Sunday, October 22, 2017

তসবীহ গুনতে “তসবীহ-দানা” বা মালা ব্যবহার করা কি বিদআত?

তসবীহ গুনতে তাসবীহ-মালা ব্যবহার করা কি বিদআত?


অনেকে বিদআত বলেছেন। তা না হলেও তা ব্যবহার না করাই উত্তম। কারণঃ
১। মহানবী (সঃ) আঙ্গুল দ্বারা তাসবীহ করেছেন এবং বলেছেন, “আঙ্গুলগুলোকে (তাঁর দ্বারা কৃত কর্মের ব্যপারে) জিজ্ঞাসা করা হবে, কথা বলানো হবে।৯৬ (আহমাদ ৬/৩৭১, আবূ দাঊদ ১৫০১, তিরমিযী ৩৫৮৩ নং)
সুতরাং কিয়ামতে আঙ্গুলগুলো তাসবীহ পড়ার সাক্ষ্য দেবে, মালা সাক্ষ্য দেবে না।
২। মালা ব্যবহার করে তাসবীহ পড়লে সাধারনতঃ
মনোযোগ ও একাগ্রতা বিচ্ছিন্ন হতে পারে। আঙ্গুল গুনলে তা হয় না।
৩। তাসবীহ-মালা ব্যবহার লোক-দেখানি বা ‘রিয়া’ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। রং-বেরঙের মালা ও তাঁর খটখট শব্দ মানুষের দৃষ্টি ও মন আকর্ষণ করে। আর আমলে ‘রিয়া’ ঢুকলে সওয়াবের জায়গায় শিরক ঘটে বসবে।
বলা বাহুল্য, তাসবীহ-দানার চাইতে আঙ্গুল গোনাই শরীয়তসম্মত। ৯৭ (ইবনে ঊষাইমীন)


তসবীহ গুনতে “তসবীহ-দানা” বা “তসবীহ-মালা” ব্যবহার করা বিদআত?


“তসবীহ-দানা” ব্যবহারকে বিদআত বলা হয় না। যেহেতু তা ইবাদতের একটু আসীলা। আর ইবাদাতের আসীলাকে বিদআত বলা হয় না। তবে তা সুন্নাহ পরিপন্থী। যেহেতু মহানবী (সঃ) ডান হাতের আঙ্গুল দ্বারা তসবীহ গুনেছেন। সুতরাং “তসবীহ-মালা” ব্যবহার না করাই উত্তম। এর আরও দুটি কারণ আছে। একঃ এতে তাসবীহকারী উদাস হয়ে থাকে। যেহেতু গোনা মালাতো গাঁথাই আছে। তাই খেয়াল থাকে না গণনায় এবং খেয়াল থাকেনা তাসবীহতে। দুইঃ এতে “রিয়া” বা লোকপ্রদর্শনের সম্ভবনা আছে অনেক। যেহেতু তাসবিহ-মালা দেখে লোকে তাঁর প্রশংসাই করবে। ১০৬( ইবা, ইউ)
অনেকে বলবেন, “ আঙ্গুল দ্বারা গণনার সংখ্যায় ভুল হতে পারে। মালা দ্বারা নির্ভুল গননা সম্ভব।” আমরা বলি, “গণনায় ভুল হলে সমস্যা কি? নিয়ত যখন ঠিক থাকে, তখন সওয়াবতো কমে যাবে না। বিশেষ করে আঙ্গুল যখন কিয়ামতে কথা বলে তসবীহকারীর জন্য সাক্ষ্য দেবে, ১০৭(আহমাদ ৬/৩৭১, আবূ দাঊদ ১৫০১, তিরমিযী ৩৫৮৩ নং)তখন তাতেই ফযীলত বেশী নয় কি?

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ