এই মাসাহ্র নিয়ম
দু’টি হাতকে ভিজিয়ে ডানহাতের আঙ্গুলগুলিকে ডান পায়ের আঙ্গুলের উপর থেকে শুরু করে পায়ের পাতার উপর দিকে বুলিয়ে নিয়ে গিয়ে পায়ের রলার শুরু পর্যন্ত মাসাহ্ করতে হবে। আর ঐ একই সাথে একই নিয়মে বামহাতের আঙ্গুল দিয়ে বাম পায়ের পাতার উপর মাসাহ্ করবে। উভয় কানের মাসাহ্ যেমন একই সঙ্গে হয়, ঠিক তেমনিই উভয় পায়ের মাসাহ্ একই সঙ্গে হবে। দুই হাত জুড়ে প্রথমে ডান পা, তারপর বাম পা পৃথক করে মাসাহ্ করা ঠিক নয়। (ফাতাওয়া ফিল মাসহি আলাল খুফফাইন, ইবনে উসাইমীন ১৩নং)
পায়ের তেলোতে ধুলো-বালি থাকলেও তার নিচে মাসাহ্ করা বিধেয় নয়। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, ‘দ্বীনে যদি রায় ও বিবেকের স্থান থাকত, তাহলে মোজার উপরের অংশ অপেক্ষা নিচের অংশই অধিক মাসাহ্যোগ্য হত। কিন্তু আমি আল্লাহর রসূল (সাঃ) কে তাঁর মোজার উপরের অংশে মাসাহ্ করতে দেখেছি।’ (আবূদাঊদ, সুনান, দারেমী, সুনান, আহমাদ, মুসনাদ, মিশকাত ৫২৫নং)
মাসাহ্ নষ্ট হয় কিসে?
১- মাসাহ্র নির্দিষ্ট সময়-সীমা অতিবাহিত হয়ে গেলে।
২- গোসল ফরয হলে।
৩- (মাসাহ্ করার পর) মোজা খুলে ফেললে।
No comments:
Post a Comment