আমি স্বেচ্ছায় রমজান মাসে একদিন রোযা ভেঙ্গে ফেলেছিলাম। এখন ষাটজন মিসকীনকে খাওয়ানোর নিয়্যত করেছি। প্রশ্ন হচ্ছে-মিসকীনদেরকে কি একবারেই খাওয়ানো শর্ত, নাকি আমি প্রতিদিন তিন বা চারজন করে মিসকীন খাওয়াতে পারি? আমার পরিবারের সদস্যরা (যেমন আমার বাবা,মা ও ভাইয়েরা) যদি মিসকীন হয়ে থাকে আমি কি তাদেরকে খাওয়াতে পারি।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
সহবাস ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে যদি রমজানের
রোযা ভঙ্গ করা হয়ে থাকে, তবে সঠিক মতানুযায়ী এর কোন কাফফারা নেই। তবে
এক্ষেত্রে ওয়াজিব হল তওবা করা এবং
সেই দিনের রোযা কাযা করা। আর যদি সহবাসের
মাধ্যমে রোযা ভঙ্গ করা হয়ে থাকে তবে সে ক্ষেত্রে তওবা করতে হবে, সেই দিনের
রোযা কাযা করতে হবে এবং কাফফারা আদায় করতে হবে। রোযার কাফফারা হলো একজন
মুমিন দাস মুক্ত করা। যদি তা না পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে লাগাতর দুইমাস সিয়াম
পালন করতে হবে। আর সেটাও যদি তার পক্ষে সম্ভবপর না হয় তবে সে ব্যক্তি
ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াবে।
যদি সে ব্যক্তি পূর্বে উল্লেখিত দাসমুক্তি
ও সিয়াম পালনে অক্ষমতার কারণে মিসকীন খাওয়ায় তবে তাঁর জন্য মিসকীনদেরকে
একসাথে খাওয়ানো জায়েয। অথবা সাধ্যমত কয়েকবারে খাওয়ানোও জায়েয। তবে
মিসকীনদের সংখ্যা অবশ্যই ষাট পূর্ণ করতে হবে। এই কাফফারার খাবার বংশমূল
যেমন- বাবা,মা,দাদা,দাদী,নানা,নানী এদেরকে প্রদান করা জায়েয নয়। একইভাবে
যারা বংশধর (শাখা) যেমন ছেলেমেয়ে, ছেলেমেয়েদের ছেলেমেয়ে তাদেরকেও প্রদান
করা জায়েয নয়।
আল্লাহই তাওফিক দাতা। আল্লাহ আমদের নবী মুহাম্মাদ, তার পরিবারবর্গ ও সাহাবীগণের প্রতি রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন।” সমাপ্ত।
গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি
আশ-শাইখ ইবনে ‘আবদুল্লাহ ইবনে ‘আবদুল
‘আযীয বিন বায, আশ-শাইখ ‘আবদুল্লাহ ইবনে গুদাইইয়ান, আশ-শাইখ সালেহ আল
ফাওযান,আশ-শাইখ ‘আবদুল ‘আযীয আল আশ-শাইখ, আশ-শাইখ বাক্র আবু যাইদ।
ফাতাওয়াল লাজ্নাদ্ দায়িমা, দ্বিতীয় গ্রুপ (৯/২২১)
No comments:
Post a Comment