Sunday, December 3, 2017

ব্যাংক প্রতিষ্ঠা

ব্যাংক প্রতিষ্ঠা


মূলগত দিক থেকে ব্যাংক হল ‘জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানী’র নাম। ব্যাংক জনসাধারণকে তাদের অর্থ জমা ও গচ্ছিত রাখতে আহ বান জানায়; যাকে ইংরাজীতে ডিপোজিট্স (DEPOSITS) বলা হয়। এই ডিপোজিট কয়েক প্রকারের হয়ঃ-
১- কারেন্ট একাউন্ট (CURRENT ACCOUNT বা চলতি আমানত)। এই একাউন্টে জমা রাখা টাকার উপর সূদ পাওয়া যায় না। এতে গচ্ছিত টাকা যে সময়ে ও যে পরিমাণে ইচ্ছা বিনা বাধায় তুলতে পারা যায়।
 ২- সেভিং একাউন্ট (SAVING ACCOUNT বা সঞ্চয়ী খাতা)। এই একাউন্ট থেকে টাকা তোলার জন্য সাধারণতঃ
বিভিন্ন নিয়ম ও শর্তাবলী থাকে। এই খাতায় ব্যাংক সূদ প্রদান করে।
 ৩- ফিক্স্ড ডিপোজিট (FIXED DEPOSIT বা স্থায়ী আমানত)। এতে নির্দিষ্ট মেয়াদের পূর্বে টাকা তোলা যায় না। এই টাকার উপরও ব্যাংক সূদ দিয়ে থাকে। মেয়াদ অনুসারে হার নির্ণয় হয়। দীর্ঘ-মেয়াদের ক্ষেত্রে বেশী হারে এবং স্বল্প-মেয়াদের ক্ষেত্রে অল্প হারে সূদ পাওয়া যায়।
 উপর্যুক্ত তিন প্রকার ডিপোজিটের মাধ্যমে যখন ব্যাংকের নিকট পুঁজি জমা হয় এবং প্রাথমিকভাবে তার নিকট যে পুঁজি থাকে, তা একত্রীভূত হয় তখন ঐ সমস্ত পুঁজিকে ব্যবহার করার পদ্ধতি এই হয় যে, উক্ত পুঁজির একটি নির্দিষ্ট অংশ চলতি রূপে রিজার্ভ ব্যাংকে জমা করা জরুরী হয়। রিজার্ভ ব্যাংকে এ পুঁজি সাধারণতঃ এমন সরকারী তমসুক (GOVERNMENT SECURITIES) রূপে জমা থাকে, যা সহজেই নগদ টাকায় পরিণত করা সম্ভব হয় এবং তাতে কিছু সূদও পাওয়া যায়। এ ছাড়া ব্যাংক নিজের কাছেও কিছু চলতি অর্থ (LIQUID MONEY) রেখে নেয়; যাতে আমানতকারী (ডিপোজিটার)দের চাহিদাও পূরণ করতে পারে।

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ