Tuesday, May 1, 2018

হয়েছে হয়েছে! নিজে আগে কি ছিলে মনে আছে?" -- হুহ !

হয়েছে হয়েছে! নিজে আগে কি ছিলে মনে আছে?" -- হুহ ! পর্দা শিখাতে আসছে কদিন আগে নিজেই বের্পদা চলাফেরা করতো ! -- "হাহাহা ! গার্লফ্রেন্ড নিয়া এখানে সেখানে কতো ঘুরছিস এখন নতুন ফতোয়া দিচ্ছিস →প্রেম হারাম!" -- "কত পাপ কাজ করলি জীবনে এখন এটা হারাম ওটা হালাল করিস কেন ?তুই কি একাই মুসলিম !" নতুন করে দ্বীনের পথে আসা ,হেদায়েত পাওয়া মানুষের কাছে এসব খোঁচা কথা , অতীতের গুনাহের কথা বলে পেইন দেয়ার মত পেইনফুল জিনিস দ্বিতীয়টি নেই ! নিজে হয়তো ইসলাম ঠিকমতো মানতে পারছেন না তাই বলে দ্বীনের পথে আসা একজনকে খোঁচা দেয়া , অতীতের দোষ মনে করিয়ে দিয়ে আসলেই কি ভাল কাজ করছি আমরা ? পরিবার থেকে শুরু করে আত্মীয়, বন্ধু বান্ধবসহ এই কাজটা অনেকেই করে থাকে! একটা মেয়ে /ছেলে আল্লাহর কাছে আসতে কতো স্ট্রাগল করতে হয়, কত বাধা পেরোতে হয় , কত পছন্দের জিনিসগুলো ত্যাগ করতে হয় সেটা আল্লাহই ভাল জানেন ! হুট করে একটা মেয়ে দুনিয়াবী ফ্যাশন-স্টাইলের ভীড়ে নিজেকে কালো বোরখায় আপাদমস্তক জড়িয়ে নেয়,!!! বন্ধুমহলের মর্ডান হ্যান্ডসাম হিসেবে পরিচিত ছেলেটি হঠাৎ করেই সুন্নাতী দাঁড়ি আর লেবাসকে ভালবাসতে শুরু করে। হঠাৎ করেই ৪/৫ বছরের পুরনো প্রেমের সম্পর্ক মেয়েটি শেষ করে দেয়! গানের মধ্যে ডুবে থাকা ছেলেটি গান-বাজনা ছেড়ে কোরআনের মধ্যে শান্তি খুঁজে বেড়ায়........................... এতকিছু,
এত 'পরিবর্তন, নিজের কামনা- বাসনাকে মাটি চাপা দেয় তারা কিসের জন্য!!? কার জন্য? দুনিয়াবি কোন পুরস্কারে আশায়? মানুষের বাহবা পাওয়ার, জন্য??? এটাই যদি কারন হতো তাহলে তা অন্যভাবেও সম্ভব হতো! কাউকে উৎসাহ দিতে না- ই পারলেন না সেটা দোষের না,, কিন্তুু আল্লাহর পথে চলতে শুরু করা মানুষগুলোকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য বা তার অতীত নিয়ে খোঁটা দিচ্ছেন?? নিন্দা করার আগে এভাবে ভাবুন “যখন কোনো শিশুকে দেখ, তখন বলবে–এই শিশু আল্লাহর কোন নাফরমানী করে নাই; কিন্তু আমি করেছি, অতএব, সে আমার চেয়ে ভাল। কোন বয়ঃবৃদ্ধ লোককে দেখে বলবে–এই ব্যক্তি আমার আগে থেকেই আল্লাহর বন্দেগী করে আসছে, অতএব, সে অবশ্যই আমার চেয়ে ভাল। যদি কোনো আলেম ব্যক্তিকে দেখ, তাহলে বলবে–সে যা কিছু পেয়েছে, আমি তা পাই নাই; সে যে মর্যাদায় পৌঁছেছে, আমি সেখানে পৌঁছাতে পারি নাই; সে বিদ্বান, আমি মূর্খ; তাহলে কি করে আমি তাঁর সমকক্ষ হতে পারি? যদি সে মূর্খ হয়, তাহলে বলবে–এই লোকটি না-ফরমানী করে থাকলে অজ্ঞতাবশতঃ করেছে, আর আমি আল্লাহর না-ফরমানী করেছি জেনে শুনে, সুতরাং আল্লাহর শাস্তি আমার ক্ষেত্রে অধিকতর প্রযোজ্য; আমি জানিনা, শেষ পরিণতি কার ভাল হয়; আমারই না তার। যদি তুমি কোন কাফির ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টিপাত কর, তাহলে বল; আমি জানিনা, হয়তো বা সে মুসলমান হয়ে যাবে এবং তার জীবনাবসান নেক আমলের মধ্য দিয়ে হবে এবং ইসলাম গ্রহণের ওসীলায় তার সকল পূর্ব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে… আর আমি–আল্লাহ না করুন–গোমরাহ হয়ে যেতে পারি, যার ফলে কুফর-শিরক ও পাপে লিপ্ত হয়ে আমার মৃত্যু হতে পারে; সুতরাং পরিণামে সে হয়তঃ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করবে আর আমি শাস্তি ভোগকারীদের দলভুক্ত হয়ে যাব। আল্লাহ হয়তো তার পিছনের গুনাহ মাফ করে দিয়ে তাকে পবিত্র- ই করে দিয়েছেন মানুষকে নিন্দা করার আগে অব্যশই ভেবে দেখবেন আপনি নিজে কতটা ভাল।

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ