আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ""আমি কি তোমাদের আমলসমূহের সর্বোত্তমটি সম্পর্কে তোমাদের কে অবহিত করবো না, যা তোমাদের প্রভুর নিকট সর্বাধিক প্রিয়, তোমাদের মর্যাদাকে অধিক উন্নীতকারী, তোমাদের সোনা-রূপা দান করার চেয়ে এবং যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে তোমাদের শক্রুদের হত্যা করা এবং তোমাদের নিহত হওয়ার চেয়ে উত্তম? সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সেটি কী? তিনি বলেনঃ আল্লাহর যিকির। মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) বলেন, কোন মানুষের জন্য আল্লাহর যিকিরের চেয়ে উত্তম কোন আমল নাই, যা তাকে মহামহিম আল্লাহর শাস্তি থেকে রেহাই দিতে পারে।
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، مَوْلَى ابْنِ عَيَّاشٍ عَنْ أَبِي بَحْرِيَّةَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرِ أَعْمَالِكُمْ وَأَرْضَاهَا عِنْدَ مَلِيكِكُمْ وَأَرْفَعِهَا فِي دَرَجَاتِكُمْ وَخَيْرٍ لَكُمْ مِنْ إِعْطَاءِ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ وَمِنْ أَنْ تَلْقَوْا عَدُوَّكُمْ فَتَضْرِبُوا أَعْنَاقَهُمْ وَيَضْرِبُوا أَعْنَاقَكُمْ " . قَالُوا وَمَا ذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " ذِكْرُ اللَّهِ " . وَقَالَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ مَا عَمِلَ امْرُؤٌ بِعَمَلٍ أَنْجَى لَهُ مِنْ عَذَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ .
সুনানে ইবনে মাজাহ্ (৩৭৯০)

سُبْحَانَ اللَّهِ "
'"সুবহা্নাল্লাহ্'" পাঠ করলে ১০০০ সওয়াব লিখা হয় এবং ১০০০ গুনাহ মাফ করা হয়।
[সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৩]

َِالْحَمْدُ لِلَّهِ '
'আলহা্মদুলিল্লাহ্' মীযানের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং সর্বোত্তম দু’আ।
[তিরমিযী-৫/৪৬২, ইবনে মাজাহ-২/১২৪৯, হাকিম-১/৫০৩, সহীহ আল জামে’-১/৩৬২]

[সুনানে ইবনে মাজাহ-৩৮০৫;হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ হাসান।]

বান্দা যখন
‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, আল্লাহ মহান) বলেন, তখন মহান আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা সত্য কথা বলেছে। আমি ছাড়া আর কোন ইলাই নাই এবং আমিই মহান।
বান্দা যখন বলে, ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু’’ (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, তিনি এক), তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা সত্য কথা বলেছে, আমি একা ব্যতীত আর কোন ইলাহ নাই।
বান্দা যখন বলে, ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লা শারীকা লাহু ’’ (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, তাঁর কোন শরীক নাই), তখন তিনি বলেন, আমার বান্দা সত্য কথা বলেছে। আমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই এবং আমার কোন শরীক নাই।
বান্দা যখন বলে, ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু’’ (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, তিনিই সার্বভৌমত্বের মালিক এবং সমস্ত প্রশংসা তাঁর), তখন তিনি বলেন, আমার বান্দা সত্য কথা বলেছে, আমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই, সার্বভৌমত্ব আমারই এবং সকল প্রশংসা আমারই।
যখন সে বলে, ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’’ (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, আল্লাহ ভিন্ন ক্ষতি রোধ করার এবং কল্যাণ হাসিলের কোন শক্তি নাই), তখন তিনি বলেন, আমার বান্দা সত্য কথা বলেছে। আমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই এবং আমি ভিন্ন ক্ষতি রোধ করার এবং কল্যাণ হাসিলের কোন শক্তি নাই।
আবূ ইসহাক (রাঃ) বলেন, আল-আগার (রাঃ) আরো কিছু বলেছিলেন, যা আমি হৃদয়ঙ্গম করতে পারিনি। তাই আমি আবূ জাফর (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম যে, তিনি কী বলেছিলেন? তিনি বলেন, আল্লাহ যাকে মৃত্যুর সময় এই বাক্য বলার সৌভাগ্য দান করবেন, জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।
[তিরমিযী ৩৪৩০, আত-তালীকুর রাগীব ৪/১৬৫, সহীহাহ ১৩৯০,সুনানে ইবনে মাজাহ-৩৭৯৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। ]

""""سُبْحَانَ اللَّهِ " "" َالْحَمْدُ لِلَّه""َ ""اللَّهُ أَكْبَرُ ""
উম্মু হানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে একটা আমল বলে দিন। কেননা এখন আমি তো বৃদ্ধ হয়ে পড়েছি, দুর্বল হয়ে গেছি এবং আমার দেহও ভারী হয়ে গেছে। তিনি বলেনঃ তুমি শতবার আল্লাহ আকবার, শতবার আলহামদু লিল্লাহ এবং শতবার সুবহানাল্লাহ পড়ো। তা জিনপোষ ও লাগামসহ একশত ঘোড়া আল্লাহর পথে (জিহাদে) দান করার চেয়ে উত্তম, একশত উটের চেয়ে উত্তম এবং একশত গোলাম আযাদ করার চেয়ে উত্তম।
[আহমাদ ২৭৭২৩, ২৬৮৪৭, সহীহাহ ১৩১৬।সুনানে ইবনে মাজাহ-৩৮১০: তাহকীক আলবানীঃ হাসান।]

َلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّه
'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্' সর্বোত্তম যিকর।
[তিরমিযী-৫/৪৬২, ইবনে মাজাহ-২/১২৪৯, হাকিম-১/৫০৩, সহীহ আল জামে’-১/৩৬২]

سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ "
সুবহা্নাল্লাহ্, ওয়াল হা্মদুলিল্লাহ্, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার।
-- এই কালিমাগুলি আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় এবং নবী (সাঃ) বলেনঃ পৃথিবীর সমস্ত জিনিসের চাইতে আমার নিকট অধিক প্রিয়।
[সহীহ মুসলিম -৩/১৬৮৫, ৪/২০৭২]
[সহীহ মুসলিম -৩/১৬৮৫, ৪/২০৭২]

سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ.
'সুবহা্নাল্লাহি ওয়া বিহা্মদিহী'
প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে সমুদ্রের ফেনা পরিমান (সগীরা) গুনাহ থাকলে ও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে।
[সহীহ আল-বুখারী-৭/১৬৮, সহীহ মুসলিম-৪/২০৭১]

سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ
'সুবহা্নাল্লাহি ওয়া বিহা্মদিহী,সুবহা্নাল্লাহিল 'আযীম'
-- এই কালীমাগুলি জিহ্বায় উচ্চারনে সহজ , মীযানের পাল্লায় ভারী, দয়াময় আল্লাহর নিকট প্রিয়।
[সহিহ আল- বুখারী-৭/১৬৮, সহীহ মুসলিম-৪/২০৭২]
[সহিহ আল- বুখারী-৭/১৬৮, সহীহ মুসলিম-৪/২০৭২]

[আত-তিরমিযী-৫/৫১১, আল-হাকীম-১/৫০১, সহীহ আল-জামে’-৫/৫৩১, সহীহ আত-তিরমিজী-৩/১৬০]

[সহীহ বুখারী -১১/২১৩, সহীহ মুসলিম- ৪/২০৭৬]

سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ "
[আহমাদ (সহীহ)- ৫১৩, মাজমাউজ জাওয়াঈদ-১/২৯৭]
[আহমাদ (সহীহ)- ৫১৩, মাজমাউজ জাওয়াঈদ-১/২৯৭]

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّه
‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’’ (আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্যিকারের ইলাহ্ নাই)
এবং সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া হলো
الْحَمْدُ لِلَّهِ
‘‘আলহামদু লিল্লাহ’’ ( সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর)।
الْحَمْدُ لِلَّهِ
‘‘আলহামদু লিল্লাহ’’ ( সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর)।
সুনানে ইবনে মাজাহ-৩৮০০,তিরমিযী ৩৩৮৩, সহীহাহ ১৪৯৭, মিশকাত ২৩০৬, আত-তালীকুর রাগীব ২/২২৯। তাহকীক আলবানীঃ হাসান।

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
‘‘আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই, তাঁর কোন শরীক নাই, রাজত্ব তাঁরই এবং সমস্ত প্রশংসা তাঁর, তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’’,
‘‘আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই, তাঁর কোন শরীক নাই, রাজত্ব তাঁরই এবং সমস্ত প্রশংসা তাঁর, তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’’,
তার জন্য দশটি গোলাম আযাদ করার সমান সওয়াব লেখা হয়, একশত নেকী লেখা হয় এবং তার একশত গুনাহ বিলোপ করা হয়, তার এ শব্দগুলা সারা দিন রাত পর্যন্ত তার জন্য শয়তান থেকে প্রতিবন্ধক হয় এবং তাকে যা দান করা হয় তার চেয়ে উত্তম কিছু নিয়ে অপর কেউ হাজির হতে পারবে না। তবে যে ব্যক্তি এ বাক্য তার চেয়ে অধিক সংখ্যায় পড়ে তার কথা স্বতন্ত্র।
[(সহীহুল বুখারী ৩২৯৩, ৬৪০৫, মুসলিম ২৬৯১, ২৬৯৩, তিরমিযী ৩৪৬৮, আহমাদ ৭৯৪৮, ৮৫০২, ৮৬১৭, ৮৬৫৬, মুয়াত্তা মালেক ৪৮৬, ৪৮৮,সুনানে ইবনে মাজাহ-৩৭৯৮; তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।]

[সুনানে ইবনে মাজাহ ৩৮০৯,আহমাদ ১৭৮৯৮, ১৭৯২১, মুখতাসারুল উলু ৩২/২৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।]

""আল্লাহুম্মা সাল্লি ’আলা মুহা্ম্মাদিঁও ওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদিন্ কামা সাল্লায়তা ’আলা ইব্রাহীমা ওয়া ’আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হা্মীদুম মাজিদ,
আল্লাহুম্মা বারিক ’আলা মুহাম্মাদিঁও ওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদিন্ কামা বারাকতা ’আলা ইব্রাহীমা ওয়া ’আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হা্মীদুম মাজিদ।
আল্লাহুম্মা বারিক ’আলা মুহাম্মাদিঁও ওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদিন্ কামা বারাকতা ’আলা ইব্রাহীমা ওয়া ’আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হা্মীদুম মাজিদ।
এবং তিনি আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি সকালে দশবার এবং বিকেলে দশবার দুরুদ পাঠ করবে সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার শাফায়াত পাবে।
[তাবারানী,মাজময়াউজ জাওয়াঈদ-১০/১২০, সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব-১/২৭৩]
[তাবারানী,মাজময়াউজ জাওয়াঈদ-১০/১২০, সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব-১/২৭৩]

[আহমাদ ২১৪৯৩, ২১৫০৪, ২১৫৫৫, সহীহাহ ২২৭৮ ;সুনানে ইবনে মাজাহ-৩৭৯৬। তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।]
No comments:
Post a Comment