(৫৩২) জনৈক ব্যক্তি ১২ তারিখে কঙ্কর না মেরেই মিনা ছেড়েছে এ ধারণায় যে, এটাই অনুমদিত তাড়াহুড়া। এবং বিদায়ী তওয়াফও করেনি। তার হজ্জের কি হবে?
তার
হজ্জ বিশুদ্ধ। কেননা সে হজ্জের কোন রুকন পরিত্যাগ করেনি। কিন্তু সে তিনটি
ওয়াজিব পরিত্যাগ করেছে- যদি ১২ তারিখের রাত মিনায় না কাটিয়ে থাকে।
প্রথম ওয়াজিবঃ ১২ তারিখের রাত মিনায় কাটানো।
দ্বিতীয় ওয়াজিবঃ ১২ তারিখে কঙ্কর নিক্ষেপ করা।
তৃতীয় ওয়াজিবঃ বিদায়ী তওয়াফ।
তার উপর আবশ্যক হচ্ছে প্রতিটি ছেড়ে দেয়া
ওয়াজিবের বিনিময়ে
একটি করে দম দেয়া। অর্থাৎ মোট তিনটি কুরবানী করে তা
মক্কার ফকীরদের মাঝে বিতরণ করে দেয়া। কেননা বিদ্বানদের মতে কেউ যদি হজ্জের
কোন ওয়াজিব পরিত্যাগ করে, তবে তার বিনিময়ে কুরবানী করে তা মক্কার ফকীরদের
মাঝে বিতরণ করতে হবে।
এ উপলক্ষে আমি হাজী সাহেবানদের সতর্ক করতে
চাই, প্রশ্নকারী যে রকম ভুল করেছে অধিকাংশ হাজী এরকমই বুঝে থাকে এবং
অনুরূপ ভুল করে থাকে। আল্লাহ্র বাণীঃ “যে ব্যক্তি দু’দিন থেকে তাড়াহুড়া
করে চলে যেতে চায়, তার কোন গুনাহ্ নেই।” তারা মনে করে এখানে দু’দিন বলতে
ঈদের দিন ও ১১তম দিনকে বুঝানো হয়েছে। তাই তারা ১১ তারিখে কঙ্কর মেরেই মিনা
ত্যাগ করে। কিন্তু বিষয়টি এরূপ নয়। এটা একটা মারাত্মক ভুল। কেননা আল্লাহ
বলেন,
] وَاذْكُرُوا اللَّهَ فِي أَيَّامٍ مَعْدُودَاتٍ فَمَنْ تَعَجَّلَ فِي يَوْمَيْنِ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ وَمَنْ تَأَخَّرَ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ [
“তোমরা নির্দিষ্ট কতিপয় দিনে আল্লাহর
যিকির কর। অতঃপর যে ব্যক্তি দু’দিন থাকার পর তাড়াহুড়া করে চলে যেতে চায়,
তার কোন গুনাহ্ নেই।” (সূরা বাক্বারাঃ ২০৩) এ আয়াতে নির্দিষ্ট সংখ্যক দিন
বলতে আইয়্যামে তাশরীকের দিন সমূহ (তথা জিলহজ্জের ১১, ১২ ও ১৩)কে বুঝানো
হয়েছে। আর আইয়ামে তাশরীকের প্রথম দিন হচ্ছে ১১ তারিখ। অতএব উক্ত আয়াতের
উদ্দেশ্য হচ্ছে, যে ব্যক্তি আইয়ামে তাশরীকের মধ্যে থেকে প্রথম দু’দিনে
তাড়াহুড়া করে চলে আসবে তার কোন গুনাহ্ নেই। আর উক্ত দু’দিনের দ্বিতীয় দিন
হচ্ছে ১২তম দিন।
সুতরাং প্রত্যেকের উচিৎ এ মাসআলাটি ভালভাবে অনুধাবন করা এবং ভুল সংশোধন করে নেয়া।
No comments:
Post a Comment