Friday, November 10, 2017

কবিরা গুনাহঃ ৪৫. চুগলি (চুগলখোর) করা

৪৫. চুগলি (চুগলখোর) করা


চুগলি (চুগলখোর) করা তথা মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব লাগানোর জন্য একের কথা অন্যের কাছে লাগানো কবীরা গুনাহ্। মানুষে মানুষে বৈরিতা-বিদ্বেষ, আত্মীয়তার বন্ধন বিচ্ছেদ এবং মুসলিমদের মাঝে পরস্পর শত্রুতা জন্ম নেয়ার এ এক বড় কারণ। তাই তো আল্লাহ্ তা‘আলা এ জাতীয় ব্যক্তির আনুগত্য করতে নিষেধ করেন। চাই সে যতই সম্পদশালী হোক না কেন।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

প্রশ্ন: পরীক্ষায় নকল করার হুকুম (বিধান) কী?

প্রশ্ন: পরীক্ষায় নকল করার হুকুম (বিধান)
কী?
উত্তর: সমস্ত প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক
আল্লাহর জন্য; আর সালাত ও সালাম
আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামের উপর; আর সালাম (শান্তি)
বর্ষিত হোক তাঁর পরিবার-পরিজন ও সকল
সঙ্গী-সাথীর উপর।
পরীক্ষায় নকল করাটা এক ধরনের প্রতারণা;
আর প্রতারণার বিষয়টি সুস্পষ্ট এবং তার
বিধানও স্পষ্ট; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“যে প্রতারণা করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।”
– (তিরমিযী, হাদিস নং- ১৩১৫); অতঃপর
পরীক্ষায় নকল (প্রতারণা) করা অত্যন্ত
বিপজ্জনক বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত; কারণ, তার
ক্ষতির দিকটি সম্পদের ক্ষতি বা ঝুঁকির মত
নয়, যার কারণে হাদিস বর্ণিত হয়েছে; বরং
তার ভয়াবহতা আরও প্রকট, কেননা
-তা হচ্ছে গোটা জাতির সাথে
বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণা; কারণ, যে
ছাত্র নকল করে পাশ করেছে, তার মানে হল:
সে যে সার্টিফিকেট (সনদ) অর্জন করেছে,
তার মান অনুযায়ী সে একটি বড় ধরণের বলয়
তৈরি করবে, অথচ বাস্তবে সে তার উপযুক্ত
নয়; আর তখন এই বৃত্ত বা বলয়ের মধ্যে তার
অবস্থান এমন হবে, যেই অবস্থানটি এই
সার্টিফিকেট অর্জন করা ব্যতীত কোনো
ব্যক্তির পক্ষে দখল করা সম্ভব নয়, ফলে
সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হল;
-এই নকল প্রবণতার আরও একটি ক্ষতিকর দিক
আছে, আর তা হল শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক
দৃষ্টিকোণ থেকে; কারণ, যখন জাতির
শিক্ষিত সমাজ পরীক্ষায় নকল বা প্রতারণার
আশ্রয় নিয়ে পাশ করে বের হয়ে আসবে, তখন
তাদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অবস্থান হবে
নড়বড়ে, শিক্ষা বিমুখ;
-অতঃপর (শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে) অন্যের উপর
তাদের অবস্থান হবে রিক্তহস্ত; কারণ, এটা
জানা কথা যে, যে ব্যক্তি পরীক্ষায় নকল
করে পাশ করে, তার পক্ষে শিক্ষা দানের
সময় ছাত্রদের প্রশ্নের জবাব দেয়া সম্ভব
হয়ে উঠে না;
সুতরাং রাষ্ট্রের সাথে এই ধরনের প্রতারণা
করা থেকে বিরত থাক, যা তুমি নিজেও
কখনও পছন্দ করবে না; অতএব পরিদর্শক,
পর্যবেক্ষক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে
এই নকল প্রবণতা প্রতিরোধে নিরন্তর
সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে; কারণ, কোনো
একজন যদি প্রতারণা করে, তবে সেই প্রতারক
রাষ্ট্র বা সরকারের লক্ষ্যমাত্রা বিনষ্ট
করবে এবং তার (রাষ্ট্রের) সাথে
বিশ্বাসঘাতকতা করবে; অথচ আল্লাহ
তা‘আলা বলেন:
“হে ঈমানদারগণ! জেনে-বুঝে আল্লাহ ও তাঁর
রাসূলের খেয়ানত করো না এবং তোমাদের
পরস্পরের আমানতেরও খেয়ানত করো না; আর
জেনে রাখ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-
সন্ততি তো এক পরীক্ষা। আর নিশ্চয় আল্লাহ,
তাঁরই কাছে রয়েছে মহাপুরস্কার। – (সূরা
আল-আনাফাল: ২৭ ও ২৮)।
আর এই ব্যাপারে কোন এক বিষয় থেকে অপর
কোন বিষয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই;
সুতরাং উদাহরণস্বরূপ তাফসীর বিষয় ও
ইংরেজি ভাষা বিষয়ে আমাদের নকল করার
মধ্যে বিধানগত কোন পার্থক্য নেই; কারণ,
এক স্তর থেকে অন্য স্তরে ছাত্রের অগ্রগতি
হওয়ার বিষয়টি বিন্যস্ত হয় সকল বিষয়ের উপর
এবং তার উপরই নির্ভর করে ছাত্রকে
সার্টিফিকেটের মত প্রমাণপত্র দেয়ার
বিষয়টি; সুতরাং সবই প্রতারণা, আর সবই
হারাম।
আর আমি যুবকদেরকে তাদের এই পর্যায়ের
অধঃপতন হওয়ার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ
করছি এবং তাদেরকে আহ্বান করছি, তারা
যাতে যোগ্যতা প্রমাণের মাধ্যমে মর্যাদা
লাভের ব্যাপারে প্রচণ্ড আগ্রহী হয়; ফলে
এটা তাদের দীন ও দুনিয়ার ক্ষেত্রে তাদের
জন্য মঙ্গলজনক হবে।
শাইখ ইবনু ‘উসাইমীন
ফতোয়া ইসলামীয়া ( ﻓﺘﺎﻭﻯ ﺇﺳﻼﻣﻴﺔ ): ৪ / ৩৩১

কবিরা গুনাহঃ ৪৪. কারোর দোষ অনুসন্ধান অথবা তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি করা

৪৪. কারোর দোষ অনুসন্ধান অথবা তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি করা


কারোর দোষ অনুসন্ধান অথবা তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি করা আরেকটি কবীরা গুনাহ্। তাই তো আল্লাহ্ তা‘আলা মু’মিনদেরকে এমন করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا اجْتَنِبُوْا كَثِيْرًا مِّنَ الظَّنِّ، إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ وَّلَا تَجَسَّسُوْا»
‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাকো। কারণ, কিছু কিছু অনুমান তো পাপ এবং তোমরা কারোর গোপনীয় দোষ অনুসন্ধান করো না’’। (’হুজুরাত : ১২)
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে উচ্চ স্বরে বলেন:

ধূমপান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ফাতাওয়া


ধূমপান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ফাতাওয়া
তামাক এবং এর বিভিন্ন উৎপাদনসহ তা ব্যবহারের পদ্ধতির সমালোচনায় বলা যায় যে, এটি এমন একটি উপকরণ যা প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কারণ তামাক ব্যবহারে স্বাস্থ্যের ক্ষতি সাধিত হয় বিধায় ইহা প্রতিরোধ করা ঐ সকল লোকদের কর্তব্য যারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করে। শুধু তাই নয় বরং এটি সমাজের প্রতিটি স্তরেই বিস্তার লাভ করেছে। কাজেই শিক্ষকমণ্ডলী, সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদ, অর্থনীতিবিদ, আইনজীবি, মনোবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী এবং সাধারণ লোকসহ সকলেই এ বিধ্বংসী জিনিসের প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, যার দ্বারা

কবিরা গুনাহঃ ৪৩. তাক্বদীরে অবিশ্বাস

৪৩. তাক্বদীরে অবিশ্বাস


তাক্বদীরে অবিশ্বাস করাও একটি কবীরা গুনাহ্ তথা কুফরিও বটে। তাই তো তাক্বদীরে অবিশ্বাসকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং জাহান্নামই হবে তার ঠিকানা।
আবুদ্দারদা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَا يَدْخُلُ الْـجَنَّةَ عَاقٌّ وَلَا مُدْمِنُ خَمْرٍ وَلَا مُكَذِّبٌ بِقَدَرٍ.
‘‘মাতা-পিতার অবাধ্য, মদ্যপানে অভ্যস্ত এবং তাক্বদীরে অবিশ্বাসী ব্যক্তিরা জান্নাতে প্রবেশ করবে না’’। (আহমাদ : ৬/৪৪১ সা’হীহাহ্, হাদীস ৬৭৫)
উবাই বিন কা’ব, ’হুযাইফাহ্, আব্দুল্লাহ্ বিন মাস্’ঊদ ও যায়েদ বিন সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত তাঁরা বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবিরা গুনাহঃ ৪২. কাউকে কোন কিছু দান করে অতঃপর খোঁটা দেয়া

৪২. কাউকে কোন কিছু দান করে অতঃপর খোঁটা দেয়া


কারোর প্রতি কোন প্রকার অনুগ্রহ করে অথবা তাকে কোন কিছু দান করে অতঃপর তা উল্লেখ পূর্বক খোঁটা দেয়া আরেকটি কবীরা গুনাহ্ এবং হারাম কাজ। এমন কান্ড করলে উক্ত দান বা অনুগ্রহের কখনোই কোন সাওয়াব মিলবে না। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا لَا تُبْطِلُوْا صَدَقَاتِكُمْ بِالْمَنِّ وَالْأَذَى، كَالَّذِيْ يُنْفِقُ مَالَهُ رِئَآءَ النَّاسِ وَلَا يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، فَمَثَلُهُ كَمَثَلِ صَفْوَانٍ عَلَيْهِ تُرَابٌ فَأَصَابَهُ وَابِلٌ فَتَرَكَهُ صَلْدًا، لَا يَقْدِرُوْنَ عَلَى شَيْءٍ مِّمَّا كَسَبُوْا، وَاللهُ لَا يَهْدِيْ الْقَوْمَ الْكَافِرِيْنَ»
‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের দান-সাদাকা খোঁটা ও কষ্ট দিয়ে বিনষ্ট করো না সে ব্যক্তির ন্যায় যে নিজ ধন-সম্পদ ব্যয় করে মানুষকে দেখানোর জন্য উপরন্তু সে আল্লাহ্ তা‘আলা এবং পরকালেও বিশ্বাসী নয়। সুতরাং তার দৃষ্টান্ত এমন এক মসৃণ পাথরের ন্যায় যার উপর কিছু মাটি জমেছে অতঃপর ভারি বর্ষণ হয়ে সে মাটি সরে গিয়ে শুষ্ক মসৃণ হয়ে গেলো। তারা যা অর্জন করেছে তা আর কিছুই পেলো না। মূলতঃ আল্লাহ্ তা‘আলা কাফির সম্প্রদায়কে সঠিক পথ দেখান না’’। (বাক্বারাহ্ : ২৬৪)
যে ব্যক্তি কিছু দান করে অতঃপর খোঁটা দেয় আল্লাহ্ তা‘আলা কিয়ামতের দিন তার সাথে কোন কথা বলবেন না, তার দিকে তাকাবেনও না এমনকি তাকে গুনাহ্ থেকে পবিত্র করবেন না উপরন্তু তার জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।
আবূ যর গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
ثَلَاثَةٌ لَا يُكَلِّمُهُمُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَا يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ، وَلَا يُزَكِّيْهِمْ، وَلَـهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ، قَالَ: فَقَرَأَهَا رَسُوْلُ اللهِ ثَلَاثَ مِرَارٍ، قَالَ أَبُوْ ذَرٍّ: خَابُوْا وَخَسِرُوْا، مَنْ هُمْ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ: الْـمُسْبِلُ، وَالْـمَنَّانُ وَفِيْ رِوَايَةٍ: الْـمَنَّانُ الَّذِيْ لَا يُعْطِيْ شَيْئًا إِلاَّ مَنَّهُ، وَالْـمُنْفِقُ سِلْعَتَهُ بِالْـحَلِفِ الْكَاذِبِ.
‘‘তিন ব্যক্তি এমন যে, আল্লাহ্ তা‘আলা কিয়ামতের দিন তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেনও না এমনকি তাদেরকে গুনাহ্ থেকে পবিত্রও করবেন না উপরন্তু তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। বর্ণনাকারী বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কথাগুলো তিন বার বলেছেন। আবূ যর (রাঃ) বলেন: তারা সত্যিই ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত। তবে তারা কারা হে আল্লাহ্’র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: টাখনু বা পায়ের গিঁটের নিচে কাপড় পরিধানকারী, কাউকে কোন কিছু দিয়ে খোঁটা দানকারী এবং মিথ্যা কসম খেয়ে পণ্য সাপ্লাইকারী’’। (মুসলিম ১০৬)

ধুমপান হারাম যে সব কারণে ও ধূমপান ছাড়ার ১৩ কৌশল:

ধুমপান হারাম যে সব কারণে ও ধূমপান ছাড়ার ১৩ কৌশল:
১) এটি বিভিন্ন রোগের কারণ ও স্বাস্থের জন্য ক্ষতি কারক। নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হারাম।(বাকারা:১৯৫)
২) এটি মৃত্যুর অন্যতম একটি কারণ। আর আত্মহত্যা করা হারাম। (নিসা: ২৯)
৩) এর মাধ্যমে ধুমপায়ী নিজের যেমন ক্ষতি করে অন্যের ক্ষতি করে।ইসলামে নিজের বা অন্যের ক্ষতি করা হারাম।(মুয়াত্তা মালিক)
৪) দূর্গন্ধময়। যা অন্যের কষ্টের কারণ। কোন  মুসলমানকে কষ্ট দেয়া হারাম। (সূরা আহযাব: ৯৮)  ৩) অর্থ অপচয়। “অর্থ অপচয়কারী শয়তানের ভাই।” (সূরা ইসরা: ২৭)
৫) এটি একটি নাপাক বস্তু।আল্লাহ তায়ালা

দেখুন, ইসলাম কী শেখায়? আর আমরা কি করি !

দেখুন, ইসলাম কী শেখায়? আর আমরা কি করি !
১। প্রতারণা ও ধোকাবাজী করা হারামঃ রাসূল সা বলেছেনঃ
ﻣَﻦْ ﻏَﺸّﻨﺎ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻣِﻨِّﺎ
‘যে আমাদের সাথে প্রতারণা করে তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক
নেই।’ (মুসলিম)

২। প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া হারাম: রাসূল সা বলেছেনঃ ﻣَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻳُﺆْﻣِﻦُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟْﻴَﻮْﻡِ ﺍﻟْﺂﺧِﺮِ ﻓَﻠَﺎ ﻳُﺆْﺫِﺟَﺎﺭَﻩُ
‘যে আল্লাহ এবং আখেরাতের উপর বিশ্বাস রাখে সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না
দেয়।’ (বুখারী)

৩. অতিথী সেবা: রাসূল সা বলেছেনঃ

দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারে ইসলামের বিধান

দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারে ইসলামের বিধান

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ
প্রশ্নঃ কারও আগমনের সাথে উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারে ইসলামের বিধান কি?
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যে
কারও আগমনের সাথে উঠে দাঁড়ানোর ব্যাপারে শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ একটি বিস্তারিত উত্তর প্রদান করেছেন, শরীয়াহর দলীলের উপর ভিত্তি করে, তাঁর এ মতামত উল্লেখ করা হলঃ
“রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিংবা খোলাফায়ে রাশেদীনের সমকালীন সালাফগণের কারোরই এই রীতি বা অভ্যাস ছিল না যে তাঁরা প্রতিবার নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) দেখামাত্রই উঠে দাঁড়িয়ে যেতেন, যেটা অনেক মানুষ করে থাকে । বরং আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,

জেনে নিন কোন সময় কি বলতে হবে।

জেনে নিন কোন সময় কি বলতে হবে।
***********************************
❖১. কোনো কিছু আরম্ভ করার
পূর্বে বলুনঃ বিসমিল্লাহ্
❖২. ভবিষ্যতে কোনো কিছু করার
উদ্দেশ্য বলুনঃ ইনশা আল্লাহ্
❖৩. কোনো বিস্ময়কর বিষয়
দেখলে বলুনঃ সুবাহানাল্লাহ্
❖৪. কষ্টে ও যন্ত্রণায়
বলুনঃ ইয়া আল্লাহ্
❖৫. প্রশংসার
বহিঃপ্রকাশে বলুনঃ মাশা আল্লাহ্

সূর্য কি পৃথিবীর চার দিকে ঘুরে?

সূর্য কি পৃথিবীর চার দিকে ঘুরে?
মান্যবর শায়খ উত্তরে বলেন যে, শরীয়তের প্রকাশ্য দলীলগুলো প্রমাণ করে যে, সূর্যই পৃথিবীর চতুর্দিকে ঘুরে। এই ঘুরার কারণেই পৃথিবীতে দিবা-রাত্রির আগমণ ঘটে। আমাদের হাতে এই দলীলগুলোর চেয়ে বেশী শক্তিশালী এমন কোন দলীল নাই, যার মাধ্যমে আমরা সূর্য ঘূরার দলীলগুলোকে ব্যাখ্যা করতে পারি। সূর্য ঘুরার দলীলগুলো হলঃ আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
)فَإِنَّ اللَّهَ يَأْتِي بِالشَّمْسِ مِنْ الْمَشْرِقِ فَأْتِ بِهَا مِنْ الْمَغْرِبِ(
“আল্লাহ তাআ’লা সূর্যকে পূর্ব দিক থেকে উদিত করেন। তুমি পারলে পশ্চিম দিক থেকে উদিত কর।” (সূরা বাকারাঃ ২৫৮) সূর্য পূর্ব দিক থেকে উঠার মাধ্যমে প্রকাশ্য দলীল পাওয়া যায় যে, সূর্য পৃথিবীর উপর পরিভ্রমণ করে।
২) আল্লাহ বলেনঃ

দোয়া কেন কবুল হয়না ? প্রশ্নঃ কিছু কিছু মানুষ আল্লাহর কাছে দু’আ করে থাকে। কিন্তু দু’আ কবূল হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যায় না। অথচ আল্লাহ তাআ’লা বলেছেন, “তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব”। তাহলে মানুষ কিভাবে আল্লাহর কাছে দু’আ করলে তা কবূল হবে?



##দুয়া কেনো কবুল হয়না?
_____________________________
##প্রশ্নঃ কিছু কিছু মানুষ আল্লাহর কাছে দু’আ করে থাকে। কিন্তু দু’আ কবূল হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যায় না। অথচ আল্লাহ তাআ’লা বলেছেন, “তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব”। তাহলে মানুষ কিভাবে আল্লাহর কাছে দু’আ করলে তা কবূল হবে?
##উত্তরঃ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা। দরূদ ও সালাম পেশ করছি আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), তাঁর পরিবার এবং সকল সাহাবীর উপর। মুসলমান ভাইদের জন্য আল্লাহর কাছে আকীদাহ ও আমলের ক্ষেত্রে সঠিক পথের তাওফীক প্রার্থনা করছি। আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
)وَقَالَ رَبُّكُمْ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ(
তোমাদের পালনকর্তা বলেন,

সিগারেট,জর্দা,নেশাদারদ্রব্য ও ধুমপান করা হারাম*

সিগারেট,জর্দা,নেশাদারদ্রব্য ও ধুমপান করা হারাম*

عَنْ عُثْمَانَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم اِجْتَنِبُوا الْخَمْرَ فَإنَّهاَ أُمُّ الْخَبَائِثِ فَمَنْ لَمْ يَجْتَنِبْهَا فَقَدْ عَصَى اللهَ وَرَسُوْلَهُ وَاسْتَحَقَّ الْعَذَابَ بِمَعْصِيَةِ اللهِ وَرَسُوْلِهِ قال الله تعالى وَمَن يَعْصِ اللهَ وَرَسُوْلَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُوْدَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيْهَا وَلَهُ عَذَابٌ مُهِيْنٌ.
ওছমান (রাঃ)
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা নেশাদার দ্রব্য থেকে বেঁচে থাক। কেননা নেশাদার দ্রব্য হচ্ছে অশ্লীল কর্মের মূল। যে ব্যক্তি নেশাদার দ্রব্য থেকে বেঁচে থাকে না তারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের নাফরমানী করে এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের নাফরমানী করার কারণে সে শাস্তির হক্বদার হয়’। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের নাফরমানী করে এবং তার সীমালঙ্ঘন করে, আল্লাহ তাকে এমন আগুনে প্রবেশ করাবেন যেখানে সে চিরকাল থাকবে। তার জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি’ (নিসা ১৪; নাসাঈ, হাদীছ ছহীহ)।
ঊপদেশ, হাদিস নং ৭০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَكُلُّ خَمْرٍ حَرَامٌ وَمَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي الدُّنْيَا وَمَاتَ لَمْ يَتُبْ مِنْهَا وَهُوَ مُدْمِنُهَا لَمْ يَشْرَبْهَا فِي الْآخِرَةِ.
ইবনু ওমর (রাঃ)
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

আল্লাহ তা'আলা কোথায় আছেন? সর্বত্র বিরজমান নাকি আরশে আজিমে ?

আল্লাহ তা'আলা কোথায় আছেন?
>>> আল্লাহ আরশে সমুন্নত আছেন <<<
الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى রহমান (আল্লাহ) আরশে সমুন্নত আছেন। ত্ব-হা ২০/৫
إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالأرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ 
নিশ্চয়ই তোমাদের রব আল্লাহ, যিনি আসমানসমূহ ও জমিন ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন; তারপর তিনি আরশে সমুন্নত হয়েছেন। আল-আ‘রাফ, ৭/৫৪, ইউনুস, ১০/৩
اللَّهُ الَّذِي رَفَعَ السَّمَاوَاتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ 
আল্লাহ যিনি খুঁটি ছাড়া আকাশসমূহ উঁচু করেছেন, যা তোমরা দেখছ; তারপর তিনি আরশে সমুন্নত হয়েছেন। আর-রা‘দ, ১৩/২
هُوَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالأرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ 
তিনি আসমানসমূহ ও জমিন ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, তারপর তিনি আরশে সমুন্নত হয়েছেন। আল-হাদীদ, ৫৭/৪

রাসুলুল্লাহ সঃ এর চোখে সেরা এগারো ব্যাক্তিঃ আসুন আমার আপনার অবস্থান মিলাই..

আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চোখে সেরা এগারো ব্যাক্তিঃ  আসুন আমার আপনার অবস্থান মিলাই...।
.
১- তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা সে যে কুরআন শিখে এবং শেখায়। (বুখারী, পর্ব: ফাজায়েলুল কুরআন, অধ্যায়: ২১ হাদীস নং: ৫০২৭)।

২- নিশ্চই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে যে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী। (বুখারী, পর্ব: শিষ্টাচার, অধ্যায়: উত্তম চরিত্র, হাদীস নং: ৬০৩৫)।

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ