(৪৫৩) অতিবৃদ্ধ জনৈক ব্যক্তি ওমরা করার জন্য ইহরাম বেঁধেছে। কিন্তু মক্কা পৌঁছার পর ওমরা আদায় করতে অপারগ হয়ে গেছে এখন সে কি করবে?
সুস্থ
না হওয়া পর্যন্ত ইহরাম অবস্থায় থাকবে, অতঃপর ওমরা আদায় করবে। কিন্তু যদি
ইহরাম বাঁধার সময় শর্ত করে থাকে, তবে ইহরাম খুলে ফেলবে, তাকে কোন জরিমানা
দিতে হবে না। ওমরা পূর্ণ করতে হবে না বিদায়ী তওয়াফও করতে হবে না। ইহরামের
সময় শর্ত করার নিয়ম হচ্ছেঃ এই দু’আ পাঠ করবেঃ [আল্লাহুম্মা ইন হাবাসানী
হাবেস ফা মাহেল্লী হায়সু হাবাসতানী] “হে আল্লাহ্!
কোন কারণে যদি আমি
বাধাপ্রাপ্ত হই (হজ্জ-ওমরার কাজ সমাধা করতে না পরি), তবে যেখানে
বাধাপ্রাপ্ত হব, সেটাই আমার হালাল হওয়ার স্থান।”
কিন্তু যদি উক্ত শর্ত না করে আর ওমরা আদায়
কোন ক্রমেই সম্ভব না হয়, তবে সে ইহরাম খুলে ফেলে হালাল হয়ে যাবে এবং
ফিদ্ইয়া হিসেবে একটি কুরবানী করে দিবে যদি সামর্থ থাকে। কেননা আল্লাহ্
বলেন,
]وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ وَلَا تَحْلِقُوا رُءُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ[
“তোমরা আল্লাহর জন্য হজ্জ-ওমরা পূর্ণ কর।
যদি বাধাগ্রস্ত হও তবে যা সহজপ্রাপ্য তাই কুরবানী কর। আর কুরবানীর পশু তার
জায়গায় না পৌঁছা পর্যন্ত তোমরা মাথা মুন্ডন করবে না।” (সূরা বাক্বারাঃ ১৯৬)
নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ৬ষ্ঠ হিজরী সনে ওমরা পালন করতে
গেলে হুদায়বিয়া নামক এলাকায় মক্কার কাফেরদের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হলে
সেখানেই কুরবানী যবেহ করেন এবং হালাল হয়ে যান।
No comments:
Post a Comment