(৪৮২) নারী বিদায়ী তওয়াফ করার পূর্বে ঋতুবতী হয়ে পড়লে করণীয় কি?
যদি
সে তওয়াফে এফাযাসহ হজ্জের যাবতীয় কাজ পূর্ণ করে থাকে এবং শুধুমাত্র বিদায়ী
তওয়াফ বাকী থাকে, তারপর ঋতুবতী হয় তবে বিদায়ী তওয়াফ রহিত হয়ে যাবে। ইবনু
আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
]أُمِرَ النَّاسُ أَنْ يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِمْ بِالْبَيْتِ إِلَّا أَنَّهُ خُفِّفَ عَنِ الْحَائِضِ[
‘লোকদের আদেশ দেয়া হয়েছে, কাবা ঘরের
তওয়াফ যেন তাদের সর্বশেষ কাজ হয়। তবে বিষয়টি ঋতুবতীদের জন্য হালকা করে দেয়া
হয়েছে।’ যখন নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলা হল যে, উম্মুল
মু‘মেনীন ছাফিয়া বিনতে হুওয়াই (রাঃ) ঋতুবতী হয়ে গেছেন। অবশ্য
তিনি তওয়াফে
ইফাযা বা হজ্জের তওয়াফ করে নিয়েছেন। তখন নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বললেন, “তাহলে তোমরা বের হয়ে যাও।” তিনি তার জন্য বিদায়ী তওয়াফকে
রহিত করে দিলেন।
কিন্তু তওয়াফে ইফাযা বা হজ্জের তওয়াফ
ঋতুবতীর জন্য রহিত হবে না। ঋতুবতী হয় মক্কায় থেকে অপেক্ষা করবে এবং পবিত্র
হলে তওয়াফে এফাযা করবে। অথবা সে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে কিন্তু ইহরাম
অবস্থাতেই থাকবে এবং পবিত্র হলে মক্কায় ফিরে এসে শুধুমাত্র হজ্জের তওয়াফ
করবে। যদি নিজ দেশে চলে গিয়ে আবার ফিরে আসে, তবে সুন্দর হয়- প্রথমে ওমরা
করে নিবে (তওয়াফ করবে, সাঈ করবে এবং চুল খাট করবে) তারপর হজ্জের তওয়াফ
করবে।
উল্লেখিত পন্থার কোনটিই যদি সম্ভব না হয়,
তবে লজ্জাস্থানে প্যাড বা এজাতীয় কোন কিছু দিয়ে বেঁধে দিবে যাতে করে
স্রাবের রক্ত মসজিদে না পড়ে, তারপর হজ্জের তওয়াফ করে নিবে। কেননা বিশুদ্ধ
মতানুযায়ী এটা একান্ত জরূরী অবস্থা।
No comments:
Post a Comment