Sunday, November 12, 2017

কবীরা গুনাহঃ ১০৬. কারোর একাধিক স্ত্রী থাকলে তাদের মধ্যে সমতা বজায় না রাখা

১০৬. কারোর একাধিক স্ত্রী থাকলে তাদের মধ্যে সমতা বজায় না রাখা


কারোর একাধিক স্ত্রী থাকলে তাদের মধ্যে সমতা বজায় না রাখা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
مَنْ كَانَتْ لَهُ امْرَأَتَانِ، فَمَالَ إِلَى إِحْدَاهُمَا ؛ جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّهُ مَائِلٌ.
‘‘যার দু’টি স্ত্রী রয়েছে এতদ্সত্ত্বেও সে এক জনের প্রতি অধিক ঝুঁকে পড়লো তা হলে সে কিয়ামতের দিন এমনভাবে উঠবে যে, তার এক পার্শ্ব নিম্নগামী থাকবে’’।
 (আবূ দাউদ ২১৩৩)
সুতরাং প্রত্যেক স্ত্রীর মাঝে খাদ্য-পানীয়, পোশাক-পরিচ্ছদ এবং রাত্রি যাপনের ব্যাপারে সমতা বজায় রাখতে হবে। তবে মনের টান অন্য জিনিস। তাতে সবার মধ্যে সমতা বজায় রাখা কখনোই সম্ভবপর নয়।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

«وَلَنْ تَسْتَطِيْعُوْا أَنْ تَعْدِلُوْا بَيْنَ النِّسَآءِ، وَلَوْ حَرَصْتُمْ، فَلَا تَمِيْلُوْا كُلَّ الْـمَيْلِ فَتَذَرُوْهَا كَالـْمُعَلَّقَةِ، وَإِنْ تُصْلِحُوْا وَتَتَّقُوْا فَإِنَّ اللهَ كَانَ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا».
‘‘তোমরা কখনো স্ত্রীদের মাঝে (সার্বিকভাবে) সুবিচার স্থাপন করতে পারবে না। এ ব্যাপারে যতই তোমাদের ইচ্ছা বা নিষ্ঠা থাকুক না কেন। অতএব তোমরা কোন এক জনের প্রতি সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকে পড়ো না। যাতে করে অপর জন ঝুলানো অবস্থায় থেকে যায়। তবে যদি তোমরা নিজেদেরকে সংশোধন করে নাও এবং আল্লাহ্ তা‘আলাকে ভয় করো তা হলে আল্লাহ্ তা‘আলা নিশ্চয়ই ক্ষমাশীল করুণাময়’’। (নিসা’ : ১২৯)
তবে কোন স্ত্রীকে এমনভাবে ভালোবাসা যা অন্য স্ত্রীর উপর যুলুম করতে উৎসাহিত করে তা অবশ্যই অপরাধ। যেমন: তাকে এমনভাবে ভালোবাসা যে, সর্বদা তারই আবদার-আবেদন রক্ষা করা হয় অন্য জনের নয় এবং তার কাছেই বেশি বেশি রাত্রি যাপন করা হয় অন্য জনের কাছে নয়। এমনকি তাকে সর্বদা নিকটে রেখেই অন্যকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়।

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ