মাসাহ করার স্থান ও তার নিয়ম
শরীয়াতে মোজার উপর মাসাহ করার নিয়ম হলো, একবার মোজাদ্বয়ের উপর অংশে মাসাহ করতে হবে। নিচের অংশে নয়।
عَنْ عَلِيٍّ ؓ، قَالَ: لَوْ كَانَ الدِّينُ بِالرَّأْيِ لَكَانَ أَسْفَلُ الْخُفِّ أَوْلَى بِالْمَسْحِ مِنْ أَعْلَاهُ، وَقَد্ْরرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ يَمْسَحُ عَلَى ظَاهِرِ خُفَّيْهِগ্ধ
আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ধর্মের
মাপকাঠি যদি রায়ের (বিবেক-বিবেচনা) উপর নির্ভরশীল হত, তবে মোজার উপরের অংশে
মাসাহ না করে নিম্নাংশে মাসাহ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হত। হযরত আলী (রাঃ)
বলেন,
আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে তাঁর মোজার উপরের অংশে মাসাহ করতে দেখেছি।[1]
এটা সাওরী, আওযায়ী, আহমাদ, আবূ হানীফা ও তার অনুসারীদের অভিমত।[2] এই অভিমতটিই বিশুদ্ধ।
আর মালিক ও শাফেঈ (রা.) এর মতে[3],
মোজাদ্বয়ের উপরে ও নিচে উভয় অংশেই মাসাহ করতে হবে। তবে যদি শুধু উপর অংশে
মাসাহ করে তাহলে যথেষ্ট হবে। তারা মুগীরাহ বিন শুবা এর হাদীস দ্বারা প্রমাণ
দিয়ে থাকেন-
عَنِ الْمُغِيرَةِ:্রأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ تَوَضَّأَ، فَمَسَحَ أَسْفَلَ الْخُفِّ وَأَعْلَاهُগ্ধ
অর্থাৎ: ‘‘মুগিরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) একদা ওযূ করলেন। অতঃপর মোজার উপর ও নিচ অংশে মাসাহ করলেন’’।[4] এ হাদীসটি যঈফ। বরং মুগীরাহ থেকে বর্ণিত আছে:
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلّى الله عليه وسلم كَانَ يَمْسَحُ عَلَى ظَهْرِ الْخُفَّيْنِগ্ধ
অর্থাৎ: রাসূল (ﷺ) মোজার উপর অংশে মাসাহ করেছেন।[5]
সুতরাং শুধু মোজার উপর অংশ ছাড়া মাসাহ করা
যাবে না। আর যদি উপর অংশ ছাড়া শুধু নিচের অংশে মাসাহ করা হয় তাহলে মাসাহ
বৈধ হবে না। আল্লাহ্ ভাল জানেন।
No comments:
Post a Comment