যে কাজে বিতর্ক ও উলামাদের মতভেদ আছে, সে কাজে বাধা দেওয়া বা আপত্তি করার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যে, তা ইজতিহাদি কি না? অর্থাৎ তাতে মতভেদ স্বাভাবিক কি না? উভয় পক্ষের দলীল সমপর্যায়ের কি না? তা হলে আপত্তি করা যাবে না। যেমনঃ যদি কেউ ডবল শব্দে ইকামত দেয়, রুকু থেকে দাঁড়িয়ে বুকে হাত না বাঁধে, সিজদায় হাঁটু আগে বাড়ায়, রুকু পেলে রাকআত গণ্য না করে, তাহলে তাতে আপত্তি করা ঠিক নয়। অবশ্য
এই শ্রেণীর আপত্তির ক্ষেত্রে ‘এটা করা উত্তম’ বলা যায়। চাপ দেয়া যায় না। পক্ষান্তরে যেখানে সহিহ ও স্পষ্ট বিরোধিতা হয়, সেখানে আপত্তি করতে হলে দলীলের সাথে করা কর্তব্য। যেমনঃ ইমামের পশ্চাতে সূরা ফাতিহা না পড়া, সশব্দে ‘আমিন’ না বলা, রুকুর আগে পরে রফয়ে য়্যাদাইন ত্যাগ করা ইত্যাদি।
কিন্তু মতভেদ আকিদাগত বিষয়ে হলে আপত্তি জরুরি। যেহেতু তাতে বিদআত ছাড়া আহলে সুন্নাহ ভিন্নমত পোষণ করে না। যেমনঃ মহান আল্লাহর আরসে থাকার কথা অস্বীকার করা, কুরআন আল্লাহর সৃষ্টি মনে করা, বান্দার কর্ম আল্লাহর সৃষ্টি নয় মনে করা, কবিরা গোনাহ করলে মুসলিম কাফের হয়ে যায় ধারনা করা, রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ইত্যাদি বিষয়। (ইবনে জিবরীন)
No comments:
Post a Comment