Sunday, January 14, 2018

ইলায়াসী তাবলীগ বনাম রাসূলের তাবলীগ :

ইলায়াসী তাবলীগ বনাম রাসূলের তাবলীগ :
(ক) তারা নিজেরা কুরআন বুঝে না অন্যদেরকেও
বুঝতে দেয় না। কিন্তু রাসূল (ছাঃ) নিজে কুরআন
শিখিয়েছেন এবং তার প্রচারকও ছিলেন।


(খ) তাদের দাওয়াতী নিয়ম স্বপ্নে প্রাপ্ত।[1] রাসূলের দাওয়াতী নিয়ম
স্বয়ং আল্লাহ প্রদত্ত (মায়েদা ৬৭) ।


(গ) তাদের দাওয়াতের মধ্যে সপ্তাহে ১ দিন, মাসে ৩ দিন, বছরে ১ চিল্লা,

কমপক্ষে জীবনে ৩
চিল্লা লাগিয়ে দ্বীনি
কাজ
শিখতে হবে।[2]
পক্ষান্তরে রাসূলের
দাওয়াতী কাজ এগুলোর
কোন
অস্তিত্ব নেই।
(ঘ) তাদের দাওয়াতের
মধ্যে ইসলামের
একটি অপরিহার্য বিধান ও
আল্লাহর প্রিয় জিহাদ নেই।
কিন্তু রাসূলের
দাওয়াতে জিহাদ
একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
(ঙ) তাদের
দাওয়াতে কাফের
মুশরিকদের কোন বাধা নেই।
রাসূল (ছাঃ) যখন দাওয়াত
দিতেন তখন কাফের মুশরিক
বাধা দিত।
(চ) তাদের দাওয়াতী কাজ
শেখার মূল উৎস হল
‘ফাযায়েলে আমাল’।
কুরআনের
চেয়েও
তারা ফাযায়িলে আমাল-
এর
গুরুত্ব বেশী দেয়। অথচ
রাসূলের
দাওয়াত শেখার মূল উৎস
হচ্ছে কুরআন ও ছহীহ হাদীছ।
আর
কুরআনের
মর্যাদা হচ্ছে সবকিছুর
উর্ধ্বে।
(ছ) তারা রাষ্ট্রপ্রধান
বা ক্ষমতাশালীদের
বিরুদ্ধে কোন
কথা বলে না যদিও
তারা শিরক করে ও
ইসলামের
বিরুদ্ধে বলে। রাসূল
তৎকালীন
রাষ্টপ্রধান ও
ক্ষমতাশালীদের
বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন,
শিরক ও ইসলাম
বিরোধী কাজে বাধা
দিয়েছেন।
(জ) তারা কোন
দাওয়াতী কাজ করার সময়
কুরআন হাদীছের দলীল পেশ
করে না, নিজেদের
মনগড়া কথা বলে। রাসূল
নিজে কোন কিছু বলার
বা দাওয়াত দেবার
আগে দলীল পেশ করতেন।
(ঝ) তারা কোন মতেই
কারো সাথে যুদ্ধ করতে চায়
না। রাসূল যুদ্ধ
করতে গিয়ে নিজের
দাঁতকে শহীদ করেছেন।
(ঞ) তারা শুধু দাওয়াত
কিভাবে দিবে তা শেখায়
যদিও
তা ইসলামী পদ্ধতিতে নয়;
অন্য
কোন কিছু তারা শিখায়
না।
রাসূল জীবনের
প্রতি মুহূর্তে কি করতে হবে,
কার
সাথে কিভাবে চলতে হবে
সবকিছু
শিখিয়েছেন।
(ট) ইলিয়াসী তাবলীগ
বুযুর্গদের সন্তুষ্টির জন্য
করা হয়।
[3] রাসূলের তাবলীগ
একমাত্র
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য
(আন‘আম
১৬; বাইয়েনা ৫) ।
(ঠ) ইলিয়াসী তাবলীগের
অলিরা গায়েব জানেন।[4]
অথচ রাসূল (ছাঃ) গায়েব
জানতেন না (আন‘আম ৫০;
‘আরাফ ১৮৮) ।
(ড) ইলিয়াস ছাহেবের
আক্বীদায় রাসূল (ছাঃ)
জীবিত।[5] কিন্তু নবী (ছাঃ)
ইন্তেকাল করেছেন (যুমার
৩০) ।
(ঢ) বুযুর্গরা জান্নাত-
জাহান্নাম
দুনিয়াতে দেখেন।[6]
জান্নাত এমন যে, না কোন
চোখ দেখেছে, না কোন
কান
শুনেছে এবং না কোন হৃদয়
কল্পনা করেছে।[7]
(ণ)
ইলিয়াসী তাবলীগে
বুযুর্গদের
মৃত্যুকে অস্বীকার
করা হয়েছে।
[8] রাসূল (ছাঃ)-এর
তাবলীগের প্রত্যেকের মৃত্যু
সত্য (আল-ইমরান ১৮৫) ।
(ত) পর্যবেক্ষক
ফেরেশতারা আল্লাহ ও
বান্দার গোপন যিকির
সম্পর্কে জানতে পারে না।
[9] ফেরেশতাগণ পর্যবেক্ষণ
হিসাবে রয়েছেন
এবং আমরা যা করি তারা
সে সব
জানেন (ইনফিতার ১০ ও ১২) ।
(থ) ইলিয়াসী তাবলীগের
কেন্দ্রস্থল ভরতের
নিযামুদ্দীন
মসজিদের
ভিতরে মাওলানা ইলিয়াস
ছাহেব ও তার পুত্রের কবর
রয়েছে।[10] নবী (ছাঃ)
কবরের
দিকে ছালাত পড়তে ও
কবরকে পাকা নিষেধ
করেছেন।[11]
(দ) মাওলানা মুহাম্মাদ
ইলিয়াস ছাহেবের
ইন্তিকালের পর আল্লাহর
সাথে মিশে গেছেন।[12]
নবী করীম (ছাঃ) বলেন,
আল্লাহর সমতুল্য কেউ নেই,
তার
সাথে কেউ
মিশতে পারে না
(ইখলাস ৪; শূরা ১১) ।
রেফারেন্স সমূহঃ
[1].মালফূযাতে মাওলানা
মুহাম্মাদ ইলিয়াস, পৃঃ ৫১ ।
[2]. মালফূযাতে মাওলানা
মুহাম্মাদ ইলিয়াস, পৃঃ ৫১ ।
[3]. ফাযায়েলে আমাল,
ভূমিকা, ১ম পৃষ্ঠা ।
[4].
যাকারিয়া সাহারানপুরী,
অনুবাদ : মোহাম্মাদ
সাখাওয়াত উল্লাহ,
ফাযায়েলে ছাদাকাত,
(তাবলিগী কুতুবখানা ১৪২৬
হিজরী) ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা : ২৭ ।
[5]. ফাযায়েলে হাজ্জ,
পৃঃ ১৩০-১৩১ ।
[6]. শায়খুল হাদীছ
মাওলানা মুহাম্মাদ
যাকারিয়া ছাহেব
কান্ধলভী (রহঃ); অনুবাদ :
মুফতী মুহাম্মাদ উবাইদুল্লাহ,
ফাযায়েলে যিকির, (দারুল
কিতাব : বাংলাবাজার,
ঢাকা; অক্টোবর, ২০০১ ইং),
পৃঃ ১৩৫ ।
[7]. মুত্তাফাক্ব আলাইহ,
মিশকাত হা/৫৬১২ ।
[8]. ফাযায়েলে ছাদাকাত
২/২৭ ।
[9]. ফাযায়েলে যিকির,
পৃঃ ৭০ ।
[10]. আকফাতুন মাঅ
জামায়াতিত তাবলীগ,
পৃঃ ৫৯ ।
[11]. মুসলিম, মিশকাত-১৪২ ।
[12].মালফূযাতে মাওলানা
মুহাম্মাদ
ইলিয়াস, শেষ পৃষ্ঠা ।

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ