Saturday, April 7, 2018

প্রশ্ন (৩৬/২৭৬) : জনৈক আলেম সূরা কাহফের ২৮ আয়াতের ভিত্তিতে বলেন, সম্মিলিত মুনাজাত বর্জনকারীরা আল্লাহর নাফরমান। বক্তব্যটি কতটুকু সত্য?

প্রশ্ন (৩৬/২৭৬) : জনৈক আলেম সূরা কাহফের ২৮ আয়াতের ভিত্তিতে বলেন, সম্মিলিত মুনাজাত বর্জনকারীরা আল্লাহর নাফরমান। বক্তব্যটি কতটুকু সত্য?

-মামূনুর রশীদ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
উত্তর : বক্তব্য ভিত্তিহীন এবং মনগড়া। পৃথিবীর কোন মুফাসসির উক্ত আয়াতের তাফসীরে এরূপ কথা বলেননি। আয়াতটির অর্থ হ’ল- ‘আর তুমি নিজেকে ধরে রাখো তাদের সাথে যারা সকালে ও সন্ধ্যায় তাদের পালনকর্তাকে আহবান করে তাঁর সন্তুষ্টি কামনায় এবং তুমি তাদের থেকে তোমার দু’চোখ ফিরিয়ে নিয়ো না পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য কামনায়। আর তুমি ঐ ব্যক্তির আনুগত্য করো না যার অন্তরকে আমরা আমাদের স্মরণ থেকে গাফেল করে দিয়েছি এবং
সে তার খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে ও তার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে গেছে’ (কাহফ ১৮/২৮)। সকাল-সন্ধ্যায় তাদের রবকে ডাকার তাফসীরে ইবনু ওমর ও আমর ইবনু শু‘আইব বলেন, তারা ফজর ও আছরের ফরয ছালাত আদায় করে। এছাড়া কেউ কেউ সকাল-সন্ধ্যায় কুরআন শিক্ষা ও কুরআন তিলাওয়াতের কথা বলেছেন (তাফসীরে ইবনু আবী হাতেম হা/১২৭৭২-৭৪; ইবনু কাছীর)। ইবনু কাছীর সকাল-সন্ধ্যায় যিকির-আযকার, তাসবীহ্, তাহলীল পাঠ ও আল্লাহ নিকট চাওয়ার ব্যাখ্যা করেছেন (ইবনু কাছীর ঐ আয়াতের ব্যাখ্যা)। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি এমন একটি দলের সাথে বসব যারা ফজরের ছালাত থেকে শুরু করে সূর্য উঠা পর্যন্ত মহান আল্লাহর যিকরে মশগূল থাকে। এ কাজ আমার নিকট ইসমাঈল (আঃ)-এর বংশের দাসী আযাদ করার চেয়ে অধিক প্রিয়। আমি এমন একটি দলের সাথে বসব যারা আছরের ছালাত থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর যিকরে মশগূল থাকে। আমার নিকট এ কাজ চারটি দাসী আযাদ করার চেয়েও অধিক প্রিয়’ (আবুদাউদ হা/৩৬৬৭; মিশকাত হা/৯৭০; ছহীহাহ হা/২৯১৬)। অতএব এ আয়াত দ্বারা সম্মিলিত মুনাজাতের দলীল গ্রহণ করার কোন সুযোগ নেই।

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ