Monday, January 8, 2018

প্রচলিত বিভিন্ন খতম: তাৎপর্য ও পর্যালোচনা (২য় পর্ব)

প্রচলিত বিভিন্ন খতম: তাৎপর্য ও পর্যালোচনা (২য় পর্ব) ১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
খতম শব্দের অর্থ ও প্রয়োগ ‘খতম’ শব্দটি মূলত আরবী ‘ ﺧﺘﻢ ’ শব্দের বাংলা ব্যবহার। যার মূল অর্থ হচ্ছে : কোনো বস্তুতে মোহর লাগানো বা তাকে সিলযুক্ত করা। কর্ম

যুগে শব্দটির অর্থ হয়, কাজটি শেষ করা।
এভাবে বিভিন্ন শব্দযোগে তার বিভিন্ন
অর্থ হয় যেমন, মাটি দ্বারা মুখ বন্ধ করা
, এড়িয়ে যাওয়া, হৃদয়ে মোহর
এঁটে দেওয়া তথা অবুঝ করে দেওয়া
, কোনো বস্তুর শেষে পৌঁছা ইত্যাদি।
কিতাব বা কুরআন শব্দযোগে তার অর্থ হয়:
সম্পূর্ণটুকু পড়ে শেষ করা। [30]
কুরআনে শব্দটি ক্রিয়ামুলে শুধুমাত্র
হৃদয়ে মোহর এঁটে দেওয়ার অর্থে ব্যবহার
করা হয়েছে। যেমন :
﴿ ﺧَﺘَﻢَ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻰٰ ﻗُﻠُﻮﺑِﻬِﻢۡ ﻭَﻋَﻠَﻰٰ ﺳَﻢۡﻋِﻬِﻢ
ۖۡ ﻭَﻋَﻠَﻰٰٓ ﺃَﺏۡﺻَٰﺮِﻫِﻢۡ ﻏِﺸَٰﻮَﺓۖٞ ﻭَﻟَﻬُﻢۡ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﻋَﻈِﻴﻢٞ ٧ ﴾ ‏[ﺮﺓ
ٞ ٧ ﴾ ‏[ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ٧ ‏]
‘‘আল্লাহ তাদের হৃদয়ে ও
কানে মোহর
এঁটে দিয়েছেন, আর তাদের
চোখের উপর রয়েছে আবরণ
রয়েছে’’ ।[31]
তবে বিভিন্ন হাদীসে ‘ ﺧﺘﻢ ’ শেষ
করা অর্থে ব্যবহার হয়েছে। যেমন
আয়াতটি শেষ পর্যন্ত পড়া, সুরাটি শেষ
পর্যন্ত পড়া ইত্যাদি শব্দ হাদীসে ব্যবহার
হয়েছে। শেষ পর্যন্ত পড়া বলতে যেমন
পুরোটা পড়া বুঝায়, তেমনি যে কোনো
জায়গা থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত
পৌছলেও এ শব্দ ব্যবহার হয়। এ
ক্ষেত্রে পুরো সূরা পড়া উদ্দেশ্য নয়।
যেমন, ইবনে আব্বাস
রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত
হাদীসে
, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে ঘুম
থেকে উঠে মিসওয়াক ও ওযু করার পর
সূরা আলে ইমরানের ১৯০ নং আয়াত
থেকে পড়তে শুনেন, অতঃপর
ইবনে আব্বাস
রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন :
” ﻓﻘﺮﺃ ﻫﺆﻻﺀ ﺍﻵﻳﺎﺕ ﺣﺘﻰ ﺧﺘﻢ ﺍﻟﺴﻮﺭﺓ .”…
‏(ﺻﺤﻴﺢ ﻣﺴﻠﻢ، ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ﻓﻲ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻠﻴﻞ
ﻭﻗﻴﺎﻣﻪ، ﺭﻗﻢ 1835: ‏)
‘‘অতঃপর তিনি (রাসূল r ) এই
আয়াতগুলো পড়েন, এমনকি সূরা
শেষ করেন’’ ।[32]
এখানে সূরা খতম
বলতে পুরো সূরা পড়া নয়, বরং ১৯০
নং আয়াত থেকে শুরু করে সূরার শেষ
পর্যন্ত পড়া।
কুরআন সম্পূর্ণটা পড়ার ক্ষেত্রে খতম
শব্দের ব্যবহার সাহাবিদের মধ্যে ছিল।
তবে ‘হাদীস খতম’ বা ‘হাদীসটি খতম’ এমন
কোনো ব্যবহার বা প্রয়োগ তাদের
মাঝে ছিল বলে জানতে পারি নি।
‘খতমে বুখারী’র আলোচনায় এমন ব্যবহার
না থাকার কারণ আমরা বুঝতে পারব ইন-
শাআল্লাহ। তবে হাদীসটি খতম
বলতে তা পুরোটা পড়া বুঝাবে। তাই
কেউ একটি হাদীস পড়ে হাদীসটি খতম
করেছি বলতে কোনো বাধা নেই।
এভাবে খতমে দো‘আ ইউনুস
বললে পুরো দো‘আটা পড়া বুঝাবে, যদিও
এমন বলার প্রচলন ছিল না। কিন্তু
খতমে ইউনুস বললে: এতবার পড়া, অমুক খতম
বললে: এতবার পড়া, তমুক খতম
বললে এতবার পড়া, এসব ব্যবহার সম্পূর্ণ নতুন
মনগড়া বানানো।
খতম শব্দটি শেষ পর্যন্ত
পৌঁছা বা পুরোটা পড়ার অর্থে ব্যবহার
হলেও ‘খতম করানো’ বা ‘খতম পড়ানো
’, এমন কোনো ব্যবহার বা প্রয়োগ
না সাহাবিদের যুগে ছিল, না খাইরুল
ক্বুরুনে ছিল। কেননা কুরআন, হাদীস, দো
‘আ, দুরূদ, যিকর ইত্যাদির আমলের এই
সিস্টেম বা পদ্ধতিটি একেবারেই নতুন।
তাই ‘খতম’ শব্দের শাব্দিক অর্থ
অভিধানে পেলেও আমাদের
সিস্টেমের তার পারিভাষিক
কোনো অর্থ আহলে ইলমদের
কোনো কিতাবে পাবেন না।
আমরা ‘খতম’ বলতে যা বুঝি এ সবকিছু
সোনালীযুগ দূরের কথা, মুহাক্কীক্ব
কোনো আলেম থেকে এ গুলোর
আবিষ্কার হয়নি বলে পরিস্কার বুঝা যায়।
আমাদের জানামতে প্রচলিত
যে খতমগুলো রয়েছে সেগুলোর
আলোচনায় আমরা এগুলোর
তাৎপর্য, যথার্থতা
, গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চেষ্টা
করব।
মহাগ্রন্থ আলকুরআন আল্লাহর কালাম
এবং প্রতিটি মানুষের জীবন বিধান। এর
গুরুত্ব কারো কাছে অজানা নয়। তাই
সর্বপ্রথম আমাদের
সমাজে অধিকহারে প্রচলিত এই মহাগ্রন্থ
আল কুরআনের খতম দিয়েই শুরু করছি।
নিজে কুরআন না পড়ে, কুরআনের
শিক্ষা নিজে গ্রহণ না করে
, যে কোনো কারণে অন্যকে ভাড়া করে
কুরআন পড়িয়ে নেওয়ার যথার্থতা কতটুকু
তা আলোচনা করলে বুঝতে পারব
ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর তওফিক কাম্য।
খতমে কুরআন
কুরআন প্রতিটি মুসলিমের জীবন
বিধান। এই কুরআন তাকে নিয়মিত
তেলাওয়াত করতে হবে এবং এর মর্ম
বুঝে তদনুযায়ী জীবন
পরিচালনা করতে হবে। কুরআন শিক্ষা ও
তেলাওয়াতের ফযিলত বিভিন্ন
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এরশাদ করেন,
‏« ﺧﻴﺮﻛﻢ ﻣﻦ ﺗﻌﻠﻢ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻭﻋﻠﻤﻪ ‏» ‏(ﺻﺤﻴﺢ
ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ، ﻛﺘﺎﺏ ﻓﻀﺎﺋﻞ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ، ﺑﺎﺏ ﺧﻴﺮﻛﻢ
ﻣﻦ ﺗﻌﻠﻢ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻭﻋﻠﻤﻪ ‏)
‘‘তোমাদের
মধ্যে সে ব্যক্তি সর্বোত্তম,
যে নিজে কুরআন
শিক্ষা করে এবং অপরকে
শিক্ষা দেয়’’ ।[33]
এভাবে কুরআন তেলাওয়াতের
বেলায় নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,
” ﻣﺜﻞ ﺍﻟﺬﻱ ﻳﻘﺮﺃ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻛﺎﻷﺗﺮﺟﺔ ﻃﻌﻤﻬﺎ
ﻃﻴﺐ ﻭﺭﻳﺤﻬﺎ ﻃﻴﺐ . ﻭﺍﻟﺬﻱ ﻻ ﻳﻘﺮﺃ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ
ﻛﺎﻟﺘﻤﺮﺓ ﻃﻌﻤﻬﺎ ﻃﻴﺐ ﻭﻻ ﺭﻳﺢ ﻟﻬﺎ ﻭﻣﺜﻞ
ﺍﻟﻔﺎﺟﺮ ﺍﻟﺬﻱ ﻳﻘﺮﺃ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻛﻤﺜﻞ ﺍﻟﺮﻳﺤﺎﻧﺔ
ﺭﻳﺤﻬﺎ ﻃﻴﺐ ﻭﻃﻌﻤﻬﺎ ﻣﺮ . ﻭﻣﺜﻞ ﺍﻟﻔﺎﺟﺮ
ﺍﻟﺬﻱ ﻻ ﻳﻘﺮﺃ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻛﻤﺜﻞ ﺍﻟﺤﻨﻈﻠﺔ ﻃﻌﻤﻬﺎ
ﻣﺮ ﻭﻻ ﺭﻳﺢ ﻟﻬﺎ .” ‏(ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ، ﺑﺎﺏ
ﻓﻀﻞ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻋﻠﻰ ﺳﺎﺋﺮ ﺍﻟﻜﻼﻡ ‏)
‘‘কুরআন পাঠকারী (মুমিনের)
উদাহরণ সুস্বাদু সুগন্ধযুক্ত লেবুর
ন্যায়। আর যে (মুমিন) কুরআন
পাঠ করে না তার উদাহরণ এমন
খেজুরের মত যা সুগন্ধহীন
তবে খেতে সুস্বাদু। আর
যে ফাসিক কুরআন পাঠ
করে তার উদাহরণ রায়হান
জাতীয় গুল্মের মত যার সুগন্ধ
আছে কিন্তু
খেতে বিস্বাদযুক্ত। আর
যে ফাসেক কুরআন
তেলাওয়াত করে না তার
উদাহরণ ঐ মাকাল ফলের মত
যা খেতেও বিস্বাদ (তিক্ত)
আবার কোনো সুঘ্রানও নেই।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
আরো এরশাদ করেন,
” ﻣﻦ ﻗﺮﺃ ﺣﺮﻓﺎ ﻣﻦ ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻠﻪ ﺑﻪ
ﺣﺴﻨﺔ ﻭﺍﻟﺤﺴﻨﺔ ﺑﻌﺸﺮ ﺃﻣﺜﺎﻟﻬﺎ ﻻ ﺃﻗﻮﻝ
ﺁﻟﻢ ﺣﺮﻑ ﻭﻟﻜﻦ ﺃﻟﻒ ﺣﺮﻑ ﻭﻻﻡ ﺣﺮﻑ
ﻭﻣﻴﻢ ﺣﺮﻑ .” ‏( ﺳﻨﻦ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ، ﺑﺎﺏ
ﻓﻴﻤﻦ ﻗﺮﺃ ﺣﺮﻓﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻣﺎ ﻟﻪ ﻣﻦ
ﺍﻷﺟﺮ ‏)
‘‘যে ব্যক্তি কুরআনের
একটি অক্ষর তিলাওয়াত
করবে আল্লাহ তার
আমলনামায়
একটি নেকী প্রদান
করেন, আর এই
নেকীটি দশটি নেকীর
সমান। আমি বলি না,
‘‘ ﺍﻟﻢ ’’ একটি অক্ষর, বরং ‘‘ ﺃ ’’
একটি অক্ষর, ‘‘ ﻝ ’’ একটি অক্ষর,
‘‘ ﻡ ’’ একটি অক্ষর’’ ।[35]
কুরআন তেলাওয়াতের এত মর্যাদা
, গুরুত্ব, ছওয়াব কুরআন হাদীস
থেকে প্রমাণিত থাকা সত্বেও প্রচলিত
খতমের রূপরেখায় নবী আদর্শ ও
সাহাবা আদর্শের বৈপরিত্য থাকার
কারণে এই কুরআন খতমের হুকুম যদি না বাচক
হয় তবে যার কোনো অস্তিত্ব
নবী জীবনে, নবীর শিক্ষা প্রাপ্ত
সাহাবিদের জীবনে নেই তার হুকুম
কী হবে তা সহজেই অনুমেয়।
রূপরেখায় বৈপরিত্য
বলতে যেমন, সাহাবায়ে কেরাম কুরআন
নিজে শিখতেন, নিজে পড়তেন।
যিনি জানেন না তিনি শিখতেন। এই
শিক্ষাই তাদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিয়েছেন। অনেক
সময় কেউ কুরআন অপরের
কাছে শুনতে চাইতেন। রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
নিজেও
কোনো কোনো সাহাবী রাদিয়াল্লাহু ‘
আনহু থেকে শুনার আগ্রহ প্রকাশ
করতেন, শুনতেন।
তবে অন্যকে এনে বাড়ীতে খতম
করানোর কোনো রেওয়াজ তাদের
মাঝে ছিল না। কেউ
মারা গেলে তাদের যা করণীয় রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
শিখিয়েছেন তারা শুধু তাই করতেন।
কেউ অসুস্থ হলে
, বিপদে পড়লে কী করণীয় তাও রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলে দিয়েছেন। কেউ
মারা গেলে বা অন্য কোনো সমস্যায়
পড়লে কুরআন খতম করা বা খতম করানোর
কথা রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবনে একটিবার
কাউকে বলেন নি নিজেও করেন নি।
তাই সাহাবিরা এমন কর্ম কখনো করেন নি।
এখন আমরা জানতে চেষ্টা করব
প্রচলিত খতমের হুকুম সম্পর্কে আদর্শবান
আলেমদের কী মত। এ
ব্যাপারে আমাদের আলেম
সমাজে অত্যন্ত সুপরিচিত
কিতাব ‘‘আহসানুল ফাতওয়া’’ এর লিখক
প্রসিদ্ধ ফক্বিহ রশিদ আহমদ রহ. তার
কিতাবে প্রচলিত কুরআন খতম সম্পর্কে এক
প্রশ্নের উত্তরে যে দলীলভিত্তিক
আলোচনা করেছেন, অসংখ্য আলেমের
বক্তব্যের উদ্ধৃতি পেশ করেছেন তার এই
লেখাটির অনুবাদ তুলে দেওয়াই যথেষ্ট
মনে করছি। তার এ বক্তব্যের পর এ
ব্যাপারে আর কিছু লেখার
কোনো প্রয়োজন
রয়েছে বলে মনে করি না।
এতে আমরা প্রচলিত খতমের তাৎপর্য
যেমন বুঝতে পারব তেমনি অগণিত
আলেমের মতামত পেয়ে যাব। তার
আলোচনা পড়ার পর সত্য সন্ধানী মানুষের
মনে আর
কোনো দ্বিধা থাকবে না বলে আশা
করি। নিম্নে তার কিতাবের প্রশ্ন ও উত্তর
হুবহু তুলে ধরছি।
প্রশ্ন: বর্তমানে কুরআন খতমের
প্রচলন ব্যাপক হয়ে গেছে।
যেমন, নতুন ঘর ক্রয়
করা হলে কুরআন খতম করা হয়।
দোকান উদ্বোধন
করা হলে খতম করা হয়।
কারো চল্লিশা হলে কুরআন
খতম করা হয়, কারো মৃত্যুর তৃতীয়
দিনে কুরআন খতম
করা হয়; যাতে মৃত ব্যক্তির
কাছে ছওয়াব পৌঁছে।
কোনো সময় এর
ঘোষণা পত্রিকায় দেওয়া হয়
এবং মানুষ দুর-দুরান্ত
থেকে শুধুমাত্র কুরআন খতমের
জন্য আসে। এমন কুরআন খতমের
আমলের হুকুম কী? কুরআন
হাদীসের আলোকে এর
কোনো প্রমাণ আছে কি
? এতে আমাদের বন্ধু-বান্ধব
বা পরিবারের লোক শরীক
হতে পারবে কি
? আমরা নিজে কি এমন
কর্মে শরীক হয়ে গোনাহগার
হচ্ছি না?
ﺑﻴﻨﻮﺍ ﺗﻮﺟﺮﻭﺍ – –
সুমতি দানকারীর নামে উত্তর
-1 ﻗﺎﻝ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻣﺤﻤﺪ
ﺇﺳﻤﺎﻋﻴﻞ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ: ”
ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻗﺘﻴﺒﺔ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺟﺮﻳﺮ ﻋﻦ ﻣﻨﺼﻮﺭ
ﻋﻦ ﻣﺠﺎﻫﺪ ﻗﺎﻝ : ﺩﺧﻠﺖ ﺃﻧﺎ ﻭﻋﺮﻭﺓ ﺑﻦ
ﺍﻟﺰﺑﻴﺮ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻓﺈﺫﺍ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ
ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﺟﺎﻟﺲ ﺇﻟﻰ ﺣﺠﺮﺓ
ﻋﺎﺋﺸﺔ ﻭﺇﺫﺍ ﻧﺎﺱ ﻳﺼﻠﻮﻥ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ
ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻀﺤﻰ ﻗﺎﻝ ﻓﺴﺄﻟﻨﺎﻩ ﻋﻦ ﺻﻼﺗﻬﻢ
ﻓﻘﺎﻝ ﺑﺪﻋﺔ .”
) ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﺹ 238: ﺝ1: ‏)
(মুহাম্মদ ইসমাইল বুখারী রাহ.
বলেন: ………..মুজাহিদ (র)
থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
আমি এবং উরওয়া ইবনু যুবাইর (র)
মসজিদে প্রবেশ
করে দেখতে পেলাম,
আব্দুল্লাহ ইবনু উমর
রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা-
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু
আনহা এর হুজরার
পাশে বসে আছেন।
ইতোমধ্যে কিছু লোক
মসজিদে সালাতুদ্দোহা আদায়
করতে লাগল ।
আমরা তাকে এদের সালাত
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম।
তিনি বললেন, এটা বিদ‘আত ।
[36]
-2 ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺃﺑﻮ ﺍﻟﺤﺴﻴﻦ ﻣﺴﻠﻢ ﺑﻦ
ﺍﻟﺤﺠﺎﺡ ﺑﻦ ﻣﺴﻠﻢ ﺍﻟﻘﺸﻴﺮﻱ ﻭﺣﺪﺛﻨﺎ ﺇﺳﺤﺎﻕ
ﺑﻦ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ ﺟﺮﻳﺮ ﻋﻦ ﻣﻨﺼﻮﺭ ﻋﻦ
ﻣﺠﺎﻫﺪ ﻗﺎﻝ ﺩﺧﻠﺖ ﺃﻧﺎ ﻭﻋﺮﻭﺓ ﺑﻦ ﺍﻟﺰﺑﻴﺮ
ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻓﺈﺫﺍ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺟﺎﻟﺲ ﺇﻟﻰ
ﺣﺠﺮﺓ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﻭﺍﻟﻨﺎﺱ ﻳﺼﻠﻮﻥ ﺍﻟﻀﺤﻰ ﻓﻰ
ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻓﺴﺄﻟﻨﺎﻩ ﻋﻦ ﺻﻼﺗﻬﻢ ﻓﻘﺎﻝ ﺑﺪﻋﺔ.
‏(ﺻﺤﻴﺢ ﻣﺴﻠﻢ ﺹ 409: ﺝ1:
(এবং ইমাম আবুল-হুসাইন মুসলিম
ইবন হাজ্জাজ ইবন মুসলিম আল-
কুশাইরী বলেন: ……….. মুজাহিদ
(র)
থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
আমি এবং উরওয়া ইবনু যুবাইর (র)
মাসজিদে প্রবেশ
করে দেখতে পেলাম,
আবদুল্লাহ ইবনু
উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা –
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু
আনহা এর হুজরার
পাশে বসে আছেন। আর কিছু
লোক
মসজিদে সালাতুদ্দোহা আদায়
করছে। আমরা তাকে এদের
সালাত
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম।
তিনি বললেন, এটা বিদ‘আত ।
[37]
-3 ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻟﺸﻴﺦ ﻣﺤﻲ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﺃﺑﻮ ﺯﻛﺮﻳﺎ
ﻳﺤﻴﻰ ﺑﻦ ﺷﺮﻑ ﺍﻟﻨﻮﻭﻱ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ :
ﺍﻧﻬﻢ ﺳﺄﻟﻮﺍ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﻋﻦ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻛﺎﻧﻮﺍ
ﻳﺼﻠﻮﻥ ﺍﻟﻀﺤﻰ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻓﻘﺎﻝ ﺑﺪﻋﺔ ‏)
ﻫﺬﺍ ﻗﺪ ﺣﻤﻠﻪ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻭﻏﻴﺮﻩ ﻋﻠﻰ ﺃﻥ ﻣﺮﺍﺩﻩ
ﺃﻥ ﺍﻇﻬﺎﺭﻫﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻭﺍﻻﺟﺘﻤﺎﻉ ﻟﻬﺎ ﻫﻮ
ﺍﻟﺒﺪﻋﺔ ﻻ ﺃﻥ ﺃﺻﻞ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻀﺤﻰ ﺑﺪﻋﺔ ﻭﻗﺪ
ﺳﺒﻘﺖ ﺍﻟﻤﺴﺄﻟﺔ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ.
‏( ﺷﺮﺡ ﺍﻟﻨﻮﻭﻱ ﻋﻠﻰ ﺻﺤﻴﺢ ﻣﺴﻠﻢ ﺻﻔﺤﻪ
ﻣﻨﺪﺭﺟﻪ ﺑﺎﻻ ‏)
(এবং শাইখ মুহিউদ্দীন আবু
যাকারিয়া ইয়াহ্ইয়া ইবন শরফ
নববী রাহ.
বলেন, তারা ইবনে উমর
রাদিয়াল্লাহু
আনহুকে যারা মসজিদে
সালাতুদদ্বোহা আদায় করছিল
তাদের সালাত
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছিল,
তিনি বললেন বিদ‘আত ।
এটা ক্বাযী
[38] এবং অন্যান্যরা এর অর্থ
নিয়েছেন, তার উদ্দেশ্য
হলো সালাতকে মসজিদে
প্রকাশ করা এবং এর জন্য
সমবেত হওয়াটাই
হচ্ছে বিদ‘আত । মূল
সালাতুদদ্বোহা বিদ‘আত নয়।
সালাত অধ্যায়ে মাসআলাটির
আলোচনা হয়েছে।) [39]
-4 ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻻﻣﺎﻡ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﺷﻬﺎﺏ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ
ﺑﺎﺑﻦ ﺍﻟﺒﺰﺍﺭ ﺍﻟﻜﺮﺩﺭﻱ ﺍﻟﺤﻨﻔﻲ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ
ﺗﻌﺎﻟﻰ: ﻭﻗﺪ ﺻﺢ ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻨﻪ ﺃﻧﻪ ﺳﻤﻊ ﻗﻮﻣﺎ ﺍﺟﺘﻤﻌﻮﺍ ﻓﻲ ﻣﺴﺠﺪ
ﻳﻬﻠﻠﻮﻥ ﻭﻳﺼﻠﻮﻥ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﺟﻬﺮﺍ،
ﻓﺮﺍﺡ ﺇﻟﻴﻬﻢ ﻓﻘﺎﻝ ﻣﺎ ﻋﻬﺪﻧﺎ ﺩﻟﻚ ﻋﻠﻰ ﻋﻬﺪﻩ
ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﻣﺎ ﺃﺭﺍﻛﻢ ﺇﻻ ﻣﺒﺘﺪﻋﻴﻦ، ﻓﻤﺎ ﺯﺍﻝ
ﻳﺬﻛﺮ ﺫﻟﻚ ﺣﺘﻰ ﺃﺧﺮﺟﻬﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ .
‏( ﺑﺰﺍﺯﻳﺔ ﺑﻬﺎﻣﺶ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﻪ، ﺝ6: ﺹ 378: ‏)
(এবং ইমাম মুহাম্মদ ইবন শিহাব
আল-কুরদুরী আল-হানাফী রাহ.
[40] যিনি ইবনে বায্যার
নামে পরিচিত, তিনি বলেন,
ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু
থেকে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত
যে, তিনি শুনতে পান একদল
লোক মসজিদে সমবেত
হয়ে উচ্চস্বরে তাহলীল
এবং নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর
দুরূদ পড়ছে। অতএব তিনি তাদের
কাছে গেলেন
এবং বললেন, আমরাতো রাসূল
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের
যুগে এমনটি পাইনি।
আমিতো তোমাদেরকে বিদ‘
আতি ছাড়া কিছু দেখছি না।
তিনি একথা বলতে বলতে
তাদেরকে মসজিদ হতে বের
করে দেন।) [41]
-5 ﻭﻗﺎﻝ ﻓﻲ ﻣﻮﺿﻊ ﺁﺧﺮ: ﻭﻳﻜﺮﻩ ﺍﺗﺨﺎﺫ ﺍﻟﻄﻌﺎﻡ
ﻓﻲ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﺍﻷﻭﻝ ﻭﺍﻟﺜﺎﻟﺚ ﻭﺑﻌﺪ ﺍﻷﺳﺒﻮﻉ
ﻭﺍﻷﻋﻴﺎﺩ ﻭﻧﻘﻞ ﺍﻟﻄﻌﺎﻡ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻘﺒﺮ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻮﺍﺳﻢ
ﻭﺍﺗﺨﺎﺫ ﺍﻟﺪﻋﻮﺓ ﺑﻘﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻭﺟﻤﻊ ﺍﻟﺼﻠﺤﺎﺀ
ﻭﺍﻟﻘﺮﺍﺀ ﻟﻠﺨﺘﻢ ﺃﻭ ﻟﻘﺮﺍﺀﺓ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻷﻧﻌﺎﻡ ﺃﻭ
ﺍﻹﺧﻼﺹ. ﻓﺎﻟﺤﺎﺻﻞ ﺃﻥ ﺍﺗﺨﺎﺫ ﺍﻟﻄﻌﺎﻡ ﻋﻨﺪ
ﻗﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻷﺟﻞ ﺍﻷﻛﻞ ﻳﻜﺮﻩ . ‏( ﺑﺰﺍﺯﻳﺔ
ﺑﻬﺎﻣﺶ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﻪ، ﺝ 4: ﺹ 81: ‏)
(এবং তিনি আরেক জায়গায়
বলেন, আর মৃত্যুর প্রথম
দিন, দ্বিতীয় দিন, সাপ্তাহ
পর এবং অনুষ্ঠানে খাবারের
আয়োজন করা, বিভিন্ন
মৌসুমে কবরে খাবার
নিয়ে যাওয়া, কুরআন পড়ার
জন্য দাওয়াতের আয়োজন
করা এবং সৎ লোক ও
ক্বারীদেরকে খতমের জন্য
বা সূরা আন‘আম
অথবা সূরা ইখলাস পড়ার জন্য
সমবেত করা মাকরূহ।
মোটকথা, কুরআন পড়ার সময়
খাওয়ার জন্য দাওয়াতের
আয়োজন করা মাকরূহ।) [42]
-6 ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻟﻔﻘﻴﻪ ﺍﻟﻤﺨﺪﻭﻡ ﻣﺤﻤﺪ ﺟﻌﻔﺮ ﺑﻦ
ﺍﻟﻌﻼﻣﺔ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻜﺮﻳﻢ ﺍﻟﺒﻮﺑﻜﺎﻧﻲ ﺍﻟﺴﻨﺪﻱ ﺭﺣﻤﻪ
ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻴﺮﻓﻴﺔ: ﻗﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻷﺟﻞ
ﺍﻟﻤﻬﻤﺎﺕ ﻭﺍﻟﺒﺄﺱ ﻣﻜﺮﻭﻩ. ‏(ﻭﺑﻌﺪ ﺻﻔﺤﺔ ‏) ﻳﻜﺮﻩ
ﻟﻠﻘﻮﻡ ﺃﻥ ﻳﻘﺮﺃ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺟﻤﻠﺔ ﻟﺘﻀﻤﻨﻬﺎ ﺗﺮﻙ
ﺍﻻﺳﺘﻤﺎﻉ ﻭﺍﻹﻧﺼﺎﺕ ﺍﻟﻤﺄﻣﻮﺭ ﺑﻬﻤﺎ. ﻭﻗﻴﻞ ﻻ
ﺑﺄﺱ ﺑﻪ . ﻓﻲ ﺍﻟﺘﺘﺎﺭﺧﺎﻧﻴﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺤﻴﻂ: ﻣﻦ
ﺍﻟﻤﺸﺎﻳﺦ ﻣﻦ ﻗﺎﻝ: ﺇﻥ ﺧﺘﻢ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺑﺎﻟﺠﻤﺎﻋﺔ
ﺟﻬﺮﺍ ﻭﻳﺴﻤﻰ ” ﺳﻴﺒﺎﺭﻩ ﺧﻮﺍﻧﺪﻩ” ﻣﻜﺮﻭﻩ، ‏(ﺍﻟﻰ
ﻗﻮﻟﻪ ‏) ﻓﻲ ﻋﻴﻦ ﺍﻟﻌﻠﻢ: ﻭﻻ ﻳﺨﺘﻢ ﻓﻲ ﺃﻗﻞ ﻣﻦ
ﺛﻼﺛﺔ ﺃﻳﺎﻡ ‏( ﻭﺑﻌﺪ ﺻﻔﺤﺔ ‏) ﻓﻲ ﻣﻔﻴﺪ ﺍﻟﻤﺴﺘﻔﻴﺪ
ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺼﺎﺏ: ﻗﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺠﺎﻟﺲ
ﻳﻜﺮﻩ، ﻷﻧﻪ ﻳﻘﺮﺃ ﻃﻤﻌﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ، ﻭﻛﺬﻟﻚ ﻓﻲ
ﺍﻷﺳﻮﺍﻕ، ﻭﻛﺬﻟﻚ ﻋﻠﻰ ﺭﺃﺱ ﺍﻟﻘﺒﺮ . ﻗﻴﻞ، ﻭﻟﻮ
ﻗﺮﺃ ﻭﻻ ﻳﺴﺄﻝ ﻭﺍﻟﻨﺎﺱ ﺃﻋﻄﻮﻩ ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺳﺆﺍﻝ
ﻗﺎﻝ ﻳﻜﺮﻩ ﺃﻳﻀﺎ، ﻷﻧﻪ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﻘﺼﺪ ﺍﻟﺴﺆﺍﻝ ﻟِﻢَ
ﻻ ﻳﺠﻠﺲ ﻓﻲ ﺑﻴﺘﻪ ﻳﻘﺮﺃ . ‏( ﺍﻟﻤﺘﺎﻧﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺮﻣﺔ
ﻋﻦ ﺍﻟﺨﺰﺍﻧﺔ، 632 ، 633 ، 634 ‏)
(এবং ফক্বীহ মুহাম্মদ জাফর
….সিন্দি বলেন,
সাইরাফিয়্যাহ কিতাবে
[44] ‘‘কঠিন বিষয় এবং অসুবিধার
কারণে কুরআন পড়া মাকরূহ’’ ।
(এবং এক পৃষ্ঠা পর) মুফিদুল
মুস্তাফিদ কিতাবে এসেছে,
‘‘দলবদ্ধ হয়ে বৈঠকে কুরআন
পড়া মাকরূহ, কেননা এতে শ্রবণ
করা এবং চুপ
থেকে শোনা পরিত্যাগ করা হয়
অথচ এ দুটি বিষয়
নির্দেশিত।’’ কেউ কেউ বলেন,
‘‘এতে অসুবিধা নেই’’ ।
‘মুহিত’ কিতাবের
উদ্ধৃতিতে ‘তাতারখানিয়া
’ কিতাবে রয়েছে,
‘‘মাশায়েখের মধ্যে কেউ কেউ
বলেন, নিশ্চয় দলবদ্ধ
হয়ে উচ্চস্বরে কুরআন
তেলাওয়াত
করা যাকে বলা হয় ‘সীপারা পড়া
’ তা মাকরূহ। (আরো বলেন) আইনুল
ইলমে রয়েছে, তিন দিনের
কমে খতম করবে না ’’ ।
(আরো এক পৃষ্ঠা পর), ‘‘মুফিদুল
মুসতাফিদে নেসাব
থেকে বলা হয়েছে
, সমাবেশস্থলে কুরআন
পড়া মাকরূহ, কেননা পাঠক
তা দুনিয়ার লোভে পড়ছে।
এভাবে বাজারে পড়া মাকরূহ।
কবরের কাছে পড়াকেও
এভাবে মাকরূহ বলা হয়েছে।
যদি পড়ে কিন্তু
(কারো কাছে কিছু) না চায়, আর
মানুষ তাকে চাওয়া ব্যতীতই দান
করে তবে তাও মাকরূহ
বলেছেন, কেননা চাওয়ার
ইচ্ছা না থাকলে সে কেন
ঘরে বসে পড়ছে না’’ ।
7 – ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻟﻌﻼﻣﺔ ﺍﺑﻦ ﻋﺎﺑﺪﻳﻦ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ
ﺗﻌﺎﻟﻰ: ‏( ﺗﺘﻤﺔ ‏) ﺃﺷﺎﺭ ﺑﻘﻮﻟﻪ ﻓﺮﺍﺩﻯ ﺇﻟﻰ ﻣﺎ ﺫﻛﺮﻩ
ﺑﻌﺪ ﻓﻲ ﻣﺘﻨﻪ ﻣﻦ ﻗﻮﻟﻪ ﻭﻳﻜﺮﻩ ﺍﻻﺟﺘﻤﺎﻉ ﻋﻠﻰ
ﺇﺣﻴﺎﺀ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﻦ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻠﻴﺎﻟﻲ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺴﺎﺟﺪ
ﻭﺗﻤﺎﻣﻪ ﻓﻲ ﺷﺮﺣﻪ ﻭﺻﺮﺡ ﺑﻜﺮﺍﻫﺔ ﺫﻟﻚ ﻓﻲ
ﺍﻟﺤﺎﻭﻱ ﺍﻟﻘﺪﺳﻲ ﻗﺎﻝ ﻭﻣﺎ ﺭﻭﻱ ﻣﻦ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺕ
ﻓﻲ ﻫﺬﻩ ﺍﻷﻭﻗﺎﺕ ﻳﺼﻠﻲ ﻓﺮﺍﺩﻯ ﻏﻴﺮ
ﺍﻟﺘﺮﺍﻭﻳﺢ.” ﻗﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﺤﺮ : ﻗﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﺤﺮ
ﻭﻣﻦ ﻫﻨﺎ ﻳﻌﻠﻢ ﻛﺮﺍﻫﺔ ﺍﻻﺟﺘﻤﺎﻉ ﻋﻠﻰ ﺻﻼﺓ
ﺍﻟﺮﻏﺎﺋﺐ ﺍﻟﺘﻲ ﺗﻔﻌﻞ ﻓﻲ ﺭﺟﺐ ﺃﻭ ﻓﻲ ﺃﻭﻟﻰ
ﺟﻤﻌﺔ ﻣﻨﻪ ﻭﺃﻧﻬﺎ ﺑﺪﻋﺔ ﻭﻣﺎ ﻳﺤﺘﺎﻟﻪ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺮﻭﻡ
ﻣﻦ ﻧﺬﺭﻫﺎ ﻟﺘﺨﺮﺝ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﻔﻞ ﻭﺍﻟﻜﺮﺍﻫﺔ ﻓﺒﺎﻃﻞ ﺍ
ﻫـ ﻗﻠﺖ : ﻭﺻﺮﺡ ﺑﺬﻟﻚ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﺰﺍﺯﻳﺔ ﻛﻤﺎ
ﺳﻴﺬﻛﺮﻩ ﺍﻟﺸﺎﺭﺡ ﺁﺧﺮ ﺍﻟﺒﺎﺏ ﻭﻗﺪ ﺑﺴﻂ ﺍﻟﻜﻼﻡ
ﻋﻠﻴﻬﺎ ﺷﺎﺭﺣﺎ ﺍﻟﻤﻨﻴﺔ ﻭﺻﺮﺣﺎ ﺑﺄﻥ ﻣﺎ ﺭﻭﻱ ﻓﻴﻬﺎ
ﺑﺎﻃﻞ ﻣﻮﺿﻮﻉ . ﻭﻟﻠﻌﻼﻣﺔ ﻧﻮﺭ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﺍﻟﻤﻘﺪﺳﻲ
ﻓﻴﻬﺎ ﺗﺼﻨﻴﻒ ﺣﺴﻦ ﺳﻤﺎﻩ ‏( ﺭﺩﻉ ﺍﻟﺮﺍﻏﺐ ﻋﻦ
ﺻﻼﺓ ﺍﻟﺮﻏﺎﺋﺐ ‏) ﺃﺣﺎﻁ ﻓﻴﻪ ﺑﻐﺎﻟﺐ ﻛﻼﻡ
ﺍﻟﻤﺘﻘﺪﻣﻴﻦ ﻭﺍﻟﻤﺘﺄﺧﺮﻳﻦ ﻣﻦ ﻋﻠﻤﺎﺀ ﺍﻟﻤﺬﺍﻫﺐ
ﺍﻷﺭﺑﻌﺔ. ‏( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ،ﺝ 2:ﺹ 26: ‏)
(এবং আল্লামা ইবনে আবেদিন
রাহ. বলেন, (পরিশিষ্ট)
মুসান্নিফ তার কথা ‘‘একা একা
’’ বলে তিনি সেদিকে ইঙ্গিত
করেন যা একটু পরে তিনি তার
মতনে (বইয়ের মূল অংশে) এই
বলে উল্লেখ করেন, ‘‘আর এই
রাতগুলো জাগ্রত
থেকে কাটানোর জন্য
মসজিদে সমবেত
হওয়া মাকরূহ’’ পুরো আলোচনা
তার ব্যখ্যাগ্রন্থে রয়েছে। আল-
হাবীল ক্বুদসীতে তা মাকরূহ
বলে স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন।
বলেছেন, ‘‘এই
রাতগুলোতে যে সালাতের
কথার
বর্ণনা রয়েছে তা একা একা
পড়তে হবে, একমাত্র তারাবীহ
ব্যতীত’’ ।
আল-বাহরে বলেন,
‘‘এথেকে জানা যায় যে
, সালাতুর রাগাইব যা রজবের
প্রথম জুমুআয় পড়া হয়, এর জন্য
সমবেত হওয়া মাকরূহ
এবং এটি বিদ‘আত । এটাকে নফল ও
মাকরূহ থেকে বের করার জন্য
রোমবাসীরা এই সালাতের
মান্নতের যে হীলা অবলম্বন
করে তা বাতিল’’ ।
আমি বলি (ইবনে আবেদীন)
বায্যাযিয়ায়
তা স্পষ্টভাবে ব্যক্ত
করা হয়েছে, যেমন ব্যাখ্যাকার
অধ্যায়ের শেষে উল্লেখ
করবেন। আল-মুনইয়াহ এর দুই
ব্যাখ্যাকার এর উপর দীর্ঘ
আলোচনা করেছেন
এবং তারা উভয়ে স্পষ্ঠভাবে
বলেছেন যে, ‘‘এ
ব্যাপারে যা বর্ণনা করা হয় সব
বাতিল মনগড়া। আল্লামা নুরুদ্দীন
মাক্বদিসীর এ
বিষয়ে একটি সুন্দর
রচনা রয়েছে তিনি এর নাম
দিয়েছেন ‘রাদ্উর রাগিব আন
সালাতির
রাগাইব’ তিনি এখানে চার
মাযহাবের পূর্ববর্তী ও
পরবর্তী আলেমেদের কথার
অধিকাংশ সংকলন করেছেন।
ﻭﻗﺎﻝ ﻓﻲ ﻣﻮﺿﻊ ﺁﺧﺮ: ﻭﻳﻜﺮﻩ ﺍﺗﺨﺎﺫ ﺍﻟﻀﻴﺎﻓﺔ
ﻣﻦ ﺍﻟﻄﻌﺎﻡ ﻣﻦ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻤﻴﺖ ﻷﻧﻪ ﺷﺮﻉ ﻓﻲ
ﺍﻟﺴﺮﻭﺭ ﻻ ﻓﻲ ﺍﻟﺸﺮﻭﺭ ﻭﻫﻲ ﺑﺪﻋﺔ ﻣﺴﺘﻘﺒﺤﺔ
ﻭﺭﻭﻯ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺃﺣﻤﺪ ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ﺑﺈﺳﻨﺎﺩ ﺻﺤﻴﺢ
ﻋﻦ ﺟﺮﻳﺮ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺎﻝ ﻛﻨﺎ ﻧﻌﺪ ﺍﻻﺟﺘﻤﺎﻉ
ﺇﻟﻰ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻤﻴﺖ ﻭﺻﻨﻌﻬﻢ ﺍﻟﻄﻌﺎﻡ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﻴﺎﺣﺔ
ﺍﻫـ ﻭﻓﻲ ﺍﻟﺒﺰﺍﺯﻳﺔ ﻭﻳﻜﺮﻩ ﺍﺗﺨﺎﺫ ﺍﻟﻄﻌﺎﻡ ﻓﻲ
ﺍﻟﻴﻮﻡ ﺍﻷﻭﻝ ﻭﺍﻟﺜﺎﻟﺚ ﻭﺑﻌﺪ ﺍﻷﺳﺒﻮﻉ ﻭﻧﻘﻞ
ﺍﻟﻄﻌﺎﻡ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻘﺒﺮ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻮﺍﺳﻢ ﻭﺍﺗﺨﺎﺫ ﺍﻟﺪﻋﻮﺓ
ﻟﻘﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻭﺟﻤﻊ ﺍﻟﺼﻠﺤﺎﺀ ﻭﺍﻟﻘﺮﺍﺀ ﻟﻠﺨﺘﻢ
ﺃﻭ ﻟﻘﺮﺍﺀﺓ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻷﻧﻌﺎﻡ ﺃﻭ
ﺍﻹﺧﻼﺹ ﻭﺍﻟﺤﺎﺻﻞ ﺃﻥ ﺍﺗﺨﺎﺫ ﺍﻟﻄﻌﺎﻡ ﻋﻨﺪ
ﻗﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻷﺟﻞ ﺍﻷﻛﻞ ﻳﻜﺮﻩ ﻭﻓﻴﻬﺎ ﻣﻦ
ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻻﺳﺘﺤﺴﺎﻥ ﻭﺇﻥ ﺍﺗﺨﺬﻃﻌﺎﻣﺎ ﻟﻠﻔﻘﺮﺍﺀ
ﻛﺎﻥ ﺣﺴﻨﺎ ﺍﻩ ﻭﺃﻃﺎﻝ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻤﻌﺮﺍﺝ ﻭﻗﺎﻝ
ﻭﻫﺬﻩ ﺍﻷﻓﻌﺎﻝ ﻛﻠﻬﺎ ﻟﻠﺴﻤﻌﺔ ﻭﺍﻟﺮﻳﺎﺀ ﻓﻴﺤﺘﺮﺯ
ﻋﻨﻬﺎ ﻷﻧﻬﻢ ﻻ ﻳﺮﻳﺪﻭﻥ ﺑﻬﺎ ﻭﺟﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ
ﺍﻫـ ‏( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ: ﺝ2:ﺹ 240: ‏)
(এবং তিনি আরেক জায়গায়
বলেন, আর মৃত ব্যক্তির
পরিবারের পক্ষ থেকে যিয়াফত
খাবারের আয়োজন করা মাকরূহ।
কেননা তা আনন্দের বেলায়
শরীয়ত সম্মত, অনিষ্টতার বেলায়
নয়। আর এটা মন্দ বিদ‘আত । ইমাম
আহমদ এবং ইবনে মাজাহ বিশুদ্ধ
সনদে জারীর ইবন আব্দুল্লাহ
থেকে বর্ণনা করেন,
জারীর বলেন, ‘‘মৃত ব্যক্তির
পরিবারের নিকট সমবেত
হওয়া এবং তারা খাবারের
আয়োজন
করাকে আমরা নিয়াহাহ (বিলাপ)
গণ্য করতাম’’ । বায্যাযিয়ায়
রয়েছে, ‘‘আর মৃত্যুর প্রথম
দিন, দ্বিতীয় দিন, সপ্তাহ পর
এবং অনুষ্ঠানে খাবারের
আয়োজন করা, বিভিন্ন
মৌসুমে কবরে খাবার
নিয়ে যাওয়া, কুরআন পড়ার জন্য
দাওয়াতের আয়োজন
করা এবং সৎ লোক ও
ক্বারীদেরকে খতমের জন্য
বা সূরা আন‘আম অথবা সূরা ইখলাস
পড়ার জন্য সমবেত করা মাকরূহ।
মোটকথা, কুরআন পড়ার সময়
খাওয়ার জন্য দাওয়াতের
আয়োজন করা মাকরূহ’’ এবং উক্ত
কিতাবের ইসতেহসান
অধ্যায়ে রয়েছে, ‘‘যদি দরিদ্র
মানুষের জন্য খাবারের আয়োজন
করে তবে ভাল’’ । আর মি‘রাজে
এ বিষয়ে দীর্ঘ
আলোচনা করেছেন
এবং বলেছেন, ‘‘এই
সবগুলো হচ্ছে লোক
দেখানো ও লোক শুনানো। তাই
এ সব থেকে বিরত থাকবে
, কেননা তারা এগুলোর
মাধ্যমে আল্লাহর
সন্তুষ্টি কামনা করে না’’ ।)
ﻭﻗﺎﻝ ﻓﻲ ﻣﻮﺿﻊ ﺁﺧﺮ: ﻭﻗﺪ ﺃﻃﻨﺐ ﻓﻲ ﺭﺩﻩ
ﺻﺎﺣﺐ ﺗﺒﻴﻴﻦ ﺍﻟﻤﺤﺎﺭﻡ ﻣﺴﺘﻨﺪﺍ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻨﻘﻮﻝ
ﺍﻟﺼﺮﻳﺤﺔ ﻓﻤﻦ ﺟﻤﻠﺔ ﻛﻼﻣﻪ ﻗﺎﻝ ﺗﺎﺝ ﺍﻟﺸﺮﻳﻌﺔ
ﻓﻲ ﺷﺮﺡ ﺍﻟﻬﺪﺍﻳﺔ ﺇﻥ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺑﺎﻷﺟﺮﺓ ﻻ
ﻳﺴﺘﺤﻖ ﺍﻟﺜﻮﺍﺏ ﻻ ﻟﻠﻤﻴﺖ ﻭﻻ ﻟﻠﻘﺎﺭﻯﺀ ﻭﻗﺎﻝ
ﺍﻟﻌﻴﻨﻲ ﻓﻲ ﺷﺮﺡ ﺍﻟﻬﺪﺍﻳﺔ ﻭﻳﻤﻨﻊ ﺍﻟﻘﺎﺭﻯﺀ
ﻟﻠﺪﻧﻴﺎ ﻭﺍﻵﺧﺬ ﻭﺍﻟﻤﻌﻄﻲ ﺁﺛﻤﺎﻥ ﻓﺎﻟﺤﺎﺻﻞ ﺃﻥ
ﻣﺎ ﺷﺎﻉ ﻓﻲ ﺯﻣﺎﻧﻨﺎ ﻣﻦ ﻗﺮﺍﺀﺓ ﺍﻷﺟﺰﺍﺀ ﺑﺎﻷﺟﺮﺓ
ﻻ ﻳﺠﻮﺯ ﻷﻥ ﻓﻴﻪ ﺍﻷﻣﺮ ﺑﺎﻟﻘﺮﺍﺀﺓ ﻭﺇﻋﻄﺎﺀ
ﺍﻟﺜﻮﺍﺏ ﻟﻶﻣﺮ ﻭﺍﻟﻘﺮﺍﺀﺓ ﻷﺟﻞ ﺍﻟﻤﺎﻝ ﻓﺈﺫﺍ ﻟﻢ
ﻳﻜﻦ ﻟﻠﻘﺎﺭﻯﺀ ﺛﻮﺍﺏ ﻟﻌﺪﻡ ﺍﻟﻨﻴﺔ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ ﻓﺄﻳﻦ
ﻳﺼﻞ ﺍﻟﺜﻮﺍﺏ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻤﺴﺘﺄﺟﺮ ﻭﻟﻮﻻ ﺍﻷﺟﺮﺓ ﻣﺎ
ﻗﺮﺃ ﺃﺣﺪ ﻷﺣﺪ ﻓﻲ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺰﻣﺎﻥ ﺑﻞ ﺟﻌﻠﻮﺍ
ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ ﻣﻜﺴﺒﺎ ﻭﻭﺳﻴﻠﺔ ﺇﻟﻰ ﺟﻤﻊ
ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﺇﻧﺎ ﻟﻠﻪ ﻭﺇﻧﺎ ﺇﻟﻴﻪ ﺭﺍﺟﻌﻮﻥ ‏( ﻭﺑﻌﺪ ﺃﺳﻄﺮ ‏)
ﻛﻤﺎ ﺻﺮﺡ ﺑﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﺘﺎﺗﺎﺭﺧﺎﻧﻴﺔ ﺣﻴﺚ ﻗﺎﻝ ﻻ
ﻣﻌﻨﻰ ﻟﻬﺬﻩ ﺍﻟﻮﺻﻴﺔ ﻭﻟﺼﻠﺔ ﺍﻟﻘﺎﺭﻯﺀ ﺑﻘﺮﺍﺀﺗﻪ
ﻷﻥ ﻫﺬﺍ ﺑﻤﻨﺰﻟﺔ ﺍﻷﺟﺮﺓ ﻭﺍﻹﺟﺎﺭﺓ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ
ﺑﺎﻃﻠﺔ ﻭﻫﻲ ﺑﺪﻋﺔ ﻭﻟﻢ ﻳﻔﻌﻠﻬﺎ ﺃﺣﺪ ﻣﻦ ﺍﻟﺨﻠﻔﺎﺀ
‏( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ :ﺝ 6:ﺹ 56: ‏)
(এবং তিনি আরেক জায়গায়
বলেন, তাবয়িনুল-মাহারিমের
লিখক স্পষ্ট উদ্ধৃতির
মাধ্যমে এসব প্রত্যাখ্যান করার
ক্ষেত্রে অনেক দীর্ঘ
আলোচনা করেন। তার বক্তব্যের
মধ্য থেকে রয়েছে,‘‘তাজুশ্-
শরীয়াহ বলেন,
পারিশ্রামিকের
মাধ্যমে কুরআন পড়া ছওয়াবের
উপযুক্ত হয় না, না মৃতব্যক্তির
জন্য, না পাঠকের জন্য’’ ।
হেদায়ার ব্যখ্যাগ্রন্থে আইনি
লিখেন, ‘‘দুনিয়ার জন্য কুরআন
পাঠককে বাধা দেওয়া হবে
, দাতা
, গ্রহিতা উভয়ে গোনাহগার
হবে’’ । মোটকথা, আমাদের
যুগে পারিশ্রমিকের
মাধ্যমে কুরআনের অংশ পড়ার
যে প্রচলন বিস্তার লাভ
করেছে তা জায়েয
নেই, কেননা এখানে পড়ার
নির্দেশ এবং ছওয়াব
নির্দেশদাতাকে দেওয়া
রয়েছে, আর পড়া হচ্ছে অর্থের
কারণে। অতএব বিশুদ্ধ নিয়্যাত
না থাকার কারণে পাঠকই যখন
ছওয়াব পাচ্ছে না তাহলে কী-
ভাবে পাঠক নিয়োগকারীর
কাছে ছওয়াব পৌছবে।
যদি পারিশ্রমিক না থাকত
তবে আজকাল কেউ
-10 ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻳﻀﺎ: ﻭﻧﻘﻞ ﺍﻟﻌﻼﻣﺔ ﺍﻟﺤﻠﻮﺍﻧﻲ ﻓﻲ
ﺣﺎﺷﻴﺔ ﺍﻟﻤﻨﺘﻬﻰ ﺍﻟﺤﻨﺒﻠﻲ ﻋﻦ ﺷﻴﺦ ﺍﻹﺳﻼﻡ
ﺗﻘﻲ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﻣﺎ ﻧﺼﻪ ﻭﻻ ﻳﺼﺢ ﺍﻻﺳﺘﺌﺠﺎﺭ ﻋﻠﻰ
ﺍﻟﻘﺮﺍﺀﺓ ﻭﺇﻫﺪﺍﺅﻫﺎ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻤﻴﺖ ﻷﻧﻪ ﻟﻢ ﻳﻨﻘﻞ
ﻋﻦ ﺃﺣﺪ ﻣﻦ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﺍﻹﺫﻥ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﻭﻗﺪ ﻗﺎﻝ
ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﺇﻥ ﺍﻟﻘﺎﺭﻯﺀ ﺇﺫﺍ ﻗﺮﺃ ﻷﺟﻞ ﺍﻟﻤﺎﻝ ﻓﻼ
ﺛﻮﺍﺏ ﻟﻪ ﻓﺄﻱ ﺷﻲﺀ ﻳﻬﺪﻳﻪ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻤﻴﺖ ﻭﺇﻧﻤﺎ
ﻳﺼﻞ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻤﻴﺖ ﺍﻟﻌﻤﻞ ﺍﻟﺼﺎﻟﺢ ﻭﺍﻻﺳﺘﺌﺠﺎﺭ
ﻋﻠﻰ ﻣﺠﺮﺩ ﺍﻟﺘﻼﻭﺓ ﻟﻢ ﻳﻘﻞ ﺑﻪ ﺃﺣﺪ ﻣﻦ
ﺍﻷﺋﻤﺔ ‏( ﻭﺑﻌﺪ ﺍﺳﻄﺮ ‏) ﻭﺣﻴﻨﺌﺬ ﻓﻘﺪ ﻇﻬﺮ ﻟﻚ
ﺑﻄﻼﻥ ﻣﺎ ﺃﻛﺐ ﻋﻠﻴﻪ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﻮﺻﻴﺔ
ﺑﺎﻟﺨﺘﻤﺎﺕ ﻭﺍﻟﺘﻬﺎﻟﻴﻞ ﻣﻊ ﻗﻄﻊ ﺍﻟﻨﻈﺮ ﻋﻤﺎ
ﻳﺤﺼﻞ ﻓﻴﻬﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻨﻜﺮﺍﺕ ﺍﻟﺘﻲ ﻻﻳﻨﻜﺮﻫﺎ ﺇﻻ
ﻣﻦ ﻃﻤﺴﺖ ﺑﺼﻴﺮﺗﻪ ﻭﻗﺪ ﺟﻤﻌﺖ ﻓﻴﻬﺎ ﺭﺳﺎﻟﺔ
ﺳﻤﻴﺘﻬﺎ ‏( ﺷﻔﺎﺀ ﺍﻟﻌﻠﻴﻞ ﻭﺑﻞ ﺍﻟﻐﻠﻴﻞ ﻓﻲ ﺣﻜﻢ
ﺍﻟﻮﺻﻴﺔ ﺑﺎﻟﺨﺘﻤﺎﺕ ﻭﺍﻟﺘﻬﺎﻟﻴﻞ ‏) ) ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ :
ﺝ6:ﺹ 57: ‏)
(তিনি আরো বলেন, আল্লামা
হুলওয়ানী ‘আল-মুনতাহাল
হান্বলী’ এর টিকায় শায়খুল
ইসলাম তাক্বী উদ্দীন
থেকে বর্ণনা করেন যার ভাষ্য
হলো, ‘‘পড়ার জন্য
পারিশ্রমিকের উপর নিয়োগ
দেওয়া এবং এর ছওয়াব
মৃতব্যক্তিকে পাঠানো শুদ্ধ
নয়, কেননা কোনো ইমাম
থেকে এর অনুমোদন পাওয়া যায়
না। বরং আলেমগণ বলেন, নিশ্চয়
ক্বারী যখন সম্পদের
কারণে পড়বে তখন তার
কোনো ছওয়াব নেই, অতএব
সে মৃতব্যক্তির
কাছে কি জিনিস পাঠাবে, মৃত
ব্যক্তির কাছে কেবল সৎকর্মই
পৌঁছে। আর শুধুমাত্র
তেলাওয়াতের উপর
পারিশ্রমিক হিসেবে নিয়োগ
দেওয়ার কথা কোনো ইমাম
বলেননি’’ ।
(কয়েক লাইন পর) অতএব, এখন
তোমার কাছে খতম
এবং তাহালিলের
অসিয়্যাত, যে দিকে মানুষ
ঝুঁকেছে তার অন্যান্য খারাবীর
দিকে দৃষ্টি দেওয়া ছাড়াই
তা বাতিল হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট
হয়ে গেল। দৃষ্টিশক্তি লোপ
করা হয়েছে এমন
ব্যক্তি ছাড়া যার
খারাবী কেউ অস্বীকার
করতে পারবে না।
আমি এতে একটি পুস্তিকা
সংকলন করেছি যার নাম
দিয়েছি ‘শিফাউল-আলীল ও
বাল্লু-গালীল ফি হুকমিল-
অসিয়্যাতে বিল-
খাতামাতে ওয়াত্তাহালীল’
এসমস্ত বর্ণনা থেকে প্রমাণিত
হলো যে, প্রচলিত কুরআন খতম
বিদ‘আত এবং না-জায়েয।
কুরআন, হাদীস এবং কল্যাণের
সাক্ষ্যপ্রাপ্ত যুগে এর
কোনো প্রমাণ নেই। এতে অংশ
নেওয়া জায়েয নয়।
এছাড়া প্রচলিত
খতমে কুরআনে আরো অসংখ্য
খারাবী রয়েছে যার কিছু
নিম্নে তুলে ধরছি:
1. ঘোষণা এবং বলপূর্বক
এতে লোকজনদের সমবেত
করা হয়, যাকে শরীয়তের
পরিভাষায় ‘‘তাদাঈ’’ (
ডাকাডাকি) বলা হয় যা নফল
ইবাদতে নিষিদ্ধ। যেমন
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর
রাদিয়াল্লাহু আনহু এর
সামনে কিছু মানুষ
সালাতুদ্দ্বোহা জামাতের
আকারে পড়ছিল, যখন তার
কাছে তাদের
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো
তিনি তাদের আমলকে বিদ‘আত
আখ্যা দিলেন। অথচ
সালাতুদ্দ্বোহা একাকি পড়া
প্রমাণিত। এভাবে আব্দুল্লাহ
ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু
এক গোত্রের
ব্যাপারে শুনলেন, তারা
উচ্চস্বরে তাহলিল এবং দুরূদ
পড়ছে, তখন
তিনি তাদেরকে বিদ‘আতি
বলে মসজিদ থেকে বের
করে দিলেন। অথচ
একাকি তাসবীহ, তাহলীল
এবং দুরূদ পড়া পূণ্য ও ছওয়াবের
কাজ।
2. ডাকার পর যদি কিছু মানুষ
কুরআন
খতমে না আসে তাহলে তাকে
বিভিন্নভাবে তিরস্কার
করা হয়। অথচ মুস্তাহাব কাজ
ছাড়ার উপর তিরস্কার জায়েয
নেই।
3. অনুপস্থিতদের
ব্যাপারে মনে বিদ্বেষ, ঘৃণা
, ক্রোধ বদ্ধমূল করা হয়।
4. কুরআন খতমের
আয়োজকরা বেশি লোকের
উপস্থিতিতে গর্ব করে।
5. প্রচলিত কুরআন খতম এত
জরুরী মনে করা হয় যে
, যদি কোনো মানুষ কুরআন খতম
না করায় অথবা তার খতমের
আয়োজনে মানুষ কম হয়
তবে সে সমালোচনার
লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।
6. পুরো কুরআন খতম
জরুরী মনে করা হয়, অথচ
শরীয়তে বরকত এবং ছওয়াবের
জন্য কোনো পরিমাণ নির্দিষ্ট
নেই। কুরআন তেলাওয়াত
ছাড়া যিকর
আযকার, তাসবীহাত, নফল
এবং সাদাকাত ইত্যাদি অন্যান্য
পদ্ধতিতেও এই উদ্দেশ্য অর্জন
হয়।
7. যদি পড়ার জন্য মানুষ কম
জমা হয় তখন তার পুরো কুরআন
খতমকে নিজের উপর চাপ
এবং বিষের ঢোক
মনে করে যে কোনভাবে তা
গলা থেকে সরানোর
চেষ্টা করা হয়। অথচ
হাদীসে বর্ণিত হচ্ছে,
‏(ﺍﻗﺮﺅﻭﺍ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻣﺎ ﺍﺋﺘﻠﻔﺖ ﻗﻠﻮﺑﻜﻢ ﻓﺈﺫﺍ
ﺍﺧﺘﻠﻔﺘﻢ ﻓﻘﻮﻣﻮﺍ
ﻋﻨﻪ ‏) ‏(ﺻﺤﻴﺢ ﺑﺨﺎﺭﻱ:ﺝ 2:ﺹ 757: ‏)
অর্থাৎ (ঐ সময় পর্যন্ত কুরআন পড়
যতক্ষন মনে বিরক্তিবোধ না হয়
এবং যখন ক্লান্ত হয়ে পড় তখন
ছেড়ে দাও) [65]
৮. এই অবস্থায় তাজবীদের নিয়ম
কানুন, হুরূফের সিফাতের বিশুদ্ধ
আদায়, গুন্নাহ, ইখফা, ইজহার
এবং মদসমূহের প্রতি খেয়াল
করা ব্যতীত শব্দ ও অক্ষর
কেটে প্রাণ পরিত্রাণের
চেষ্টা করা হয়।
9 প্রচলিত কুরআন খতমে এমন
লোক আসে যে কুরআন
পড়া জানে না। তখন সে কুরআন
হাতে নিয়ে প্রত্যেক
লাইনে বিসমিল্লাহ
পড়ে অথবা শুধু আঙ্গুল
ফিরিয়ে পারা রাখা দেয়।
একে আঙ্গুল এবং বিসমিল্লাহ
খতম বলা হয়, শরীয়তে যার
কোনো প্রমাণ নেই।
বরং এতে কুরআনের অবমাননা।
10 খতমের শেষ পর্যন্ত
বসাকে জরুরী মনে করা হয়।
তাই কোনো ব্যক্তি নিজের
পারা শেষ করে কঠিন প্রয়োজন
সত্বেও উঠার সাহস করে না।
কেননা এটাকে অত্যন্ত
দোষনীয় মনে করা হয়।
11 কোনো কোনো মানুষের
তেলাওয়াতে সেজদার জ্ঞান
থাকে না, ফলে সে সেজদার
আয়াত পড়ে এবং শোনে
তেলাওয়াতে সেজদা না করার
কারণে নেকীর
পরিবর্তে ওয়াজিব ছাড়ার
গোনাহ নিজের মাথায় বহন
করে।
12 কোনো কোনো জায়গায়
কুরআন খতমের আয়োজক সবার
পক্ষ থেকে চৌদ্দ
সাজদা আদায় করে নেয়।
এতে পাঠকদের দায়িত্ব আদায়
হয় না এবং শরীয়ত
বিরোধী কাজের
কারণে সাজদাকারী
গোনাহগার হয়।
13 প্রচলিত কুরআন খতমে মিঠাইর
ব্যবস্থা করা হয়। ‘‘প্রচলিত নিয়ম
শর্তের ন্যায়’’ মূলনীতির
আলোকে এটা পাঠকদের
পারিশ্রমিক, আর কুরআন পড়ার
পারিশ্রমিকের দাতা
, গ্রহিতা উভয় গোনাহগার।
তাহলে এখানে নেকীর
কী প্রত্যাশা করা যায়? আর
যেখানে পাঠকের নিজের
ছওয়াব হচ্ছে না, সেখানে মৃত
ব্যক্তির জন্য তার ঈসাল
কিভাবে হতে পারে ?
14 দাওয়াত বা মিঠাইকে এমন
জরুরী করে রাখা হয়েছে যে
, যে ব্যক্তি এর
ব্যবস্থা করে না তার উপর
অভিশাপ ও তিরস্কারের
ঝুড়ি পড়ে।
15 প্রচলিত কুরআন খতমের জন্য
তিনদিনা
, চল্লিশা ইত্যাদি বিশেষ দিন
নির্দিষ্ট করা হয়। আর অনির্দিষ্ট
ইবাদতের জন্য নিজের পক্ষ
থেকে দিন নির্দিষ্ট
করা মাকরূহ, না-জায়েয
বরং বিদ‘আত ।
16 জারীর ইবন আব্দুল্লাহ
রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
” ﻛﻨﺎ ﻧﻌﺪ ﺍﻻﺟﺘﻤﺎﻉ ﺇﻟﻰ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻤﻴﺖ ﻭﺻﻨﻌﻬﻢ
ﺍﻟﻄﻌﺎﻡ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﻴﺎﺣﺔ .”
‘‘মৃতব্যক্তির পরিবারে সমবেত
হওয়া এবং তারা খাবারের
আয়োজন করাকে আমরা ‘নাওহা
’ (বিলাপ) গণ্য করতাম’’ আর
বিলাপ করা হারাম।
17 প্রচলিত কুরআন
খতমে অংশগ্রহণকারী এবং
যিনি অংশগ্রহণ করান সবার
উদ্দেশ্য থাকে লোক
দেখানো। লোকদেখানোর
কারণে মানুষের বড় বড় আমল নষ্ট
হয়ে যায়।
হাদীসে রয়েছে লোক
দেখানো আমলকারীর আমল
এমন ধ্বংস হয় যেমন আগুন
লাকড়ি খেয়ে ফেলে
এবং আল্লাহর কাছে এমন
আমল প্রত্যাখ্যাত। অতএব
যে আমলটি আল্লাহর জন্য করার
ছিল, বরকত এবং ছওয়াব
পৌছা উদ্দেশ্য
ছিল, লোকদেখানোর
কারণে সমস্ত আমলে আগুন
লেগে গেছে। ছওয়াব
কি মিলবে
? উল্টো লোকদেখানোর
আযাব মাথার উপর আসলো।
এই সমস্ত খারাবী শরীয়ত
এবং সুন্নাত
থেকে চেহারা ফিরিয়ে
নেওয়ার ফলাফল। এর বিপরীত
যদি শরীয়তের পদ্ধতি অবলম্বন
করা হত তাহলে আরাম হত। এত
কষ্ট উঠাতে হত না। ইখলাসের
সহিত ও আল্লাহর জন্য হত । যার
বদলে পাঠক ছওয়াব পেত।
মৃত ব্যক্তির কাছেও ছওয়াব
পৌছত। লোক
দেখানো মারাত্মক গোনাহও
মাথায় নিতে হত না। [30] ইবনু মানযুর, লিসানুল
আরব, মাদ্দাহ: ‘ ﺧﺘﻢ ’ ১২/১৬৩।
[31] সূরা বাক্বারা, ৭।
[32] সহীহ মুসলিম, সালাত অধ্যায়, রাতের
সালাতে দু‘আ ও
রাতে জাগা অনুচ্ছেদ, নং:১৮৩৫।
[33] সহীহুল বুখারী, কুরআনের ফযিলত সমূহ
অধ্যায়, অনুচ্ছেদ: তোমাদের
মধ্যে সে ব্যক্তি উত্তম যে নিজে কুরআন
শিখে এবং অপরকে শিখায়, নং:৪৭৩৯।
[34] সহীহুল বুখারী, কুরআনের ফযিলতসমূহ
অধ্যায়, অনুচ্ছেদ: সব কালামের উপর
কুরআনের শ্রেষ্টত্ব, নং:৪৭৩৯, সহীহ
মুসলিম, কুরআনের ফযিলতসমূহ
অধ্যায়, হাফিজে কুরআনের
মর্যাদা অনুচ্ছেদ, নং:১৮৯৬।
[35] সুনানুত তিরমিযি, হাদীস
সহীহ, কুরআনের ফযিলত সমূহ
অধ্যায়, অনুচ্ছেদ: যে কুরআনের একটি অক্ষর
পড়ল তার কতটুকু ছওয়াব রয়েছে, নং: ২৯১০।
[36] সহীহুল বুখারী
, উমরা অধ্যায়, অনুচ্ছেদ: নবী সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতবার
উমরা করেছেন।
[37] সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: উমরা, অনুচ্ছেদ:
নবী সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উমরার সংখ্যার
বর্ণনা।
[38] কাযী আয়ায, মালেকি মাযহাবের
প্রখ্যাত আলেম
মুহাদ্দীস, ফকীহ, আদীব, ঐতিহাসিক,
একাধিক কিতাবের রচয়িতা। ৪৭৩-৫৪৪
হিজরী।
[39] ইমাম নববীর মুসলিমের
ব্যখ্যগ্রন্থ, প্রাগুক্ত অধ্যায়। কিতাবুস-
সালাত, ( ﺑﺎﺏ ﺍﺳﺘﺤﺒﺎﺏ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻀﺤﻰ ﻭﺃﻥ ﺃﻗﻠﻬﺎ
ﺭﻛﻌﺘﺎﻥ ) এর অধীনে আলোচনা সালাতুদ
দ্বোহার আলোচনা করেছেন।
[40] ফাতওয়া বায্যাযিয়ার মুসান্নিফ, ইমাম
মুহাম্মদ ইবন মুহাম্মদ ইবন
শিহাব, ইবনে বায্যার আলকুরদুরী আল-
হানাফী। মৃত্যু: ৮২৭ হিজরী।
[41] বায্যাযিয়া, হিন্দিয়ার টিকা, ৬/৩৭৮
(লেখকের দেওয়া তথ্য সুত্র মোতাবেক)।
[42] বায্যাযিয়া, হিন্দিয়ার টিকা, ৪/৮১
(লেখকের দেওয়া সুত্রে)
[43] মুহাম্মদ জা‘ফর ইবন আব্দুল করীম আল-
বুবাকানী আস-সিন্দি আল-হানাফী। তার
লিখিত কিতাব, ‘আল-মাতানাহ ফিল-
মারাম্মাতে আনিল খিযানাহ’ ।
[44] আল-ফাতাওয়া আস-সাইরাফিয়্যাহ।
লিখক, হানাফী ফক্বীহ আসআদ ইবন ইউসুফ
ইবন আলী মাজ্দুদ্দীন আস-সাইরাফী আল-
বুখারী। মৃত:১০৮৮ হিজরী। (আল-
আ‘লাম, ১/৩০২)
[45] দেখুন, বুরহানুদ্দীন ইবনু মাযাহ (৬১৬
হি.) রচিত কিতাব ‘আল-মুহিত্বুল বুরহানী
, পৃষ্টা:১৪৪, খ-:৫।
[46] ফিকহে হানাফী নিয়ে রচিত
কিতাব ‘আল-ফাতাওয়া আত্তাতার
খানিয়া’, লিখক, ইবনুল আলা আল-
আনসারী আদ-দেহলবী আল-হিন্দি।
[47] ‘আইনুল ইলম’ ‘মুফিদুল মুস্তাফিদ’
‘কিতাবুন-
নেসাব’ ফিক্বহে হানাফীতে রচিত
বিভিন্ন কিতাবের নাম।
[48] আল-মাতানাহ ফিল-
মারাম্মাতে আনিল
খিযানাহ, ৬৩৩,৬৩৪,৬৩৫ (লেখকের
দেওয়া সুত্রে)।
[49] বিশিষ্ট হানাফী ফক্বীহ মুহাম্মদ
আমীন ইবন উমর ইবন আব্দুল আযীয ইবন
আবেদীন। ১১৯৮-১১২৫ হিজরী।
দামেশ্কে জন্ম এবং মৃত্যু। যাকে ইমামুল
হানাফিয়্যাহ ফিশ্-শাম বলে ভূষিত করা হয়।
আল্লামা ইবনে আবেদীন
বা আল্লামা শামী নামে তিনি প্রসিদ্ধ।
তার কিতাব ‘রাদ্দুল
মুহতার‘ যা ফাতওয়া শামী হিসেবে
পরিচিত তা ফিকহে হানাফীর
মাসাঈলে আলাউদ্দীন
হাসকাফী রচিত ‘আদ্দুররুল-
মুখতারের’ ব্যাখ্যাগ্রন্থ। (আল-আ‘লাম:
৬/৪২)
[50] মুসান্নিফ আর্থাৎ ‘আদ্দুররুল-
মুখতারের’ রচয়িতা মুহাম্মদ ইবন
আলী আলাউদ্দীন আল-হাসকাফী।
দামেশ্কের একজন হানাফী মুফতী।
১০২৫-১০৮৮ হিজরী। (আল-আ‘লাম: ৬/৪২)
[51] ‘আল-হাবীল ক্বুদসী ফিল
ফুরু’ লিখক, কাযী জামাল উদ্দীন আহমদ ইবন
মুহাম্মদ আল-গাযনবী আল-হানাফী।
(কাশ্ফুয যুনুন:১/৬২৭)
[52] যাইনুদ্দীন ইবনে নুজাইম মিসরী আল-
হানাফী ৯২৬-৯৭০ হিজরী রচিত
কিতাব ‘আল-বাহরুর রায়িক্ব’ । সালাত
অধ্যায়। বিতর ও নফল অনুচ্ছেদ, ২/৫৬।
[53] ‘আল-মুনইয়াহ’ অর্থাৎ ‘মুনইয়াতুল
মুসাল্লী’, এই কিতাবের দু্ই ব্যাখ্যাকার
দ্বারা উদ্দেশ্য সম্ভবত, ‘গুনইয়াতুল
মুতামাল্লী’ এবং ‘আল-ক্বুনইয়া
’ কিতাবদ্বয়ের রচয়িতা।
দুটি কিতাবই ‘মুনইয়াতুল মুসাল্লী’র শরাহ।
কিতাব দুটি দুর্লভ ও সম্মুখে না থাকায় এ
ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারিনি।
(সংকলক)
[54] ইমাম নুরুদ্দীন আলী ইব্নু গানিম আল-
মাক্দিসী আল-হানাফী। মৃত্যু:১০০৪
হিজরী (কাশফুয যুনুন:১/৮৪০)। সালাতুর
রাগাইব নামে সালাতের বিদ‘আত
সম্পর্কে তার লিখিত কিতাবের নাম, ﺭﺩﻉ
ﺍﻟﺮﺍﻏﺐ ﻋﻦ ﺍﻟﺠﻤﻊ ﻓﻲ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﺮﻏﺎﺋﺐ
[55] রাদ্দুল মুহ্তার, কিতাবুস সালাত, বিতর ও
নফল অধ্যায়, ২/২৬
[56] ইবনে মাজাহ, সনদ সহীহ, মৃত ব্যক্তির
পরিবারে সমবেত হওয়া এবং খাবারের
আয়োজন করা নিষেধ অনুচ্ছেদ, হাদীস
নং ১৬১২, ইবনে মাজাহ এর হাদীসটির শব্দ
হলো:
ﻛﻨﺎ ﻧﺮﻯ ﺍﻻﺟﺘﻤﺎﻉ ﺇﻟﻰ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻤﻴﺖ ﻭﺻﻨﻌﺔ ﺍﻟﻄﻌﺎﻡ ﻣﻦ
ﺍﻟﻨﻴﺎﺣﺔ
মুসনাদে আহমদ, হাদীস
নং:৬৯০৫, মুসনাদে আহমদের শব্দ:
ﻛُﻨَّﺎ ﻧَﻌُﺪُّ ﺍﻟِﺎﺟْﺘِﻤَﺎﻉَ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟْﻤَﻴِّﺖِ ﻭَﺻَﻨِﻴﻌَﺔَ ﺍﻟﻄَّﻌَﺎﻡِ ﺑَﻌْﺪَ
ﺩَﻓْﻨِﻪِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨِّﻴَﺎﺣَﺔِ
[57] সম্ভবত আবুল ক্বাসিম আল-
কুশাইরী নাইসাবুরী রচিত ‘কিতাবুল মি
‘রাজ’ উদ্দেশ্য।
[58] রাদ্দুল মুহতার, সালাত
অধ্যায়, সালাতুল-জানাযা অনুচ্ছেদ, ২/২৪০।
[59] সিনানুদ্দীন ইউসুফ আল-আমাসী আল-
হানাফী, আল-মক্কী, মৃত্যু: ১০০০ হিজরীর
পাশাপাশি।
[60] আল-ইমাম তাজুশ-শরীয়াহ, আহমদ ইবন
উবাইদুল্লাহ আল-মাহবুবী আল-
হানাফী উমর ইবন সাদরুশ-শরীয়াহ আল-
আওয়াল, মৃত্যু:৬৭২ হিজরী। তার লিখিত
হেদায়ার ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘নিহায়াতুল
কিফায়াহ ফি দিরায়াতিল হিদায়াহ।
(কাশফুয-যুনুন ২/২০২২)
[61] প্রখ্যাত হানাফী মুহাদ্দীস আবু মুহাম্মদ
আল্লামা বদরুদ্দীন আল-আইনি। ৭৬২৮৫৫ –
হিজরী১৩৬১ – -১৪৫১ ঈসায়ী। তার
লিখিত হেদায়ার ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘আল-
বিনায়াহ’ । দেখুন, বর্ণিত কিতাবের
কারাহিয়্যাহ অধ্যায়, মাসাঈলু
মুতাফার্রিক্বাহ, ১১/২৬৭।
[62] রাদ্দুল-মুহতার, কিতাবুল
ইজারাহ, মাতলাবুন ফিল-ইসতিজার আলাত্-
ত্বা‘আত, : ৬/৫৬।
[63] ফিক্বহে হাম্বলীতে রচিত
কিতাব, মূল নাম ‘মুনতাহাল-ইরাদাত ফিল
জাম্‘ঈ বাইনাল মুক্বান্না‘ঈ ওয়াত্-
তানক্বীহি ওয়ায্-
যিয়দাত’, লেখক, তাক্বীউদ্দীন মুহাম্মদ
ইবন আহমদ ইবন আব্দুল আযিয ইবনুন্-নাজ্জার
আল-ফুতুহী আল-মিসরী, মৃত্যু: ৯৭২ হিজরী।
[64] রাদ্দুল মুহতার, প্রাগুক্ত অধ্যায়:৬/৫৭।
[65] সহীহুল বুখারী, অধ্যায়: কুরআনের
ফযিলত সমূহ, অনুচ্ছে: যতক্ষন মন চায় ততক্ষন
কুরআন তেলাওয়াত করা। নং: ৪৭৭৩।
[66] ‘নাওহা’ বা ‘নিয়াহাহ’, অর্থাৎ বিলাপ
করে মৃত ব্যক্তির উপর ক্রন্দন করা। ইসলাম
পূর্ব জাহেলী যুগে কেউ
মারা গেলে বিলাপ করে ক্রন্দনের
প্রচলন ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন
কর্মকে জাহেলী কর্ম আখ্যা দেন
এবং তা হারাম ঘোষণা করেন।
দেখুন, বুখারী, ‘মৃত ব্যক্তির উপর বিলাপ
মাকরূহ অধ্যায়’ । সহীহ মুসলিম, নিয়াহার উপর
কঠোরতা অধ্যায়। বুখারীর একাধিক
অধ্যায়ে এ বিষয় সংক্রান্ত হাদীস বর্ণিত
হয়েছে।
[67] লোকদেখানো আমলকে শরয়ী
পরিভাষায় ‘রিয়া’ বলা হয়। কুরআন হাদীস
উভয়ের মাধ্যমে ‘রিয়া’ হারাম প্রমাণিত।
হাদীসে ‘রিয়া
’কে শিরকে আসগর বা ছোট শিরক গণ্য
করা হয়েছে। ‘রিয়া’ হারাম
বা কবীরা গোনাহের অন্যতম
এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে লেখক
এখানে হাদীসে রয়েছে বলে যে কথা
উল্লেখ করেছেন, অর্থাৎ ‘‘লোক
দেখানো আমলকারীর আমল এমন ধ্বংস হয়
যেমন আগুন লাকড়ি খেয়ে ফেলে’’ এই
মর্মের কোনো হাদীস
রয়েছে বলে অবগত হতে পারিনি।
(সংকলক)

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ