প্রশ্ন ৪৮: একজন মহিলা হজ্জের উদ্দেশ্যে বের হয়েছে এবং সফরে বের হওয়ার পর পাঁচ দিন ধরে তার ঋতুস্রাব চলছে। সে মীক্বাতে পৌঁছে গোসল করে ইহরাম বেঁধেছে- অথচ সে তখনও পবিত্র হয়নি। এরপর মক্কায় পৌঁছে হারাম শরীফের বাইরে অবস্থান করেছে এবং হজ্জ বা ওমরার কোন কাজই সে করেনি। এরপর মিনাতে দুই দিন অবস্থানের পর পবিত্র হলে গোসল করতঃ পবিত্র অবস্থায় ওমরার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছে। অতঃপর তওয়াফে ইফাযার সময় তার আবার রক্ত দেখা দিয়েছে। কিন্তু সে লজ্জায় তার অভিভাবককে কিছু না বলে হজ্জের কার্যাবলী সম্পন্ন করেছে। এরপর দেশে পৌঁছে তার অভিভাবককে বিষয়টা বলেছে। এক্ষণে এর হুকুম কি?
উত্তরঃ তওয়াফে
ইফাযার সময় তার যে রক্ত এসেছিল, তা যদি ঋতুর রক্ত হয়- যা সে রক্তের
বৈশিষ্ট্য দেখে বা ব্যথা অনুভবের মাধ্যমে চিনতে পারবে- তাহলে তার ঔ তওয়াফ
শুদ্ধ হয়নি। সেজন্য তওয়াফে ইফাযার উদ্দেশ্যে তাকে আবার মক্কায় ফিরে আসতে
হবে। অতঃপর সে মীক্বাত থেকে ওমরার ইহরাম বেঁধে তওয়াফ, সাঈ ও চুল ছেঁটে ওমরা
সম্পন্ন করতঃ
তওয়াফে ইফাযা করবে।
কিন্তু তার এই রক্ত যদি ঋতুর রক্ত না হয়ে ভীড়ের প্রচণ্ডতায় বা ভীতির কারণে অথবা অনুরূপ অন্য কোন কারণে বের হওয়া রক্ত হয়, তাহলে যাদের নিকট তওয়াফের জন্য পবিত্রতা* অর্জন শর্ত নয়, তাদের নিকট তার তওয়াফ শুদ্ধ হবে।
প্রথম মাসআলায় [ঋতুর রক্তের ক্ষেত্রে] যদি দেশ দূরে হওয়ার কারণে তার ফিরে আসা সম্ভব না হয়, তাহলে তার হজ্জ শুদ্ধ হবে। কেননা সে যতটুকু করেছে, তার চেয়ে বেশী করা এখন তার পক্ষে সম্ভব নয়।
তওয়াফে ইফাযা করবে।
কিন্তু তার এই রক্ত যদি ঋতুর রক্ত না হয়ে ভীড়ের প্রচণ্ডতায় বা ভীতির কারণে অথবা অনুরূপ অন্য কোন কারণে বের হওয়া রক্ত হয়, তাহলে যাদের নিকট তওয়াফের জন্য পবিত্রতা* অর্জন শর্ত নয়, তাদের নিকট তার তওয়াফ শুদ্ধ হবে।
প্রথম মাসআলায় [ঋতুর রক্তের ক্ষেত্রে] যদি দেশ দূরে হওয়ার কারণে তার ফিরে আসা সম্ভব না হয়, তাহলে তার হজ্জ শুদ্ধ হবে। কেননা সে যতটুকু করেছে, তার চেয়ে বেশী করা এখন তার পক্ষে সম্ভব নয়।
No comments:
Post a Comment