প্রশ্ন : বিপদগ্রস্তদের জন্য কি কোনো আমল আছে? যদি বিপদের আশংকা থাকলে তাহলে কি দুয়া বা আমল করা যায় ? নিজের কোনো বিপদের আশংকা করলে বা বিপদগ্রস্ত হলে পিরিয়ড অবস্থায় কি কি আমাল বা দুয়া করা যাবে।
উত্তর : বিপদ-মসিবতে পাঠ করার জন্য কতিপয় দুয়া এবং এর জন্য আমল:
১) উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) কে বলতে শুনেছি, মানুষের ওপর কোনো বিপদ এলে সে যদি এই দোয়া পাঠ করে- আল্লাহতায়ালা তাকে তার বিপদের প্রতিদান দেন এবং সে যা কিছু হারিয়েছে তার বদলে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করেন।
উত্তর : বিপদ-মসিবতে পাঠ করার জন্য কতিপয় দুয়া এবং এর জন্য আমল:
১) উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) কে বলতে শুনেছি, মানুষের ওপর কোনো বিপদ এলে সে যদি এই দোয়া পাঠ করে- আল্লাহতায়ালা তাকে তার বিপদের প্রতিদান দেন এবং সে যা কিছু হারিয়েছে তার বদলে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করেন।
إنا لله وإنا إليه راجعون ، اللهم أجرني في مصيبتي ، واخلف لي خيرا منها
দোয়া : ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনী ফী মুসিবাতী ওয়া আখলিফ-লী খইরম মিনহা।
অর্থ : আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমাদেরকে তারই দিকে ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ! বিপদে আমাকে সওয়াব দান করুন এবং যা হারিয়েছি তার বদলে তার চেয়ে ভালো কিছু দান করুন।
-সহিহ মুসলিম)
২) ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বিপদের সময় এই দোয়াটি পাঠ করতেন—
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ
দোয়া : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালীমুল হাকীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি- ওয়া রাব্বুল আরশিল কারীম।
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি পরম সহিষ্ণু ও মহাজ্ঞানী। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি মহান আরশের প্রভু। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি আকাশমন্ডলী, জমিন ও মহাসম্মানিত আরশের প্রভু।
(সহীহ বোখারি, হা/ 6346)
৩)
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ (বিসমিল্লাহিল্লাযি লা ইয়াদুররু মায়া'সমিহি শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামায়ি ওয়াহুয়াস সামিউ'ল আ'লিম)
অর্থঃ আমি সেই আল্লাহর নামে শুরু করছি, যার নামের বরকতে আকাশ ও পৃথিবীর কোনকিছুই কোন অনিষ্ট সাধন করতে পারেনা ; তিনি সর্বশ্রোতা, তিনি সর্বজ্ঞানসম্পন্ন।
হযরত উসমান (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি উপরের দোয়াটি প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় তিনবার করে পড়বে দুনিয়া ও আখিরাতের কোন কিছুই তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। (সুননে আবু দাউদ, সহীহ, আলবানী)
৪) حَسْبِىَ اللَّهُ لآ إلَهَ إلّا هُوَ، عَلَيْهَ ثَوَكَّلتُ، وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ (হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আ'লাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আ'যীম)
অর্থঃ আমার জন্য একমাত্র আল্লাহই যথেষ্ট যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আমি একমাত্র তাঁর উপরই ভরসা করলাম। আর তিনি আরশে আযিমের অধিকারী। (সুরা তাওবাহ ১২৯ নং আয়াত)
যে ব্যাক্তি প্রতি সকাল ও সন্ধ্যায় উপরের আয়াতটি সাতবার পড়বে দুনিয়া ও আখিরাতের সকল চিন্তা ভাবনার জন্য আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট হবেন। (আবু দাউদ, সহীহ-আলবানী)
★মহিলাদের ঋতুস্রাব চলাকালীন সময় দুআ, যিকির, তাসবীহ, তাহলীল, ইসলামী বই-পুস্তক পড়তে পারে। এতে শরীয়তে কোন বাধা নেই।* আল্লাহু আলাম।
উত্তর দিয়েছেন শাইখ Abdullahil Had.
No comments:
Post a Comment