Sunday, December 31, 2017

মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান ও বৈশিষ্ট্য (১ম পর্ব)

মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান ও বৈশিষ্ট্য (প্রথম পর্ব)


মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান (১ম পর্ব)
Download as PDF
১ম পর্ব | ২য় পর্ব
সূচীপত্র
১ ভূমিকা
২ প্রথম পরিচ্ছেদ: সাধারণ বিধান
৩ ইসলাম পূর্ব নারীর মর্যাদা
৪ ইসলামে নারীর মর্যাদা
৫ ইসলামের শত্রু ও তার দোসররা নারীর ইজ্জত হরণ করে
কী চায়?
৬ কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে ঘরের বাইরে নারীর কাজ করা বৈধ
৭ দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: নারীর শারীরিক সৌন্দর্য গ্রহণ
করার বিধান

মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান ও বৈশিষ্ট্য (২য় পর্ব)

মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান ও বৈশিষ্ট্য (দ্বীতিয় পর্ব)


নারীদের সালাত সংক্রান্ত বিশেষ হুকুম
হে মুসলিম নারী, সালাতের সকল শর্ত, রুকন ও
ওয়াজিবসহ উত্তম সময়ে সালাত আদায় কর। আল্লাহ
তা‘আলা মুমিনদের মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেন:
﴿ﻭَﺃَﻗِﻤۡﻦَ ﭐﻟﺼَّﻠَﻮٰﺓَ ﻭَﺀَﺍﺗِﻴﻦَ ﭐﻟﺰَّﻛَﻮٰﺓَ ﻭَﺃَﻃِﻌۡﻦَ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟَﻪُ﴾ ‏[ﺍﻻﺣﺰﺍﺏ :
٣٣‏]
“আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর
এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য কর”। [সূরা আল-
আহযাব, আয়াত: ৩৩]
এ নির্দেশ সকল মুসলিম নারীর জন্য সমানভাবে

মাতৃগর্ভে কি আছে তা আল্লাহই ভাল জানেন।

মাতৃগর্ভে কি আছে তা আল্লাহই ভাল জানেন
প্রশ্নঃ- বর্তমান কালের ডাক্তারগণ মাতৃগর্ভে পুত্র
সন্তান আছে না কন্যা সন্তান বলে দিতে পারে। আর
কুরআনে আছে,অর্থঃ “মাতৃগর্ভে কি আছে তা
আল্লাহই জানেন।” ইবনে জারীর মুজাহিদ থেকে
বর্ণনা করেন যে, একজন লোক নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞাসা করল, আমার স্ত্রী
কি সন্তান প্রসব করবে? তখন উক্ত আয়াত নাযিল হয়।
কাতাদা থেকেও অনুরূপ তাফসীর বর্ণিত আছে।
আল্লাহর বাণী, “গর্ভে যা আছে” এ কথাটি ব্যাপক। এ

মহিলাদের স্রাব ও প্রসূতি অবস্থার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৬০টি প্রশ্ন

মহিলাদের স্রাব ও প্রসূতি অবস্থার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৬০টি প্রশ্ন

بسم الله الرحمن الرحيم
ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। দরূদ এবং সালাম বর্ষিত হোক রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), তাঁর পরিবার-পরিজন, ছাহাবীবর্গ এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত তাঁর পথের পথিকদের উপর।
হে মুসলিম বোন! ইবাদতের ক্ষেত্রে মহিলাদের ঋতুস্রাবের বিধিবিধান সংক্রান্ত নানাবিধ প্রশ্ন আলেম সমাজের নিকট উপস্থাপিত হয়। বিধায় আমরা এ সংক্রান্ত বারংবার পেশকৃত প্রশ্নাবলী একত্রিত করার কথা ভেবেছি। আর সংক্ষিপ্ত করার মানসে প্রশ্নগুলোকে বেশী বিস্তারিত করা হয়নি।
মুসলিম বোন! ইসলামী শরীআতে ফিক্বহ-এর অপরিসীম গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে প্রশ্নগুলোকে আমরা একত্রিত করেছি, যাতে সেগুলো সর্বদা আপনার হাতের নাগালে থাকে এবং জাগ্রত জ্ঞান সহকারে আপনি আল্লাহর ইবাদত করতে পারেন।
দৃষ্টি আকর্ষণঃ

মহিলাদের কৃত্রিম রূপচর্চার পরকালীণ ভয়াবহতা!

মহিলাদের কৃত্রিম রূপচর্চা

নকল চুল বা পরচুলা লাগানো, উলকি উৎকীর্ণ করা [চামড়ায় ছুঁচ ফুটিয়ে দিয়ে তাতে রং ঢেলে নক্সা আঁকা বা নাম লেখা] সৌন্দর্যের জন্য দাঁত ঘষে সরু করা বা দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করা নিষিদ্ধ।  আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿  অর্থাৎ তাঁর [আল্লাহর] পরিবর্তে তারা কেবল দেবীদের পূজা করে এবং তারা কেবল বিদ্রোহী শয়তানের পূজা করে। আল্লাহ তাকে [শয়তানকে] অভিসম্পাত করেছেন এবং সে [শয়তান] বলেছে, ‘আমি তোমার দাসদের এক নির্দিষ্ট অংশকে [নিজের দলে] গ্রহণ করবই এবং তাদেরকে পথভ্রষ্ট করবই; তাদের হৃদয়ে মিথ্যা বাসনার সৃষ্টি করবই, আমি তাদেরকে নিশ্চয় নির্দেশ দেব, ফলে তারা পশুর কর্ণচ্ছেদ করবেই এবং তাদেরকে নিশ্চয় নির্দেশ দেব, ফলে

যিকিরের_ফযিলত_মর্যাদা_ইহকালীন_ও_পরকালীন_শান্তি।

আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ""আমি কি তোমাদের আমলসমূহের সর্বোত্তমটি সম্পর্কে তোমাদের কে অবহিত করবো না, যা তোমাদের প্রভুর নিকট সর্বাধিক প্রিয়, তোমাদের মর্যাদাকে অধিক উন্নীতকারী, তোমাদের সোনা-রূপা দান করার চেয়ে এবং যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে তোমাদের শক্রুদের হত্যা করা এবং তোমাদের নিহত হওয়ার চেয়ে উত্তম? সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সেটি কী? তিনি বলেনঃ আল্লাহর যিকির। মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) বলেন, কোন মানুষের জন্য আল্লাহর যিকিরের চেয়ে উত্তম কোন আমল নাই, যা তাকে মহামহিম আল্লাহর শাস্তি থেকে রেহাই দিতে পারে।

Friday, December 29, 2017

মহিলা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া


১) প্রশ্নঃ পরবর্তী রামাযানের পর পর্যন্ত দেরী করে ক্বাযা ছিয়াম আদায় করার হুকুম কি?
উঃ যে ব্যক্তি রামাযান মাসে সফর বা অসুস্থতা বা এরকম কোন কারণে ছিয়াম ক্বাযা করবে, তার উপর আবশ্যক হল পরবর্তী রামাযান আসার আগেই উক্ত ছিয়াম আদায় করে নেয়া। কেননা দু রামাযানের মাঝে আল্লাহ্ তা’আলা অনেক প্রশস্থ সময় দিয়েছেন। তবে যদি পরবর্তী রামাযান পর্যন্ত তা আদায় করা পিছিয়ে দেয়, তবে তার উপর ওয়াজিব হল, উহা ক্বাযা আদায় করার সাথে সাথে প্রতি দিনের বিনিময়ে একজন করে মিসকিনকে খাদ্য প্রদান করা। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামএর ছাহাবীদের একটি জামাআত এভাবেই ফতোয়া দিয়েছেন। মিসকিনকে

Thursday, December 28, 2017

মন পরিষ্কার থাকলে হিজাবের কি দরকার ?

মন পরিষ্কার থাকলে হিজাবের কি দরকার ?

আমি হিজাবের প্রয়োজনীয়তা বুঝি এবং আমি কিছুদিন ধরে হিজাব করছিও, কিন্তু আমার কাছে মনে হয় এটা মেনে চলা একটি ভুল। হিজাব আমাকে একজন ভালো মুসলিমাহ হতে সাহায্য করছে, আমি এটা অনুভব করি না। আর আমার মনে হয় যে, আমি যেন লোকদেরকে ধোঁকা দিচ্ছি ; কারণ আমি দেখি তারা আমাকে একজন উদাহরণ হিসেবে দেখছে অথচ আমি নিজেই কিনা নানা বিষয়াদি নিয়ে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছি । উপরন্তু

মুখমণ্ডল ঢাকা কি হিজাবের অংশ নয়?

মুখমণ্ডল ঢাকা কি হিজাবের অংশ নয়? 

বর্তমান বিশ্বে হিজাব পশ্চিমা রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাথাব্যথার বিষয়। তারা সাংস্কৃতিক আগ্রাসন হিসেবে চিহ্নিত করে হিজাবের প্রসারকে বাধাগ্রস্থ করতে নানা কৌশল ও প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে। এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাক ও নিকোলা সারকোজি, সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জ্যাক স্ট্র, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টসহ বহু রাজনীতি ও শিক্ষাবিদসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পেশার লোক।
২০০২ সালে সাবিনা নামক এক স্কুলছাত্রী উত্তর লন্ডনের ডেনবিগ হাইস্কুল থেকে বহিস্কৃত হন; জার্মানিতে স্কুল শিক্ষিকা ফিরিশতা লুদিন চাকুরি হারান হিজাবের সপক্ষে কথা বলায়।

বোন সেলফি দিওনা ফেইসবুকে!!

বোন সেলফি দিওনা ফেইসবুকে!!

 সমস্ত মেয়েদেরকে আহব্বান করছি প্লিজ
বোন মাত্র ২ মিনিট ব্যয় করে লেখাটা পড় !!
.
.
– বোন সেলফি দিও না ফেসবুকে!
– কেন?!!!
– কারন জাহান্নামের আগুন সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের
নাই!!!

তুলতুলে গাল দুইটার কি হবে জান? তুলতুলে গালের
ছিটে ফোঁটা অস্তিত্ব থাকবেনা..
শুধু আগুন থাকবে মুখমন্ডল জুড়ে! কি বিশ্বাস হয়না?
বিশ্বাস না হলে # সূরা_ইবরাহীম_৫০ আয়াতের অর্থ
দেখো!

এখানেই শেষ না বোন! আল্লাহর অবাধ্যতা করলে
অনন্তকাল জাহান্নামে পুড়তে হবে!

Tuesday, December 26, 2017

বাসনা চরিতার্থ করতে কি করতে পারে?

বাসনা চরিতার্থ করতে কি করতে পারে?


প্রশ্নঃ প্রসবোত্তর স্রাব অথবা ঋতুস্রাব থাকাকালীন সময়ে মিলন হারাম। কিন্তু সেই অবস্থায় স্বামী নিজের কাম বাসনা চরিতার্থ করতে কি করতে পারে?
উত্তরঃ
মহান আল্লাহ বলেছেন, 

প্রশ্নঃ ইসলাম কেন নারী-পুরুষদের অবাধ বিচরণ অনুমোদন করে না, এটি কি ইসলামে আধুনিকতা নাকি সেকেলে ধারণা?

প্রশ্নঃ ইসলাম কেন নারী-পুরুষদের অবাধ বিচরণ অনুমোদন করে না, এটি কি ইসলামে আধুনিকতা নাকি সেকেলে ধারণা? উত্তর: ডা. জাকির নায়েক: যদি আপনি “আধুনিকতা” বলতে বুঝেন আপনার স্ত্রী বা বোনকে আপনি বিক্রয় পণ্য করবেন যাতে তারা অন্যদের সাথে অবাধ মেলামেশা করতে পারে অথবা আপনি তাকে “মডেলিং” পেশায় নিয়োগ করবেন, সেক্ষেত্রে ইসলাম ‘সেকেলে’ বলেই আমার কাছে মনে হয়। কারণ

পুরুষের মাঝে কর্মরত নারীর প্রতি আহ্বান

পুরুষের মাঝে কর্মরত নারীর প্রতি আহ্বান

বোন! তুমি কি পুরুষের সঙ্গে কাজ করছ?
বোন! আমি মর্মাহত, আমি ব্যথিত এবং খুবই দুঃখিত আমি। না, আমার কোন কারণে নয়, শুধু তোমার জন্য এবং শুধু তোমার কল্যাণের কথা চিন্তা করেই। তুমি কাজ করছ!

পর্দাহীনতার পরিণতি!

পর্দাহীনতার পরিণতি
  
  
ভূমিকা
  إِنَّ الْحَمْدُ للهِ ، نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ ، وَنَعُـوْذُ بِاللهِ مِنْ شُرُوْرِ أَنْفُسِنَا ، وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا ، مَنْ يَّهْدِهِ اللهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ ، وَمَنْ يُّضْلِلِ اللهُ فَلاَ هَادِيَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য। আমরা তারই প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য চাই, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্টতা ও আমাদের কর্মসমূহের খারাপ পরিণতি থেকে আশ্রয় কামনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, তাকে গোমরাহ করার কেউ নেই। আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে হেদায়েত দেয়ারও কেউ নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকার ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার উপর, তার পরিবার-পরিজন ও

পর্দাঃ নারীর দুর্গ ও রক্ষাকারী ঢাল


পর্দাঃ নারীর দুর্গ ও রক্ষাকারী ঢাল 

পর্দা একটি ইবাদত, সালাত যেমন ইবাদত। এটি আল্লাহর নির্দেশ। বিষয়টি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী। আল্লাহ তাআলা কুরআনে মাজীদে এরশাদ করেন,”হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের স্ত্রীদেরকে বল, তারা যেন তাদের জিলবাবের কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়। তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না।  আর আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়াময়।” (সূরা আহযাবঃ ৬০)
বেপর্দা আর নারী-পুরুষের অবাধ মেলা-মেশা সমাজে কেমন বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এবং

পর্দা কেন করতে হবে?

পর্দা কেন করতে হবে?


পর্দা কেন?

পর্দার ফযিলত
পর্দা করাল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আনুগত্য ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসরণ:
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার আনুগত্য করা ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুকরণ করাকে মুমিনদের জন্য ওয়াজিব করেছেন[1]। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনে করীমে এরশাদ করে বলেন,
“আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন নির্দেশ দিলে কোন মুমিন পুরুষ ও নারীর জন্য নিজদের ব্যাপারে অন্য কিছু এখতিয়ার করার অধিকার থাকে না; আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করল সে স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে”।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরও বলেন,65
“অতএব তোমার রবের কসম,

নারীর হজ ও উমরা করার বিধান

নারীর হজ ও উমরা

 হজের অর্থ :
হজ শব্দের অর্থ ইচ্ছা করা। শরিয়তের পরিভাষায় হজ বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে বায়তুল্লাহ ও আরাফা সহ সুনির্দিষ্ট কিছু স্থানে যাওয়া।
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত :
হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে যারা কাবা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য রাখেন তাদের উপর হজ ফরজ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এ ব্যাপারে এভাবে তাগিদ দিয়ে বলেছেন:

নারীর প্রাকৃতিক রক্তস্রাব সংক্রান্ত ফাতাওয়া

নারীর প্রাকৃতিক রক্তস্রাব


ভূমিকা
নারী জাতি সাধারণত: তিন প্রকার রক্তস্রাবে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
যথা:
১) হায়েয মাসিক রক্তস্রাব)।
২) ইস্তেহাযাহ হায়েয ও নেফাসের দিন উত্তীর্ণ হওয়ার পর যে রক্তস্রাব হয়)।
৩) নেফাস সন্তান প্রসবের পরের রক্তস্রাব)।
উপরোক্ত তিন প্রকার রক্তস্রাব এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলীর অন্তর্ভুক্ত যার বিধি-বিধানের বর্ণনা অতীব জরুরী এবং

নারীর জান্নাত যে পথে

নারীর জান্নাত যে পথে
প্রেক্ষাপট
চারদিক থেকে ভেসে আসছে নির্দয় ও পাষণ্ড স্বামী নামের হিংস্র পশুগুলোর আক্রমণের শিকার অসহায় ও অবলা নারীর করুণ বিলাপ। অহরহ ঘটছে দায়ের কোপ, লাথির আঘাত, অ্যাসিডে ঝলসানো, আগুনে পুড়ানো, বিষ প্রয়োগ এবং বালিশ চাপাসহ নানা দুঃসহ কায়দায় নারী মৃত্যুর ঘটনা। কারণ তাদের পাঠ্য সূচি থেকে ওঠে গেছে বিশ্ব নবির বাণী “তোমরা নারীদের প্রতি কল্যাণকামী হও।” “তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম, আমি আমার স্ত্রীদের নিকট উত্তম।”
অপর দিকে চারদিক বিষিয়ে তুলছে,

নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম

নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তা‘আলার যিনি আমাদের জন্য দ্বীনকে করেছেন পরিপূর্ণ, আর আমাদের জন্য সম্পন্ন করেছেন তার অসংখ্য ও অগণিত নেয়ামতসমূহ এবং এ উম্মত তথা মুসলিম জাতিকে বানিয়েছেন সমগ্র উম্মতের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম উম্মত। আমাদের থেকেই একজনকে রাসূল হিসেবে আমাদের কল্যাণের জন্য প্রেরণ করেছেন, যিনি আমাদের নিকট আল্লাহ তা‘আলার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করেন, আমাদের কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন এবং আমাদের আত্মাকে পরিশুদ্ধ ও সংশোধন করেন। আর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক সে মহামানবের উপর, যাকে সমগ্র জগতবাসীর জন্য রহমতস্বরূপ দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং নির্বাচন করা হয়েছে নেক আমলকারীদের জন্য আদর্শস্বরূপ। আরও সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক তার সমগ্র পরিবারবর্গ ও সাথী সঙ্গীদের উপর, যারা নবীগণের পর দুনিয়াতে সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী। আমীন।
একজন মুসলিম বান্দার উপর

নারীদের হাই-হিল পরার হুকুম কি?

নারীদের হাই-হিল পরার হুকুম কি?

আলহামদুলিল্লাহ
নারীদের জন্য হাই-হিল পরা বৈধ নয়, কেননা হাই-হিল পরে নারীদের পড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। আর ইসলামি শরিয়ত সাধারণ অর্থে আমাদেরকে আশঙ্কাজনক বিষয় থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে: (আর তোমরা নিজদেরকে হত্যা করো না।) [ সূরা আন-নিসা:২৯ ] অন্য এক আয়াতে এসেছে: (তোমরা তোমাদের নিজদেরকে ধ্বংসে নিপতিত করো না। [ সূরা আল বাকারা:১৯৫ ]
হাই-হিল একজন নারীকে  বাস্তবের তুলনায় অধিক দীর্ঘকায় করে দেখায় এবং তাদের নিতম্বকে করে তোলে  অধিক দৃশ্যমান। এতে একপ্রকার প্রতারণা রয়েছে বললে ভুল হবে না। পাশাপাশি এর মাধ্যমে নারীর কিছু সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়ে যায় যা ঢেকে রাখার নির্দেশ তাকে দেয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে:

নারীদের বিভাগ, মাসজিদ ও জুম’আ

নারীদের বিভাগ, মাসজিদ ও জুম’আ

ঢাকা শহরে মেয়েদের নামায পড়ার স্থান গুলোর একটা তালিকা

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালুmasjid_21
ঢাকা শহরে মহিলাদের নামায পড়ার স্থানগুলো কোথায়  তা আমাদের অনেক বোনই জানেন না। তাদের জন্য আজ আমারা একটি তালিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছি ইনশাহআল্লাহ এই লিস্ট আপডেট হতে থাকবে। নিচে

মহিলাদের ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ কতটুকু যুক্তিসংগত ?

মহিলাদের ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ 

আল্লাহ তাআলা নারী-পুরুষ উভয়কে সৃষ্টি করেছেন। তিনি তাদের দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ অর্জনের লক্ষ্যে সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম দান করেছেন। তাদেরই মধ্য থেকে নির্বাচন করেছেন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে, যিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নারী-পুরুষের নিজস্ব গণ্ডিতে পূর্ণ অধিকার। হাতে গোনা কয়েকটি স্বতন্ত্র ইবাদত ব্যতীত সব ইবাদতে পুরুষ ও নারীকে সমান মর্যাদায় রেখেছেন। ইসলাম চায় নারী জাতি যাতে কোন কল্যাণ থেকে বঞ্চিত না হয়। তাই-তো মুসলমানের উল্লেখযোগ্য ইবাদত আনন্দঘন পরিবেশ ও ইমামের দিক-নির্দেশনামূলক বক্তৃতা থেকে যাতে নারী-পুরুষ সমানভাবে উপকৃত হতে পারে সে মর্মে মানবতার মুক্তিদূত মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহিলাদেরকেও আদেশ করেছেন ঈদগাহে উপস্থিত হতে।
উম্মে আতিয়্যা রা. বলেন :

ইসলামের নারী সংক্রান্ত বিধান কি সেকেলে বিধান/তালেবানি বিধান/মধ্যযুগীয় বিধান ????

ইসলামের নারী সংক্রান্ত বিধান কি? সেকেলে বিধান/তালেবানি বিধান/ মধ্যযুগীয় বিধান ????


বেশ কয়েকদিন আগে একটি টক শো তে একটা তথাকথিত আধুনিক মেয়ে ফোন করে বাংলা ইংরেজী মিলিয়ে বিব্রত করল। আপনাদের ইসলাম কি বাংলাদেশকে তালেবানি দেশ বানাতে চান কিনা। যারা এরসমর্থন করে তারা কি এই সেকেলে ধর্ম এদেশে বাস্তবায়িত করে দেশটাকে মধ্যযুগীয় অবস্থানে পিছিয়ে নিতে চায়। ঐ স্বল্পবুদ্ধি সম্পন্ন মহিলার মতে

মাসজিদে নারীদের সালাত আদায় করা বৈধ না অবৈধ?


মাসজিদে নারীদের সালাত আদায় করা বৈধ না অবৈধ?

মাসজিদে নারীদের সালাত আদায় করা বৈধ না অবৈধ?

হাদীস-১; আব্দুল্লাহ ইবন উমার(রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণীত রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর বান্দীদেরকে(নারীদের) মাসজিদে যেতে নিষেধ করো না। আব্দুল্লাহ ইবন উমার(রাদিয়াল্লাহু আনহু) অন্য সনদে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর বান্দীদেরকে মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করতে নিষেধ করো না। [সহীহ মুসলিম, মুয়াত্তা ইমাম মালিক,আবু দাউদ, মুসনাদ ইমাম আহমাদ;হাদীস-১৩২৭,খণ্ড-২]
হাদীস-২; আবু হুরাইরা(রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

ঢাকা শাহরের যে সকল স্থানে মেয়েদের নামায পড়ার ব্যাবস্থা রয়েছেঃ

ঢাকা শহরে মহিলাদের নামায পড়ার স্থানগুলো কোথায়  তা আমাদের অনেক বোনই জানেন না। তাদের জন্য আজ আমারা একটি তালিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছি ইনশাহআল্লাহ এই লিস্ট আপডেট হতে থাকবে। নিচে দেয়া স্থানগুলি ব্যাতিত অন্য কোন স্থান যদি আপনাদের জানা থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানান। ইনশাহআল্লাহ তা আমাদের বোনদের উপকারে আসবে।

ঢাকা শাহরের যে সকল স্থানে মেয়েদের নামায পড়ার ব্যাবস্থা রয়েছেঃ

নারী শিক্ষা সম্পর্কে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি!

নারী শিক্ষা সম্পর্কে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি
জ্ঞানার্জনের কোনো বিকল্প ইসলামে নেই। সুতরাং ইসলাম জ্ঞানের আলোকবর্তিকা দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে শুরু করে। ফলে ইসলাম জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর হতে থাকে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে জ্ঞানচর্চার যে প্রবাহ শুরু হয়, নারীরাও সেখানে শামিল হয়েছিল। পরবর্তীতে আববাসীয় ও উমাইয়্যা যুগে নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটে।[1]
ইসলাম নারী-পুরুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য না করে উভয়কে সমভাবে জ্ঞানার্জনের আদেশ দিয়েছে। কুরআনের নির্দেশও তাই। কুরআন সকল পাঠককেই আদেশ করছে পড়তে

খবরঃ বলিউড নায়িকা জিয়া খানের নিজের ফ্ল্যাটে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা!

খবরঃ বলিউড নায়িকা জিয়া খানের নিজের ফ্ল্যাটে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা!


অর্থ, খ্যাতি আর গ্ল্যামার এর আড়ালে নারীদেরকে পণ্যে রুপান্তরিত করা হচ্ছে ।
কিছুদিন আগেও আমাদের দেশের মেয়েরা যথেষ্ট শালীন ও সংযত হয়েই রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করতো। কিন্তু বর্তমান সাংস্কৃতিক আগ্রাসন এমন একটা পর্যায়ে পৌছেছে যার প্রভাবে অতি আধুনিকতার নাম করে নিজেদেরে অজান্তেই তারা নিজেদেরকে কাম-ভোগ এর সামগ্রীতে পরিনত করছে। আর এর পুর্নাঙ্গ সুযোগটা ব্যবহার করছে মিডিয়া, ফ্যাশন-মডেলিং এর নামে পুজিবাদীরা।

যে সমস্ত নারীরা আল্লাহ্‌র দেয়া নিয়ামত রূপ-সৌন্দর্যকে অবজ্ঞা করে তাদের দেহ প্রদর্শন করতেই থাকে তাদের প্রতি বিনীত আবেদন. . . . .

যে সমস্ত নারীরা আল্লাহ্‌র দেয়া নিয়ামত রূপ-সৌন্দর্যকে অবজ্ঞা করে তাদের দেহ প্রদর্শন করতেই থাকে তাদের প্রতি বিনীত আবেদন. . . . .

মেয়েটা যে রূপবতী,
এটা নিয়ে কারো দ্বিমত নেই। দেশের নামকরা ভার্সিটিতে হিস্ট্রিতে অনার্স করছে সে। থার্ড ইয়ার। সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে রূপের চমক দেখিয়ে সবাইকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়ে গেল সে! সেই সুবাধে মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লো তার সুনাম! কয়েকটা নাটক-সিনেমায় অভিনয়ও করে ফেললো! অবশ্য অভিনয়ে চান্স পাওয়ার জন্য তার সুন্দর শরীরটাকে কয়েকটা পশুর ভোগবস্তু বানাতে হল। কিন্তু

বিক্রয়ের জন্য নহে! [ Not for sale ! ! ! ]

বিক্রয়ের জন্য নহে! [ Not for sale ! ! ! ]

এক ক্যানাডিয়ান নওমুসলিমা ছাত্রী আয়শা (নতুন নাম)- বয়স ১৯, অত্যান্ত সুন্দরী, সৌন্দর্য নিয়ে পড়াশোনা করছে। আমার কাছে আরবী পড়া শেখার পাশাপাশি ইসলাম সম্পর্কে কিছু কিছু তথ্য জেনে নেয়।
ওর সাথে পরিচয় এই রামাদানে। সেদিন ইফতার পার্টি ছিল, রাতে কিয়ামুল লাইল। ইফতারের পর আমরা পাশাপাশি নামাজে দাড়ালাম। সামনে, পেছনে, পাশে এত মহিলা এবং বাচ্চারা গিজ গিজ করছে যে নামাজে মনোযোগ ধরে রাখা যুদ্ধসম কঠিন ব্যাপার। লক্ষ্য করলাম এর মাঝেই সে একমনে স্রষ্টার সাথে বাক্যালাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এই ময়দানের মধ্যে সে যেন একাই দাঁড়িয়ে! জানতে পারলাম পাঁচ ওয়াক্তের পাশাপাশি সে এমন অনেক এক্সট্রা নামাজ পড়ে যার নামও অনেক জন্মগত মুসলিমের অজানা।
ইসলামের প্রতি ওর আগ্রহ

নারী যদি আকর্ষনীয় রূপে সেজে চলাফেরা করে তবে পুরুষের সমস্যা কোথায়???


নারী যদি আকর্ষনীয় রূপে সেজে চলাফেরা করে তবে পুরুষের সমস্যা কোথায়???




বাংলাদেশে নারীবাদীদের ( রোকেয়া প্রাচী, সারা যাকের,মুন্নিসাহা,  সুলতানা কামাল, তানিয়া আমির) যদি প্রশ্ন করা হয়ঃ
– আপনাদের সামনে যদি এক বাটি তেঁতুল কেউ খুব স্বাদ করে খায় তাহলে কিআপনাদের জ্বি-বে জল আসবে?

নারী পুরুষে দেখাদেখি, নির্জনে অবস্থান ও সহাবস্থান বিষয়ক ফতোয়া পর্ব -১

নারী পুরুষে দেখাদেখি, নির্জনে অবস্থান ও সহাবস্থান বিষয়ক ফতোয়া পর্ব -১



সূচিপত্র
ক্রম বিষয়
1. ভূমিকা
2. শিক্ষার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষে
সহাবস্থানের বিধান
3. স্কুল, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে
ছেলে-মেয়ের মাঝে মেলামেশার ভয়াবহ
ঝুঁকি
4. নারী-পুরুষ সম্মিলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
লেখাপড়ার বিধান
5. নারী ও পুরুষে সহশিক্ষার ক্ষেত্রে
ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি
6. আল্লাহর দিকে আহ্বানের উদ্দেশ্যে
নারী-পুরুষ সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয়ে
লেখাপড়ার বিধান
7. নারী-পুরুষ সম্মিলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
শিক্ষকতার বিধান

নারী পুরুষে দেখাদেখি, নির্জনে অবস্থান ও সহাবস্থান বিষয়ক ফতোয়া পর্ব -২

নারী পুরুষে দেখাদেখি, নির্জনে অবস্থান ও সহাবস্থান বিষয়ক ফতোয়া পর্ব -2


শিল্প-কারখানা ও অফিস-আদালতে নারী-
পুরুষে সহাবস্থানের বিধান
প্রশ্ন: শিল্প-কারখানায় অথবা অনিসলামিক
অফিসসমূহে পুরুষদের মতো করে নারীদের
কাজকারবার ও লেনদেনের বিধান কী? আর
ঐ জীবনের বিধান কী হবে, যে ভয়াবহ
রোগের কারণে ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছে,
উল্লিখিত এ পরিস্থিতিতে সে রোগের
চিকিৎসার বিষয়টি মুসলিম নারীকে বেপর্দা
করার দিকে নিয়ে যায়, যদিও

Monday, December 25, 2017

নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ইসলামের ভূমিকা

নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ইসলামের ভূমিকা


ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহীসম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়াভূমিকা:নারী ও পুরুষ অখণ্ড মানব সমাজের দু’টি অপরিহার্যঅঙ্গ। পুরুষ মানব সমাজের একটি অংশের প্রতিনিধিত্বকরলে আরেকটি অংশের প্রতিনিধিত্ব করে নারী।নারীকে উপেক্ষা করে মানবতার জন্য যেকর্মসূচী তৈরী হবে তা হবে অসম্পূর্ণ। আমরাএমন কোনো সমাজের কথা কল্পনাই করতে পারিনা যা কেবল পুরুষ নিয়ে গঠিত, যেখানে নারীরপ্রয়োজন অনুভূত হয় না। প্রকৃতপক্ষে প্রতিটিসমাজেই নারী ও পুরুষ সমানভাবে পরস্পরেরমুখাপেক্ষী। তাই

নারী এবং পুরুষের নামাযের মধ্যে পার্থক্য আছে কি?


নারী এবং পুরুষের নামাযের মধ্যে পার্থক্য আছে কি?

যারা বলে নারী এবং পুরুষের নামাযের মধ্যে পার্থক্য আছে তাদের পেশ কৃত হাদীসগুলর খণ্ডন করা হলঃ
১ নাম্বার প্রমানঃ
عن عبد الله بن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا جلست المرأة في الصلوة وضعت فخذها علىفخذها الاخرى وإذا سجدت الصقت بطنها في فخذيها كالستر ما يكون لها وان الله تعالى ينظر إليها ويقول ياملائكتى اشهدكم انى قد غفرت لها
অনুবাদ: ইবনে উমর (রাঃ) বর্ণনা করেন, “নবী (সাঃ) বলেন, “যখন একটি মহিলা নামায পড়ে, সে যেনো তার এক উরুর উপর তার অন্য উরুকে রাখে এবং তার উরুর সাথে তার পেট মিশিয়ে রাখে যাতে তার জন্য অধিকতর গোপনীয়তা রক্ষা হয়। প্রকৃতপক্ষে, আল্লাহ তার দিকে তাকান এবং ফেরেশতাদেরকে বলেন! “হে ফেরেশতাগণ, তোমরা সাক্ষী থাক যে, আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম”। [সুনান আল বায়হাকী আল কুবরা (৩/৭৪)]
আমাদের উত্তর:

প্রশ্ন: কেউ যদি কোন নারীকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হয় তখন সেই নারীর উপর আত্মরক্ষা করা কি ওয়াজিব?


প্রশ্ন: কেউ যদি কোন নারীকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হয় তখন সেই নারীর উপর আত্মরক্ষা করা কি ওয়াজিব? আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র ব্যবহার করা জায়েয হবে কি? উত্তর: যে নারীর সাথে জোরপূর্বক যেনা করার চেষ্টা করা হচ্ছে সে নারীর উপর আত্মরক্ষা করা ফরজ। তিনি কিছুতেই দুর্বৃত্তের কাছে হার মানবেন না। এজন্য যদি দুর্বৃত্তকে হত্যা করে নিজেকে বাঁচাতে হয় সেটা করবেন। এই আত্মরক্ষা ফরজ। ধর্ষণ করতে উদ্যত ব্যক্তিকে হত্যা করার কারণে তিনি দায়ী হবেন না। এর সপক্ষে দলিল হচ্ছে- ইমাম আহমাদ ও ইবনে হিব্বান কর্তৃক সংকলিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস, “যে ব্যক্তি তার সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেল সে শহীদ। যে ব্যক্তি

দৃষ্টি সংযত রাখার মাহাত্ম্য ও মর্যাদা

দৃষ্টি সংযত রাখার মাহাত্ম্য ও মর্যাদা

 শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেছেন,
“(হে নবী) আপনি  মু’মিন পুরুষদের বলুন, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের  লজ্জাস্থানের হিফাযতকরবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয়ই তারা যা করে, সে সম্পর্কে আল্লাহ্‌  সম্যক অবহিত।
(সূরা আন-নূর; ২৪ : ৩০)
অতএব,

দৃষ্টি সংযত করার ২০ টি উপায়


দৃষ্টি সংযত করার ২০ টি উপায়

পরম করুনাময় ও দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
আল্লাহর শাস্তি থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রত্যেক মুসলিমের তার দৃষ্টিকে সংযত রাখা একটি অত্যন্ত জরুরী বিষয়। প্রতিটি বিশ্বাসী মুসলমানের উচিত নিজের দৃষ্টির সংরক্ষণের জন্য ও নিজের এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার জন্য বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া ও এ বিষয়ে কোন রকম ত্রুটি না করা।
দৃষ্টি অবনত রাখার উপায়ের ব্যপারে প্রখ্যাত আলেম শেইখ মুহাম্মাদ সালিহ আল মুনাজ্জিদ বলেনঃ

দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীর কর্তব্য

দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীর কর্তব্য 

১. স্বামীর অসন্তুষ্টি থেকে বিরত থাকা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তিনজন ব্যক্তির নামাজ তাদের মাথার উপরে উঠে না।
    • (ক) পলাতক গোলামের নামাজ, যতক্ষণ না সে মনিবের নিকট ফিরে আসে।
  • (খ) সে নারীর নামাজ, যে নিজ স্বামীকে রাগান্বিত রেখে রাত যাপন করে।
  • (গ)সে আমিরের নামাজ, যার উপর তার অধীনরা অসন্তুষ্ট।”
২. স্বামীকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা।

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ