Sunday, October 22, 2017

কুরআন তিলাওয়াত শেষে “স্বাদাক্বাল্লাহুল আযীম” বলা কি শরীয়তসম্মত? তিলাওয়াত শেষে কুরআন চুম্বন করা কি বৈধ?

কুরআন তিলাওয়াত শেষে “স্বাদাক্বাল্লাহুল আযীম” বলা কি বিধেয়?


কুরআন তিলওয়াত শেষে “স্বাদাক্বাল্লাহুল আযীম” বলা বিধেয় নয়, বরং বিদআত। যেহেতু এ কাজ মহানবী (সঃ) তাঁর কোন সাহাবী অথবা তাঁদের পরবর্তী কোন ইমাম করে যাননি। অথচ তিনি ছিলেন অধিক অধিক কুরআন তিলাওয়াতকারী। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রঃ) বলেন, “একদা রাসুলুল্লাহ (সঃ) আমাকে বললেন,
“(হে ইবনে মাসঊদ!) আমাকে কুরআন পড়ে শুনাও।” আমি বললাম, “হে আল্লাহ্‌র রাসুল! আমি আপনাকে পড়ে শোনাব, অথচ আপনার উপরেই তা অবতীর্ণ করা হয়েছে?” তিনি বললেন, “অপরের মুখ থেকে (কুরআন পড়া) শুনতে আমি ভালবাসি।” সুতরাং তাঁর সামনে আমি সূরা নিসা পড়তে লাগলাম, পড়তে পড়তে যখন আমি এই (৪১ নং) আয়াতে পৌছলাম---যার অর্থ, “তখন তাঁদের কি অবস্থা হবে, যখন প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকেও তাঁদের সাক্ষীরূপে উপস্থিত করব?” তখন তিনি বললেন, “যথেষ্ট , এখন থাম।” অতঃপর আমি তাঁর দিকে ফিরে দেখি, তাঁর নয়ন যুগল অশ্রু ঝরাচ্ছে।১০৮ (বুখারী, মুসলিম) কই? এখানে তিনি “স্বাদাক্বাল্লাহুল আযীম” বলেননি।
মহান আল্লাহ বলেছেন, বল, “স্বাদাক্বাল্লাহ”। (আলে ইমরানঃ ৯৫) কিন্তু তিনি বলেননি যে,  কুরআন পড়া শেষ হলে “স্বাদাক্বাল্লাহ” বল। বলা বাহুল্য, কোন আম নির্দেশকে বিশেষ কাজের জন্য খাস করা শরয়ী নীতি নয়।১০৯ (ইবা, লাদা)


ক্বারীদের কুরআন তিলাওয়াত শেষে “স্বাদাক্বাল্লাহুল আযীম” পড়া কি শরীয়তসম্মত?


না। উপর্যুক্ত কারণে তা বিদআত। ১০০ (লাজনাহ দায়েমাহ)শরীয়তে এ কাজের কোন ভিত্তি নেই। একদা মহানবী (সঃ) ইবনে মাসঊদ (রঃ) এর নিকট ক্বিরাআত শুনলেন। পরিশেষে তিনি তাকে ‘হাসবুক’ বলে থামতে বললেন। ১০১ (বুখারী ৫০৫০ নং) তখন তিনিও “স্বাদাক্বাল্লাহুল আযীম” বলেননি এবং ইবনে মাসঊদও বলেননি।১০২ (ইবনে বায)

তিলাওয়াত শেষে কুরআন চুম্বন করা কি বৈধ?


একই কারণে এ কাজও বিদআত। ১০৩ (লাজনাহ দায়েমাহ)

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ