(৫৩৫) ওমরাকারীর জন্য বিদায়ী তওয়াফ করার বিধান কি?
ওমরাকারী
মক্কা আগমণ করার সময় যদি নিয়ত করে যে, তওয়াফ, সাঈ ও মাথা মুন্ডন তথা ওমরার
কার্যাদী সম্পন্ন করার সাথে সাথে ফেরত চলে যাবে, তবে তাকে বিদায়ী তওয়াফ
করতে হবেনা। কেননা তওয়াফে কুদূমই তার জন্য ওমরার তওয়াফ ও বিদায়ী তওয়াফ
হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু ওমরা সম্পন্ন করার পর যদি মক্কায় অবস্থান করে তবে
প্রাধান্যযোগ্য মত হচ্ছে, বিদায়ী তওয়াফ করা ওয়াজিব। একথার দীলল নিম্নরূপঃ
প্রথমতঃ নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ব্যাপক নির্দেশঃ
]لا يَنْفِرَنَّ أَحَدٌ حَتَّى يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِ بِالْبَيْتِ[
“সর্বশেষ কাজ বায়তুল্লাহ্র তওয়াফ না করে কেউ যেন বের না হয়।” এখানে أَحَدٌ
বা ‘কেউ’ শব্দটি অস্পষ্ট। যে কেউ বরে হলেই তার জন্য উক্ত নিষেধাজ্ঞা
কার্যকর হবে। অর্থাৎ- তওয়াফ না করে বের হবে না। সে হজ্জকারী হোক বা
ওমরাকারী।
দ্বিতীয়তঃ ওমরা হজ্জের মতই। কেননা নবী
(ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওমরাকে হজ্জ রূপে আখ্যা দিয়েছেন। আমর
বিন হাযম কর্তৃক প্রসিদ্ধ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) বলেন, “ওমরা হচ্ছে ছোট হজ্জ।” হাদীছটি মুরসাল। কিন্তু উলামাগণ
সাধারণভাবে হাদীছটি গ্রহণ করেছেন।
তৃতীয়তঃ নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেন, ক্বিয়ামত পর্যন্ত ওমরা হজ্জের মধ্যে শামিল হয়ে গেছে।
অর্থাৎ- হজ্জ করলে ওমরাও আদায় হয়ে গেল।
চতুর্থতঃ নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়ালা বিন উমাইয়াকে বলেন,
] وَاصْنَعْ فِي عُمْرَتِكَ كَمَا تَصْنَعُ فِي حَجَّتِكَ[
“হজ্জের মধ্যে যেভাবে কাজ করে থাক
ওমারাতেও সেভাবে করো।” যদি তুমি হজ্জে বিদায়ী তওয়াফ করে থাক, তবে ওমরাতেও
তা কর। তবে বিদ্বানদের ঐকমত্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উক্ত নির্দেশের বাইরে
থাকবেঃ আরাফা, মুযদালিফা ও মিনাতে অবস্থান ও কঙ্কর নিক্ষেপ। এগুলো ওমরাতে
শরীয়ত সম্মত নয়। তাছাড়া সতর্কতার জন্য এবং যিম্মা মুক্ত হওয়ার জন্য বিদায়ী
তওয়াফ করে নেয়াই উচিৎ।
No comments:
Post a Comment