মানুষের বমি কি নাপাক?
ইতিপূর্বে
বহুবার আলোচনা করা হয়েছে যে, প্রত্যেক বস্ত্ত মূলত পবিত্র। আর এ মৌলিকতা
থেকে পরিবর্তন করা যাবে না যতক্ষণ না এ ব্যাপারে দলীলের উপযোগী কোন সহীহ
প্রমাণ পাওয়া যায়, যেটি প্রাধান্য পাওয়ার ফলে বিতর্কমুক্ত হয় অথবা সমতা
বজায় থাকে। যদি তার দলীল পাওয়া যায়, তাহলে ভাল কথা; আর যদি দলীল না পাওয়া
যায় তাহলে, নাপাক হওয়ার দাবী বাতিল করাই আমাদের জন্য আবশ্যক হবে।
কেননা এ দাবীর ফলে এ কথা বুঝানো হচ্ছে যে,
আল্লাহ্ তা‘আলা তার বান্দার প্রতি এ সমস্ত বস্ত্ত ধৌত করা ওয়াজিব করে
দিয়েছেন। যার ফলে ধারণা করা হয় যে, এগুলো নাপাক, এগুলো সালাতে বাধা দেয়।
অথচ এর দলীল কোথায়?
বমি ও এ জাতীয় কিছু জিনিস মৌলিক পবিত্রতা
থেকে পরিবর্তন হওয়ার ব্যাপারে কোন সহীহ প্রমাণ পাওয়া যায় নি, এ ব্যাপারে
আম্মার (রাঃ) থেকে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে-
« إِنَّمَا تَغْسِلُ ثَوْبَكَ مِنَ الْبَوْلِ وَالْغَائِطِ وَالْمَنِىِّ وَالدَّمِ وَالْقَىْءِ»
অর্থাৎ: তোমার কাপড়ে পেশাব, পায়খানা, বমি,
রক্ত ও মনি লাগলে তা ধুয়ে ফেল। কিন্তু হাদীসটি যঈফ। এর দ্বারা দলীল গ্রহণ
করা যায় না। আল্লাহ্ই সর্বাধিক অবগত।
সহীহ সূত্রে আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَاءَ فَأَفْطَرَ فَتَوَضَّأَ »
অর্থাৎ: একদা মহানাবী (ﷺ) বমি করার পর ইফতার করলেন, অতঃপর ওযূ করলেন।[1]
এ হাদীসে বমি নাপাক হওয়ার কোন প্রমাণ
নেই। এ হাদীস এটাও প্রমাণ করে না যে, বমি করার ফলে ওযূ করা ওয়াজিব। এর
দ্বারা ওযূ ভঙ্গেরও কোন প্রমাণ নেই। শুধু বমনের কারণে ওযূকে শরীয়াত সম্মত
করা হয়েছে। কেননা শুধু মহানাবী (ﷺ) এর কর্মটিই কোন আমল ওয়াজিব হওয়ার উপর প্রমাণ করে না।
ব্যাপারটি এমন নয় যে, যে সব বস্ত্ত ওযূ
ভঙ্গ করে তা নাপাক হিসেবে গণ্য হবে। এটা ইবনে হাযম (রাহি.) এর অভিমত এবং
এটা শাইখুল ইসলাম তার ফাৎওয়ায় গ্রহণ করেছেন।
No comments:
Post a Comment