Saturday, November 18, 2017

তাহাজ্জুদ নামাযের কাযা

তাহাজ্জুদ নামাযের কাযা


যে তাহাজ্জুদ-গুযার বান্দার কোন কারণবশত: রাতের ১১ রাকআত নামায ছুটে যায় সে তা দিনে বিশেষ করে চাশতের সময় ১২ রাকআত কাযা করতে পারে।
মহানবী (সাঃ)-এর তাহাজ্জুদ ঘুম বা ব্যথা-বেদনার কারণে ছুটে গেলে দিনে ১২ রাকআত কাযা পড়তেন। (মুসলিম, সহীহ) হযরত উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) প্রমুখাৎ বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেছেন,

তাহাজ্জুদের ক্বিরাআত

তাহাজ্জুদের ক্বিরাআত


তাহাজ্জুদ নামাযের ক্বিরাআত লম্বা হওয়া বাঞ্ছনীয়। মহানবী (সাঃ) বলেন, “শ্রেষ্ঠ নামায হল লম্বা কিয়াম।” (আহমাদ, মুসনাদ, মুসলিম,  মিশকাত ৪৬, ৮০০নং)
ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, এক রাতে নবী (সাঃ)-এর সাথে নামায পড়লাম। তিনি কিয়াম করতেই থাকলেন, পরিশেষে আমি মন্দ ইচ্ছা করে ফেলেছিলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, সে মন্দ ইচ্ছাটি কি? তিনি বললেন, আমি ইচ্ছা করেছিলাম যে, তাঁকে ছেড়ে দিয়ে বসে যাব! (বুখারী, মুসলিম, সহীহ)
হুযাইফা বিন ইয়ামান বলেন, এক রাতে নবী (সাঃ)-এর সাথে নামায পড়লাম। তিনি

তাহাজ্জুদের রাকআত-সংখ্যা

তাহাজ্জুদের রাকআত-সংখ্যা


রাতের নামাযের কোন নির্দিষ্ট রাকআত সংখ্যা নেই। এক রাকআত পড়লেও রাতের নামায পড়া হয়। ইবনে আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, মহানবী (সাঃ) তাহাজ্জুদের ব্যাপারে বলেন, “(রাতের নামায) অর্ধ রাত্রি, এক তৃতীয়াংশ, এক চতুর্থাংশ, উট বা ছাগলের দুধ দোয়াবার সময় একবার দুইয়ে দ্বিতীয়বার দুয়ানোর জন্য যতটুকু বিরতি দেওয়া ততটুক (সামান্য) সময়ও।” (ত্বাবারানী, মু’জাম, তামামুল মিন্নাহ্‌, আলবানী ২৪৮পৃ:)
তবে উত্তম হল

তাহাজ্জুদের সময়

তাহাজ্জুদের সময়


তাহাজ্জুদ নামাযের সময় শুরু হয় এশার নামাযের পর থেকে এবং শেষ হয় ফজর উদয় হওয়ার সাথে সাথে। রাতের প্রথমাংশে, মধ্য রাতে এবং শেষাংশে যে কোন সময়ে তাহাজ্জুদ পড়া যায়। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, ‘আমরা রাতের যে কোন অংশে নবী (সাঃ)-কে নামায পড়তে দেখতে চাইতাম, সেই সময়ই দেখতে পেতাম, তিনি নামায পড়ছেন। আবার রাতের যে কোন অংশে আমরা তাঁকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে চাইতাম, তখনই আমরা দেখতে পেতাম, তিনি ঘুমিয়ে আছেন।’ (আহমাদ, মুসনাদ, বুখারী, নাসাঈ, সুনান, মিশকাত ১২৪১নং)
সুতরাং এ কথা স্পষ্ট যে,

তাহাজ্জুদের বিভিন্ন আদব

তাহাজ্জুদের বিভিন্ন আদব


১। ঘুমাবার আগে তাহাজ্জুদের নিয়ত করে ঘুমাতে হবে। এতে সে শেষ রাত্রে ঘুম থেকে জেগে নামায পড়তে সক্ষম না হলেও তার জন্য তাহাজ্জুদের সওয়াব লিখা হবে।
হযরত আবু দারদা (রাঃ) নবী (সাঃ) এর নিকট হতে বর্ণনা করে বলেন, তিনি বলেছেন, “রাত্রে উঠে তাহাজ্জুদ পড়বে এই নিয়ত (সংকল্প) করে যে ব্যক্তি নিজ বিছানায় আশ্রয় নেয়, অতঃপর তার চক্ষুদ্বয় তাকে নিদ্রাভিভূত করে ফেলে এবং যদি এই অবস্থাতেই তার ফজর হয়ে যায় তবে তার আমলনামায় তাই লিপিবদ্ধ হয় যার সে নিয়ত (সংকল্প) করেছিল। আর তার ঐ নিদaf তার প্রতিপালকের তরফ হতে সদকাহ্‌ (দান) রুপে প্রদত্ত হয়।” (নাসাঈ, ইবনে মাজাহ্‌, ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ তারগীব ৫৯৮নং)
২। ঘুম থেকে উঠে, চোখ মুছে দাঁতন করা এবং সূরা আলে ইমরানের শেষের ১০ আয়াত পাঠ করা সুন্নত। (বুখারী ১৮৩নং, মুসলিম, সহীহ)
৩। ওযূ করার পর হাল্কা দুই রাকআত পড়ে তাহাজ্জুদের নামায শুরু করা কর্তব্য। মহানবী (সাঃ) বলেন, “তোমাদের কেউ (তাহাজ্জুদের জন্য) রাত্রে উঠলে সে যেন তার নামায হাল্কা দুই রাকআত দিয়ে শুরু করে।” (মুসলিম, সহীহ)
৪। তাহাজ্জুদ পড়ার জন্য নিজের স্ত্রীকে জাগানো মুস্তাহাব। এর জন্য

তাহাজ্জুদ নামাযের গুরুত্ব ও ফজিলত

এই নামাযের মাহাত্ম


এই নামাযের কথা উল্লেখ করত: মহান আল্লাহ তাঁর রসূল মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে সম্বোধন করে বলেন,
(وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَّكَ، عَسَى أَنْ يَّبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَاماً مَّحْمُوْداً)
অর্থাৎ, রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ নামায পড়; এ তোমার জন্য একটি অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে মাকামে মাহ্‌মূদে (প্রশংসিত স্থানে) প্রতিষ্ঠিত করবেন। (কুরআন মাজীদ ১৭/৭৯)
“হে বস্ত্র আচ্ছাদনকারী (নবী)! উপাসনার জন্য রাত্রিতে উঠ (জাগরণ কর); রাত্রির কিছু অংশ বাদ দিয়ে; অর্ধরাত্রি অথবা তদপেক্ষা অল্প। অথবা তদপেক্ষা বেশী। কুরআন তেলাওয়াত কর ধীরে ধীরে স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে। আমি তোমার উপর অবতীর্ণ করেছি গুরুত্বপূর্ণ বাণী। ইবাদতের জন্য রাত্রি জাগরণ গভীর অভিনিবেশ ও হৃদয়ঙ্গম করার পক্ষে অতিশয় অনুকূল।” (কুরআন মাজীদ ৭৩/১-৫)
“রাত্রিতে তাঁর প্রতি সিজদাবনত হও এবং রাত্রির দীর্ঘ সময় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর।” (কুরআন মাজীদ ৭৬/২৬)
এ সম্বোধন মহানবীর জন্য হলেও তাঁর অনুসরণ করতে মুসলিম উম্মাহ্‌ অনুপ্রাণিত হয়েছে।
যাঁরা তাহাজ্জুদ পড়েন, তাঁরা অবশ্যই সৎলোক, মহান আল্লাহর কৃপা ও অনুগ্রহের অধিকারী। মহান আল্লাহ বলেন,

তাহাজ্জুদ নামায

তাহাজ্জুদ নামায


রাতের নিঃঝুম পরিবেশে যখন সবাই ঘুমিয়ে থাকে, নিদ্রার আবেশে মানুষ যখন মহান সৃষ্টিকর্তা ও প্রতিপালকের কথা বিস্মৃত হয়, সেই সময় আল্লাহর কিছু খাস বান্দা নিদ্রা, আরাম-আয়েশ ও স্ত্রীর শয্যা ত্যাগ করে আল্লাহকে বিশেষভাবে স্মরণ করার জন্য, তাঁর সাথে মুনাজাতে নিমগ্ন হওয়ার জন্য উঠে ওযূ করে তাহাজ্জুদ পড়েন। আল্লাহর ক্ষমা লাভ করতে প্রয়াস পান। চেয়ে নেন

সুন্নাতে গায়র মুআক্কাদাহ

সুন্নাতে গায়র মুআক্কাদাহ


কিছু সুন্নত আছে যা পড়া মুস্তাহাব, কিন্তু তাকীদপ্রাপ্ত নয়। এমন কিছু সুন্নত নামায নিম্নরুপ:-
আসরের পূর্বে অথবা রাকআত :
হযরত ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেন, “আল্লাহ সেই ব্যক্তির প্রতি কৃপা করেন যে আসরের পূর্বে ৪ রাকআত নামায পড়ে।” (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ, ইবনে হিব্বান, সহীহ, সহিহ তারগিব ৫৮৪নং)
হযরত আলী (রাঃ) বলেন,

এশার সুন্নত

এশার সুন্নত


পূর্বের একাধিক হাদীসে উল্লেখ হয়েছে যে, এশার পরে মহানবী (সাঃ) ২ রাকআত সুন্নত নিজের ঘরে পড়তেন। পক্ষান্তরে এশার নামায পর বাড়ি ফিরে তাঁর ৪ অথবা ৬ রাকআত নামায পড়ার হাদীস সহীহ নয়।
প্রকাশ থাকে যে,

মাগরেবের সুন্নত

মাগরেবের সুন্নত


পূর্বের কয়েকটি হাদীসে উল্লেখ হয়েছে যে, মাগরেবের পর ২ রাকআত সুন্নত মহানবী (সাঃ) ত্যাগ করতেন না। তবে এই সুন্নত তিনি ঘরে পড়তেন। একদা মাগরেবের পর তিনি বললেন, “এই ২ রাকআত তোমরা নিজ নিজ ঘরে গিয়ে পড়।” (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, মিশকাত ১১৮২নং)
মাগরেবের সুন্নতেও ফজরের সুন্নতের মতই

যোহরের সুন্নত

যোহরের সুন্নত


নবী মুবাশ্‌শির (সাঃ) যোহরের সুন্নত কখনো ৪ রাকআত পড়তেন; ২ রাকআত ফরযের পূর্বে এবং ২ রাকআত ফরযের পরে।
ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, ‘আমি নবী (সাঃ)-এর নিকট থেকে ১০ রাকআত নামায ±মরণে রেখেছি; ২ রাকআত যোহরের পূর্বে, ২ রাকআত যোহরের পরে, ২ রাকআত মাগরেবের পরে নিজ ঘরে, ২ রাকআত এশার পরে নিজ ঘরে এবং ২ রাকআত ফজরের নামাযের পূর্বে।’ (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত ১১৬০নং)
কখনো ৬ রাকআত পড়তেন; ৪ রাকআত ফরযের পূর্বে এবং ২ রাকআত ফরযের পরে।
আব্দুল্লাহ বিন শাকীক মা আয়েশা (রাঃ)কে আল্লাহর রসূল (সাঃ)-এর সুন্নত

ফজরের পূর্বে দুই রাকআত সুন্নত

ফজরের পূর্বে দুই রাকআত সুন্নত


এই নামাযের ফযীলত :
 
হযরত আয়েশা رضي الله عنها হতে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেন, “ফজরের দুই রাকআত (সুন্নত) পৃথিবী ও তন্মধ্যস্থিত সকল বস্তু অপেক্ষা উত্তম।” (মুসলিম ৭২৫নং, তিরমিযী)
মা আয়েশা رضي الله عنها বলেন, ‘নবী (সাঃ) ফজরের সুন্নতের মত অন্য কোন নফল নামাযে তত নিষ্ঠা প্রদর্শন করতেন না।’ (আহমাদ, মুসনাদ, বুখারী, মুসলিম, সহীহ)
হযরত আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেছেন, “(ফজরের সময়) যে ব্যক্তি (স্বগৃহে) ওযু করে। অতঃপর

সুন্নাতে মুআক্কাদাহ বা রাতেবাহ্‌

সুন্নাতে মুআক্কাদাহ বা রাতেবাহ্‌


সুন্নাতে মুআক্কাদাহ সেই সুন্নত নামায, যা মহানবী (সাঃ) ফরয নামাযের আগে-পিছে নিজে পড়েছেন এবং উম্মতকে পড়তে তাকীদ, উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছেন।
আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন, “যে কোন মুসলিম বান্দা প্রত্যহ্‌ আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে বারো রাকআত নফল (ফরয ব্যতীত সুন্নত) নামায পড়লেই আল্লাহ তাআলা জান্নাতে তার জন্য এক গৃহ্‌ নির্মাণ করেন। অথবা তার জন্য জান্নাতে এক ঘর নির্মাণ করা হয়।” (মুসলিম, সহীহ ৭২৮নং, আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, তিরমিযী, সুনান)
তিরমিযীর বর্ণনায় কিছু শব্দ অধিক রয়েছে,

সুন্নাতে মুআক্কাদাহ ও গায়র মুআক্কাদাহ

সুন্নাতে মুআক্কাদাহ ও গায়র মুআক্কাদাহ


যে সুন্নত ফরয নামাযের আগে-পিছে পড়া হয় তা হল দুই প্রকার। প্রথম প্রকার হল, সুন্নাতে মুআক্কাদাহ বা সুন্নাতে রাতেবাহ্‌। আর দ্বিতীয় হল, সুন্নাতে গায়র মুআক্কাদাহ বা গায়র রাতেবাহ্‌। (ফিকহুস সুন্নাহ্‌ উর্দু ১৬০পৃ: দ্র:)

নফল নামাযের প্রকারভেদ

নফল নামাযের প্রকারভেদ


ফরয নামায ছাড়া অন্যান্য নামায দুই প্রকার। প্রথম প্রকার হল সেই নামায, যা (সময় ও রাকআত সংখ্যা দ্বারা) নির্দিষ্ট নয়। এ নামায নিষিদ্ধ সময় ছাড়া যে কোন সময়ে অনির্দিষ্ট রাকআতে পড়া যায়। আর দ্বিতীয় প্রকার হল সেই নামায, যা (সময় ও রাকআত সংখ্যা দ্বারা) নির্দিষ্ট। যে

সুন্নত নামাযের কাযা

সুন্নত নামাযের কাযা


সুন্নত নামায ছুটে গেলে কাযা পড়া সুন্নত, জরুরী নয়। পক্ষান্তরে ইচ্ছা করে ছেড়ে দিলে তার কাযা নেই। পড়লে তা মকবুলও নয়। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৪/১০২)

নফল নামায বিনা ওজরে বসে পড়াও বৈধ

নফল নামায বিনা ওজরে বসে পড়াও বৈধ


ইতিপূর্বে আলোচিত হয়েছে যে, সক্ষম হলে ফরয নামায দাঁড়িয়ে পড়া ফরয। কিন্তু নফল নামায ক্ষমতা থাকতেও বসে পড়াও বৈধ। যদিও বসে নামায পড়ার সওয়াব দাঁড়িয়ে নামায পড়ার সওয়াবের অর্ধেক। মহানবী (সাঃ) বলেন, “বসে নামায পড়ার সওয়াব অর্ধেক নামাযের বরাবর।” (বুখারী, মিশকাত ১২৪৯নং)
বরং নফল নামায চিৎ হয়ে শুয়েও পড়া যায়। তবে এ অবস্থায় বসে পড়ার অর্ধেক সওয়াব হবে। মহানবী (সাঃ) বলেন, “আর শুয়ে নামায পড়ার সওয়াব বসে নামায পার অর্ধেক।” (বুখারী ১১১৬নং, আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৪/১১৩-১১৪)
নফল নামাযের কিছু অংশ দাঁড়িয়ে এবং কিছু অংশ বসে পড়া যায়। বরং একই কিয়ামের কিছু অংশ দাঁড়িয়ে এবং কিছু অংশ বসে ক্বিরাআত করা যায়। তাতে কিয়ামের প্রথম অথবা শেষ অংশ বসে হলেও কোন দোষাবহ্‌ নয়।
হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন,

নফল নামাযে লম্বা কিয়াম করা উত্তম

নফল নামাযে লম্বা কিয়াম করা উত্তম


নফল নামায সাধারণত: একার নামায। তাই তাতে ইচ্ছামত লম্বা ক্বিরাআত করা যায়। বরং এই নামাযে কিয়াম লম্বা করা মুস্তাহাব। মহানবী (সাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হল যে, সবচেয়ে উত্তম নামায কি? উত্তরে তিনি বললেন, “লম্বা কিয়াম বিশিষ্ট নামায।” (আবূদাঊদ, সুনান ১৪৪৯নং)
আর এ কথা বিদিত যে, মহানবী (সাঃ) তাহাজ্জুদের নামাযে এত লম্বা কিয়াম করতেন যে, তাতে তাঁর পা ফুলে যেত। সাহাবাগণ বলেছিলেন,

নফল নামায ঘরে পড়া ভাল

নফল নামায ঘরে পড়া ভাল


ফরয নামায বিধিবদ্ধ হয়েছে দ্বীনের প্রচার ও তার প্রতীকের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর উদ্দেশ্যে। তাই ফরয নামায প্রকাশ্যভাবে লোক মাঝে প্রতিষ্ঠা করা হয়। পক্ষান্তরে নফল নামায বিধিবদ্ধ হয়েছে নিছক মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে তাঁর নৈকট্য লাভ করার লক্ষ্যে। সুতরাং নফল নামায যত গুপ্ত হবে, তত লোকচক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ তথা ‘রিয়া’ থেকে অধিক দূর ও পবিত্র হবে। (ফাইযুল ক্বাদীর ৪/২২০)  আর সে জন্যই নফল নামায স্বগৃহে গোপনে পড়া উত্তম।
তাছাড়া নফল নামায ঘরে পড়লে নামাযের তরীকা ও গুরুত্ব পরিবার-পরিজনের কাছে প্রকাশ পায়। আর এ জন্য হুকুম হল,

সুন্নত ও নফল (অতিরিক্ত) নামায

সুন্নত ও নফল (অতিরিক্ত) নামায


যে নামায পড়া বাধ্যতামূলক নয়, যা ত্যাগ করলে গুনাহ হয় না কিন্তু পড়লে সওয়াব হয় সেই শ্রেণীর নামাযের বড় মাহাত্ম রয়েছে শরীয়তে।
রসূল (সাঃ) বলেন, “কিয়ামতের দিন বান্দার নিকট থেকে তার আমলসমূহের মধ্যে যে আমলের হিসাব সর্বাগ্রে নেওয়া হবে, তা হল নামায। নামায ঠিক হলে সে পরিত্রাণ ও সফলতা লাভ করবে। নচেৎ (নামায ঠিক না হলে) ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুতরাং (হিসাবের সময়) ফরয নামাযে কোন কমতি দেখা গেলে আল্লাহ তাবারাকা অতাআলা ফিরিশ্‌তাদের উদ্দেশ্যে বলবেন, ‘দেখ, আমার বান্দার কোন নফল (নামায) আছে কি না।’ অতএব

স্বালাতুল ইস্তিসকা

স্বালাতুল ইস্তিসকা


স্বালাতুল ইস্তিসকা বা বৃষ্টি প্রার্থনার নামায অনাবৃষ্টির সময় মহান প্রতিপালকের নিকট বৃষ্টি প্রার্থনার উদ্দেশ্যে পড়া সুন্নত।
বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার কারণ, মানুষের পাপ ও বিশেষ করে যাকাত বন্ধ করে দেওয়া। মহানবী (সাঃ) বলেন, “হে মুহাজিরদল! পাঁচটি কর্ম এমন রয়েছে যাতে তোমরা লিপ্ত হয়ে পড়লে (উপযুক্ত শাস্তি তোমাদেরকে গ্রাস করবে)। আমি আল্লাহর নিকট পানাহ চাই, যাতে তোমরা তা প্রত্যক্ষ না কর।
যখনই কোন জাতির মধ্যে অশ্লীলতা (ব্যভিচার) প্রকাশ্যভাবে ব্যাপক হবে তখনই সেই জাতির মধ্যে প্লেগ এবং এমন মহামারী ব্যাপক হবে যা তাদের পূর্বপুরুষদের মাঝে ছিল না।
যে জাতিই মাপ ও ওজনে কম দেবে সে জাতিই দুর্ভিক্ষ, কঠিন খাদ্য-সংকট এবং শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচারের শিকার হবে।
যে জাতিই তার মালের যাকাত দেওয়া বন্ধ করবে

চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের নামায

চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের নামায


স্বালাতুল কুসূফ অল-খুসূফ বা চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের নামায ৪ রুকূতে ২ রাকআত সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। এই নামাযের নিয়ম নিম্নরুপ :-
চন্দ্রে অথবা সূর্যে গ্রহণ লাগা শুরু হলে ‘আস-স্বালা-তু জামেআহ’ বলে আহবান করতে হবে মুসলিমদেরকে।
জামাআতে কাতার বাঁধা হলে ইমাম সাহেব নামায শুরু করবেন। সশব্দে সূরা ফাতিহার পর লম্বা ক্বিরাআত করবেন এবং তারপর রুকূতে যাবেন। লম্বা রুকূ থেকে মাথা তুলে পুনরায় বুকেহাত রেখে (সূরা ফাতিহা পড়ে) আবার পূর্বাপেক্ষা কম লম্বা ক্বিরাআত করবেন। অতঃপর দ্বিতীয়বার অপেক্ষাকৃত কম লম্বা রুকূ করে বাকী রাকআত সাধারণ নামাযের মত শেষ করে দ্বিতীয় রাকআতেও অনুরুপ ২ বার ক্বিরাআত ও ২ বার রুকূ করে নামায সম্পন্ন করবেন। এ নামাযের সিজদাও হবে খুব লম্বা।

স্বালাতুত তাওবাহ্‌

স্বালাতুত তাওবাহ্‌


স্বালাতুত তাওবাহ্‌ বা তওবা করার সময় বিশেষ ২ অথবা রাকআত নামায পড়া বিধেয়। মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি কোন গুনাহ করে ফেলে অতঃপর উঠে ওযূ করে ২ রাকআত নামায পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে ব্যক্তিকে আল্লাহ মাফ করে দেন।” অতঃপর মহানবী (সাঃ) এই আয়াত তেলাওয়াত করেন:-
(وَالَّذِيْنَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوْا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللهَ فَاسْتَغْفَرُوْا لِذُنُوْبِهِمْ، وَمَنْ يَّغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ الله، وَلَمْ يُصِرُّوْا عَلَى مَا فَعَلُوْا وَهُمْ يَعْلَمُوْنَ، أُولَئِكَ جَزَاؤُهُمْ مَّغْفِرَةٌ مِّنْ رَّبِّهِمْ وَجَنَّاتٌ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الأَنْهَارُ خَالِدِيْنَ فِيْهَا)
অর্থাৎ,

স্বালাতুলহা-জাহ্‌

স্বালাতুলহা-জাহ্‌


স্বালাতুলহা-জাহ্‌ বা প্রয়োজন পূরণের নামায অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ কিছু চাইতে ২ রাকআত এই নফল নামায বিধেয়। মহানবী (সাঃ) যখন কোন কঠিন বিপদে বা সমস্যায় পড়তেন, তখন নামায পড়তেন। (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান ১৩১৯, নাসাঈ, সুনান, মিশকাত ১৩২৫নং) আর মহান আল্লাহ বলেন,
(يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا اسْتَعِيْنُوْا بِالصَّبْرِ وَالصَّلاَةِ)
অর্থাৎ, হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে (আল্লাহর কাছে) সাহায্য প্রার্থনা কর। (কুরআন মাজীদ ২/৪৫, ১৫৩)
এক অন্ধ ব্যক্তি নবী (সাঃ)-এর নিকট এসে বলল,

স্বালাতুত তাসবীহ্‌

স্বালাতুত তাসবীহ্‌


মহানবী (সাঃ) থেকে বর্ণিত করা হয়ে থাকে যে, একদা তিনি তাঁর চাচা আব্বাস (রাঃ)-কে বললেন, “হে আব্বাস, হে চাচা! আমি কি আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে দান করব না? আমি কি বিশেষভাবে আপনাকে একটি জিনিস দান করব না? আমি কি আপনাকে এমন জিনিস শিখিয়ে দেব না, যা আপনার ১০ প্রকার পাপ খন্ডন করে দিতে পারে? যদি আপনি তা করেন তাহলে আল্লাহ আপনার প্রথম ও শেষের, পুরাতন ও নূতন, অনিচ্ছাকৃত ও ইচ্ছাকৃত, ছোট ও বড়, গুপ্ত ও প্রকাশ্য এই ১০ প্রকার পাপ মাফ করে দেবেন।
সেটা হল এই যে, আপনি ৪ রাকআত নামায পড়বেন। প্রত্যেক

ইস্তিখারার নামায

ইস্তিখারার নামায


কোন বৈধ বিষয় বা কাজে (যেমন ব্যবসা, সফর, বিবাহের ব্যাপারে) ভালো মন্দ বুঝতে না পারলে, মনে ঠিক-বেঠিক, উচিৎ-অনুচিত বা লাভ-নোকসানের দ্বন্দ্ব হলে আল্লাহর নিকট মঙ্গল প্রার্থনা করতে দুই রাকআত নফল নামায পড়ে নিম্নের দুআ পাঠ করা সুন্নত।

اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيْمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوْبِ، اَللّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هذَا الأَمْرَ(--) خَيْرٌ لِيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ وَعَاجِلِهِ آجِلِهِ فَاقْدُرْهُ لِيْ وَيَسِّرْهُ لِيْ ثُمَّ بَارِكْ لِيْ فِيْهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ وَعَاجِلِهِ وَآجِلِهِ فَاصْرِفْهُ عَنِّيْ وَاصْرِفْنِيْ عَنْهُ وَاقْدُرْ لِىَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ رَضِّنِيْ بِهِ

উচ্চারণ- “আল্লা-হুম্মা আস্তাখীরুকা বিইলমিকা অ আস্তাক্বদিরুকা বি ক্বুদরাতিকা অ আসআলুকা মিন ফায্বলিকাল আযীম, ফাইন্নাকা তাক্বদিরু অলা আক্বদিরু অতা’লামু অলা আ’লামু অ আন্তা আল্লা-মুল গুয়ূব। আল্লা-হুম্মা ইন কুন্তা তা’লামু আন্নাহা-যাল আমরা (----) খাইরুল লী ফী দ্বীনী অ মাআ’শী অ আ’-ক্বিবাতি আমরী অ আ’-জিলিহী অ আ-জিলিহ, ফাক্বদুরহু লী, অ য়্যাসসিরহু লী, সুম্মা বা-রিক লী ফীহ্‌। অইন

যাওয়াল (সূর্য ঢলার) পূর্বে নামায

যাওয়াল (সূর্য ঢলার) পূর্বে নামায


চাশতের নামায পড়ার পর ঠিক মাথার উপর সূর্য হওয়ার পূর্বে ৪ রাকআত নফল পড়া সুন্নত। এ নামায মহানবী (সাঃ) পড়তেন। (আহমাদ, মুসনাদ, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২৩৭নং)
অনেকের মতে যাওয়ালের পরেও নির্দিষ্ট ৪ রাকআত নামায রয়েছে।
আবূ আইয়ুব আনসারী (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) সূর্য ঢলার সময় ৪ রাকআত নামায প্রত্যহ্‌ পড়তেন। একদা আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল!

স্বালাতুল খাওফ (ভয়ের নামায) - বিস্তারিত,ভয় বেশী হলে

স্বালাতুল খাওফ (ভয়ের নামায) - বিস্তারিত


শত্রুর সামনে খুন হয়ে যাওয়ার ভয় থাকা সত্ত্বেও নামায ও জামাআত মাফ নয়। সে অবস্থাতেও জিহাদের ময়দানে যথাসময়ে জামাআত সহকারে নামায পড়তেই হবে মুসলিমকে। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন,
(وَإِذَا كُنْتَ فِيْهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلاَةَ فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِّنْهُمْ مَّعَكَ وَلْيَأْخُذُوْا أَسْلِحَتَهُمْ، فَإِذَا سَجَدُوْا فَلْيَكُوْنُوْا مِنْ وَّرَائِكُمْ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوْا فَلْيُصَلُّوْا مَعَكَ، وَلْيَأْخُذُوْا حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ، وَدَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَوْ تَغْفُلُوْنَ عَنْ أَسْلِحَتِكُمْ وَأَمْتِعَتِكُمْ فَيَمِيْلُوْنَ عَلَيْكُمْ مَيْلَةً وَّاحِدَةً، وَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِنْ كَانَ بِكُمْ أَذًى مِّنْ مَّطَرٍ أَوْ كُنْتُمْ مَّرْضَى أَنْ تَضَعُوْا أَسْلِحَتَكُمْ وَخُذُوا حِذْرَكُمْ، إِنَّ اللهَ أَعَدَّ لِلْكَافِرِيْنَ عَذَاباً مُّهِيْناً)
অর্থাৎ, তুমি যখন তাদের মাঝে অবস্থান করবে ও তাদের নিয়ে নামায পড়বে তখন একদল যেন তোমার সঙ্গে দাঁড়ায়, আর তারা যেন সশস্ত্র থাকে। অতঃপর সিজদাহ করা হলে তারা যেন তোমাদের পিছনে অবস্থান করে; আর অপর একদল যারা নামাযে শরীক হয়নি তারা তোমার সাথে যেন নামাযে শরীক হয় এবং তারা যেন সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে। কাফেররা কামনা করে,

রোগীর নামাযের বিবরণ

রোগীর নামাযের বিবরণ


রোগী হলেও জ্ঞান বর্তমান থাকা কাল পর্যন্ত কারো জন্য কোন অবস্থায় নামায মাফ নয়। ও যূ-গোসল না করতে পারলে তায়াম্মুম করে, তা না পারলেও বিনা তায়াম্মুমেই নামায পড়া জরুরী। পবিত্র না থাকতে পারলে অপবিত্র অবস্থাতেই, পবিত্র জায়গা না পেলে অপবিত্র জায়গাতেই নামায পড়তে হবে।
রোগী দাঁড়িয়ে নামায না পড়তে পারলে বসে নামায পড়বে। দুই পা-কে গুটিয়ে আড়াআড়িভাবে রেখে হাঁটু ভাঁজ করে (বাবু হয়ে) বসবে। কখনো কখনো প্রয়োজনে মহানবী (সাঃ) অনুরুপ বসে নামায পড়তেন। (নাসাঈ, সুনান,হাকেম, মুস্তাদরাক) আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) অসুবিধার কারণে নামাযে অনুরুপ বসতেন। (বুখারী ৮২৭নং)  অবশ্য তাশাহহুদের বৈঠকে বসার মতও বসে নামায পড়তে পারে। (ফিকহুস সুন্নাহ্‌ আরবী ১/২৪৩)
বসে না পারলে (ডান) পার্শ্বদেশে শুয়ে, তা না পারলে চিৎ হয়ে শুয়ে,

বিভিন্ন যানবাহনে নামায পড়ার বিধান

বিভিন্ন যানবাহনে নামায


মহানবী (সাঃ) সওয়ারীর উপর ফরয নামায পড়তেন না। ফরয নামাযের সময় হলে তিনি উট থেকে নেমে মাটিতে দাঁড়াতেন।
সুতরাং সফরে (মোটর গাড়ি, গরুর গাড়ি, উট,হাতি, ঘোড়া প্রভৃতি) যানবাহনে নামাযের সময় হলে যানবাহন থামিয়ে নামায পড়তে হবে। কিন্তু যে যানবাহনে থামার বা নামার সুযোগ নেই, অথচ সেখানে যথানিয়মে পূর্ণরুপে নামায আদায় সম্ভব, সে যানবাহনে যথা সময়ে নামায পড়তে হবে। পরন্তু সেখানে যদি যথানিয়মে পূর্ণরুপে নামায আদায় করার সুযোগ না থাকে, তাহলে গন্তব্যস্থল পৌঁছনোর আগেই নামাযের সময় অতিবাহিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে সে যানবাহনের উপরেই যথাসময়ে নামায পড়ে নেওয়া জরুরী। (আহ্‌কামুল ইমামাতি অল-ই’তিমামি ফিস সালাত, আব্দুল মুহ্‌সিন আল-মুনীফ ৪০১নং)
অতএব প্লেন, ট্রেন, বাস প্রভৃতি যানবাহনের ভিতরে জামাআত সহকারে নামায সম্ভব হলে জামাআত সহকারেই পড়তে হবে। [1]
নচেৎ

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ