সাজ-সজ্জা
মহিলার
লেবাসের শর্ত অনুসারে আমরা বুঝতে পারি যে টাইট্ফিট আটষাট (চুশ) পোশাক কেবল
স্বামীর দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে বাড়ির ভিতর পরিধান বৈধ। অবশ্য কোন
এগানা ও মহিলার সামনে, এমন কি পিতা-মাতা বা ছেলে-মেয়েদের সামনেও ব্যবহার
উচিত নয়।[1]
যে পোশাকে অথবা অলঙ্কারে কোন প্রকারের মানুষ বা জীব-জন্তুর ছবি অঙ্কিত
থাকে তা ব্যবহার করা বৈধ নয়। যেহেতু ইসলাম ছবি ও মূর্তির ঘোর বিরোধী।[2]
যে লেবাস বা অলঙ্কারে ছয় কোণবিশিষ্ট তারকা, ক্রুশ, শঙ্খ, সর্প বা অন্যান্য কোন বিজাতীয় ধর্মীয় প»তীক (অথবা হারাম বাদ্য-যন্ত্র) চিত্রিত থাকে মুসলিমের জন্য তাও ব্যবহার করা বৈধ নয়।[3]
সোনা, রূপা বা অন্য কোন ধাতুর অলংকারে
কুরআনের আয়াত অথবা আল্লাহর নাম অঙ্কিত করে তা দেহে ব্যবহার করা বৈধ নয়।[4]
বৈধ নয় কোন শির্কী কথা অঙ্কিত করে মঙ্গল আনয়ন এবং অমঙ্গল দূরীকরণের
ব্যবস্থা।
নিউ মোডেল বা ফ্যাশনের পরিচ্ছদ ব্যবহার তখনই বৈধ, যখন তা পর্দার কাজ দেবে এবং তাতে কোন হিরো-হিরোইন বা কাফেরদের অনুকরণ হবে না।[5]স্ক্যার্ট-ব্লাউজ বা স্ক্যার্ট-গেঞ্জি মুসলিম মহিলার ড্রেস নয়। বাড়িতে এগানার সামনে সেই ড্রেস পরা উচিত; যাতে গলা থেকে পায়ের গোড়ালী পর্যন্ত পর্দায় থাকে। আর (বিনা বোরকায়) বেগানার সামনে ও বাইরে গেলে তো নিঃসন্দেহে তা পরা হারাম।[6]
প্যান্ট্-শার্ট মুসলিমদের ড্রেস নয়। কিছু
শর্তের সাথে পুরুষদের জন্য পরা বৈধ হলেও মহিলারা তা ব্যবহার করতে পারে না;
যদিও তা ঢিলেঢালা হয় এবং টাইটফিট না হয়। এই জন্য যে, তা হল পুরুষদের ড্রেস।
আর পুরুষের বেশধারিণী নারী অভিশপ্তা।[7]
No comments:
Post a Comment