Friday, December 15, 2017
শরীয়ত সম্মত উপায়ে ঝাড়-ফুঁক করার শর্তাবলী
শরীয়ত সম্মত উপায়ে ঝাড়-ফুঁক করার শর্তাবলী ১- ঝাড়-ফুঁক হতে হবে আল্লাহর কোরআন অথবা, তাঁর নামসমূহ অথবা তাঁর গুনাবলীসমূহ দ্বারা। ২- ঝাড়-ফুঁক হতে হবে আরবী বা অন্য যে কোনো ভাষায়, যার অর্থ জানা যায়। ৩- এ কথায় দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে যে, (রোগ চিকিৎসায়) ঝাড়-ফুঁকের কোনোই ক্ষমতা নাই, বরং রোগ শিফা’র সকল ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলারই। ৪- ঝাড়-ফুঁক যেন হারাম অবস্থায় না হয় অর্থাৎ নাপাক অবস্থায় অথবা, কবর বা পায়খানায় বসে ঝাড়-ফুঁক করা যাবে না। আল-কোরআনে বর্ণিত ঝাড়-ফুঁক সংক্রান্ত আয়াতসমূহ ১- সূরা আল-ফাতিহা। ﴿ ﺑِﺴۡﻢِ ﭐﻟﻠَّﻪِ ﭐﻟﺮَّﺣۡﻤَٰﻦِ ﭐﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ ١ ﭐﻟۡﺤَﻤۡﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﭐﻟۡﻌَٰﻠَﻤِﻴﻦَ ٢ ﭐﻟﺮَّﺣۡﻤَٰﻦِ ﭐﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ ٣ ﻣَٰﻠِﻚِ ﻳَﻮۡﻡِ ﭐﻟﺪِّﻳﻦِ ٤ ﺇِﻳَّﺎﻙَ ﻧَﻌۡﺒُﺪُ ﻭَﺇِﻳَّﺎﻙَ ﻧَﺴۡﺘَﻌِﻴﻦُ ٥ ﭐﻫۡﺪِﻧَﺎ ﭐﻟﺼِّﺮَٰﻁَ ﭐﻟۡﻤُﺴۡﺘَﻘِﻴﻢَ ٦ ﺻِﺮَٰﻁَ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧۡﻌَﻤۡﺖَ ﻋَﻠَﻴۡﻬِﻢۡ ﻏَﻴۡﺮِ ﭐﻟۡﻤَﻐۡﻀُﻮﺏِ ﻋَﻠَﻴۡﻬِﻢۡ ﻭَﻟَﺎ ﭐﻟﻀَّﺎٓﻟِّﻴﻦَ ٧ ﴾ [ﺍﻟﻔﺎﺗﺤﺔ : ١، ٧] (১) “আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু। (২) সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি সকল সৃষ্টিজগতের একাম্ত পরিচালনাকারী ও মালিক (৩) যিনি পরম দয়ালু, অতিশয় করুণাময়। (৪) যিনি বিচারদিনের মালিক।
(৫) আমরা একমাত্র আপনারই ‘ইবাদত করি আর আপনারই নিকট সাহায্য চাই। (৬) আমাদেরকে সরলপথ প্রদান করুন। তাদের পথে, যাদেরকে আপনি নে‘মত দান করেছেন। (৭) তাদের পথে নয়, যারা আপনার পক্ষ হতে গযবপ্রাপ্ত (অর্থাৎ, ইহুদীগণ)। আর তাদের পথেও নয়, যারা পথভ্রষ্ট (গোমরাহ) হয়েছে” (অর্থাৎ, খৃষ্টানগণ)। আমীন। ২- সূরা আল-বাক্বারার ১, ২, ৩, ৪ ও ৫ আয়াত। ﴿ ﺍﻟٓﻢٓ ١ ﺫَٰﻟِﻚَ ﭐﻟۡﻜِﺘَٰﺐُ ﻟَﺎ ﺭَﻳۡﺐَۛ ﻓِﻴﻪِۛ ﻫُﺪٗﻯ ﻟِّﻠۡﻤُﺘَّﻘِﻴﻦَ ٢ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﺆۡﻣِﻨُﻮﻥَ ﺑِﭑﻟۡﻐَﻴۡﺐِ ﻭَﻳُﻘِﻴﻤُﻮﻥَ ﭐﻟﺼَّﻠَﻮٰﺓَ ﻭَﻣِﻤَّﺎ ﺭَﺯَﻗۡﻨَٰﻬُﻢۡ ﻳُﻨﻔِﻘُﻮﻥَ ٣ ﻭَﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﺆۡﻣِﻨُﻮﻥَ ﺑِﻤَﺎٓ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴۡﻚَ ﻭَﻣَﺎٓ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﻣِﻦ ﻗَﺒۡﻠِﻚَ ﻭَﺑِﭑﻟۡﺄٓﺧِﺮَﺓِ ﻫُﻢۡ ﻳُﻮﻗِﻨُﻮﻥَ ٤ ﺃُﻭْﻟَٰٓﺌِﻚَ ﻋَﻠَﻰٰ ﻫُﺪٗﻯ ﻣِّﻦ ﺭَّﺑِّﻬِﻢۡۖ ﻭَﺃُﻭْﻟَٰٓﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﭐﻟۡﻤُﻔۡﻠِﺤُﻮﻥَ ٥ ﴾ [ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ١، ٥] অর্থাৎ, (১) “আলিফ লা-ম মী-ম (২) এটা সেই কিতাব যার মধ্যে কোনো প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই, যারা আল্লাহভীরু তাদের জন্য পথপ্রদর্শনকারী। (৩) যারা অদেখা বিষয়ের উপর ঈমান আনে এবং সালাত কায়েম করে আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে খরচ করে। (৪) আর তারা ঈমান এনেছে, যে সব কিছু আপনার প্রতি নাযিল হয়েছে এবং যা আপনার পূর্বে নাযিল হয়েছে, আর আখেরাতের প্রতি তারা দৃঢ় বিশ্বাস করে। (৫) তারাই তাদের মালিক ও সার্বিক তত্বাবধানকারী আল্লাহর পক্ষ হতে প্রাপ্ত হেদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে আর এরাই সফলকাম।” (সূরা আল- বাক্বারার ১, ২, ৩, ৪ ও ৫ আয়াত)। ৩- সূরা আল-বাক্বারার ১৬৪ নং আয়াত। ﴿ ﺇِﻥَّ ﻓِﻲ ﺧَﻠۡﻖِ ﭐﻟﺴَّﻤَٰﻮَٰﺕِ ﻭَﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽِ ﻭَﭐﺧۡﺘِﻠَٰﻒِ ﭐﻟَّﻴۡﻞِ ﻭَﭐﻟﻨَّﻬَﺎﺭِ ﻭَﭐﻟۡﻔُﻠۡﻚِ ﭐﻟَّﺘِﻲ ﺗَﺠۡﺮِﻱ ﻓِﻲ ﭐﻟۡﺒَﺤۡﺮِ ﺑِﻤَﺎ ﻳَﻨﻔَﻊُ ﭐﻟﻨَّﺎﺱَ ﻭَﻣَﺎٓ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﻣِﻦَ ﭐﻟﺴَّﻤَﺎٓﺀِ ﻣِﻦ ﻣَّﺎٓﺀٖ ﻓَﺄَﺣۡﻴَﺎ ﺑِﻪِ ﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽَ ﺑَﻌۡﺪَ ﻣَﻮۡﺗِﻬَﺎ ﻭَﺑَﺚَّ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻣِﻦ ﻛُﻞِّ ﺩَﺍٓﺑَّﺔٖ ﻭَﺗَﺼۡﺮِﻳﻒِ ﭐﻟﺮِّﻳَٰﺢِ ﻭَﭐﻟﺴَّﺤَﺎﺏِ ﭐﻟۡﻤُﺴَﺨَّﺮِ ﺑَﻴۡﻦَ ﭐﻟﺴَّﻤَﺎٓﺀِ ﻭَﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽِ ﻟَﺄٓﻳَٰﺖٖ ﻟِّﻘَﻮۡﻡٖ ﻳَﻌۡﻘِﻠُﻮﻥَ ١٦٤ ﴾ [ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ١٦٤] “নিশ্চয়ই আসমান ও যমীনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের পরিবর্তনে, সমুদ্রে জাহাজসমুহের চলাচলে মানুষের জন্য কল্যাণ রয়েছে। আর আল্লাহ তা‘আলা আকাশ থেকে যে পানি বর্ষণ করেছেন, তা দ্বারা মৃত যমীনকে সজীব করে তুলেছেন এবং তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সবরকম জীব-জন্তু। আর আবহাওয়া পরিবর্তনে ও মেঘমালায় যা তাঁরই হুকুমের অধীনে আসমান ও যমীনের মাঝে বিচরণ করে – নিশ্চয়ই সে সমস্ত বিষয়ের মাঝে নিদর্শন রয়েছে বুদ্ধিমান সম্প্রদায়ের জন্য।” (আল-বাকারা, আয়াত নং-১৬৪)। ৪- আয়াতুল-কুরসী (সূরা আল-বাক্বারার ২৫৫ নং আয়াত)। ﴿ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎٓ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﭐﻟۡﺤَﻲُّ ﭐﻟۡﻘَﻴُّﻮﻡُۚ ﻟَﺎ ﺗَﺄۡﺧُﺬُﻩُۥ ﺳِﻨَﺔٞ ﻭَﻟَﺎ ﻧَﻮۡﻡٞۚ ﻟَّﻪُۥ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﭐﻟﺴَّﻤَٰﻮَٰﺕِ ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻲ ﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽِۗ ﻣَﻦ ﺫَﺍ ﭐﻟَّﺬِﻱ ﻳَﺸۡﻔَﻊُ ﻋِﻨﺪَﻩُۥٓ ﺇِﻟَّﺎ ﺑِﺈِﺫۡﻧِﻪِۦۚ ﻳَﻌۡﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﺑَﻴۡﻦَ ﺃَﻳۡﺪِﻳﻬِﻢۡ ﻭَﻣَﺎ ﺧَﻠۡﻔَﻬُﻢۡۖ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺤِﻴﻄُﻮﻥَ ﺑِﺸَﻲۡﺀٖ ﻣِّﻦۡ ﻋِﻠۡﻤِﻪِۦٓ ﺇِﻟَّﺎ ﺑِﻤَﺎ ﺷَﺎٓﺀَۚ ﻭَﺳِﻊَ ﻛُﺮۡﺳِﻴُّﻪُ ﭐﻟﺴَّﻤَٰﻮَٰﺕِ ﻭَﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽَۖ ﻭَﻟَﺎ ﻳَُٔﻮﺩُﻩُۥ ﺣِﻔۡﻈُﻬُﻤَﺎۚ ﻭَﻫُﻮَ ﭐﻟۡﻌَﻠِﻲُّ ﭐﻟۡﻌَﻈِﻴﻢُ ٢٥٥ ﴾ [ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ٢٥٥ ] “আল্লাহ, তিনি ব্যতীত অন্য কোনো সত্য মা‘বুদ নেই, তিনি চিরজীবিত এবং চিরন্তন। তাকে তন্দ্রা (ঝিমানো) ও ঘূম কখনো স্পর্শ করতে পারে না। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে সবই তারই, এমন কে আছে যে, তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সূপারিশ করতে পারে? (মানুষের) চোখের সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে, সে সবই তিনি জানেন। তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন ততটুকু ব্যতীত তাঁর অনন্ত জ্ঞানের কোনো কিছুকেই কেউ আয়ত্ব করতে পারেনা। তার ‘কুরসী’ সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন কাজ নয়। তিনি সমুন্নত ও মহিয়ান।” (সূরা আল- বাক্বারার ২৫৫ নং আয়াত)। ৫- সূরা আল-বাক্বারার ২৮৫ ও ২৮৬ নং আয়াত। ﴿ ﺀَﺍﻣَﻦَ ﭐﻟﺮَّﺳُﻮﻝُ ﺑِﻤَﺎٓ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴۡﻪِ ﻣِﻦ ﺭَّﺑِّﻪِۦ ﻭَﭐﻟۡﻤُﺆۡﻣِﻨُﻮﻥَۚ ﻛُﻞٌّ ﺀَﺍﻣَﻦَ ﺑِﭑﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻣَﻠَٰٓﺌِﻜَﺘِﻪِۦ ﻭَﻛُﺘُﺒِﻪِۦ ﻭَﺭُﺳُﻠِﻪِۦ ﻟَﺎ ﻧُﻔَﺮِّﻕُ ﺑَﻴۡﻦَ ﺃَﺣَﺪٖ ﻣِّﻦ ﺭُّﺳُﻠِﻪِۦۚ ﻭَﻗَﺎﻟُﻮﺍْ ﺳَﻤِﻌۡﻨَﺎ ﻭَﺃَﻃَﻌۡﻨَﺎۖ ﻏُﻔۡﺮَﺍﻧَﻚَ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺇِﻟَﻴۡﻚَ ﭐﻟۡﻤَﺼِﻴﺮُ ٢٨٥ ﻟَﺎ ﻳُﻜَﻠِّﻒُ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﻧَﻔۡﺴًﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﻭُﺳۡﻌَﻬَﺎۚ ﻟَﻬَﺎ ﻣَﺎ ﻛَﺴَﺒَﺖۡ ﻭَﻋَﻠَﻴۡﻬَﺎ ﻣَﺎ ﭐﻛۡﺘَﺴَﺒَﺖۡۗ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗُﺆَﺍﺧِﺬۡﻧَﺎٓ ﺇِﻥ ﻧَّﺴِﻴﻨَﺎٓ ﺃَﻭۡ ﺃَﺧۡﻄَﺄۡﻧَﺎۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺤۡﻤِﻞۡ ﻋَﻠَﻴۡﻨَﺎٓ ﺇِﺻۡﺮٗﺍ ﻛَﻤَﺎ ﺣَﻤَﻠۡﺘَﻪُۥ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣِﻦ ﻗَﺒۡﻠِﻨَﺎۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺤَﻤِّﻠۡﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﺎ ﻃَﺎﻗَﺔَ ﻟَﻨَﺎ ﺑِﻪِۦۖ ﻭَﭐﻋۡﻒُ ﻋَﻨَّﺎ ﻭَﭐﻏۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﻭَﭐﺭۡﺣَﻤۡﻨَﺎٓۚ ﺃَﻧﺖَ ﻣَﻮۡﻟَﻯٰﻨَﺎ ﻓَﭑﻧﺼُﺮۡﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟۡﻘَﻮۡﻡِ ﭐﻟۡﻜَٰﻔِﺮِﻳﻦَ ٢٨٦ ﴾ [ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ٢٨٥، ٢٨٦] “রাসুল ঈমান রাখেন ঐ সমস্ত বিষয়ে, যা তার মালিক ও নিয়ন্ত্রক (আল্লাহর) পক্ষ হতে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুমিনরাও। সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেস্তাদের প্রতি, তার কিতাবসমূহের প্রতি এবং তার নবীগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর নবীগণের মধ্যে (ঈমানের ব্যাপারে) কোনো প্রকার পার্থক্য করি না। তারা বলে: আমরা শ্রবণ করলাম ও আনুগত্য স্বীকার করে নিলাম। হে আমাদের মালিক ও নিয়ন্ত্রক, আমরা আপনারই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি, আপনার দিকেই আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে। কোনো ব্যক্তিকেই আল্লাহ তার সামর্থের বাইরে কোনো কাজের ভার দেন না, সে তাই পাবে যা সে উপার্জন করে, আর যা সে অর্জন করে তা তারই উপর বর্তায়। হে আমাদের মালিক ও নিয়ন্ত্রক! যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তাহলে এ জন্য আমাদেরকে ধর-পাকড় করবেন না। হে আমাদের মালিক ও নিয়ন্ত্রক! আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর যেরূপ কঠিন বোঝা অর্পণ করেছেন, আমাদের উপর তদ্রূপ কোনো বোঝা অর্পণ করবেন না। হে আমাদের মালিক ও নিয়ন্ত্রক! আমাদের শক্তি-সামর্থের বাইরে কোনো বোঝা বহনে আমাদেরকে বাধ্য করবেন না। আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক, অতএব কাফিরগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।” (সূরা আল-বাক্বারার ২৮৫ ও ২৮৬ নং আয়াত)। ৬- সূরা আল-‘ইমরানের ১৯০ ও ১৯১ নং আয়াত। ﴿ ﺇِﻥَّ ﻓِﻲ ﺧَﻠۡﻖِ ﭐﻟﺴَّﻤَٰﻮَٰﺕِ ﻭَﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽِ ﻭَﭐﺧۡﺘِﻠَٰﻒِ ﭐﻟَّﻴۡﻞِ ﻭَﭐﻟﻨَّﻬَﺎﺭِ ﻟَﺄٓﻳَٰﺖٖ ﻟِّﺄُﻭْﻟِﻲ ﭐﻟۡﺄَﻟۡﺒَٰﺐِ ١٩٠ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺬۡﻛُﺮُﻭﻥَ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻗِﻴَٰﻤٗﺎ ﻭَﻗُﻌُﻮﺩٗﺍ ﻭَﻋَﻠَﻰٰ ﺟُﻨُﻮﺑِﻬِﻢۡ ﻭَﻳَﺘَﻔَﻜَّﺮُﻭﻥَ ﻓِﻲ ﺧَﻠۡﻖِ ﭐﻟﺴَّﻤَٰﻮَٰﺕِ ﻭَﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽِ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻘۡﺖَ ﻫَٰﺬَﺍ ﺑَٰﻄِﻠٗﺎ ﺳُﺒۡﺤَٰﻨَﻚَ ﻓَﻘِﻨَﺎ ﻋَﺬَﺍﺏَ ﭐﻟﻨَّﺎﺭِ ١٩١ ﴾ [ ﺍﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ : ١٩٠، ١٩١] “নিশ্চয়ই আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে ও দিবা- রাত্রির পরিবর্তনে জ্ঞানবানদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। যারা দাঁড়িয়ে বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা-গবেষণা করে আর বলে, হে আমাদের রাব্ব্! আপনি এসব বৃথা (অযথা) সৃষ্টি করেননি। অতি পবিত্র আপনি, অতএব আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচান।” (আল-‘ইমরানের ১৯০ ও ১৯১ নং আয়াত)। ৭- সূরা আল-আ‘রাফের ৫৪ নং আয়াত। ﴿ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻜُﻢُ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﭐﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﭐﻟﺴَّﻤَٰﻮَٰﺕِ ﻭَﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽَ ﻓِﻲ ﺳِﺘَّﺔِ ﺃَﻳَّﺎﻡٖ ﺛُﻢَّ ﭐﺳۡﺘَﻮَﻯٰ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟۡﻌَﺮۡﺵِۖ ﻳُﻐۡﺸِﻲ ﭐﻟَّﻴۡﻞَ ﭐﻟﻨَّﻬَﺎﺭَ ﻳَﻄۡﻠُﺒُﻪُۥ ﺣَﺜِﻴﺜٗﺎ ﻭَﭐﻟﺸَّﻤۡﺲَ ﻭَﭐﻟۡﻘَﻤَﺮَ ﻭَﭐﻟﻨُّﺠُﻮﻡَ ﻣُﺴَﺨَّﺮَٰﺕِۢ ﺑِﺄَﻣۡﺮِﻩِۦٓۗ ﺃَﻟَﺎ ﻟَﻪُ ﭐﻟۡﺨَﻠۡﻖُ ﻭَﭐﻟۡﺄَﻣۡﺮُۗ ﺗَﺒَﺎﺭَﻙَ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﺭَﺏُّ ﭐﻟۡﻌَٰﻠَﻤِﻴﻦَ ٥٤ ﴾ [ ﺍﻻﻋﺮﺍﻑ : ٥٤ ] “নিশ্চয়ই তোমাদের রব হচ্ছেন সেই আল্লাহ যিনি আসমান ও যমীনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি আরশের উপর উঠলেন, তিনি দিনকে রাত দ্বারা ঢেকে দেন এমনভাবে যে, ওরা একে অন্যের পিছে পিছে দ্রুতগতিতে খুজে বেড়ায়। আর চন্দ্র, সূর্য ও নক্ষত্ররাজিসহ সবই তার হুকুমের অনুগত। জেনে রাখো, সৃষ্টি করা ও আদেশ করা একমাত্র তাঁরই কাজ। তিনিই বরকতময় আল্লাহ, যিনি সারা জাহানের মালিক, নিয়ন্ত্রক ও নির্বাহক।” (আল- আ‘রাফের ৫৪ নং আয়াত) ৮- সূরা আল-আ‘রাফের ১১৭, ১১৮, ১১৯ নং আয়াত। ﴿ ٓﺎَﻨۡﻴَﺣۡﻭَﺃَﻭ۞ ﺇِﻟَﻰٰ ﻣُﻮﺳَﻰٰٓ ﺃَﻥۡ ﺃَﻟۡﻖِ ﻋَﺼَﺎﻙَۖ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻫِﻲَ ﺗَﻠۡﻘَﻒُ ﻣَﺎ ﻳَﺄۡﻓِﻜُﻮﻥَ ١١٧ ﻓَﻮَﻗَﻊَ ﭐﻟۡﺤَﻖُّ ﻭَﺑَﻄَﻞَ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍْ ﻳَﻌۡﻤَﻠُﻮﻥَ ١١٨ ﻓَﻐُﻠِﺒُﻮﺍْ ﻫُﻨَﺎﻟِﻚَ ﻭَﭐﻧﻘَﻠَﺒُﻮﺍْ ﺻَٰﻐِﺮِﻳﻦَ ١١٩ ﴾ [ ﺍﻻﻋﺮﺍﻑ : ١١٧، ١١٩ ] “অতঃপর আমরা অহীযোগে বললাম, এবার তোমার লাঠিখানা নিক্ষেপ করো, এটা সঙ্গে সঙ্গে জাদুকররা জাদুবলে যা বানিয়েছিল সেগুলোকে গিলতে লাগল। সুতরাং এভাবে প্রকাশ হয়ে গেল সত্য বিষয় আর তাদের বানোয়াট কর্ম মিথ্যায় প্রতিপন্ন হলো। ফলে, তারা সেখানেই পরাজিত হয়ে গেল এবং অতীব অপদস্থ হল।” (সূরা আল-আ‘রাফের ১১৭, ১১৮, ১১৯ নং আয়াত)। ৯- সূরা ইউনুছের ৭৯, ৮০, ৮১ নং আয়াত। ﴿ ﻭَﻗَﺎﻝَ ﻓِﺮۡﻋَﻮۡﻥُ ﭐﺋۡﺘُﻮﻧِﻲ ﺑِﻜُﻞِّ ﺳَٰﺤِﺮٍ ﻋَﻠِﻴﻢٖ ٧٩ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺟَﺎٓﺀَ ﭐﻟﺴَّﺤَﺮَﺓُ ﻗَﺎﻝَ ﻟَﻬُﻢ ﻣُّﻮﺳَﻰٰٓ ﺃَﻟۡﻘُﻮﺍْ ﻣَﺎٓ ﺃَﻧﺘُﻢ ﻣُّﻠۡﻘُﻮﻥَ ٨٠ ﻓَﻠَﻤَّﺎٓ ﺃَﻟۡﻘَﻮۡﺍْ ﻗَﺎﻝَ ﻣُﻮﺳَﻰٰ ﻣَﺎ ﺟِﺌۡﺘُﻢ ﺑِﻪِ ﭐﻟﺴِّﺤۡﺮُۖ ﺇِﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﺳَﻴُﺒۡﻄِﻠُﻪُۥٓ ﺇِﻥَّ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻟَﺎ ﻳُﺼۡﻠِﺢُ ﻋَﻤَﻞَ ﭐﻟۡﻤُﻔۡﺴِﺪِﻳﻦَ ٨١ ﴾ [ ﻳﻮﻧﺲ : ٧٩، ٨١] “আর ফিরআউন বললো: আমার নিকট সমস্ত সুদক্ষ জাদুকরদেরকে নিয়ে এসো। অতঃপর যখন জাদুকররা এলো, তখন মূসা তাদেরকে বললেন: নিক্ষেপ করো, যা কিছু তোমরা নিক্ষেপ করতে চাও। অতঃপর তারা যখন নিক্ষেপ করলো, তখন মূসা বললো: যতো জাদুই তোমরা এনেছ, আল্লাহ নিশ্চয়ই এসব এটাকে পন্ড (ভন্ডুল) করে দিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ এমন ফাসাদকারীদের ‘আমলকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে দেন না।” (সূরা ইউনুছের ৭৯, ৮০, ৮১ নং আয়াত)। ১০- সূরা আল-ইসরা (বনী-ইসরাইলের) ৮২ নং আয়াত। ﴿ ﻭَﻧُﻨَﺰِّﻝُ ﻣِﻦَ ﭐﻟۡﻘُﺮۡﺀَﺍﻥِ ﻣَﺎ ﻫُﻮَ ﺷِﻔَﺎٓﺀٞ ﻭَﺭَﺣۡﻤَﺔٞ ﻟِّﻠۡﻤُﺆۡﻣِﻨِﻴﻦَ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺰِﻳﺪُ ﭐﻟﻈَّٰﻠِﻤِﻴﻦَ ﺇِﻟَّﺎ ﺧَﺴَﺎﺭٗﺍ ٨٢ ﴾ [ ﺍﻻﺳﺮﺍﺀ : ٨٢] “আর আমরা অবতীর্ণ করি কুরআনে এমন সব বিষয়, যা রোগের শিফা বা সুচিকিৎসা এবং মুমিনদের জন্য রহমত, আর তা জালিমদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।” (সূরা আল-ইসরা (বনী- ইসরাইলের) ৮২ নং আয়াত)। ১১- সূরা ত্বাহা এর ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮ ও ৬৯ নং আয়াত। ﴿ ﻗَﺎﻟُﻮﺍْ ﻳَٰﻤُﻮﺳَﻰٰٓ ﺇِﻣَّﺎٓ ﺃَﻥ ﺗُﻠۡﻘِﻲَ ﻭَﺇِﻣَّﺎٓ ﺃَﻥ ﻧَّﻜُﻮﻥَ ﺃَﻭَّﻝَ ﻣَﻦۡ ﺃَﻟۡﻘَﻰٰ ٦٥ ﻗَﺎﻝَ ﺑَﻞۡ ﺃَﻟۡﻘُﻮﺍْۖ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺣِﺒَﺎﻟُﻬُﻢۡ ﻭَﻋِﺼِﻴُّﻬُﻢۡ ﻳُﺨَﻴَّﻞُ ﺇِﻟَﻴۡﻪِ ﻣِﻦ ﺳِﺤۡﺮِﻫِﻢۡ ﺃَﻧَّﻬَﺎ ﺗَﺴۡﻌَﻰٰ ٦٦ ﻓَﺄَﻭۡﺟَﺲَ ﻓِﻲ ﻧَﻔۡﺴِﻪِۦ ﺧِﻴﻔَﺔٗ ﻣُّﻮﺳَﻰٰ ٦٧ ﻗُﻠۡﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗَﺨَﻒۡ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﭐﻟۡﺄَﻋۡﻠَﻰٰ ٦٨ ﻭَﺃَﻟۡﻖِ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﻳَﻤِﻴﻨِﻚَ ﺗَﻠۡﻘَﻒۡ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌُﻮٓﺍْۖ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺻَﻨَﻌُﻮﺍْ ﻛَﻴۡﺪُ ﺳَٰﺤِﺮٖۖ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﻔۡﻠِﺢُ ﭐﻟﺴَّﺎﺣِﺮُ ﺣَﻴۡﺚُ ﺃَﺗَﻰٰ ٦٩ ﴾ [ﻃﻪ : ٦٥، ٦٩ ] “তারা বললো: হে মূসা, হয় তুমি নিক্ষেপ করো, অথবা আমরাই প্রথমে নিক্ষেপ করি। মূসা বললো: বরং তোমরাই নিক্ষেপ করো, তাদের জাদুর প্রভাবে হঠাৎ মূসার মনে হলো যে, তাদের দড়ি ও লাঠিগুলো ছুটাছুটি করছে। অতঃপর মূসা তার অন্তরে কিছু ভীতি অনুভব করলো । আমি বললাম: ভয় করো না, তুমিই প্রবল (বিজয়ী হবে)। তোমার ডান হাতে যা আছে, তা নিক্ষেপ করো, এটা তারা যা বানিয়েছে, তা গিলে ফেলবে, তারা যা তৈরী করেছে তা তো শুধু জাদুকরের কৌশল, জাদুকর যেখানেই আসুক সফল হবে না।” (সূরা ত্বাহা এর ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮ ও ৬৯ নং আয়াত)। ১২- সূরা আল-মুমিনুনের ১১৫, ১১৬, ১১৭ ও ১১৮ নং আয়াত। ﴿ ﺃَﻓَﺤَﺴِﺒۡﺘُﻢۡ ﺃَﻧَّﻤَﺎ ﺧَﻠَﻘۡﻨَٰﻜُﻢۡ ﻋَﺒَﺜٗﺎ ﻭَﺃَﻧَّﻜُﻢۡ ﺇِﻟَﻴۡﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗُﺮۡﺟَﻌُﻮﻥَ ١١٥ ﻓَﺘَﻌَٰﻠَﻰ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﭐﻟۡﻤَﻠِﻚُ ﭐﻟۡﺤَﻖُّۖ ﻟَﺎٓ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﺭَﺏُّ ﭐﻟۡﻌَﺮۡﺵِ ﭐﻟۡﻜَﺮِﻳﻢِ ١١٦ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺪۡﻉُ ﻣَﻊَ ﭐﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻟَٰﻬًﺎ ﺀَﺍﺧَﺮَ ﻟَﺎ ﺑُﺮۡﻫَٰﻦَ ﻟَﻪُۥ ﺑِﻪِۦ ﻓَﺈِﻧَّﻤَﺎ ﺣِﺴَﺎﺑُﻪُۥ ﻋِﻨﺪَ ﺭَﺑِّﻪِۦٓۚ ﺇِﻧَّﻪُۥ ﻟَﺎ ﻳُﻔۡﻠِﺢُ ﭐﻟۡﻜَٰﻔِﺮُﻭﻥَ ١١٧ ﻭَﻗُﻞ ﺭَّﺏِّ ﭐﻏۡﻔِﺮۡ ﻭَﭐﺭۡﺣَﻢۡ ﻭَﺃَﻧﺖَ ﺧَﻴۡﺮُ ﭐﻟﺮَّٰﺣِﻤِﻴﻦَ ١١٨ ﴾ [ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻮﻥ : ١١٥، ١١٨] “তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমরা তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার নিকট ফিরে আসবে না? মহিমান্বিত আল্লাহ যিনি সত্যিকারের বাদশাহ, তিনি ব্যতীত কোনো সত্য মা‘বুদ নেই, সম্মানিত ‘আরশের তিনি রব্ব। যে ব্যক্তি আল্লাহর সহিত অন্য মা‘বুদকে ডাকে, ঐ বিষয়ে তার নিকট কোনো প্রমাণ নেই, তার হিসাব তার রাব্বের নিকট আছে, নিশ্চয়ই কাফেররা সফলকাম হবে না। বলো, হে আমার রব্ব, ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, দয়ালুদের মধ্যে আপনিই তো শ্রেষ্ঠ দয়ালু।” (সূরা আল-মুমিনুনের ১১৫, ১১৬, ১১৭ ও ১১৮ নং আয়াত)। ১৩- সূরা আস-সাফ্ফাতের ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ নং আয়াত। ﴿ ﻭَﭐﻟﺼَّٰٓﻔَّٰﺖِ ﺻَﻔّٗﺎ ١ ﻓَﭑﻟﺰَّٰﺟِﺮَٰﺕِ ﺯَﺟۡﺮٗﺍ ٢ ﻓَﭑﻟﺘَّٰﻠِﻴَٰﺖِ ﺫِﻛۡﺮًﺍ ٣ ﺇِﻥَّ ﺇِﻟَٰﻬَﻜُﻢۡ ﻟَﻮَٰﺣِﺪٞ ٤ ﺭَّﺏُّ ﭐﻟﺴَّﻤَٰﻮَٰﺕِ ﻭَﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽِ ﻭَﻣَﺎ ﺑَﻴۡﻨَﻬُﻤَﺎ ﻭَﺭَﺏُّ ﭐﻟۡﻤَﺸَٰﺮِﻕِ ٥ ﺇِﻧَّﺎ ﺯَﻳَّﻨَّﺎ ﭐﻟﺴَّﻤَﺎٓﺀَ ﭐﻟﺪُّﻧۡﻴَﺎ ﺑِﺰِﻳﻨَﺔٍ ﭐﻟۡﻜَﻮَﺍﻛِﺐِ ٦ ﻭَﺣِﻔۡﻈٗﺎ ﻣِّﻦ ﻛُﻞِّ ﺷَﻴۡﻄَٰﻦٖ ﻣَّﺎﺭِﺩٖ ٧ ﻟَّﺎ ﻳَﺴَّﻤَّﻌُﻮﻥَ ﺇِﻟَﻰ ﭐﻟۡﻤَﻠَﺈِ ﭐﻟۡﺄَﻋۡﻠَﻰٰ ﻭَﻳُﻘۡﺬَﻓُﻮﻥَ ﻣِﻦ ﻛُﻞِّ ﺟَﺎﻧِﺐٖ ٨ ﺩُﺣُﻮﺭٗﺍۖ ﻭَﻟَﻬُﻢۡ ﻋَﺬَﺍﺏٞ ﻭَﺍﺻِﺐٌ ٩ ﺇِﻟَّﺎ ﻣَﻦۡ ﺧَﻄِﻒَ ﭐﻟۡﺨَﻄۡﻔَﺔَ ﻓَﺄَﺗۡﺒَﻌَﻪُۥ ﺷِﻬَﺎﺏٞ ﺛَﺎﻗِﺐٞ ١٠ ﴾ [ ﺍﻟﺼﺎﻓﺎﺕ : ١، ١٠] “সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান ফিরিশতাদের শপথ, এবং যারা কঠোর পরিচালক, আর যারা যিক্র আবৃতিতে রত (তাদের শপথ)। নিশ্চয়ই তোমাদের মা‘বুদ এক, যিনি আসমান, যমীন এবং এদুয়ের মধ্যবর্তী যা কিছু আছে, এসব কিছুর রব্ব। এ ছাড়াও উদয়স্থানসমুহের ও রব্ব তিনি। আমি নিকটবর্তী আসমানকে নক্ষত্ররাজির শোভা দ্বারা সূশোভিত করেছি, আর সংরক্ষণ করেছি প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান হতে। ফলে, তারা উর্ধ্ব জগতের কিছু শুনতে পায়না, এবং তাদের প্রতি নিক্ষিপ্ত হয় সকল দিক হতে বিতাড়নের জন্য এবং তাদের জন্য রয়েছে অবিরাম শাস্তি। তবে কেউ হঠাৎ (ছোঁ মেরে) কিছু শুনে ফেললে জলন্ত উল্কাপিন্ড তাদের পিছন দিকে হতে ধাওয়া করে।” (সূরা আস- সাফ্ফাতের ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ নং আয়াত)। ১৪- সূরা আল- হাশরের ২২ ও ২৩ নং আয়াত। ﴿ ﻫُﻮَ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﭐﻟَّﺬِﻱ ﻟَﺎٓ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَۖ ﻋَٰﻠِﻢُ ﭐﻟۡﻐَﻴۡﺐِ ﻭَﭐﻟﺸَّﻬَٰﺪَﺓِۖ ﻫُﻮَ ﭐﻟﺮَّﺣۡﻤَٰﻦُ ﭐﻟﺮَّﺣِﻴﻢُ ٢٢ ﻫُﻮَ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﭐﻟَّﺬِﻱ ﻟَﺎٓ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﭐﻟۡﻤَﻠِﻚُ ﭐﻟۡﻘُﺪُّﻭﺱُ ﭐﻟﺴَّﻠَٰﻢُ ﭐﻟۡﻤُﺆۡﻣِﻦُ ﭐﻟۡﻤُﻬَﻴۡﻤِﻦُ ﭐﻟۡﻌَﺰِﻳﺰُ ﭐﻟۡﺠَﺒَّﺎﺭُ ﭐﻟۡﻤُﺘَﻜَﺒِّﺮُۚ ﺳُﺒۡﺤَٰﻦَ ﭐﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻤَّﺎ ﻳُﺸۡﺮِﻛُﻮﻥَ ٢٣ ﴾ [ ﺍﻟﺤﺸﺮ : ٢٢، ٢٣ ] “তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত সত্য কোনো মা‘বুদ নেই। গোপন ও প্রকাশ্য সব কিছুই তিনি জানেন। তিনিই পরম দয়ালু ও অতি দয়াময়। তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতিত সত্য কোনো মা‘বুদ নেই। তিনি বাদশা, পবিত্র, শান্তি-নিরাপত্তাদাতা, অভিভাবক, পরাক্রমশালী, প্রবল, মহাশ্রেষ্ঠ। মানুষ তাঁর সহিত যা কিছুর শির্ক করছে, সে সব হতে তিনি অতি পবিত্র ও মহান।” (সূরা আল- হাশরের ২২ ও ২৩ নং আয়াত)। ১৫- সূরা আল-ক্বালমের ৫১ নং আয়াত। ﴿ ﻭَﺇِﻥ ﻳَﻜَﺎﺩُ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍْ ﻟَﻴُﺰۡﻟِﻘُﻮﻧَﻚَ ﺑِﺄَﺑۡﺼَٰﺮِﻫِﻢۡ ﻟَﻤَّﺎ ﺳَﻤِﻌُﻮﺍْ ﭐﻟﺬِّﻛۡﺮَ ﻭَﻳَﻘُﻮﻟُﻮﻥَ ﺇِﻧَّﻪُۥ ﻟَﻤَﺠۡﻨُﻮﻥٞ ٥١ ﻭَﻣَﺎ ﻫُﻮَ ﺇِﻟَّﺎ ﺫِﻛۡﺮٞ ﻟِّﻠۡﻌَٰﻠَﻤِﻴﻦَ ٥٢ ﴾ [ ﺍﻟﻘﻠﻢ : ٥١، ٥٢] “আর কাফেররা এমনভাবে আপনার দিকে তাকায় যে, এক্ষুনি তাদের দৃষ্টি দিয়ে আপনাকে ঘায়েল করে দিবে, তারা একথাও বলে যে, নিশ্চয়ই সে (রাসূল) একজন পাগল।” (সূরা আল-ক্বালমের ৫১ নং আয়াত)। ১৬- সূরা জ্বীনের ৩ নং আয়াত। ﴿ ﻭَﺃَﻧَّﻪُۥ ﺗَﻌَٰﻠَﻰٰ ﺟَﺪُّ ﺭَﺑِّﻨَﺎ ﻣَﺎ ﭐﺗَّﺨَﺬَ ﺻَٰﺤِﺒَﺔٗ ﻭَﻟَﺎ ﻭَﻟَﺪٗﺍ ٣ ﴾ [ﺍﻟﺠﻦ : ٣] “(আমার প্রতি) আরও অহি করা হয়েছে যে, আমাদের মালিক ও পরিচালনাকারীর (আল্লাহর) মান-মর্যাদা সম্ভ্রম অতি উর্ধ্বে । তিনি কাহাকেও স্ত্রী বা সন্তান হিসেবে গ্রহন করেননি।” ১৭- সূরা আল-কাফেরুন। ﴿ ﻗُﻞۡ ﻳَٰٓﺄَﻳُّﻬَﺎ ﭐﻟۡﻜَٰﻔِﺮُﻭﻥَ ١ ﻟَﺎٓ ﺃَﻋۡﺒُﺪُ ﻣَﺎ ﺗَﻌۡﺒُﺪُﻭﻥَ ٢ ﻭَﻟَﺎٓ ﺃَﻧﺘُﻢۡ ﻋَٰﺒِﺪُﻭﻥَ ﻣَﺎٓ ﺃَﻋۡﺒُﺪُ ٣ ﻭَﻟَﺎٓ ﺃَﻧَﺎ۠ ﻋَﺎﺑِﺪٞ ﻣَّﺎ ﻋَﺒَﺪﺗُّﻢۡ ٤ ﻭَﻟَﺎٓ ﺃَﻧﺘُﻢۡ ﻋَٰﺒِﺪُﻭﻥَ ﻣَﺎٓ ﺃَﻋۡﺒُﺪُ ٥ ﻟَﻜُﻢۡ ﺩِﻳﻨُﻜُﻢۡ ﻭَﻟِﻲَ ﺩِﻳﻦِ ٦ ﴾ [ﺍﻟﻜﺎﻓﺮﻭﻥ : ١، ٦] “বলো, হে কাফিরগণ! আমি তার ইবাদত করি না যার ইবাদত তোমরা করো এবং তোমরাও তাঁর ইবাদতকারী নও, যাঁর ইবাদত আমি করি, এবং আমি ইবাদতকারী নই তাঁর, যার ইবাদত তোমরা করে আসছো, আর তোমরা তাঁর এবাদতকারী নও, যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমাদের দ্বীন (কুফর) তোমাদের জন্য আর আমার দ্বীন (ইসলাম) আমার জন্য।” ১৮- সূরা আল-ইখলাছ। ﴿ ﻗُﻞۡ ﻫُﻮَ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺣَﺪٌ ١ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﭐﻟﺼَّﻤَﺪُ ٢ ﻟَﻢۡ ﻳَﻠِﺪۡ ﻭَﻟَﻢۡ ﻳُﻮﻟَﺪۡ ٣ ﻭَﻟَﻢۡ ﻳَﻜُﻦ ﻟَّﻪُۥ ﻛُﻔُﻮًﺍ ﺃَﺣَﺪُۢ ٤ ﴾ [ ﺍﻻﺧﻼﺹ : ١، ٤] “বলুন, তিনি আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়, আল্লাহ হলেন – ‘সামাদ’ (তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তার মুখাপেক্ষী), তিনি কাউকেও জন্ম দেন নি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নি, আর তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।” (সূরা আল- ইখলাছ)। ১৯- সূরা আল-ফালাক্ব। ﴿ ﻗُﻞۡ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﭐﻟۡﻔَﻠَﻖِ ١ ﻣِﻦ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻖَ ٢ ﻭَﻣِﻦ ﺷَﺮِّ ﻏَﺎﺳِﻖٍ ﺇِﺫَﺍ ﻭَﻗَﺐَ ٣ ﻭَﻣِﻦ ﺷَﺮِّ ﭐﻟﻨَّﻔَّٰﺜَٰﺖِ ﻓِﻲ ﭐﻟۡﻌُﻘَﺪِ ٤ ﻭَﻣِﻦ ﺷَﺮِّ ﺣَﺎﺳِﺪٍ ﺇِﺫَﺍ ﺣَﺴَﺪَ ٥ ﴾ [ﺍﻟﻔﻠﻖ : ١، ٥] “বলুন, আমি আশ্রয় চাই আল্লাহর ভোরের রবের (মালিক ও অধিপতির), তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে, আর অনিষ্ট হতে রাতের অন্ধকারের, যখন তা গভীর হয়। আর অনিষ্ট হতে সে সব নারীদের যারা গিরায় ফুঁক দেয়। আর অনিষ্ট হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।” (সূরা আল-ফালাক্ব)। ২০- সূরা আন-নাস। ﴿ ﻗُﻞۡ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﭐﻟﻨَّﺎﺱِ ١ ﻣَﻠِﻚِ ﭐﻟﻨَّﺎﺱِ ٢ ﺇِﻟَٰﻪِ ﭐﻟﻨَّﺎﺱِ ٣ ﻣِﻦ ﺷَﺮِّ ﭐﻟۡﻮَﺳۡﻮَﺍﺱِ ﭐﻟۡﺨَﻨَّﺎﺱِ ٤ ﭐﻟَّﺬِﻱ ﻳُﻮَﺳۡﻮِﺱُ ﻓِﻲ ﺻُﺪُﻭﺭِ ﻟﻨَّﺎﺱِ ٥ ﻣِﻦَ ﭐﻟۡﺠِﻨَّﺔِ ﻭَﭐﻟﻨَّﺎﺱِ 6 ﴾ [ ﺍﻟﻨﺎﺱ : ١، ٠] “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির, মানুষের মা‘বুদের কাছে, আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার নিকট অনিষ্ট হতে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিন ও মানুষের মধ্য থেকে। (সূরা আন-নাস)। সাহীহ হাদীসে বর্ণিত ঝাড়-ফুঁক সংক্রান্ত দো‘আসমূহ 1- সাহীহ মুসলিমে রয়েছে: ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻖَ (ﺻﺤﻴﺢ ﻣﺴﻠﻢ ( 4 / 2081 ) . ‘আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় তাঁর নিকট আমি তিনি যা সৃষ্টি করেছেন সেগুলোর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।’ (বিকালে ৩ বার)। (সাহীহ মুসলিম: ৪/২০৮১)। 2- সাহীহ আল-বুখারীতে রয়েছে: ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺔِ، ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺷَﻴْﻄَﺎﻥٍ ﻭَﻫَﺎﻣَّﺔٍ، ﻭَﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﻋَﻴْﻦٍ ﻻَﻣَّﺔٍ ” (ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ (4 / 147 ( ‘আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় সকল শয়তান ও বিষাক্ত জীব-জন্তু থেকে ও যাবতীয় ক্ষতিকর চোখ (বদ নযর) হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (সাহীহ আল বুখারী ৪/১৪৭, নং ৩৩৭১)। 3- হিসনূল মুসলিমে রয়েছে:- «ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺔِ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﻟَﺎ ﻳُﺠَﺎﻭِﺯُﻫُﻦَّ ﺑَﺮٌّ ﻭَﻟَﺎ ﻓَﺎﺟِﺮٌ، ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﻳَﻨْﺰِﻝُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﻳَﻌْﺮُﺝُ ﻓِﻴﻬَﺎ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺫَﺭَﺃَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﻳَﺨْﺮُﺝُ ﻣِﻨْﻬَﺎ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻓِﺘَﻦِ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻭَﺍﻟﻨَّﻬَﺎﺭِ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻛُﻞِّ ﻃَﺎﺭِﻕٍ ﺇِﻟَّﺎ ﻃَﺎﺭِﻗًﺎ ﻳَﻄْﺮُﻕُ ﺑِﺨَﻴْﺮٍ ﻳَﺎ ﺭَﺣْﻤَﻦُ ». ( ﺣﺼﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﻣﻦ ﺃﺫﻛﺎﺭ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﻭﺍﻟﺴﻨﺔ ( 2 / 141 ). “আমি আল্লাহর ঐ সকল পরিপূর্ণ বাণীসমূহের সাহায্যে আশ্রয় চাই যা কোনো সৎব্যক্তি বা অসৎ ব্যক্তি অতিক্রম করতে পারে না, — আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন, অস্তিত্বে এনেছেন এবং তৈরী করেছেন তার অনিষ্ট থেকে। আসমান থেকে যা নেমে আসে তার অনিষ্ট থেকে এবং যা আকাশে উঠে তার অনিষ্ট থেকে, আর যা পৃথিবীতে তিনি সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, আর যা পৃথিবী থেকে বেরিয়ে আসে, তার অনিষ্ট থেকে, দিনে রাতে সংঘটিত ফেতনার অনিষ্ট থেকে, আর রাতের বেলায় হঠাৎ করে আগত অনিষ্ট থেকে। তবে রাতে আগত কল্যাণকর আগমনকারী ব্যতীত, হে দয়াময়।” (হিসনুল মুসলিম : ২/১৪১)। 4- হিসনূল মুসলিমে রয়েছে:- «ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ». ( ﺣﺼﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﻣﻦ ﺃﺫﻛﺎﺭ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﻭﺍﻟﺴﻨﺔ ( 1 / 78 ). “আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় আশ্রয় চাই তাঁর রাগ থেকে, তাঁর শাস্তি থেকে, তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট থেকে, শয়তানদের কুমন্ত্রণা থেকে এবং তাদের উপস্হিতি থেকে।” (আবু দাউদ: ৪/১২, নং : ৩৮৯৩। সাহীহুত- তিরমিযী ৩/১৭১)। 5- সাহীহ হাদীসে রয়েছে:- « ﺣَﺴْﺒِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ، ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺗَﻮَﻛَّﻠْﺖُ ﻭَﻫُﻮَ ﺭَﺏُّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ» . (7 ﻣﺮﺍﺕ ) . (ﺳﻨﻦ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ (4 / 321 ). (ﺣﺼﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﻣﻦ ﺃﺫﻛﺎﺭ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﻭﺍﻟﺴﻨﺔ (1 / 61 ) . “আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া আর কোনো সত্য মা‘বুদ নেই, আমি তাঁর উপরই ভরসা করি, আর তিনি মহান আরশের রব্ব।” (৭ বার)। (সূনানে আবু দাউদ ৪/৩২১) ও ( হিসনুল মুসলিম ১/৬১)। 6- সাহীহ মুসলিমে রয়েছে:- « ﺑِﺎﺳْﻢِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺃَﺭْﻗِﻴﻚَ، ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻳُﺆْﺫِﻳﻚَ، ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻛُﻞِّ ﻧَﻔْﺲٍ ﺃَﻭْ ﻋَﻴْﻦِ ﺣَﺎﺳِﺪٍ، ﺍﻟﻠﻪُ ﻳَﺸْﻔِﻴﻚَ ﺑِﺎﺳْﻢِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺃَﺭْﻗِﻴﻚَ ». (ﺻﺤﻴﺢ ﻣﺴﻠﻢ ( 4 / 1718 ) . “আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাঁড়ফুক করছি, কষ্টদায়ক সকল কিছুর ক্ষতি হতে, যে কোনো মানুষ বা বদনযর অথবা হিংসুকের হিংসার নজর হতে। আল্লাহ আপনাকে শিফা বা রোগমুক্ত করুন, আমি আপনাকে আল্লাহর নামেই ঝাঁড়ফুক করছি।” (সাহীহ মুসলিম: ৪/১৭১৮)। 7- সাহীহ হাদীসে রয়েছে:- «ﺃَﺳْﺄَﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢَ ﺭَﺏَّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ﺃَﻥْ ﻳَﺸْﻔِﻴَﻚَ ». ( ﺳﻨﻦ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ (3 / 187 ). “আমি মহান আল্লাহর কাছে চাই, যিনি মহান আরশের রব্ব, তিনি যেন আপনাকে রোগ হতে শিফা দান করেন।” (৭ বার পড়বেন)। (আবু-দাউদ, ৩/১৮৭)। 8- সাহীহ মুসলিমে রয়েছে:- তোমার শরীরের যেখানে ব্যথা রয়েছে সেখানে হাত রেখো এবং তিনবার বলো, বিসমিল্লাহ, তারপর সাতবার বলো, «ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﺎﻟﻠﻪِ ﻭَﻗُﺪْﺭَﺗِﻪِ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺃَﺟِﺪُ ﻭَﺃُﺣَﺎﺫِﺭُ ». (ﺻﺤﻴﺢ ﻣﺴﻠﻢ (4 / 1728 ). “এই যে ব্যথা আমি অনূভব করছি এবং যার আমি আশংকা করছি, তা থেকে আমি আল্লাহ তা‘আলার এবং তাঁর কুদরতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি ।” (সাহীহ মুসলিম: ৪/১৭২৮, নং ২২০২)। 9- সাহীহ আল-বুখারীতে রয়েছে:- « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺏَّ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ، ﻣُﺬْﻫِﺐَ ﺍﻟﺒَﺎﺱِ، ﺍﺷْﻒِ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺸَّﺎﻓِﻲ، ﻻَ ﺷَﺎﻓِﻲَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ، ﺷِﻔَﺎﺀً ﻻَ ﻳُﻐَﺎﺩِﺭُ ﺳَﻘَﻤًﺎ ». (ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ( 7 / 132 ). “হে আল্লাহ! হে মানুষের রব্ব, আপনি তাদের কষ্ট, সমস্যা, বিপদদূরকারী। আপনি তাদেরকে শিফা (রোগমুক্ত) করে দিন, আপনিই তো শিফাদানকারী। আপনি ব্যতীত রোগমুক্তকারী কেউই নেই, রোগ হতে এমন শিফা দান করুন, যাতে রোগের কিছুই শরীরে অবশিষ্ট না থাকে।” (সাহীহ আল-বুখারী: ৭/১৩২)। 10- অনুরূপভাবে সাহীহ হাদীসে রয়েছে: « ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻟَﺎ ﻳَﻀُﺮُّ ﻣَﻊَ ﺍﺳْﻤِﻪِ ﺷَﻲْﺀٌ، ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ، ﻭَﻟَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ، ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟﺴَّﻤِﻴﻊُ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ » ، (ﺛَﻠَﺎﺙَ ﻣَﺮَّﺍﺕٍ ) . (ﺳﻨﻦ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ (4 / 323 ) . “আল্লাহর নামে, যার নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।” (৩ বার)। আবদুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান আল-জিবরীন রহ. অনুবাদ: আবুল কাসেম মুহাম্মাদ মাসুম বিল্লাহ সম্পাদনা: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া সূত্র: ইসলামহাউজ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
সাম্প্রতিক পোষ্ট
"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?
"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...
জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ
-
যৌন উত্তেজনার সময় পানির মতো আঠালো যে তরল পদার্থ বের হয়, তা কি নাপাক? একে “মাযী” বলে। আর তা নাপাক। তা বের হলে উযূ নষ্ট হয়ে যায়। শরমগাহ...
-
গুপ্ত অভ্যাস (হস্তমৈথুন) ব্যবহার করা বৈধ কি? গুপ্ত অভ্যাস (হাত বা অন্য কিছুর মাধ্যমে বীর্যপাত, স্বমৈথুন বা হস্ত মৈথুন) করা কিতাব, সুন...
-
মনোমালিন্য ‘‘সংসার সাগরে দুঃখ-তরঙ্গের খেলা, আশা তার একমাত্র ভেলা।’’ কিন্তু সেই ভেলা ডুবে গেলে আর কার কি সাধ্য? স্বামী যদি স্...
-
*সূরা বাকারা ও সূরা আলে-ইমরানের ফজিলত গুলি কি কি? এবং সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের অর্থঃ ✔1-রাতে ঘুমানোর আগে সুরা বাক্বারার শেষ ...
-
আপন মামাত, খালাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোন, চাচী, মামি, স্ত্রীর বোন বা ভাবীর সাথে মুসাফাহাহ বৈধ কি? যার সাথে পু...
-
কেউ কেউ মনে করেন, আমার মন খুবই পরিস্কার। তাকে আমি মা, খালা, অথবা বোনের মতোই মনে করি ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলে তাঁর সাথে মেলা-মেশা করতে অসুবিধা ...
-
কথা বলার ব্যপারে "ইসলামে"র শিক্ষা কি? ====== ১। কথা বলার পূর্বে সালাম দেয়া। সূরা নূরঃ ৬১ ২। সতর্কতার সাথে কথা বলা। (কে...
-
জাহান্নাম থেকে মুক্তির ১৫টি অসাধারন হাদিস- *১-গীবত থেকে দূরে থাকা- আসমা বিনতে ইয়াযীদ হতে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যাক্তি তার (মুসলি...
-
# দোয়া_কবুল_না_হওয়ার_কারণগুলো_কি_কি ? ---------------------------------------------------------------------- কিছু পাপ আছে যা বান্দার মা...
-
প্রশ্ন:নাটক, সিনেমা দেখা , গল্পের বই পড়া কি জায়েজ ? =============================== উত্তর : যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালা...
No comments:
Post a Comment