Monday, January 15, 2018

তাবলীগ জামাত এড় কিছু ঈমাণধ্বংসকারী বিশ্বাস — ১ ও ২

তাবলীগ জামাত এড় কিছু
ঈমাণধ্বংসকারী বিশ্বাস — ১
সাবধান মুসলিম।
ফাজায়েল সাদাকাত, ২য় খণ্ড, ২৮০
পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
“আবু আলি রোদবারি (রঃ) বলেন, ঈদের
দিন একজন ফকির
আসিয়া আমাকে বলিল
যে এখানে কি কোন পরিস্কার
জায়গা যেখানে একজন ফকির
মরিতে পারে?

আমি ইহা বাজে কথা মনে করিয়া বলিলাম,
ভিতরে এসে যেখানে এসে মর।
সে ভিতরে আসিয়া ওযু করিয়া দুই
রাকাত নামাজ পড়িল ও মারা গেল।
আমি তাহার কাফন দাফনের
ব্যবস্থা করার পরে দেখিবার জন্য
কাফন হটাইয়া দেখিতেই সে চোখ
খুলিয়া ফেলিল। আমি তাকে বলিলাম,
মৃত্যুর পরেও জীবন? সে বলিল
আমি জীবিত ও আল্লাহর প্রত্যেক
আশেকই জীবিত থাকেন। আমি তোমায়
কাল কিয়ামতে স্বীয়
প্রতিপত্তিতে সাহায্য করিব”।
এখানে লক্ষণীয়-
১. ফকির আগে থেকেই তার মৃত্যুর খবর
জেনে সে তার মৃত্যুর
জায়গা নিজে নিজেই ঠিক করল।
২. সে মারা যাওয়ার পরেও একজন
জীবিত মানুষ তাকে তাকে কিছু
জিজ্ঞাস করল ও সে শুনল।
৩. কথা শুনার পর সে তার উত্তরও
দিল।
এখন দেখা যাক কুরআন কি বলে-
১. আল্লাহ বলেন,
“… কেউ জানেনা আগামীকাল
সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ
জানেনা কোন স্থানে সে মৃত্যুবরন
করবে।” (সূরা লুকমানঃ ৩৪)
এই আয়াতের ব্যখায় নবী (সঃ) বলেন,
“এগুলো গায়িবের
কথা এবং এগুলো আল্লাহ ছাড়া আর
কেউ জানেনা।” (সহিহ বুখারি)
কুরআন আমাদের শিক্ষা দেয়, আল্লাহ
ছাড়া কেউ জানেনা সে কোথায়
মারা যাবে। আর
তাবলীগরা শিক্ষা দেয় ফকির
বুজুর্গরা জানতে পারে তারা কোথায়
মারা যাবে !!!
২. আল্লাহ বলেন,
“মৃতকে তো তুমি (নবী)
কথা শুনাতে পারবে না”।
(সূরা নামলঃ ৮৪)
তাহলে কিভাবে ঐ ব্যক্তি মৃত
ফকিরকে প্রশ্ন করল এবং সে শুনল?
৩. আল্লাহ বলেছেন, “জীবিত ও মৃত
কখনো সমান না”।
(সুরা আল ফাতিরঃ ২২)
অর্থাৎ, কিন্তু গল্পে জীবিত ও মৃত-
উভয়েই কথা বলছে অর্থাৎ উভয়েই
সমান।
হাদিসে আছে (প্রথম অংশ
দেওয়া হল), “একদিন রাসুল (সঃ) ও
একজন ইহুদী বসে ছিলেন। এমন সময়
একটি জানাজা অতিক্রম
করতে থাকলে সে জিজ্ঞাসা করে,
“হে মুহম্মদ, এই লাশ
কি কথা বলতে পারে?” রাসুল (সঃ)
জবাব দেন, “এই বিষয়ে আল্লাহ অধিক
অবগত।.।”
(আবু দাউদঃ ৩৬০৫, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন কর্তৃক অনুদিত)
শুধু একটি ঘটনা না, আরও অসংখ্য এমন
আজগুবি অনেক
কিচ্ছা রয়েছে তাবলীগি ভাইদের
একমাত্র পঠিত বইগুলোতে।
এখন দেখতে পাচ্ছি-
১. তাবলীগ ও তাদের আমলের বই এক
কথা বলছে।
২. কোরআন হাদিস তার ভিন্ন আর এক
কথা বলছে।
যেহেতু দুটো বিপরীত কথা,
তাহলে এখানে যেকেউ একজন অবশ্যই
মিথ্যাবাদী। যেহেতু, কোরআন ও রাসুল
(সঃ) কখনো মিথ্যা বলতে পারেনা,
সেহেতু যে গল্পটি বলেছে সে অবশ্যই
মিথ্যাবাদী। আর
যে বইয়ে মিথ্যাবাদীদের
দ্বারা তৈরি আজগুবি গল্প,
কিচ্ছা কাহিনী দিয়ে ভরা সে বই
অনুযায়ী আমল করতেই কি রাসুল (সঃ)
আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন?
বরং রাসুল বলেছেন,
“নেতা, উপনেতা বা দাম্ভিক
ধোঁকাবাজ লোক ছাড়া আর কেউ
কিচ্ছা কাহিনী বর্ণনা করেনা”। (আবু
দাউদঃ ৩৬২৪)
———————————————
———————————————
———————————————————-
শায়েখ আবুল খায়ের বলেন, একবার
মদীনা মোনাওয়ারায় হাজির
হইয়া পাঁচ
দিন পর্যন্ত আমাকে উপবাস
থাকতে হয়। খাওয়ার জন্য কিছুই
না পেয়ে অবশেষে আমি হুজুর
এবং শায়ইখানের কবরের মধ্যে সালাম
পড়িয়া আরজ করলাম, হে আল্লাহর
রাসুল। আমি আজ রাতে আপনার
মেহমান হবো।
এই কথা আরজ করে মিম্বর শরীফের
নিকট গিয়ে আমি শুইয়া পড়লাম।
স্বপ্নে দেখি, হুজুরে পাক (সাঃ)
তাশরীফ এনেছেন। ডানে হযরত আবু
বকর, বাম দিকে হজরত ওমর
এবং সামনে হজরত আলী রাঃ। হযরত
আলী রাঃ আমাকে ডেকে বলেন, এই
দেখ, হুজুর সাঃ তাশরীফ এনেছেন।
আমি উঠা মাত্রই
মহানবী সাঃ আমাকে একটা রুটি দিলেন,
আমি অর্ধেক খেয়ে ফেলি।
তারপর যখন আমার চোখ খুলিল তখন
আমার হাতে বাকী অর্ধেক ছিল
(রুটি অবশিষ্টাংশ)।
সূত্রঃ ফাজায়েলে হজ্জ্ব-২৫৬ পৃষ্ঠা।
সম্মানিত মুসলিম ভাইগণ!
=> আল্লাহকে ছেড়ে মৃতু্র পর নবীর
মাজারে গিয়ে খাদ্যের
প্রার্থনা করা স্পষ্ট শিরক নয় কি?
=> মৃতুর পর নবী কবরে থেকেও
খাওয়াতে পারেন এ আক্বিদাহ পোষন
করা শিরক নয় কি?
=> এই রকম শিরকী আকিদাহ
কি মানুষকে জান্নাতের
দিকে নিয়ে যায়,
নাকি জাহান্নামের
দিকে?
অথচ মহান আল্লাহ সুবহানাহু
তায়ালা বলেন,
ভূ-পৃষ্ঠে বিচরণকারী সকলের
জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর।
(সূরা হুদ-৬)
এখান থেকেই সূফীদের
শিরকি আক্বিদাহ
“””কেউ ফেরে না খালি হাতে,
খাজা বাবার দরবার হতে”” টাইপের
গান শুরু হইছে। নবীর রওজায়
যদি গিয়ে রুটি পাওয়া যায়।
তবে ওলী আউলিয়ার মাজারে কেন
চুইংগাম পাওয়া যাবে না। এই
কাহিনী নিশ্চিত নিশ্চিত
ভাবে মানুষকে শিরক ও মাজার
মুখি করার শিক্ষা দেয়।

তাবলীগ জামাত এড় কিছু
ঈমাণধ্বংসকারী বিশ্বাস – ২
বিখ্যাত সূফী (?) ও বুজুর্গ হজরত শায়খ
আহমদ রেফয়ী (রঃ) ৫৫৫
হিজরী সনে হজ্জ সমাপন
করিয়া নবীজির রওজা জিয়ারতের
জন্য মদিনায় হাজির হন।
সেখানে তিনি নিম্নোক্ত রওজার
সামনে দাঁড়াইয়া নিম্নোক্ত দুটি বয়াত
পড়েন।
“দূরে থাকা অবস্থায় আমি আমার
রুহকে হুজুর সাঃ এর
খেদমতে পাঠাইয়া দিতাম। সে (রুহ)
আমার নায়েব
হইয়া আস্তানা শরীফে চুম্বন করিত।
আজ আমি শ্বশরীরে দরবারে হাজির
হইয়াছি। কাজেই হুজুর আপন হস্ত
বাড়াইয়া দেন যেন আমির ঠোট
উহাকে চুম্বন করিয়া তৃপ্তি হাসিল
করে।
বয়াত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে (??) কবর
হইতে হাত মোবারক বাহির
হইয়া আসে এবং হযরত
রেফায়ী উহাকে চুম্বন
করিয়া তৃপ্তি হাসিল করেন।
বলা হয় যে, সে সময়
মসজিদে নববীতে ৯০ হাজার লোকের
সমাগম ছিল। সকলেই বিদু্তের
মতো হাত মোবারকের চমক
দেখিতে পায়। তাহাদের
মধ্যে মাহবুবে ছোবহানী আব্দুল
কাদের জিলানীও ছিলেন। সূত্র:
ফাজায়েলে হজ্জ-২৫৮ পৃষ্ঠা ২৩তম
নবী প্রেমের কাহিনী।
ওহে তাবলীগ প্রেমী আল্লাহর
বান্দারা, চিন্তা কর। জ্ঞান খাটাও।
আমার কথায় না, আল্লাহর কথায়
যা সূরা যুমার এর ১৮ নং আয়াত এ।
আজও মসজিদে নববীতে ৯০ হাজার
লোক ধারণ করে না। আর ৯০ হাজার
লোক যদি থেকেই
থাকে তাহলে কিভাবে ৯০ হাজার
মানুষ এট এ টাইম এই হাতের
ঝলকানি দেখতে পায়?
=> এই ফালতু মার্কা কাহিনীই
কি তোমরা বিশ্বাস কর?
=> এই সব জিনিসেরই
কি তোমরা তাবলীগ করো?
নবীজি সাঃ কখনো আবু বকর(রাঃ)
ওমর(রাঃ), ওসমান(রাঃ), আলী (রাঃ)
এর জন্য হাত বাড়ালেন না।
কখনো নবী পরবর্তী এত যুদ্ধ
হাঙ্গামার সময় হাত বাড়ালেন না। আর
কোন জায়গার কোন রেফায়ীর জন্য
কবর থেকে হাত বাড়ান। এই সব
গাজাখুরী কাহিনীই কি তোমাদের
তাবলীগের বিষয়?
=>আর ৯০ হাজার মানুষের
কথা বইলা মানুষের মাথায় এই
কাহিনীটাকে সত্য হিসেবে স্থান
দিতে চেষ্টা করা হইছে যে ৯০ হাজার
লোক যেখানে হাত দেখতে সেটা ভূল
হইতে পারে না।
=> এবং আব্দুল কাদের
জিলানী রহঃ এর নাম
দিয়া কাহিনীটারে আরো পাকাপোক্ত
করা হইছে।
=> আবার দেখেন রুহকে ইমেইলের
মতো সেন্ড করে, প্রতিবারই
নবীজি সাঃ কবর থেকে চুমা দেন।
এই সব কাহিনী একমাত্র সূফীদেরই
হয়ে থাকে যেমন দেওয়ানবাগীর ১৯৯৮
সালের সম্মেলনে নাকি স্বয়ং আল্লাহ
ও রাসূল সাঃ দেওয়ান
শরীফে এসেছেন। নাউজুবিল্লাহ।
বুখারীর প্রথমে দিকের সহীহ হাদিস>
যে নবীর নামে মিথ্যারোপ
করে সে জাহান্নামে তার
ঠিকানা বানিয়ে নেয়।
এই হাদিস অনুযায়ী যারা নবীর
নামে মিথ্যারোপ করে,
তাবলীগে গিয়ে গাজাখুরি মিথ্যা বানোয়াট
কাহিনী শুনে এসে প্রচার করে,
আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই
তারা কি জাহান্নামে তাদের
ঠিকানা বানিয়ে নিচ্ছে না?
==============================
===============
জনৈক বেদুঈন হুজুর (ছঃ) এর কবর
শরীফের নিকট দাড়াইয়া আরজ করিল,
হে রব! তুমি গোলাম আজাদ করার হুকুম
করেছো। ইনি (নবী সাঃ) তোমার
মাহবুব, আমি তোমার গোলাম। আপন
মাহবুবের কবরের উপর
আমি গোলামকে (জাহান্নামের) আগুন
হইতে আজাদ করিয়া দাও। গায়েব
হইতে আওয়াজ আসিল,
তুমি একা নিজের জন্য কেন
আজাদী (ক্ষমা) চাহিলে? সমস্ত
মানুষের জন্য কেন
আজাদী চাহিলে না।
আমি তোমাকে আগুন হইতে আজাদ
করিয়া দিলাম।
(সূত্র: ফাজায়েলে হজ্জ্ব-২৫৪ পৃষ্টার
১ম কাহিনী)
সম্মানিত জ্ঞানী মুসলিম ভাইগণ,
রাসুলের মৃতু্র পর তার
মাজারে গিয়ে প্রার্থনা করা মাজারপূজারীদের
সাদৃশ্য নয় কি?
গায়েবী আওয়াজ শুনা তো নবুওয়াতের
কাজ। ঐ বেদুঈন কি নবী ছিল
যে গায়েবী আওয়াজ এলো “
আমি তোমাদের আগুন থেকে আজাদ
করিয়া দিলাম”।
ভাবতে অবাক লাগে শাইখুল হাদিসের
মত একজন স্বনামধন্য আলিম এ
জাতীয় ইসলাম বিরোধী আক্বিদাহ
বিশ্বাস কিভাবে ছড়াতে চেয়েছেন
তাবলীগী নিসাবের মাধ্যমে।
কোরআন
থেকে আমরা জানতে পারি আল্লাহ শুধু
মাত্র মুসা আঃ এর সাথে দুনিয়ায়
জীবনে কথা বলতেন। এবং অন্য
আয়াতে আছে মানুষের এমন কোন
যোগ্যতা নাই যে সে আল্লাহর
সাথে কথা বলবে। কিন্তু
তাবলীগি নিসাব পড়লে বুঝা যায়
আল্লাহ গায়েবীভাবে মানুষের
সাথেও
কথা বলেন।
আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস
করি না আল্লাহ নবীর পরে আমাদের
সাথে কথা বলবেন। এই আক্বিদাহ
একমাত্র দেওয়ানবাগী, সুরেশ্বরী,
চরমোনাই এর পীরগণ ও সূফীবাদিরাই
রাখতে পারেন। কারণ তাদের হজ্জ
করা লাগে না।
কাবা এবং স্বয়ং আল্লাহ ও রাসুল
তাদের বাসায় আসেন। নাউজুবিল্লাহ।
এই সব পীরপন্থী গ্রন্থ ও পীরদের
ইসলাম আর নবী মোহাম্মদ সাঃ এর
ইসলাম কখনোই এক নয়, কখনো ছিলও
না।

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ