Tuesday, May 1, 2018

আচ্ছা আমাদের জীবনে হতাশা এলে, মন খারাপ হলে,বিষন্নতায় ছেঁয়ে গেলে আমরা কি করি?

আচ্ছা আমাদের জীবনে হতাশা এলে, মন খারাপ হলে,বিষন্নতায় ছেঁয়ে গেলে আমরা কি করি? জীবনের নানা বাঁকে মুমীনের জীবনে হতাশ হবার মতো পরিস্থিতি প্রতি পদে পদেই আসতে পারে। দুঃখ -কষ্ট জীবনেই অংশ। এসব এলেই হতাশ হয়ে পড়া কোন মুমিনের লক্ষণ নয়। দুঃখ কষ্টের সময় মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেছেনঃ "মানুষকে যখন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে আমাকে ডাকতে শুরু করে, এরপর আমি যখন তাকে আমার পক্ষথেকে নেয়ামত দান করি, তখন সে বলে, এটা তো আমি পূর্বের জানা মতেই প্রাপ্ত হয়েছি। অথচ এটা এক পরীক্ষা, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বোঝে না।" -(সুরাআল জুমার, আয়াত: ৪৯) "আর যখন মানুষ কষ্টের সম্মুখীন হয়, শুয়ে বসে,
দাঁড়িয়েআমাকে ডাকতে থাকে। তারপর আমি যখন তা থেকে মুক্তকরে দেই, সে কষ্ট যখন চলে যায় তখন মনে হয় কখনো কোন কষ্টেরই সম্মুখীন হয়ে যেন আমাকে ডাকেইনি। এমনিভাবে মনঃপুত হয়েছে নির্ভয় লোকদের যা তারা করেছে।"- (সুরা ইউনুছ, আয়াত ১২) অথচ আল্লাহ তায়ালা সুরা মায়েদার ৭৪ নং আয়াতে বিপদ আপদে মানুষের করনীয় সম্পর্কে বলন- "তারা আল্লাহর কাছে তওবা করে না কেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে না কেন? আল্লাহ যে ক্ষমাশীল, দয়ালু।"- (সুরা ময়েদা, আয়াত ৭৪) "আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। কাজেই আমার হুকুম মান্য করা এবং আমার প্রতি নিঃসংশয়ে বিশ্বাস করা তাদের একান্ত কর্তব্য। যাতে তারা সৎপথে আসতে পারে। - (সুরা বাকারাহ, আয়াত ১৮৬) "এবং স্মরণ করুন আইয়্যুবের কথা, যখন তিনি তাঁর পালনকর্তাকে আহবান করে বলেছিলেনঃ আমি দুঃখকষ্টে পতিত হয়েছি এবং আপনি দয়াবানদের চাইতেও সর্বশ্রেষ্ট দয়াবান। "-(সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮৩) মেঘের আড়ালে যেমন সূর্যের অবস্থান সাময়িক ,রাতের পর যেমন দিন, ঠিক তেমনি দুঃখের পর আছে সুখ। কবির এই কাব্য আসলেই সত্যি, "মেঘ দেখে তুই করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে।" কাজেই পার্থিব কোন দুঃখে মুষড়ে পড়া কোন মুসলমানের সাজে না। দুনিয়াকে সাজানোই হয়েছে বিপদ -আপদ,দুঃখ-কষ্ট দ্বারা। এ পরীক্ষা গুলো খুব ক্ষণস্থায়ী, সাময়িক। "নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।" -(সুরা ইনশিরাহ, আয়াত ৬) মানুষ যত বড় পাপীই হোক না কেন সে তার রবকে ডাকার অধিকার হারায় না। পাহাড়সম পাপ করলেও আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দেন।আমরা যত পাপীই হই আর যতদুঃখ কষ্টের মধ্যেই থাকি না কেন, আল্লাহকে স্মরন করব, কারন আল্লাহ ওয়াদা করেছেন, তিনি নিশ্চয়ই আপনার ডাকেসাড়া দেবেন। "তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে লাঞ্ছিত হয়ে।"- (সুরা আল মুমিন, আয়াত ৬০) দুনিয়া যখন আপনার জন্য কঠিন,অসহ্য মনে হবে যখন মনে হবে আপনি আর পারছেন না তখন জান্নাতের কথা স্মরণ করুন। জান্নাতে কোন দুঃখ -কষ্ট নেই, মন খারাপের কোন গল্প নেই। শুধু সুখ আর সুখ, শান্তি আর শান্তি! দুনিয়ার এ অল্প কয়দিন কোন না কোন ভাবে নিশ্চয়ই কেটে যাবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা আমাদের আল্টিমেট গোল জান্নাত। আমরা যেন জান্নাতের জন্য বাঁচি। আমরা যেন সেদিনের জন্য বাঁচি যেদিন আমাদের রব আমাদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে হয়ে বলবেনঃ "হে প্রশান্ত আত্মা! তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে। অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও। এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।"[ সুরা ফজরঃ২৭-৩০] কপি পোষ্ট

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ