Tuesday, May 1, 2018

কোন কোন গোনাহ তওবা করার পরেও ক্ষমা হয়না?

কোন কোন গোনাহ তওবা করার পরেও ক্ষমা হয়না?
-
*আপনি কি কাউকে গালি দিয়েছেন?
* কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন?
*কারো মাল অন্যায়ভাবে ভোগ করেছেন?
*কাউকে মেরেছেন?
*কাউকে হত্যা করেছেন?..
*কাউকে যেকোন উপায়ে অপমান-অপদস্থ কিংবা মানহানী করেছেন?
*কারো সাথে কোন প্রকার যুলুম(অত্যচার) করেছেন বা যেকোনভাবে ঠকিয়েছেন?
* বান্দার কোন হক নষ্ট করছেন?
...
যদি করে থাকেন তাহলে আজই তার কাছে যেকোন উপায়ে ক্ষমা চেয়ে নিন এবং পাওনাদারের পাওনা বুঝিয়ে দিন।
অন্যথায় হাজার তওবা করার পরেও তা ক্ষমা হবেনা এবং নিমোক্ত হাদিস অনুযায়ী আপনার এত কষ্টার্জিত আমল তাকে দিয়ে দিতে হবে ও তার গুনাহ আপনার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। পরিশেষে আপনাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে ..
.
★আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
তোমরা কি বলতে পার, নিস্ব কে? তারা বললেন, আমাদের মধ্যে যার দিরহাম (টাকা কড়ি) ও ধন-সম্পদ নেই সেই তো নিস্ব। তখন তিনি বললেনঃ আমার উম্মাতের মধ্যে সেই প্রকৃত নিস্ব, যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন সালাত, সাওম ও যাকাত নিয়ে আসবে; অথচ সে এই অবস্হায় আসবে যে, একে গালি দিয়েছে- একে অপবাদ দিয়েছে, এর সম্পদ ভোগ করেছে, একে হত্যা করেছে ও একে মেরেছে। এরপর একে তার নেক আমল থেকে দেওয়া হবে, একে নেক আমল থেকে দেওয়া হবে। এরপর পাওনাদারের হক তার নেক আমল থেকে পূরণ করা না গেলে ঝণের বিনিময়ে তাদের পাপের একাংশ তার প্রতিনিক্ষেপ করা হবে। এরপর সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।
(সহিহ মুসলিম:৬৩৪৩)
.
★আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রম হানী বা অন্য কোন বিষয়ে জুলুমের জন্য দায় থাকে, সে যেন আজই তার কাছ থেকে মাফ করায়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোনো দ্বীনার বা দিরহাম থাকবেনা। সে দিন তার কোনো সৎকর্ম থাকলে তার জুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট থেকে নেওয়া হবে আর তার কোনো সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ থেকে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত করা হবে
(সহিহ বুখারি :২২৮৭,ইফা, সহিহ মুসলিম: ৬৩৪৩)

"মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস
না করে। কেননা, সে উপহাসকারী
অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন
নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না
করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী
অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা
একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো
না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো
না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের
মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন
কাজ থেকে তওবা না করে তারাই
যালেম। [সূরা হুজরাত-১১]

আর আল্লাহ তার বান্দার প্রতি অনেক মেহেরবান, যদি তার কোন কাফের বান্দা মজলুম হয়ে তার কাছে কোন দোয়া করে তবে তিনি তা কবুল করেন, এটা জানার পরও কি মানুষকে উপহাস করবেন?
...
সুতারং যদি নিজের কষ্ট অর্জিত আমল অন্যকে দিতে এবং অন্যের গুনাহ নিজের উপর চাপিয়ে জাহান্নামে না যেতে চান তাহলে আজই তাদের কাছে যেকোন উপায়ে ক্ষমা চেয়ে নিন এবং যাদেরকে আপনি যেকোনভাবে হোক ঠকিয়েছেন বা অন্যের হক নষ্ট করেছেন তাকে আজই তার পাওনা বুঝিয়ে দিন কিংবা মাফ করিয়ে নিন!!

কারো গীবত করে থাকলে বা কারো প্রতি অন্যায় জুলুম করলে তার জন্য কি দুয়া।করবেন?

রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«اللَّهُمَّ فَأَيُّمَا مُؤْمِنٍ سَبَبْتُهُ فَاجْعَلْ ذَلِكَ لَهُ قُرْبَةً إِلَيْكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ».

(আল্লা-হুম্মা ফাআইয়্যূমা মু’মিনিন্ সাবাবতুহু ফাজ্‘আল যা-লিকা লাহু কুরবাতান ইলাইকা ইয়াউমাল ক্বিয়া-মাতি)।

“হে আল্লাহ! যে মুমিনকেই আমি গালি দিয়েছি, তা তার জন্য কিয়ামতের দিন আপনার নৈকট্যের মাধ্যম করে দিন।”

( বুখারী (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১৭১, নং ৬৩৬১;
মুসলিম ৪/২০০৭, নং ৩৯৬,
আর তার শব্দ হচ্ছে, “ফাজ‘আলহা লাহূ যাকাতান ও রাহমাতান”। অর্থাৎ ‘সেটা তার জন্য পবিত্রতা ও রহমত বানিয়ে দিন।)

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ