একটি ভুল মাসআলা : সন্তানের আকীকার গোস্ত কি মা-বাবা খেতে পারবে না?
আকীকার গোস্ত বণ্টন নিয়ে কোথাও কোথাও বিভ্রান্তি দেখা যায়। অনেকের ধারণা, সন্তানের আকীকার গোস্ত মা-বাবা খেতে পারবে না। বরং আশেপাশের ঘর-বাড়ি এবং গরীব-মিসকীনের মাঝে বিলিয়ে দিতে হবে।
এ ধারণা ঠিক নয়। আকীকার গোস্ত সন্তানের মা-বাবা,পরিবার পরিজন,আত্নীয় স্বজন,প্রতিবেশী বা মিসকীন যে কেউ খেতে পারবে।
(দ্র.সুনানে বায়হাকী, খ.৯ পৃ. ৩০২;মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস ২৪৭৩৯,২৪৭৪৯; ইলাউস সুনান, খ.১৭ পৃ.১২৬; তুহফাতুল মাওদূদ পৃ. ৭৮)
এটি হাদীস নয় : শয়তান ঈদের দিন রোজা রাখে
কিছু মানুষের মুখে এটিকে হাদীস হিসেবে বলতে শোনা যায়। কিন্তু এটা কোনো হাদীসও নয়, কোনো হাদীসের ভাষ্যও নয়। ঈদের দিন রোযা রাখা নিষিদ্ধ সুতরাং ঈদের দিন রোজা রাখা একটি শয়তানী কাজ। সম্ভবত এখান থেকেই কেউ কেউ বলেছে, ঈদের দিন শয়তান রোজা রাখে। আর পরবর্তীতে কেউ সেটাকে হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছে।
একটি ভিত্তিহীন কথা : আলমে আরওয়াহের সিজদা
জনৈক ব্যক্তিকে বলতে শুনলাম আলমে আরওয়াহে (রূহের জগতে) নাকি আল্লাহ বান্দাদেরকে সিজদার নির্দেশ দেন। তখন যারা প্রথমে সিজদা করেছিল তারা দুনিয়াতে কাফের হবে। আর যারা মাঝখানে সিজদা করেছে তারা দুনিয়াতে মাঝামাঝি বা মধ্যপন্থী আর যারা শেষে সিজদা করেছে তারা প্রথমে কাফের হবে পরে ঈমানদার হয়ে জান্নাতী হবে।
এটি একেবারেই অলীক ও ভিত্তিহীন একটি কথা। কোন বিবেকবান মানুষ তা বলতে পারে না, বিশ্বাস করা তো দূরের কথা। আলমে আরওয়াহে আল্লাহ বান্দাদের সিজদা করতে বলেছেন এমন কথা কুরআন হাদীসের কোথাও নেই। সুতরাং এমনটি বলা বা বিশ্বাস করা কোনটিই ঠিক নয়।
হাঁ, আলমে আরওয়াহে আল্লাহ বান্দাদের থেকে স্বীকারোক্তি নিয়েছেন যার বর্ণনা কুরআন হাদীসে স্পষ্টভাবে এসেছে। সূরা আরাফের ১৭২ নং আয়াতে তা এসেছে-(অর্থ) স্মরণ কর, তোমার প্রতিপালক আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ হতে তার বংশধরকে বের করেন এবং তাদের নিজেদের সম্বন্ধে স্বীকারোক্তি গ্রহণ করেন এবং বলেন, ‘আমি কি তোমাদের প্রতিপালক নই?’ তারা বলে, ‘হাঁ অবশ্যই; আমরা সাক্ষী রইলাম’ …।
আর হাদীস শরীফেও এর বিস্তারিত বিবরণ এসেছে।
আল্লাহ আমাদের অবাস্তব কথা বলা ও তা বিশ্বাস করা থেকে হেফাজত করুন।
আরেকটি ভিত্তিহীন কথা : কিয়ামতের দিন কি নবীজী তিন স্থানে বেহুশ হবেন? (নাউযুবিল্লাহ)
মীযান, আমলনামা ও পুলসিরাতের ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে কাউকে বলতে শোনা গেছে, এই তিন স্থানে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত এই তিন স্থানে বেহুশ হয়ে যাবেন (নাউযুবিল্লাহ)।
এ কথার কোনোই ভিত্তি নেই। এ ধরণের কথা বলা মারাত্নক গুনাহের কাজ। বরং হাদীস শরীফে তো এসেছে, হযরত আনাস রা. বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে কিয়ামতের দিন আমার জন্য সুপারিশের আবেদন জানালাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (হ্যাঁ) আমি তোমার জন্য সুপারিশ করব। আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল! আমি (সেদিন) আপনাকে কোথায় খুঁজব। নবীজী বললেন, প্রথমে (পুল)সিরাতের কাছে খুঁজবে। বললাম, সেখানে যদি আপনার সাথে আমার সাক্ষাৎ না হয় তাহলে কোথায় খুঁজব? তিনি বললেন, তাহলে আমাকে মীযানের কাছে খুঁজবে। আমি বললাম, সেখানেও যদি আপনাকে না পাই? নবীজী বললেন, তাহলে হাউজের (হাউজে কাউসার) কাছে খুঁজবে। কারণ আমি সেদিন এই তিন স্থানের কোনো না কোনো স্থানে থাকবই।-জামে তিরমিযী, হাদীস : ২৪৩৩; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ১২৮২৫
এর চেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেহুশ হবেন না। হাশরের ময়দানে যখন আল্লাহ তাআলা কঠিন ক্রোধের অবস্থায় থাকবেন। মানুষ সুপারিশের জন্য বড় বড় নবীগণের কাছে যাবে, সকলে অপারগতা প্রকাশ করবেন। অবশেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসলে তিনি সুপারিশ করবেন (বিস্তারিত: জামে তিরমিযী, হাদীস : ২৪৩৪; সহীহ বুখারী, হাদীস : ৩৩৪০)
হ্যাঁ, একথা ঠিক যে, এ সকল স্থানে বান্দাদের অবস্থা অনেক নাজুক ও ভয়াবহ হবে। কিন্তু এ তিন স্থানে নবীজী বেহুশ হয়ে যাবেন এ কথা একেবারেই অবাস্তব।
আল্লাহ তাআলা আমাদের মনগড়া কথা বলা থেকে হেফাজত করুন।
একটি ভুল আমল : বরকতের জন্য সকালে গোলাপজল সন্ধ্যায় আগরবাতি
বিভিন্ন দোকানে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেখা যায় বরকতের জন্য সকালে গোলাপজল ছিটায় আর সন্ধ্যা হলে আগরবাতি জালায়।
গোলাপজল একটি সুগন্ধি পানি আর আগরবাতি একটি সুগন্ধি ধূপ। এর সাথে বরকতের কী সম্পর্ক? বরকত তো আসে আল্লাহর পক্ষ থেকে, তাঁর দেওয়া নেয়ামতের শুকরিয়া আদায়ের মাধ্যমে এবং তাঁর কাছে বরকতের দুআর মাধ্যমে। শুকরিয়া আদায় (যবানের মাধ্যমে ও আমলের মাধ্যমে) বরকত লাভের সবচেয়ে বড় উপায়।
আল্লাহ তাআলা আলকুরআনুল কারীমে বলেছেন (অর্থ) তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেছেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় কর তাহলে অবশ্যই আমি বাড়িয়ে দিব। … (ইব্রাহীম ১৪: ৭)
মুমিন বরকত কামনা করবে নেক আমলের মাধ্যমে ও সকাল সন্ধ্যা আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায়ের মাধ্যমে। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া শিখিয়েছেন-
اللهم ما أصبح بي من نعمة أو بأحد من خلقك، فمنك وحدك لا شريك لك، فلك الحمد ولك الشكر.
সন্ধ্যায় বলবে ما أمسى بي اللهم
অর্থ : হে আল্লাহ এই সকালে (বা এই সন্ধ্যায়) আমি অথবা আপনার যে কোন মাখলুক যত নেয়ামত ভোগ করছে সকল নেয়ামত কেবল আপনারই দান। আপনার কোন শরীক নেই। সুতরাং আপনারই প্রশংসা এবং আপনারই জন্য শোকরগোজারী।
সুতরাং আমরা দ্বীন অনুযায়ী চলার মাধ্যমে ও নেয়ামতের শুকরিয়া আদায়ের মাধ্যমে বরকত কামনা করব। কোন রসম-সর্বস্ব বিষয়ের মাধ্যমে নয়। ষ
এটি হাদীস নয় : আপনার জুতায় আরশ ধন্য হয়েছে
লোকমুখেমেরাজসম্পর্কেএকটিকথাপ্রসিদ্ধআছেযে,মেরাজরজনীতেরাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লামআরশেমুআল্লায়প্রবেশেরপূর্বে জুতাখুলতেচাইলেআল্লাহতাআলাইরশাদকরেন,
يا محمد! لا تخلع نعليك، فإن العرش يتشرف بقدومك متنعلا ويفتخر على غيره متبركا.
হেমুহাম্মাদ! আপনিজুতাখুলবেননা। (জুতানিয়েইআরোহনকরুন)কেননা, আপনারজুতানিয়েআগমনেআরশধন্যহবে।এটিবরকতলাভেরকারণেঅন্যেরউপরগর্ববোধকরবে।
কথাগুলোসাধারণমানুষেরমাঝেপ্রসিদ্ধতোআছেই,কোনকোনবক্তারমুখেওশোনাযায়।কিন্তুতাপ্রমাণিতনয়।সবগুলোইমনগড়াওবানানোকথা।
ইমামরযীউদ্দীনআল–কায্ভীনী (রহ.)কেজিজ্ঞেসকরাহয়েছিল,রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম–এরজুতানিয়েআরশগমনএবংআল্লাহতাআলারসম্বোধন (হেমুহাম্মাদ!আপনারজুতায়আরশধন্যহয়েছে) ইত্যাদিপ্রমাণিতকিনা।তিনিউত্তরেবলেছিলেন–
أما حديث وطئ النبي صلى الله عليه وسلم العرش بنعله فليس بصحيح ولا ثابت، بل وصوله إلى ذروة العرش لم يثبت في خبر صحيح ولا حسن ولا ثابت أصلا، إنما صح في الأخبار انتهاؤه إلى سدرة المنتهى فحسب.
জুতাপায়েরাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম–এরআরশগমনেরহাদীসপ্রমাণিতনয়।এমনকিকতিনি (খালিপায়ে)আরশেপৌঁছেছেনএমনকথাওকোননির্ভরযোগ্যসূত্রেবর্ণিতনেই।সহীহবর্ণনামতেতিনিশুধুসিদরাতুলমুনতাহাপর্যন্তগমনকরেছেন।–সুবুলুলহুদাওয়াররাশাদ–শরহুলমাওয়াহেব৮/২২৩
অপরএকমুহাদ্দিসেরভাষ্য–
আল্লাহতাআলাতাকেধ্বংসকরুন,যেবলেতিনিজুতানিয়েআরশেআরোহণকরেছেন।কতঔদ্ধত্য!কতবড়স্পর্ধা!! যিনিশিষ্টাচারীদেরসরদার,যিনিআরেফবিল্লাহগণেরমধ্যমণি, তাঁরব্যাপারেএমনকথা!তিনিআরোবলেনযে, রযীউদ্দীনআল–কাযভীনীরউত্তরইসঠিক।প্রায়চল্লিশজনসাহাবীথেকেসংক্ষিপ্তওবিস্তারিতভাবেরাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম–এরমেরাজতথাউর্ধ্বজগতেগমনেরঘটনাবর্ণিতআছে।এঁদেরকারোহাদীসেএকথাউল্লেখনেইযে, সেরাতেতাঁরপায়েজুতাছিল।একথাকতকগন্ডমূর্খকিসসা–কাহিনীকারদেরকাব্যেএসেছে। …কোননির্ভরযোগ্যসূত্রেবর্ণিতহাদীসেবাদুর্বলসূত্রেবর্ণিতহাদীসেওএকথানেইযে,তিনিআরশেআরোহনকরেছেন।এটিকারোবানানোকথা,এরপ্রতিভ্রুক্ষেপকরাযায়না।–শরহুলমাওয়াহেব৮/২২৩
আহমদইবনেমুহাম্মাদমাক্কারী (রহ.)স্বরচিতগ্রন্থফাতহুলমুতাআলফীমাদহিখাইরিননিআল–এউপরোক্তকথাটিকেজালবলেজানিয়েছেন।–আলআসারুলমারফুআ৩৭
আরোদ্রষ্টব্য : গায়াতুলমাকালফীমাইয়াতাআল্লাকুবিন্নিআল :আল্লামালাখনোভী (রহ.)
একটি ভুল কথা : খোদার পর বাবা-মা তারপর নবীজী!
একথাটিলোকমুখেআগেওশুনেছি।কিন্তুকদিনআগেযখনদেশেরবড়একজনলেখকেরলেখায়কথাটিদেখলামতখনভাবলামএটাআলকাউসারের‘প্রচলিতভুল’ বিভাগেআসাদরকার।
একথাসত্যযেআল্লাহতায়ালামা–বাবারহককেঅনেকগুরুত্বদিয়েছেনএবংমাবাবারসাথেসদাচরণসন্তানেরউপরআবশ্যককরেদিয়েছেন।এমনকিমা–বাবাযদিসন্তানকেকুফ্রীকরতেবলেতবুও।কুফরীরক্ষেত্রেতাদেরআনুগত্যকরবেনাকিন্তুএরপরওতাদেরসাথেসদাচরণকরবে।
আলকুরআনুলকারীমেআল্লাহরসাথেশিরকনাকরারআদেশেরসাথেসাথেইমাতাপিতারসাথেসদাচরণেরকথাএসেছে।আল্লাহতাআলাবলেন, (অর্থ) তোমারপ্রতিপালকআদেশদিয়েছেন,তিনিছাড়াঅন্যকারোইবাদতনাকরতেওপিতা–মাতারপ্রতিসদ্ব্যবহারকরতে …।সূরাবনীইসরাঈল : ২৩
কিন্তু ‘খোদারপরেবাবামাতারপরনবীজী’এজাতীয়কথাকুরআনহাদীসেরকোথাওনেই।হাদীসশরীফেনবীজীসাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লামস্পষ্টবলেছেন,তোমাদেরকেউততক্ষণপর্যন্তমুমিনহবেনাযতক্ষণআমিতারকাছেতারপিতা(মাতা) সন্তানএবংসকলমানুষেরচেয়েঅধিকপ্রিয়নাহব। (সহীহবুখারী,হাদীস১৫; সহীহমুসলিম, হাদীস : ৪৪)
বরংনবীজীসাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লামকেনিজেরপ্রাণেরচেয়েওবেশিভালবাসতেহবে।হাদীসশরীফেএসেছে, তোমরাকেউঐপর্যন্তমুমিনহবেনা,যেপর্যন্তআমিতারকাছেতারপ্রাণেরচেয়েওবেশিপ্রিয়নাহই।(মুসনাদেআহমাদ, হাদীস১৮০৪৭;সহীহবুখারী, হাদীস৬৬৩২)
আলকুরআনুলকারীমেআল্লাহতাআলাইরশাদকরেন, (অর্থ)নবীমুমিনদেরকাছেতাদেরপ্রাণঅপেক্ষাবেশিপ্রিয়…। (সূরাআলআহযাব, (৩৩):৬) আল্লাহআমাদেরদ্বীনেরসহীহসমঝনসীবকরুনএবংদ্বীনেরমেজাযবোঝারতাওফীকদানকরুন।আমীন।
একটি ভুল কথা : খোদার পর বাবা-মা তারপর নবীজী!
এ কথাটি লোকমুখে আগেও শুনেছি। কিন্তু কদিন আগে যখন দেশের বড় একজন লেখকের লেখায় কথাটি দেখলাম তখন ভাবলাম এটা আলকাউসারের ‘প্রচলিত ভুল’ বিভাগে আসা দরকার।
এ কথা সত্য যে আল্লাহ তায়ালা মা-বাবার হককে অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন এবং মা বাবার সাথে সদাচরণ সন্তানের উপর আবশ্যক করে দিয়েছেন। এমনকি মা-বাবা যদি সন্তানকে কুফ্রী করতে বলে তবুও। কুফরীর ক্ষেত্রে তাদের আনুগত্য করবে না কিন্তু এর পরও তাদের সাথে সদাচরণ করবে।
আলকুরআনুল কারীমে আল্লাহর সাথে শিরক না করার আদেশের সাথে সাথেই মাতা পিতার সাথে সদাচরণের কথা এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, (অর্থ) তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন, তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করতে ও পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে …। সূরা বনী ইসরাঈল : ২৩
কিন্তু ‘খোদার পরে বাবা মা তারপর নবীজী’ এ জাতীয় কথা কুরআন হাদীসের কোথাও নেই। হাদীস শরীফে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্ট বলেছেন, তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হবে না যতক্ষণ আমি তার কাছে তার পিতা (মাতা) সন্তান এবং সকল মানুষের চেয়ে অধিক প্রিয় না হব। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৪৪)
বরং নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিজের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসতে হবে। হাদীস শরীফে এসেছে, তোমরা কেউ ঐ পর্যন্ত মুমিন হবে না, যে পর্যন্ত আমি তার কাছে তার প্রাণের চেয়েও বেশি প্রিয় না হই। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৮০৪৭;সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৬৩২)
আলকুরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (অর্থ) নবী মুমিনদের কাছে তাদের প্রাণ অপেক্ষা বেশি প্রিয়…। (সূরা আল আহযাব, (৩৩):৬) আল্লাহ আমাদের দ্বীনের সহীহ সমঝ নসীব করুন এবং দ্বীনের মেজায বোঝার তাওফীক দান করুন। আমীন।
একটি ভুল ধারণা : গোঁফ স্পর্শ করা পানি পান করা কি হারাম?
অনেকমানুষেরধারণা,পানকরারসময়যদিপানিগোঁফস্পর্শকরেতাহলেসেইপানিপানকরাহারামহয়েযায়।এধারণাঠিকনয়।হাঁ,হাদীসশরীফেদাড়িলম্বাকরতেবলাহয়েছেআরগোঁফখাটোকরতেবলাহয়েছে।তাইদাড়িমুন্ডানোবাখাটোকরাগুনাহএবংমোচবড়করেরাখানা–জায়েয।
No comments:
Post a Comment