Wednesday, November 15, 2017

কতিপয় জয়ীফ বা অশুদ্ধ যিক্‌র ! তাসবীহ মালা ব্যবহার করা বৈধ কি ?


কতিপয় জয়ীফ বা অশুদ্ধ যিক্‌র !  তাসবীহ মালা ব্যবহার করা বৈধ কি ?


কিছু যিক্‌র আছে, যা লোক মাঝে প্রচলিত অথচ তা সহীহ সুন্নাহর অনুকূল নয়, অথবা তা মনগড়া; যা ত্যাগ করে সহীহ সুন্নাহ্‌ ভিত্তিক যিক্‌র ও দু'আ পড়া কর্তব্য।
  1. ‘আল্লা-হুম্মা আজিরনী মিনান্না-র।’ ফজর ও মাগরেব পর ৭ বার করে পাঠ করে ঐ দিনে বা রাতে মারা গেলে দোযখ থেকে নিস্ক্রিতি পাওয়া যায়। এ হাদীসটি সহীহ নয়, বরং যয়ীফ। (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ১৬২৪ নং)
  2. মাথায় হাত রেখে ‘ইয়া ক্বাবিয়্যু’ বা ‘ইয়া নূরু’ বলা। এটি মনগড়া।
  3. মাথায় হাত রেখে ‘বিসমিল্লাহিল্লাযী ---- আল্লাহুম্মা আযহিব আন্নলহাম্মা অলহুযন।’ এ ব্যাপারে বর্ণিত হাদীসটি খুব দুর্বল অথবা জাল। (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৬৬০, ১০৫৯ নং)
  4. এত এত বার দরুদ পড়া। দরুদ সালামের পূর্বে বা অন্যান্য অনির্দিষ্ট সময়ে পড়াই বিধেয়।
  5. মিলিত কণ্ঠে অথবা একাকী ‘আসসালা-তু অসসালা-মু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌’ বলা। এটি বিদআত। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্‌ ১৭/৭০-৭১, ২০/১৪৭)
প্রকাশ থাকে যে, তাসবীহ ডানহাতে গোনাই হল সুন্নত। মহানবী (সাঃ) ডানহাতের আঙ্গুল দ্বারাই তাসবীহ গুনেছেন এবং অপরকে ডানহাতের আঙ্গুল ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর তিনি বলেছেন যে, ঐ আঙ্গুলগুলোকে কিয়ামতের দিন কথা বলার ক্ষমতা দেওয়া হবে এবং তাদেরকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (আবূদাঊদ, সুনান ১৫০১, মিশকাত ২৩১৬ নং) সুতরাং তাসবীহ মালা ব্যবহার করা বিধেয় নয়। এতে রয়েছে রিয়ার (লোক-প্রদর্শনের) গন্ধ, যা ছোট শির্ক। পক্ষান্তরে কাঁকর বা খেজুর আঁটি দ্বারা তাসবীহ গোনার হাদীস সহীহ নয়। (আবূদাঊদ, সুনান ১৫০০, মুখালাফাত ফিত্বাহারাতি অসস্বালাহ্‌ ১৯৩পৃ:)

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ