Sunday, October 22, 2017

প্রশ্ন : প্রেগন্যান্ট অবস্থায় বেশি বেশি কোরআন খতম করলে কি নেক সন্তান পাওয়ার আশা করা যায়?




প্রশ্ন : প্রেগন্যান্ট অবস্থায় বেশি বেশি কোরআন খতম করলে কি নেক সন্তান পাওয়ার আশা করা যায়?
উত্তর : গর্ভবস্থায় কুরআন খতম দিলে বা অধিক পরিমান কুরআন পাঠ করলেই নেক সন্তান লাভ হবে হাদীস-কুরআনে এমন কোন কথা নেই। বরং এতে সুসন্তান পাওয়ার আশা করা যায়। কুরআনের বরকতে মনের মধ্যে এই আশা ও সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। কিন্তু এটা অপরিহার্য নয়।
কেননা, সন্তান নেককার হবে না কি বদকার হবে তা সম্পূর্ণ আল্লাহর হাতে। তবে পিতা-মাতার পক্ষ থেকে সন্তানকে নেককার বানানোর চেষ্টা থাকা জরুরি। আল্লাহ সে চেষ্টা কবুল করলে সে হেদায়েতের পথে থাকবে; অন্যথায় নয়।
তাই বলব, একজন গর্ভবতী নারী সাধ্যানুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত করবেন, যিকির-আযকার, দুয়া ও অন্যান্য নেক আমলের প্রতি যত্নশীল হবেন, গুনাহ থেকে বাঁচবেন এবং মহান আল্লাহর নিকট দুয়া করবেন যেন, আল্লাহ তাকে চক্ষুশীতলকারী সুসন্তান দান করেন।
এমন কি সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পরও ঈমান ও আমলের উপর অবিচল থাকার চেষ্টা করবেন। সেই সাথে সন্তানকে কল্যাণের পথে রাখার জন্য যথাযথ উপায় ও পদ্ধতি অবলম্বন করবেন।
তাহলে আল্লাহ তাআলা যদি কবুল করেন তাহলে তার সন্তান নেককার ও পিতা-মাতার চক্ষুশীতল কারী হবে।
নিশ্চয় একমাত্র আল্লাহই হেদায়েতের মালিক ও তাওফিক দানকারী।
উত্তর দিয়েছেন শাইখ Abdullahil Hadi

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ