Monday, December 4, 2017

৬ প্রশ্ন: সেই ক্ষেত্রে কী বিধান হবে— যখন কোনো ক্রেতা এসে (কোনো দোকান থেকে) স্বর্ণের পণ্যদ্রব্য ক্রয় করে, অতঃপর শর্ত করে যে, যদি তা ভালো না হয়, তাহলে সে পরিবর্তন করার জন্য অথবা তার মূল্য ফেরত নেওয়ার জন্য তা দোকানে ফিরিয়ে দিবে? আর এ ধরনের পরিস্থিতিতে শরী‘য়তসম্মত পদ্ধতি কী হবে— যেখানে কোনো কোনো ব্যক্তি শহর থেকে অনেক দূরে অবস্থান করার কারণে তার পক্ষে ঐ দিনে অথবা দ্বিতীয় দিনে দোকানে পুনরায় ফিরে আসা অসম্ভব হয়ে উঠে?

ষষ্ঠ প্রশ্ন: সেই ক্ষেত্রে কী বিধান হবে— যখন কোনো ক্রেতা এসে (কোনো দোকান থেকে) স্বর্ণের পণ্যদ্রব্য ক্রয় করে, অতঃপর শর্ত করে যে, যদি তা ভালো না হয়, তাহলে সে পরিবর্তন করার জন্য অথবা তার মূল্য ফেরত নেওয়ার জন্য তা দোকানে ফিরিয়ে দিবে? আর এ ধরনের পরিস্থিতিতে শরী‘য়তসম্মত পদ্ধতি কী হবে— যেখানে কোনো কোনো ব্যক্তি শহর থেকে অনেক দূরে অবস্থান করার কারণে তার পক্ষে ঐ দিনে অথবা দ্বিতীয় দিনে দোকানে পুনরায় ফিরে আসা অসম্ভব হয়ে উঠে?


উত্তর: এইরূপ পরিস্থিতিতে তার জন্য সবচেয়ে উত্তম ও সুন্দর পদ্ধতি হল চুক্তি সম্পন্ন করার আগেই স্বর্ণের পণ্যদ্রব্য নিয়ে তার পরিবারের নিকট চলে যাওয়া; অতঃপর যদি তা পছন্দ হয়, তাহলে সে দোকানদারের নিকট ফিরে আসবে এবং তার সাথে নতুন করে ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন করবে, আর এটাই হল সবচেয়ে উত্তম।
তবে যখন সে দোকানদারের নিকট থেকে তা ক্রয় করে এবং চুক্তি সম্পন্ন করে, তারপর
সে তার জন্য ‘খিয়ার’ (পছন্দের স্বাধীনতা)-এর শর্ত করল, যদি তা তার পরিবারের পছন্দসই হয়, তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই; আর যদি পছন্দ না হয়, তাহলে তা ফেরত দিবে— তখন এ ব্যাপারে আলেমদের মাঝে মতবিরোধ দেখা যায়; তাঁদের কেউ কেউ এটাকে বৈধ মনে করেন এবং তার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয় মুসলিমগণ তাদের শর্ত অনুযায়ী কাজ-কারবার করবে’। আবার তাঁদের কেউ কেউ এটাকে অবৈধ মনে করেন এবং তার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, এটা এমন শর্ত যা হারামকে হালাল করে দেয়, আর তা হলো, চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পূর্বেই অনিবার্যভাবে (ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে) পৃথকীকরণ করা। প্রথম মতটি শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যার মত বলে সাধারণভাবে প্রতীয়মান হয়। পক্ষান্তরে দ্বিতীয় মতটি হাম্বলী মাযহাবের মত হিসেবে প্রসিদ্ধ। কারণ তাদের নিকট এমন প্রত্যেকটি চুক্তি, যার মধ্যে পারস্পরিক কবজাকরণ বা দখল নেয়ার শর্ত রয়েছে তাতে ‘খিয়ার’ (পছন্দের স্বাধীনতা)-এর শর্ত করা ঠিক নয়।
আর এর উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, যে ব্যক্তি নিজেকে নিরাপদ ও দায়মুক্ত রাখতে চাইবে সে যেন প্রথম পদ্ধতিটি অনুসরণ করে— অর্থাৎ সে তা গ্রহণ করবে এবং চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পূর্বেই তার ব্যাপারে পরামর্শ করবে।
* ‘চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে’ এর অর্থ কী?
অর্থাৎ সে তাদেরকে বন্ধক হিসেবে কিছু মুদ্রা প্রদান করবে অথবা তার পক্ষ থেকে এমন কোনো পণ্য হস্তান্তর করবে, যাতে তারা এর মাধ্যমে তাকে (সম্পদ ফেরৎপাওয়ার ব্যাপারে) বিশ্বাস করতে পারে,  এ অর্থে নয় যে, সে যা প্রদান করছে তা ঐ স্বর্ণের মূল্য, যা সে ক্রয় করতে যাচ্ছে।

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ