(৪৯১) ভুল ক্রমে অথবা অজ্ঞতা বশতঃ ইহরামের নিষিদ্ধ কোন কাজ করে ফেললে, তার বিধান কি?
ইহরামের
কাপড় পরিধান করার পর অন্তরে দৃঢ় ইচ্ছা করে ইহরাম না বেঁধে থাকে আর নিষিদ্ধ
কোন কাজ করে তবে কোন অসুবিধা নেই। কেননা নিয়ত করে ইহরামে প্রবেশ করাটাই
ধর্তব্য। ইহরামের কাপড় পরিধান করা মানেই ইহরাম বাঁধা নয়।
কিন্তু সঠিকভাবে নিয়ত করে ইহরামে প্রবেশ
করার পর যদি ভুলক্রমে বা অজ্ঞতা বশতঃ কোন নিষিদ্ধ কাজ করে ফেলে,
তবে কোন
কিছু দিতে হবে না। তবে স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে বা শিখিয়ে দেয়ার সাথে সাথে
অজ্ঞ ব্যক্তি উক্ত নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত হবে।
উদাহরণঃ ইহরাম করার পর ভুলক্রমে জামা পরে
নিয়েছে, তার কোন গুনাহ নেই। তবে মনে পড়ার সাথে সাথে তাকে উক্ত জামা খুলে
ফেলতে হবে। অনুরূপভাবে ভুলক্রমে সে পায়জামা খুলে নি। নিয়ত করে তালবিয়া পাঠ
করার পর মনে পড়েছে যে, পায়জামা তো খুলা হয় নি। তখন সাথে সাথে সে তা খুলে
ফেলবে।
কোন লোক সেলাই ছাড়া শুধু গিরা দিয়ে
তৈরীকৃত একটি গেঞ্জি পরিধান করে যদি মনে করে যে, ইহরামকারীর জন্য শুধু
সেলাইকৃত কাপড় পরা নিষেধ। তাই আমি ইহা পরিধান করেছি, তবে তার কোন গুনাহ হবে
না। কেননা সে অজ্ঞ। কিন্তু যখন তাকে জানানো হবে যে, শরীরের মাপে তৈরীকৃত
যাবতীয় পোষাক পরিধান করা নিষিদ্ধ তখন তা খুলে ফেলা তার জন্য আবশ্যক হবে।
এক্ষেত্রে মূলনীতি হচ্ছে, ইহরাম অবস্থায়
নিষিদ্ধ যাবতীয় কাজ যদি কোন মানুষ ভুলক্রমে বা অজ্ঞতা বশতঃ বা বাধ্যগত
অবস্থায় করে, তবে তার কোন গুনাহ হবে না। কেননা আল্লাহ্ বলেন, رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا
“হে আমাদের পালনকর্তা আমরা যদি ভুলে যাই বা ভুলক্রমে কোন কিছু করে ফেলি,
তবে আমাদের পাকড়াও করবেন না।” (সূরা বাক্বারাঃ ২৮৬) আল্লাহ্ বলেন, আমি তাই
করলাম। আল্লাহ্ আরো বলেন,
]وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ[
“ভুলক্রমে তোমরা যা করে ফেল সে সম্পর্কে
তোমাদের কোন গুনাহ্ নেই। কিন্তু তোমাদের অন্তর যার ইচ্ছা করে তার কথা
ভিন্ন।” (সূরা আহযাবঃ ৫) ইহরাম অবস্থায় বিশেষভাবে নিষিদ্ধকৃত পশু শিকার করা
সম্পর্কে আল্লাহ্ বলেন, وَمَنْ قَتَلَهُ مِنْكُمْ مُتَعَمِّدًا “যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে উহা (শিকার) হত্যা করে।” (সূরা মায়েদাঃ ৯৫)
ইহরামের নিষিদ্ধ কাজগুলো করার ক্ষেত্রে
কোন পার্থক্য নেই। সকল ক্ষেত্রে বিধান একই। যেমন, পোষাক পরিধান করা,
সুগন্ধি লাগানো প্রভৃতি অথবা শিকার হত্যা করা, চুল কেটে ফেলা প্রভৃতি।
আলেমদের মধ্যে কেউ পার্থক্য করে থাকেন। কিন্তু বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে কোন
পার্থক্য নেই। কেননা এই নিষিদ্ধ বিষয়গুলো ভুল বা অজ্ঞতা বা বাধ্যগত কারণে
মানুষ মা’যুর বা তার অপরাধ ক্ষমাযোগ্য।
হজ্জে ভুল হলে তার ফিদ্ইয়া কোথায় আদায় করতে হবে?
No comments:
Post a Comment