হারাম দৃশ্য,অশ্লীল ভিডিও,আইটেম সং দেখছেন আর ভাবছেন আল্লাহ তো আমাকে কোন শাস্তি দিচ্ছেন না! কিন্তু

হারাম দৃশ্য,অশ্লীল ভিডিও,আইটেম সং দেখছেন আর ভাবছেন আল্লাহ তো আমাকে কোন শাস্তি দিচ্ছেন না! কিন্তু আপনি ভাবতেও পারবেন না ভিতরে ভিতরে আপনার মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা,পেরেশানি আর অপারাধবোধ কাজ করবে যা আপনাকে প্রতি মূহুর্তে তাড়িয়ে বেড়াবে! অন্তর থেকে সুকুন চলে যাবে। কখন যে মনের প্রশান্তি হারাবেন টের ও পাবেন না। হারাম ইনকাম করছেন আর দিব্যি পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে সংসার করে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন! ভাবছেন আল্লাহর নিয়ামত,তিনি হয়তো করুণা করছেন আমার প্রতি! দেরিতে হলেও এক সময় এটা উপলদ্ধি করবেন কেমন জানি ইবাদতে আগের মত আর মনোযোগ আসছেনা।সালাতে খুশু-খুযু আসছেন না আগের মত। যে আপনি কখনো তাহাজ্জুদ মিস দিতেন না সেই আপনারই এখন ফজরে উঠতেও কষ্ট হয়! অন্যের নামে অবাধে গীবত করে এক ধরনের পৈশাচিক আনন্দ পাচ্ছেন! কিন্তু আপনি টের ও পাবেন না নিজের অজান্তেই কখন যে অন্তরটা পাথর কঠিন হয়ে গেছে! যে আপনি আগে আল্লাহর কাছে হাত তুললেই চোখ বেয়ে অশ্রুর বন্যা বইতো সে আপনি এখন জোর করে ও আল্লাহর ভয়ে চোখ থেকে এক ফোঁটা পানি ফেলতে পারছেন না। এর চাইতে বড় শাস্তি বান্দার জন্য আর কি হতে পারে, বান্দা তার মালিকের ভয়ে চোখ থেকে দুফোটা অশ্রু ফেলতে পারছেনা?
সারাদিন হাসি-ঠাট্টা করছেন, ফেসবুকে অহেতুক মজা নিচ্ছেন আর গায়রে মাহরামদের সাথে অবাধে চ্যাট করছেন? আর ভাবছেন এসব হাঁসি-তামাশা করতে তো আর ইসলাম নিষেধ করেনাই; স্রেফ জায়েজ জিনিস ! কিন্তু কখন যে নিজের মধ্যে থাকা উম্মাহর জন্য ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্বববোধ আর গাইরাত হারিয়ে গেছে বুঝতেই পারবেন না। যে আপনি নির্যাতিত উম্মাহর দৃশ্য দেখে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হতো,দুচোখ বেয়ে অশ্রু নামত সেই আপনার উম্মাহর জন্য ফিকির যে কোথায় হারিয়েই গেল বুঝতে ও পারবেন না। আর দিব্যি ক্রিকেট-ফুটবল ম্যাচ দেখে বেড়াচ্ছেন আপনার কাছে এটা কোন পাপই মনে হয় না! পাপের প্রভাব অনেক গভীরে পড়ে। পাপ করলেই হঠাৎ করে আপনার জীবনে প্রভাব পড়বে ব্যাপারটা এমন না। পাপের প্রভাব ধীরে ধীরে এবং অনেক গভীরে পড়ে। পাপ করার ফলে ধীরে ধীরে আপনার সময়ে বারাকাহ কমে যাবে। ধৈর্য্য কমে যাবে। মেজাজ খিটখিটে হবে। অল্পতে রেগে যাবেন। আত্মার প্রশান্তি থেকে বঞ্চিত হবেন। এক সময় দেখবেন চাইলেও আপনি ওই পাপাগুলো থেকে বেঁচে থাকতে পারছেন না। আর আমাদের সালাফরা বলেন পাপের সাগরে ডুবে থাকা অবস্থায় থেকে ও যদি আপনার জীবনে আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত বেড়ে যায় তবে বুঝে নিবেন ধ্বংস আপনার অতি সন্নিকটে।