমূহের কতক আলামত হল, দুনিয়া থেকে ইলম তুলে নেয়া হবে, অজ্ঞতা-নিরক্ষরতা-প্রতিস্থাপিত হবে, মদ্য পান ব্যাপক হবে এবং ব্যভিচার
বৃদ্ধি পাবে। [বর্ণনায় বুখারি, হাদিস: ৮০, মুসলিম, হাদিস: ২৬৭১]
অর্থাৎ কিয়ামতের পূর্বে মানুষের মধ্যে
মদ্যপান ও নেশা গ্রহণ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাবে।
যেমনটি অপর একটি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত রাসূল ( ﷺ ) বলেন, ﻭﻳﻜﺜﺮ ﺷﺮﺏ ﺍﻟﺨﻤﺮ “এবং
মদ্যপান বৃদ্ধি পাবে”। [বুখারি, হাদিস: ৫২৩১]
মদ্যপান ও নেশা গ্রহণ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাবে।
যেমনটি অপর একটি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত রাসূল ( ﷺ ) বলেন, ﻭﻳﻜﺜﺮ ﺷﺮﺏ ﺍﻟﺨﻤﺮ “এবং
মদ্যপান বৃদ্ধি পাবে”। [বুখারি, হাদিস: ৫২৩১]
*★ * রাসূল ( ﷺ ) ,বলেন
«ﻛﻞ ﻣﺴﻜﺮ ﺧﻤﺮ، ﻭﻛﻞ ﻣﺴﻜﺮ ﺣﺮﺍﻡ »
“ নেশাজাতীয় যেকোনো দ্রব্যই মাদক, আর
যাবতীয় মাদকই হারাম।” [মুসলিম, হাদিস: ৫০০৫। ]
«ﻛﻞ ﻣﺴﻜﺮ ﺧﻤﺮ، ﻭﻛﻞ ﻣﺴﻜﺮ ﺣﺮﺍﻡ »
“ নেশাজাতীয় যেকোনো দ্রব্যই মাদক, আর
যাবতীয় মাদকই হারাম।” [মুসলিম, হাদিস: ৫০০৫। ]
পোস্ট শেয়ার করে সবাইকে অবগত করুন ।
No comments:
Post a Comment