Saturday, October 21, 2017

আদম (আঃ) যখন তওবা করছিলেন, তখন তিনি মুহাম্মদের আসীলায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। — এ কথা সঠিক কি?

আদম (আঃ) যখন তওবা করছিলেন, তখন তিনি মুহাম্মদের আসীলায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। — এ কথা সঠিক কি?
এ ব্যাপারে একটি হাদিস বর্ণনা করা হয়, যাতে বলা হয়েছে, আদম যখন পাপ করেন, তখন তিনি বললেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! মুহাম্মাদের আসীলায় আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।’ আল্লাহ বললেন, ‘হে আদম! তুমি মুহাম্মদকে চিনলে কীভাবে, অথচ আমি এখনো তাঁকে সৃষ্টিই করিনি?’ আদম বললেন,
‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি যখন আমাকে তোমার হাত দিয়ে সৃষ্টি কর এবং আমার মাঝে তোমার রূহ ফুঁকো, তখন আমি মাথা তুলে দেখি, আরশের পায়ায় লেখা আছে, ‘লা ইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।’ তখন আমি জানি যে, তুমি তোমার নামের পাশে সেই ব্যক্তির নামই যোগ করেছ, যে তোমার সবচেয়ে প্রিয়তম সৃষ্টি।’ আল্লাহ বললেন, ‘আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম। আর মুহাম্মাদ না হলে আমি তোমাকে সৃষ্টিই করতাম না।’৪৯
উক্ত হাদীসটি জাল ও গড়া হাদীস। অন্য একটি যয়ীফ হাদীস উক্ত হাদীসের জাল হওয়ার কথা সাক্ষ্য দেয়। আর সেটা এই যে, ‘আদমকে ভারতে অবতারণ করা হয়। তিনি সেখানে আতঙ্কিত হন। সুতরাং জিবরীল অবতরণ করেন এবং আযান দিতে শুরু করেন, ‘আশাহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লালাহ’ ২ বার এবং আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ ২ বার। আদম বললেন, ‘মুহাম্মাদ কে?’ তিনি বললেন, ‘তোমাদের সন্তানদের মধ্যে শেষ নবী।’
পূর্বের হাদিস সত্য হলে আদম (রঃ) মুহাম্মাদ (সঃ) সম্বন্ধে প্রশ্ন করতেন না, ৫০ পক্ষান্তরে আদম-হাওয়ার পাপ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার দু’আ আমরা কুরআন থেকে জানতে পারি, তাঁরা বলেছিলেন,
তাঁরা বলল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি। যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।’ (আরাফঃ২৩)
ফুটনোটঃ৪৯ (হাকেম প্রমুখ, সিঃ যয়ীফাহ ২৫ নং)
৫০ (আলবানী)

 লেখক/সংকলকঃ আবদুল হামীদ ফাইযী

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ