(৪৯২) জনৈক ব্যক্তি হজ্জ আদায় করার ক্ষেত্রে ভুলে লিপ্ত হয়েছে। ভুলের কাফ্ফারা দেয়ার জন্য তার কাছে তেমন কিছু ছিল না। সে দেশে ফেরত চলে গেছে। উক্ত কাফ্ফারা কি নিজ দেশে আদায় করা জায়েয হবে? নাকি মক্কাতেই পাঠাতে হবে? যদি মক্কাতেই পাঠাতে হয়, তবে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়া কি জায়েয হবে?
হজ্জ
পালনকারী কি ভুল করেছেন তা নির্দিষ্টভাবে অবশ্যই জানতে হবে। যদি কোন
ওয়াজিব পরিত্যাগ করে থাকে, তবে ফিদ্ইয়া হিসেবে মক্কাতে একটি কুরবানী করতে
হবে। মক্কা ছাড়া অন্য কোথাও প্রদান করলে জায়েয হবে না। কেননা তা হজ্জের
সাথে সম্পৃক্ত।
কিন্তু যদি ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কোন কাজ ইচ্ছাকৃতভাবে করে থাকে, তবে নিম্নলিখিত তিনটি পদ্ধতির যে কোন একটি অবলম্বন করতে পারেঃ
ক) একটি ছাগল যবেহ করে মক্কার হারাম এলাকার ফকীরদের মাঝে বন্টন করে দিবে। অথবা
খ) ছয়জন মিসকীনকে খাদ্য দিবে। প্রত্যেককে অর্ধ ছা’ (প্রায় সোয়া কেজী) পরিমাণ খাদ্য দিবে। আর তা মক্কায় হতে হবে অথবা যে স্থানে ঐ নিষিদ্ধ কাজ করা হয়েছে সেখানে। অথবা
গ) তিন দিন রোযা রাখবে। এই তিনটি রোযা মক্কা বা যে কোন স্থানে রাখতে পারে তবে নিষিদ্ধ কাজটি যদি হজ্জের প্রথম হালালের আগে স্ত্রী সহবাস হয়, তবে ওয়াজিব হচ্ছেঃ নিষিদ্ধ কাজে লিপ্ত হওয়ার স্থানে অথবা মক্কায় একটি উট যবেহ করবে এবং ফকীরদের মাঝে বিতরণ করে দিবে।
অথবা নিষিদ্ধ কাজটি যদি কোন প্রাণী শিকার
করা হয়, তবে ওয়াজিব হচ্ছেঃ তার অনুরূপ প্রাণী যবেহ করা অথবা ছয়জন মিসকীনকে
খাদ্য প্রদান করা বা তিনটি ছিয়াম পালন করা। ছিয়াম পালন যে কোন স্থানে করা
যায়। কিন্তু খাদ্য দান বা কুরবানী যবেহ করা অবশ্যই মক্কার হারাম এলাকার
মধ্যে হতে হবে। কেননা আল্লাহ্ বলেন, “কুরবানী কা’বা ঘর পর্যন্ত পৌঁছিয়ে
দিবে।” (সূরা মায়েদাঃ ৯৫)
অন্য মানুষকে দায়িত্ব দিয়ে উক্ত কাফ্ফারা
আদায় করা জায়েয আছে। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর
অবশিষ্ট কুরবানীগুলো যবেহ করার জন্য আলী (রাঃ) কে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
No comments:
Post a Comment