Wednesday, January 31, 2018

সোনামনিদের হাদীস শিক্ষা আসর-১

সোনামনিদের হাদীস শিক্ষা আসর-১
পূর্বকথা
ঘুমিয়ে আছে জাতির পিতা সব শিশুরই অন্তরে। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। শিশুদের হাতেই নির্মিত হবে আমাদের আগামীর দিনগুলো। কথাগুলো আমরা প্রায়ই বলে থাকি। এসব বাক্য থেকে শিশুদের সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে গড়ে তোলার গুরুত্ব সহজেই অনুমেয়। এরা যদি যোগ্য, নৈতিকতাসম্পন্ন ও আদর্শে বলীয়ান হয়ে গড়ে ওঠে তাহলে আমাদের ভবিষ্যত আলোকিত হবে। অন্যথায় তা হবে তমসাপূর্ণ।
শিশুদের মেধার সুষ্ঠু বিকাশ ও নৈতিকতার উন্মেষ ঘটাতে সবচেয়ে জরুরী তাদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। তাদের পর্যাপ্ত সুস্থ বিনোদন ও নির্মল পঠনসামগ্রীর ব্যবস্থা করা। এতে ব্যর্থ হলে

সহিহ হাদিসে কুদসি (১ম পর্ব)

 
 
সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য এবং দরূদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল, তার পরিবারবর্গ, তার সাথী ও তার সকল অনুসারীদের ওপর। অতঃপর,
“সহিহ হাদিসে কুদসি” গ্রন্থটি আমার নিকট বিশুদ্ধ প্রমাণিত  হাদিসে কুদসির বিশেষ সংকলন। এখানে আমি সনদ ও ব্যাখ্যা ছাড়া হাদিসে কুদসিগুলো উপস্থাপন করেছি। হাদিসগুলো সূত্রসহ উল্লেখ করে হুকুম ও শব্দের জরুরী অর্থ বর্ণনা করে ক্ষান্ত হয়েছি। আল্লাহ আমার এ আমল কবুল করুন এবং এর দ্বারা সকল মুসলিমকে উপকৃত করুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব হাদিস আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করে বর্ণনা করেছেন আলেমগণ সেগুলোকে “হাদিসে কুদসি” নামে অভিহিত করেছেন। আল্লাহর নাম “কুদ্দুস” এর সাথে সম্পর্কযুক্ত করে এসব হাদিসকে ‘কুদসি’ বলা হয়। (“কুদ্দুস” অর্থ পবিত্র ও পুণ্যবান।)
“হাদিসে কুদসি” ও কুরআনুল কারিমের মধ্যে পার্থক্য:

সহিহ হাদিসে কুদসি (২য় পর্ব)

আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(والأرْضُ جَميعًا قَبْضَتُهُ يَوْمَ القيامةِ والسَّماواتُ مَطوِيَّاتٌ بِيَمِينِه)
73- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ( قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «يَقْبِضُ اللَّهُ الْأَرْضَ وَيَطْوِي السَّمَوَاتِ بِيَمِينِهِ ثُمَّ يَقُولُ: أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ مُلُوكُ الْأَرْضِ» . ( خ, م, جه ) صحيح
৭৩. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: আল্লাহ তা‘আলা জমিন তাঁর হাতের মুঠোয় গ্রহণ করবেন, আর আসমান তার ডান হাতে মুড়িয়ে নিবেন, অতঃপর বলবেন: আমিই বাদশাহ, দুনিয়ার বাদশাহরা কোথায়?”। [বুখারি, মুসলিম ও ইব্‌ন মাজাহ] হাদিসটি সহিহ।

74- عَنْ ابْنِ عُمَرَ -رضي الله عنهما- عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ يَقْبِضُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْأَرْضَ، وَتَكُونُ السَّمَوَاتُ بِيَمِينِهِ ثُمَّ يَقُولُ: أَنَا الْمَلِكُ». ( خ ) صحيح
৭৪. ইব্‌ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

বিবিধ চিত্তাকর্ষক হাদিসসমূহ( দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্ক)


১/১৮১৭। নাওয়াস ইবনে সামআন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তাতে তিনি একবার নিম্ন সবরে এবং একবার উচ্চ সবরে বাক ভঙ্গিমা অবলম্বন করলেন। শেষ পর্যন্ত আমরা [প্রভাবিত হয়ে] মনে মনে ভাবলাম যে, সে যেন সামনের এই খেজুর বাগানের মধ্যেই রয়েছে। তারপর আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম, তখন তিনি আমাদের উদ্বিগ্নতা দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘তোমাদের কি হয়েছে?’’ আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আপনি আজ সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে এমন নিম্ন ও উচ্চ কণ্ঠে বর্ণনা করলেন, যার ফলে আমরা ধারণা করে বসি যে, সে যেন খেজুর বাগানের মধ্যেই রয়েছে।’ তিনি বললেন, ‘‘দাজ্জাল ছাড়া তোমাদের ব্যাপারে অন্যান্য জিনিসকে আমার আরও বেশী ভয় হয়। আমি তোমাদের মাঝে থাকাকালে

সুরা ফাতিহা শেষে আমিন স্বশব্দে না নিরবে বলতে হবে? পক্ষে -বিপক্ষে পর্যালোচনা!!

সুরা ফাতিহা শেষে আমিন স্বশব্দে না নিরবে বলতে হবে? পক্ষে -বিপক্ষে পর্যালোচনা!!


##ফাতিহা পাঠ শেষে “আমীন” কিভাবে বলতে হবে? স্বশব্দে না নিঃশব্দে বলতে হবে উভয় দলীল ও মুহাদ্দিস ও বিশিষ্ট আলেম গণের মন্তব্যঃ পর্ব-১ ধারাবাহিক ভাবে৩ পর্বে চলবে- কোন রেফারেন্স ভূল হলে ধরিয়ে দিন তাছাড়া নিজস্ব কোন মন্তব্য গ্রহণ যোগ্য নয়।
##আমীন অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি কবুল কর।
বিগত দিনে শুনে আসছি রাসূল প্রথম দিকে আমীন জোরে বলতেন পরে তা মানসুখ হয়ে গেছে কারণ ইসলামের প্রথমদিকে নও মুসলিমরা রাসূল (ছাঃ)এর পিছনে জিহাদের ময়দানে সালাত আদায়ের সময় ‘আমীন’ জোরে বলেছেন কারণ

সুরা ফাতিহা কি ক্বুরআনের অংশ নাকি অংশ নয়?

সুরা ফাতেহা কুরআনের অংশ/অংশ নয়।

আল্লাহ বলেছেন : ওয়া লাক্বাদ আতাইনাকা
সাব’আম মিনাল মাছানী ওয়াল কুরআনাল
আযীম। (সুরা হিজর:৮৭) (অর্থ : আমি তোমাকে
দিয়েছি বার বার পঠিত সাত আয়াত এবং
মহান গ্রন্থ আল-কুরআন।)
এই আয়াত দ্বারা অনেকে সুরা ফাতেহাকে
কুরআনের অংশ নয় প্রমাণ করতে চান। কিন্তু
তারা যে ধরণের তাফসীর করেন তা সম্পূর্ণ
ভূল তাফসীর। কেননা, তারা ‘ওয়া’ শব্দ দিয়ে
সবসময় কোন বিষয়কে মূল বিষয় থেকে সম্পুর্ণ
আলাদাভাবে ধরে নেন। যা মোটেও উচিত
নয়। কেননা, এই ধরণের বুঝ কুরআনের অন্য কিছু
আয়াতের বিরুদ্ধে যায়। আল্লাহ অত্র আয়াতে
‘ওয়া’ শব্দ দ্বারা সুরা ফাতেহাকে সম্পূর্ণ
কুরআন থেকে আলাদাভাবে উল্লেখ
করেছেন। আর তাই তারা বলেন যে,

সালাতের রুকন-ওয়াজিব -সুন্নাত সমুহ এবং সালাত ভঙ্গের কারন

সালাতের রুকন-ওয়াজিব -সুন্নাত সমুহ এবং সালাত ভঙ্গের কারন

সালাতের রুকন সমূহ ( أركان الصلاة) :
‘রুকন’ অর্থ স্তম্ভ। এগুলি অপরিহার্য বিষয়। যা ইচ্ছাকৃত বা ভুলক্রমে পরিত্যাগ করলে ছালাত বাতিল হয়ে যায়। যা ৭টি। যেমন-
(১) ক্বিয়াম বা দাঁড়ানো : আল্লাহ বলেন, وَقُوْمُوْا ِللهِ قَانِتِيْن َ ‘আর তোমরা আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠচিত্তে দাঁড়িয়ে যাও’ (বাক্বারাহ ২/২৩৮)
(২) তাকবীরে তাহরীমা : অর্থাৎ ‘আল্লাহু আকবর’ বলে দুই হাত কাঁধ অথবা কান পর্যন্ত উঠানো। আল্লাহ বলেন, وَلِرَبَّكَ فَكَبِّرْ ‘তোমার প্রভুর জন্য তাকবীর দাও’ (মুদ্দাছছির ৭৪/৩)। অর্থাৎ তাঁর বড়ত্ব ঘোষণা কর। রাসূলূল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, تَحْرِيْمُهَا التَّكْبِيْرُ وَتَحْلِيْلُهَا التَّسْلِيْمُ- ‘ছালাতের জন্য সবকিছু হারাম হয় তাকবীরের মাধ্যমে এবং সবকিছু হালাল হয় সালাম ফিরানোর মাধ্যমে’।[113]

সালাতের ফজিলত সম্পর্কে জঈফ ও জাল হাদীস!!

সালাতের ফজিলত সম্পর্কে জঈফ ও জাল হাদীস!!


সালাতের ফজিলতসম্পর্কে জঈফ ও জালহাদিসসালাত জান্নাতের চাবি কথাটি সমাজে বহুল প্রচলিত ।অনেকে বুখারিতে আছে বলেও চালিয়ে দেয়াইপছন্দ করে। আসলে এর কোন ভিত্তি নাই।হাদিস নং ১।জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছা)বলেছেন, জান্নাতের চাবি হল সালাত। আর সালাতেরচাবি হল পবিত্রতা।(মুসনাদে আহমাদ হা/১৪৭০৩ তিরমিজি হা/৪ মিস্কাত হা/২৪৯ফাজায়েলে আমাল ৮৮ পৃ)তাহকিকঃহাদিস এর প্রথম অংশ জঈফ (জঈফুল জামে হা/৫২৬৫,সিলসিলা ই জঈফা হা/৩৬০৯) দ্বিতীয় অংশ পৃথক সনদ এছহিহ সুত্রে বর্ণিত আছে। (আবু দাউদ হা/৬১, তিরমিজিহা/৩)হাদিসটির প্রথম অংশ জঈফ হবার কারন হল- উক্ত সনদ এদুইজন দুর্বল রাবি আছে। (ক) সুলাইমান বিন করম ও(খ) আবু ইয়াহিয়া আল-কাত্তাত।(আলবানি, মিস্কাত হা/২৯৪ এর টিকা দ্রষ্টব্য)জ্ঞাতব্যঃজান্নাতের চাবি সম্পর্কে ইমাম বুখারি (রহ) একটিঅনুচ্ছেদের বিষয়বস্তু আলোচনা করতে গিয়েওহাব

সালাতের গুরুত্ব, সালাত তরককারীর হুকুম এবং সালাতের ফজিলত

সালাতের গুরুত্ব, সালাত তরককারীর হুকুম এবং সালাতের ফজিলত

ছালাতের গুরুত্ব ( أهمية الصلاة) :
1) কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করার পরেই ইসলামে ছালাতের স্থান।[11]
2) ছালাত ইসলামের শ্রেষ্ঠতম ইবাদত, যা মি‘রাজের রাত্রিতে ফরয হয়।[12]
3) ছালাত ইসলামের প্রধান স্তম্ভ[13] যা ব্যতীত ইসলাম টিকে থাকতে পারে না।
4) ছালাত একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা ৭ বছর বয়স থেকেই আদায়ের অভ্যাস করতে হয়।[14]
5) ছালাতের বিধ্বস্তি জাতির বিধ্বস্তি হিসাবে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে।[15]
6) পবিত্র কুরআনে সর্বাধিকবার আলোচিত বিষয় হ’ল ছালাত।[16]

সালাতের আহকাম ও পদ্ধতি

সালাতের আহকাম ও পদ্ধতি 


সালাতের শর্তাবলি:
সালাতের শর্ত নয়টি।
এক : মুসলমান হওয়া :
সালাত ছাড়াও অন্যান্য যে কোন ইবাদতের ক্ষেত্রেই মুসলমান হওয়া পূর্বশর্ত। মুসলমান বলতে উদ্দেশ্য হল, যে ব্যক্তি আল্লাহকে রব হিসেবে বিশ্বাস করে এবং মুহাম্মদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে রাসূল বলে স্বীকৃতি প্রদান, আর ইসলামকে একমাত্র দ্বীন বলে মনে-প্রাণে গ্রহণ করে। অবিশ্বাসীর যাবতীয় ইবাদত প্রত্যাখ্যাত । অবিশ্বাসীদের কোন ইবাদতই আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়, যদিও তারা জমিনভর স্বর্ণ কল্যাণকর কাজে ব্যয় করে। আল্লাহ তাআলা বলেন :
وَقَدِمْنَا إِلَى مَا عَمِلُوا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنَاهُ هَبَاءً مَنْثُورًا .الفرقان :23
আমি তাদের কৃতকর্মগুলো বিবেচনা করব, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধুলি-কণায় পরিণত করব। (সূরা আল-ফুরকান : ২৩)
দুই : বুঝার বয়সে উপনীত হওয়া:
বুঝার মত বয়সে উপনীত হওয়া হল শরীয়তের বিধানাবলী উপলব্ধি ও গ্রহণ করার একমাত্র উপায়। জ্ঞানহীন ব্যক্তির উপর শরীয়তের কোন বিধানই ওয়াজিব নয়। প্রমাণ :রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :

সালাতের আহকাম ও পদ্ধতি

সালাতের আহকাম ও পদ্ধতি 


সালাতের শর্তাবলি:
সালাতের শর্ত নয়টি।
এক : মুসলমান হওয়া :
সালাত ছাড়াও অন্যান্য যে কোন ইবাদতের ক্ষেত্রেই মুসলমান হওয়া পূর্বশর্ত। মুসলমান বলতে উদ্দেশ্য হল, যে ব্যক্তি আল্লাহকে রব হিসেবে বিশ্বাস করে এবং মুহাম্মদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে রাসূল বলে স্বীকৃতি প্রদান, আর ইসলামকে একমাত্র দ্বীন বলে মনে-প্রাণে গ্রহণ করে। অবিশ্বাসীর যাবতীয় ইবাদত প্রত্যাখ্যাত । অবিশ্বাসীদের কোন ইবাদতই আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়, যদিও তারা জমিনভর স্বর্ণ কল্যাণকর কাজে ব্যয় করে। আল্লাহ তাআলা বলেন :

সালাতে রুকুর আগে ও পরে হাত উত্তোলন(রাফুল ইয়াদিন) করতে হয় নাকি করতে হয় না? একটি পর্যালোচনা

সালাতে রুকুর আগে ও পরে হাত উত্তোলন(রাফুল ইয়াদিন) করতে হয় নাকি করতে হয় না? একটি পর্যালোচনা


সহীহ হাদীসের আলোকে রফউল ইয়াদাইনের কয়েকটি প্রসিদ্ধ হাদীস বর্ণনা করা হলোঃ
(১) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) সুত্রে বর্ণিত।  তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে দেখেছি, তিনি যখন সালাতেস জন্য দাঁড়াতেন তখন কাঁধ পর্য্ত দু’ হাত উঠাতেন, এবং তিনি যখন রুকু’র জন্য তাকবীর বলতেন তখনও এরূপ করতেন, আবার যখন রুকু’ থেকে মাথা উঠাতেন তখনও এ রকম করতেন এবং সামিআল্লাহুলিমান হামিদাহ বলতেন।  তবে তিনি সাজদাহর সময় এমন করতেন না। (সহীহুল বুখারী, ৭৩৪, ৭৩৫, মুসলিম, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ, আহমাদ, মুয়াত্তা মালিক, মায়াত্তা মুহাম্মাদ, ত্বাহাভী, বায়হাক্বী, তিরিমিযী)
(২) মালিক ইবনুল হুওয়াইরিস (রাঃ) বলেন,

সালাতে বুকে হাত বাঁধা এবং নাভীরনীচে হাত বাঁধার যঈফ দলীলসমূহ

★ সালাতে বুকে হাত বাঁধা এবং নাভীরনীচে হাত বাঁধার যঈফ দলীলসমূহ>>>> সালাতে বুকে হাত বাঁধা এবং নাভীর নীচে হাতবাঁধারযঈফ দলীলসমূহ প্রমানসহ নিচে উপস্থাপন করাহলো <<<<দুই হাতের আংগুল সমূহ ক্বিবলামুখী খাড়াভাবে কাঁধঅথবা কানপর্যন্ত উঠিয়ে দুনিয়াবী সবকিছুকে হারাম করেদিয়ে স্বীয় প্রভুরমহত্ত্ব ঘোষণা করে বলবে ‘আল্লা-হুআকবার’ (আল্লাহ সবারচেয়ে বড়)। তারপর বাম হাতের উপরে ডান হাত,বুকেরউপরে বেঁধে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সম্মুখেনিবেদিত চিত্তে সিজদারস্থান বরাবর দৃষ্টি রেখে দাড়াতে হবে।মহানআল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর জন্যনিবিষ্টচিত্তে দাঁড়িয়ে যাও’। বাকারাহ- ২/২৩৮হাত বাঁধার সময় দুই কানের লতি বরাবর দুই হাতেরবৃদ্ধাঙ্গুলী উঠানোর হাদীস যঈফ। আবু দাউদ-৭৩৭# ইবনে হুজাইফা(রাঃ) মুরসাল হাদীসে বলেন,

সালাতে বিনয়ী হওয়ার তেত্রিশ উপায় (২য় পর্ব)

সালাতে বিনয়ী হওয়ার তেত্রিশ উপায় (২য় পর্ব)

 ১৮- সালাতের পর হাদিসে বর্ণিত দো‘আ:
এ দো‘আগুলো অন্তরে সালাতের প্রতি মনোযোগ সৃষ্টি ও সালাত দ্বারা বরকত লাভ ও উপকার লাভে সাহায্য করে।
আর এতে কোন সন্দেহ নেই যে, প্রথম ইবাদতকে সংরক্ষণ করা ও তার হেফাযত করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সে ইবাদতের সাথে সাথে অন্য দ্বিতীয় কিছু ইবাদত করে নেওয়া। সালাতের পর যিকিরসমূহের মধ্যে চিন্তা করা দ্বারা বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝে আসবে। কারণ, সে প্রথমে ক্ষমা প্রার্থনা দিয়ে শুরু করবে; সালাত শেষ করার সাথে সাথে সালাতে তার যে সব দুর্বলতা- অমনোযোগীতা, খুশুহীনতা প্রকাশ পেয়েছে এবং সালাতে তার যে সব ভুলত্রুটি দেখা দিয়েছে, তার জন্য তিনবার এস্তেগফার পড়বে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, নফল সালাত আদায় করবে,

সালাতে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া অন্যত্র হাত উত্তোলন প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নের জবাব

সালাতে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া অন্যত্র হাত উত্তোলন প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নের জবাব

সালাতে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া অন্যত্র হাত উত্তোলন প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নের জবাব
 প্রশ্ন (১৭/২৫৭) : আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) একদা বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যেভাবে ছালাত আদায় করতেন আমি কি তোমাদের সেভাবে ছালাত আদায় করে দেখাব না? অতঃপর তিনি ছালাত আদায় করলেন। কিন্তু তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত অন্য কোন সময় দু’হাত উত্তোলন করলেন না’ (তিরমিযী ১/৩৫)। তিরমিযী হাদীছটিকে হাসান বলেছেন। আবার বারা ইবনে আযিব (রাঃ) বলেন, ‘নবী করীম (ছাঃ) তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত আর কখনো হাত উঠাতেন না’ (আবূদাঊদ ১/১০৯)। এক্ষণে ছালাতে রাফ‘ঊল ইয়াদায়েন করার প্রমাণে হাদীছদ্বয়ের বিপক্ষে যুক্তি কি?
-ছিয়াম বিন সাইফুদ্দীন মধুপুর, টাংগাঈল।

উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত হাদীছ দু’টি সহ ‘রাফ‘ঊল ইয়াদায়েন’ না করার পক্ষে যে সকল দলীল পেশ করা হয়, তার সবগুলিই যঈফ।
•  প্রশ্নে বর্ণিত ১ম হাদীছটি ইমাম আবুদাঊদ বর্ণনা করে বলেন,

সালাতে একাগ্রতা ও খুশুর জন্য ৩৩ টি উপায় ।

সালাতে একাগ্রতা ও খুশু

মহান আল্লাহ ইরশাদ করছেন,
وَقُومُوا لِلهِ قَانِتِينَ ﴿البقرة : ২৩৮﴾
এবং আল্লাহর জন্য দাঁড়াও বিনীত হয়ে। (আল-বাকারা : ২৩৮)
আরও ইরশাদ হচ্ছে,
وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى الْخَاشِعِينَ . الَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُمْ مُلَاقُو رَبِّهِمْ وَأَنَّهُمْ إِلَيْهِ رَاجِعُونَ ﴿البقرة:৪৬﴾
আর তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় তা বিনয়ী ছাড়া অন্যদের উপর কঠিন। যারা বিশ্বাস করে যে, তারা তাদের রবের সাথে সাক্ষাৎ করবে এবং তারা তাঁর দিকে ফিরে যাবে। (আল-বাকরা : ৪৫-৪৬)
সালাত ইসলামের একটি শরীরিক ইবাদত, বড় রুকন। একাগ্রতা ও বিনয়াবনতা এর প্রাণ, শরিয়তের অমোঘ নির্দেশও। এদিকে অভিশপ্ত ইবলিশ মানবজাতিকে পথভ্রষ্ট ও বিপদগ্রস্ত করার শপত নিয়ে অঙ্গীকার করেছে,

সালাত সম্পরকে গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় কিছু প্রশ্ন তার উত্তর

সালাত সম্পরকে গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় কিছু প্রশ্ন তার উত্তর


প্রশ্ন ১. রব্বানা ওয়ালাকাল হামদ এর পর
রুকুতে আর কি পড়তে হয় ? ২. দুই সিজদার
মাঝে আল্লাহুম্মাগফিরলীর এর পর
কি পড়তে হয় ? ৩. রুকু ও সিজদা’য়
পড়া হয়ে থাকে যে দোয়া গুলো সেগুলো কি ?
৪. তারাবী’র সালাতে চার রাকাআত পর
সুবহানা যিল মুলকি ওয়া মালাকুতি…… এর
দোয়া থাকলে জানাবেন । ৫. আমাদের
এলাকার লোকেরা বিশ লাখ নেকী’র
দোয়া পড়ছে এর কোন সহীহ
ভিত্তি আছে কি ? ৬. ফজর ও মাগরিবের
সালাতের পর সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত
পড়ার কোন হাদীস আছে কি ?

সালাত বর্জনকারীর বিধান কি ?

সালাত বর্জনকারীর বিধান
নিশ্চয় এই বিষয়টি অত্যন্ত জ্ঞানপূর্ণ বিষয়সমূহের মধ্য থেকে অন্যতম বড় একটি বিষয়, যার ব্যাপারে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল যুগের আলেমগণ বিতর্ক বা মতবিরোধ করেছেন; ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল র. বলেন:
“সালাত বর্জনকারী মুসলিম মিল্লাত থেকে বহিষ্কার হয়ে যাওয়ার মত কাফির; সে তাওবা করে সালাত আদায় করা শুরু না করলে তাকে হত্যা করা হবে।
আর ইমাম আবূ হানিফা, মালেক ও শাফে‌য়ী র. বলেন:

সালাত পরবর্তী দুয়া ও জিকির সমূহ

সালাত পরবর্তী দুয়া ও জিকির সমূহ

সালাত পরবর্তী দুয়া ও জিকির সমূহ
 আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহ।
আমাদের সমাজে দেখা যায়, ফরজ নামায হয়ে গেলে ইমাম-মুক্তাদীগণ সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করে থাকেন। অথবা শুরু হয় বেদাআতী পদ্ধতি সম্মিলিত জিকির। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে সকল দুয়া ও জিকির নিয়মিত পাঠ করতেন সেগুলোর কোন গুরুত্ব নাই। ইমাম সাহেব নিজেও এসব দুয়া ও জিকিরগুলো পাঠ করেন না, মুসল্লীদেরকেও শেখান না বা পড়তে উৎসাহিত করেন না। তাইতো বলা হয়, সুন্নত যেখান থেকে উঠে যায় বেদআত সেখানে জায়গা দখল করে। আর আমাদের সমাজে এটাই হয়েছে। আল্লাহ যেন আমাদেরকে বিদআত বর্জন করে সুন্নত অনুসরণ করার তাওফীক দান করেন। আমীন।
সহীহ সুন্নাহ থেকে ফরজ সালাত সমাপান্তে ইমাম-মুক্তাদী সবার জন্য পঠিতব্য দুয়া ও জিকির সমূহ উপস্থাপন করা হল:

সালাত ও পবিত্রতা সম্পর্কে কয়েকটি বিশেষ প্রবন্ধ

সালাত ও পবিত্রতা সম্পর্কে কয়েকটি বিশেষ প্রবন্ধ

 জামা‘আতে সালাত আদায় করার অপরিহার্যতা
শায়খ আব্দুল আযীয ইবন বায
মুসলিম পাঠকবৃন্দের প্রতি আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বাযের একটি বিশেষ আহবান। আল্লাহ তা‘আলা  তাঁর সন্তুষ্টির কাজে তাদের তাওফীক দান করুন এবং আমাকেও তাদের সেই সমস্ত লোকের অন্তর্ভুক্ত করুন যারা তাঁকে ভয় করে তার নির্দেশ মেনে চলে। আমীন!

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পারলাম যে, অনেক লোক জামা‘আতে সালাত আদায়ে অবহেলা করছেন এবং কোনো কোনো আলেমের ছাড়প্রবণ বক্তব্যকে এর পক্ষে দলীল হিসেবে পেশ করছেন। তাই, আমার কর্তব্য হলো, সবাইকে এই বিষয়ের গুরুত্ব ও এর ভয়ঙ্কর দিকগুলো স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া এবং এই কথাও বলে দেওয়া যে, কোনো মুসলিমের পক্ষে এমন বিষয়ে অবহেলার আচরণ করা উচিত নয়

সালাত আদায়ের পদ্ধতি

সালাত আদায়ের পদ্ধতি

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে সালাত আদায় করেছেন ঠিক সেভাবে সালাত করাই সালাতের বিশুদ্ধ পদ্ধতি। মালেক ইব্‌ন হুয়াইরিস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
… صلوا كما رأيتموني أصلي.
“তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখ, সেভাবে সালাত আদায় কর”।[1] তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ন্যায় যে সালাত আদায় করতে চায়, তার উচিত এ পুস্তকে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসারে সালাত আদায় করা:
 ১. পরিপূর্ণরূপে অযু করা, যেরূপ আল্লাহ তা‘আলা তার বাণীতে নির্দেশ দিয়েছেন:
 “হে মুমিগণ, যখন তোমরা সালাতে দণ্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাকনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও। আর যদি অসুস্থ হও কিংবা সফরে থাক অথবা যদি তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে অথবা তোমরা স্ত্রী সহবাস কর অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত দ্বারা মাসেহ কর। আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না, বরং তিনি চান তোমাদের পবিত্র করতে এবং তার নিআমত তোমাদের উপর পূর্ণ করতে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর”।[2]
আব্দুল্লাহ ইব্‌ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

সহিহ নামাজ শিক্ষা

সহিহ নামাজ শিক্ষা
অনুবাদকের ভূমিকা
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য,
যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। দরুদ ও
সালাম তাঁর বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
প্রতি, যিনি সমগ্র বিশ্বমানবতার নবী,
নবীকূলের শিরোমনি সৃষ্টিকুলের রহমত ও
কল্যাণের প্রতীক। আমি শায়খ
ডঃ আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ
আলী আযযাইদের সালাত বিষয়ক গ্রন্থ
” তালীমুস সালাহ”
পাঠান্তে উপলব্ধি করি যে, এটির

সফরের বিধান

সফর তিন প্রকার:
এক – প্রশংসনীয় সফর :
যে সফর আল্লাহর আদেশ বা নিষেধ র্কাযকর করার উদ্দেশ্যে হয়। যেমন-হজ-ওমরা পালন অথবা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, দ্বীনের দাওয়াত, ইলমেদ্বীন শিক্ষা, আত্মীয়তার সর্ম্পক বজায় রাখা অথবা দ্বীনি ভাইদের সাথে সাক্ষাত ইত্যাদি উদ্দেশ্যে সফর করা।
দুই – নিন্দনীয় সফর :
এমন কোন খারাব উদ্দেশ্যে সফর করা, যার অনুমতি ইসলামী শরীয়ত প্রদান করেনি। যেমন- কোন পীর, বুজুর্গ বা ওলীর মাযার ও কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর করা। অথবা হারাম বা নিষিদ্ধ ব্যবসার উদ্দেশ্যে সফর করা। যেমন- মদ বা নেশা জাতীয় কোন বস্তু ক্রয়-বিক্রয় বা আমদানি-রপ্তানি ইত্যাদি উদ্দেশ্যে সফর করা। এ ছাড়াও যে কোন অসৎ কাজ, অশ্লীল বিনোদন ও ফাসাদ সৃষ্টি করা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করা।
তিন- বৈধ সফর :

সফর বা কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কে কিছু বিধান

কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কে কিছু বিধান ভূমিকা আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর প্রশংসা ও নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দুরূদ পাঠের পর আজকের আলোচনা শুরু করছি। ইবাদতের ব্যাপারে একটি মৌলিক নীতি হচ্ছে, প্রতিটি ইবাদতের জন্য শরী‘আতপ্রবর্তক আল্লাহ তা‘আলা একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন যা সে সময়েই আদায় করতে হয়, যদি না সেটাকে তার সময় থেকে বিশেষ আবশ্যকতা বা প্রয়োজনের কারণে বের করে অন্য সময়ে করার ব্যাপারে দলীল- প্রমাণাদি পাওয়া যায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢۡ ﻋَﻦ ﺻَﻠَﺎﺗِﻬِﻢۡ ﺳَﺎﻫُﻮﻥَ ٥ ﴾ ‏[ ﺍﻟﻤﺎﻋﻮﻥ : ٥ ] “যারা তাদের সালাত সম্পর্কে বেখবর” [সূরা আল-মা‘উন, ৫] অর্থাৎ তারা সালাতকে তার সময় থেকে পিছিয়ে দেয়। অনুরূপভাবে বুখারী, মুসলিম, সুনান গ্রন্থকারগণ, মালেক এবং আহমাদ সহ অন্যান্যগণ আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,

মুখে সশব্দে নিয়ত পড়া প্রসঙ্গ

 মুখে সশব্দে নিয়ত পড়া প্রসঙ্গ

নিয়তের অর্থঃ
নিয়ত আরবী শব্দ। এর বাংলা অর্থঃ ইচ্ছা করা, মনস্ত করা, এরাদা করা, সংকল্প করা। (মুনজিদ, ৮৪৯/ ফতহুল বারী, ১/১৭)
শব্দটি আমরা বাংলাভাষী লোকেরাও ব্যবহার করে থাকি। যেমন আমরা বলি: আমি এ বছর হজ্জ করার নিয়ত করেছি। অর্থাৎ ইচ্ছা করেছি মনস্থ করেছি।
নিয়তের গুরুত্বঃ
শরীয়তে নিয়তের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যক্তির আমল আল্লাহর নিকট গ্রহণীয় হয়না যতক্ষণে বান্দা তার নিয়ত সঠিক না করে নেয়। অর্থাৎ , আল্লাহর জন্যে তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে না করে নেয়। আল্লাহ বলেনঃ
(তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ট ভাবে আল্লাহর এবাদত করবে…)। (সূরা বাইয়্যিনাহ/৫)
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ