এরই নাম কি আধুনিকতা?

সমাজের আশে-পাশ থেকে শুরু
করে প্রতিটি শিরা-
উপশিরায় আজ অশ্লীলতার ছড়াছড়ি।
হাতে গনা কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশ টিনজ
যুবক-
যুবতীদের কম্পিউটার , মোবাইল
খুজলে পাওয়া যায় কুরুচী, অশ্লীলতায়
ভরা বিভিন্ন প্রামান্য চিত্র।
>> বন্ধু-বান্ধবদের আড্ডার মূল আকর্ষনই
হচ্ছে অশ্লীল প্রসঙ্গতা।

>> টিভির পর্দায় আছে শুধু অপসংস্কৃতির
ছোবলে অশ্লিলতার চর্চা যেমন গান-বাজনা,
যৌন প্রদর্শন, ছবি, হিন্দি সিরিয়াল
ইত্যাদি যার বিষে আসক্ত হচ্ছে পুরো পরিবার ,
এর নাম নাকি আদুনিকতা ?
>> অশ্লীলতাকে ভালবাসতে গিয়ে আজ কাপরের
অপব্যবহারে আসক্তি যার নাম আধুনিকতা।
যা কিনা ২/৫ ইন্ছি ছাড়া সবইপ্রকাশমান,
কাপরের এতই অভাব যে একট শরীর ডাকার
কাপর
ক্রয় করা টাকাও নেই, কিন্তু অবৈধ পথে হাজার
হাজার টাকা খরচ করতে বিবেকে খেলা করে না।
আবার অনেকে মশারীর মত পাতলা কাপর
পরিধান
করে রুপ-লাবন্য দেখাতে ব্যস্ত, অনেকে যৌন
উদ্দীপক ড্রেস, পারফিউমের ছোয়ায়, ইশারায়
মানুষের ধন্যবাদ, টার্গেটে ও
পরকীয়া ইনভাইটে ব্যস্ত। এর নাম
নাকি আধুনিকতা ?
>> ষ্টাইল করতে গিয়ে মুখের ভাষাকে বিকৃত
করে,
আনন্দ-উল্লাস করে,ফুর্তি করে এর নাম
নাকি আধুনিকতা?
>> সেলিব্রিটি , দিবসের নামে দেহ প্রদর্শন,
নাচ-গান এসবের আরেক নাম বুঝিআধুনিকতা??
আমাদের এই শিক্ষিত, সচেতনন সমাজ ক্ষুদ্র
দুনিয়ার সব কিছুতেই আজ বিজ্ঞ, জ্ঞানী অতচ
আসল জীবন পরকালের জন্য কি মজুদ, ত্যাগ
করতে হবে সে বেপারেএকদম অজ্ঞ, মুর্খ। নিজ
স্বার্থ, শয়তানকে খুশি করতে গিয়ে আজ
ধর্মকে অবজ্ঞা করতেছে, গালি দিচ্ছে, শিরক-
নাস্তিকতার পরিচয় দিচ্ছে। যেখানে আমার
ঈমান,আমল নেই সেখানে এত দেশপ্রেম আমার
দরকার নেই , আবার অনেকে নামাজ-আমল
করেও
আবার অশ্লীলতার সংস্কৃতি তথা প্রেমের
সাগরে সাঁতার কাটতেছে আর রাতের পর রাত
ফোন আলাপ তো আছেই , আহা কি সুন্দর
প্রেম-ভালবাসার আড়ালে স্বামী-স্ত্রীর
অধিকারের চর্চা, যখন ভোগ চাহিদা শেষ, কিছু
দিন পর ব্রেক আপ আবার সাথে সাথেই অন্য
গর্তে হানা এর নাম
আধুনিকতা নাকি অশ্লীলতা ??
প্রতিটা মানুষ অশ্লীলতা অর্জন না বর্জন
করবে তা প্রথমেই শিক্ষা পায় মা-
বাবা থেকে তারপর বন্ধু-বান্ধব তার পর সমাজ
বা রাষ্ট্র। অশ্লীলতার কুফল
বলতে গিয়ে প্রথমে বলি ঈমান ও আমল ধ্বংশ
করার মূল রাস্তা হচ্ছে এই অশ্লীলতা।
যা মানুষের পৌরলৌকিক জীবনকে ধ্বংশ করে।
তাই এটি একটি মস্ত বড় পাবের কাজ।
এটা সমাজের মূল শান্তি- শৃঙ্খলা নষ্ট করে ।
নিষ্পাপ ও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের চরিত্র
হনন করে যুবক – যুবতীদের কুকর্মের
প্রতি প্রলুব্ধ করে। তাই আল্লাহ
তাআলা অশ্লীলতাকে হারাম
ঘোষনা করে বলেনঃ নিশ্চয় , আমার
প্রতিপালক
নিষিদ্ধ করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা।
(সূরা আল আরাফঃ৩৩) |||
প্রকাশ্য কিংবা গোপন অশ্লীল আচরণের
নিকটেও যাবে না। ( সূরা – আনআমঃ১৫) |||
অশ্লীল আচরণকারী সকলের নিকট ঘৃণিত ও
নিন্দিত। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন— || যার
মধ্যে অশ্লীলতা আছে,তা তাকে ত্রুটিযুক্ত করে।
আর যার
মধ্যে লজ্জাশীলতা আছে তা তাকে সৌন্দর্যমণ্ড
করে। (তিরমিযী) |||
রাসূল (সঃ) আরও বলেনঃ প্রত্যেক অশ্লীল
আচরনকারীর জন্য জান্নাত হারাম (মুসলিম) ||
সর্বশেষে মহান আল্লাহর
আরেকটি বানী বলছিঃ |||
তারাই মুমিন , যারা গুরুতর পাপ ও অশ্লীল
কার্য
থেকে বেঁচে থাকে। (সূরা আশ-শূরাঃ৩৭) |||
সারকথা হচ্ছে ,, সবাই নিয়ত করি আগে নিজের
দেখা-অদেখা সব কুরআন-হাদিস
বিরোধী কুআমল
পরিত্যাগ করি ধীরে ধীরে তা নিজ
থেকে পরিবারের
তারপর সমাজ তারপর সমগ্র জাতির উপর
ছড়িয়ে ছিটিয়ে ইসলাম তথা ঈমানের সুমহান
দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করি |||