পঞ্চদশ প্রশ্ন: স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে চেকের মাধ্যমে লেনদেনের বিধান কী হবে, যখন চেকটি ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সঠিক ও যথাপোযুক্ত হবে; যেহেতু কোনো কোনো স্বর্ণের মালিক নিজের জীবনের ব্যাপারে আশংকার কারণে ও তার থেকে তার দিরহাম চুরি হয়ে যাওয়ার ভয়ে চেকের মাধ্যমে লেনদেন করে?
উত্তর: স্বর্ণ
অথবা রৌপ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে চেকের মাধ্যমে লেনদেন করা বৈধ নয়; আর
এটা এ জন্য যে, চেক গ্রহণের দ্বারা প্রকৃত অর্থে হস্তগত বা দখলকরণ হয় না,
বরং তা শুধু একটি নির্ভরযোগ্য বিনিময়পত্র মাত্র; এর যুক্তি হল, যে ব্যক্তি
চেক গ্রহণ করল তার নিকট থেকে যদি তা বিনষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সে তার দাবি
নিয়ে আবার ঐ ব্যক্তির নিকট ফিরে আসবে, যে তাকে তা দিয়েছে; আর অপরদিকে যদি
তা হস্তগত বা দখল বলে গণ্য হত, তাহলে
সে তার নিকট দাবি নিয়ে ফিরে আসত না।
এর বিবরণ হল, কোনো ব্যক্তি যদি দিরহামের
বিনিময়ে স্বর্ণ ক্রয় করে এবং বিক্রেতাকে দিরহাম প্রদান করে, আর বিক্রেতা তা
নিয়ে তার দোকানে চলে গেল, তারপর তার নিকট থেকে তা নষ্ট হয়ে গেল, তাহলে সে
ক্রেতার নিকট তার দাবি নিয়ে ফিরে যেতে পারবে না; পক্ষান্তরে যদি সে ক্রেতার
নিকট থেকে চেক গ্রহণ করে, তারপর ব্যাংক থেকে উত্তোলনের জন্য তা নিয়ে যায়,
তারপর তার নিকট থেকে তা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সে ক্রেতার নিকট তার স্বর্ণের
মূল্যের দাবি নিয়ে ফিরে যেতে পারবে; আর এটাই হল প্রমাণ যে, চেক মানে হস্তগত
বা দখল নয়; আর চেক যখন হস্তগত বা দখলকরণ বলে গণ্য হয় না, তখন ক্রয়-বিক্রয়ও
শুদ্ধ হবে না; কেননা, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বর্ণ ও রৌপ্য
নগদ মূল্যে বিক্রয় করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে চেক যখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে
সত্যায়িত হয় এবং ব্যাংকের সাথে বিক্রেতার কথাবার্তা অনুষ্ঠিত হয়, আর
বিক্রেতা ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বলে: আপনার নিকট আমার দিরহামগুলো আমানত হিসেবে
রেখে দিন, তখন এ ক্ষেত্রে হয়ত সে সুযোগ (চেকের মাধ্যমে লেন-দেন করার
অনুমতি) দেওয়া যেতে পারে। আর আল্লাহই সবচেয়ে বেশি জানে।
No comments:
Post a Comment