Monday, January 22, 2018

আমি তাওবা করতে চাই কিন্তু !

 ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য। আমরা তাঁর প্রশংসা করছি এবং তাঁরই কাছে সাহায্য চাচ্ছি। আল্লাহ তা’আলা যাকে হেদায়াত দান করেন তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারেনা। আর তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন তাকে কেউ পথ দেখাতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য ইলাহ নেই। তিনি একক এবং তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। অতঃপর:
মহান আল্লাহ সমস্ত মুমিনদেরকে তাওবা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন:
“হে মুমিনগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর পানে তাওবা (প্রত্যাবর্তন) কর, নিশ্চয় তোমরা সফলকাম হবে।” (আননূর: ৩১)
তিনি তাঁর বান্দাদেরকে তাওবাকারী ও অত্যাচারী হিসেবে ভাগ করেছেন। এখানে তৃতীয় কোন ভাগ নেই। মহান আল্লাহ বলেন:

আমল কবুলের কতিপয় উপায় ও রমযানের পরে করণীয়

আমল কবুলের কতিপয় উপায় ও রমযানের পরে করণীয়
  যে কোন সৎ আমল করার পর আমাদের নিকট যে বিষয়টি মুখ্য হয়ে দাঁড়ায় তা হল: আমল কবুলের বিষয়; কবূল হল কি হল না।
নিশ্চয়ই সৎ আমল করতে পারা বড় একটি নেয়ামত; কিন্তু অন্য একটি নেয়ামত ব্যতীত তা পূর্ণ হয় না, যা তার চেয়ে বড়, তা হল কবুলের নিয়ামত। এটি নিশ্চিত যে রমযানের পর এত কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে তা যদি কবূল না হয়, তবে অবশ্যই এক মহা বিপদ। এর চেয়ে আর বড় ক্ষতি কি রয়েছে যদি আমলটি প্রত্যাখ্যাত হয়, আর দুনিয়া আখিরাতের স্পষ্ট ক্ষতিতে প্রত্যাবর্তন করে?
    বান্দা যেহেতু জানে, অনেক আমলই রয়েছে যা বিভিন্ন কারণে গ্রহণযোগ্য হয় না। অতএব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আমল কবুলের কারণ ও উপায় সম্পর্কে জানা। যদি কারণগুলি তার মধ্যে বিদ্যমান থাকে, তবে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে এবং ক্রমাগত তার উপর অটল থাকে ও আমল করে যায়। আর যদি তা বিদ্যমান না পায় তবে এ মুহূর্তেই যে বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে তা হল: ইখলাসের সাথে সেগুলোর মাধ্যমে আমল করায় সচেষ্ট হওয়া।
আমল কবুলের কতিপয় উপায়:

আপনি কিভাবে শয়তান থেকে বাঁচবেন

আপনি কিভাবে শয়তান থেকে বাঁচবেন

আপনি কিভাবে শয়তান থেকে বাঁচবেন
আল্ হামদু লিল্লাহ্ ওয়াছ্ ছালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ্।
সম্মানিত পাঠক-পাঠিকা! আল্লাহ আপনাকে এবং আমাকে শয়তান থেকে রক্ষা করুন। শয়তান মানুষের প্রথম এবং শেষ শত্রু প্রকাশ্য শত্রু। তার কুমন্ত্রণা ও অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য মানুষ মাত্রেই প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু অস্ত্র যদি ধারালো না হয় বা সঠিকভাবে নিক্ষিপ্ত না হয় তবে শত্রু লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে। তাই শয়তান নামক শত্রু থেকে বাঁচার জন্য মহান ক্ষমতাধর আল্লাহ্ তা‘আলার এলাহী অস্ত্রই হচ্ছে সবচেয়ে বড় মাধ্যম।
মনে রাখবেন, এই শয়তান থেকে বাঁচতে হলে মনগড়া রক্ষা-কবচ ব্যবহার করলে হবে না। যেমন তাবীয-কবচ, সুতা, তাগা, রিং প্রভৃতি। কেননা এগুলো ব্যবহার করা শির্ক।
যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেন,

আত্মসমালোচনা : গুরুত্ব ও পদ্ধতি

আত্মসমালোচনা : গুরুত্ব ও পদ্ধতি মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদূদ মানবজাতিকে আল্লাহ তা‘আলা আশরাফুল মাখলূক্বাত হিসাবে স্বাধীন চিন্তাশক্তি দিয়ে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। ফলে তার মাঝে তিনপ্রকার নফসের সম্মিলন ঘটেছে। নাফসে আম্মারাহ, নফসে লাউওয়ামাহ এবং নাফসে মুতমাইন্নাহ। এর মধ্যে নফসে আম্মারাহ বা কুপ্রবৃত্তি মানুষকে জৈবিক কামনা-বাসনা ও দুনিয়ার লোভ- লালসার দিকে আকৃষ্ট করে তাকে মন্দ কাজের দিকে নিয়ে যায়। আল্লাহ বলেন, ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲَ ﻷَﻣَّﺎﺭَﺓٌ ﺑِﺎﻟﺴُّﻮْﺀِ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﺭَﺣِﻢَ ﺭَﺑِّﻲْ ‘নিশ্চয়ই মানুষের মন মন্দ কর্মপ্রবণ। কিন্তু সে মন নয়, আমার পালনকর্তা যার প্রতি অনুগ্রহ করেন’ (ইউসুফ ১২/৫৩)। অধিক হারে মন্দকাজ বান্দার অন্তরকে কঠিন করে তোলে ও ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। রাসুল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন বান্দা কোন পাপ করে তখন তার অন্তরে কালো দাগ পড়ে যায়। যখন সে তওবা করে তখন সেটা তুলে নেওয়া হয়। আর ইস্তেগফারের মাধ্যমে অন্তরকে পরিষ্কার করা হয়। আর যদি পাপ বাড়তেই থাকে তাহ’লে দাগও বাড়তে থাকে। আর এটাই হ’ল মরিচা।[1] যেমন আল্লাহ বলেন,

আত্মসমালোচনা কি ? এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং পদ্ধতি!

আত্মসমালোচনা কি ? এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং পদ্ধতি!

নিন্দাসূচক সমালোচনা করা আমাদের এমন একটি নিয়মিত
অভ্যাস যা থেকে বেঁচে থাকতে পারেন এমন
ব্যক্তির সংখ্যা সমাজে খুবই কম। মজার ব্যাপার যে, এই
আমাদেরই একজনকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি
নিজের সমালোচনা শুনতে আগ্রহী। অথচ জ্ঞাতে-
অজ্ঞাতে আমরা প্রতিনিয়তই অন্যের সমালোচনা করি,

অমুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি ইসলামের উদারতা

অমুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি ইসলামের উদারতা

একটি মুসলিম দেশে ইসলাম মুসলিমকে শুধু অমুসলিমদের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করতেই বলে না, রাষ্ট্রে তাদের সার্বিক নিরাপত্তা এবং সুখ-সমৃদ্ধিও নিশ্চিত করে। পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহয় একাধিক স্থানে অমুসলিম সংখ্যালঘুদের অধিকার তুলে ধরা হয়েছে। অমুসলিমরা নিজ নিজ উপাসনালয়ে উপাসনা করবেন। নিজ ধর্মবিশ্বাস ও ধর্মালয়কে সুরক্ষিত রাখবেন। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তারা সমান। তাদের প্রতি কোনো প্রকার বৈষম্য ইসলাম বরদাশত করে না। যেসব অমুসলিমের সঙ্গে কোনো সংঘাত নেই, যারা শান্তিপূর্ণভাবে মুসলিমদের সঙ্গে বসবাস করেন তাদের প্রতি বৈষম্য দেখানো নয়; ইনসাফ করতে বলা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,٨]
‘আল্লাহ নিষেধ করেন না ওই লোকদের সঙ্গে সদাচার ও ইনসাফপূর্ণ ব্যবহার করতে যারা

অন্তরের আমল: দ্বীনদারি

অন্তরের আমল: দ্বীনদারি

ভূমিকা
الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على نبينا محمد، وعلى آله وصحبه أجمعين.
যাবতীয় প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামীনের যিনি সমগ্র জাহানের প্রতিপালক। আর সালাত ও সালাম নাযিল হোক আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর, যিনি সমস্ত নবীগণের সেরা ও সর্বশ্রেষ্ঠ। আরও সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার পরিবার, পরিজন ও সাথী-সঙ্গীদের উপর।
অন্তরের আমলসমূহের অন্যতম আমল হল, পরহেজগারি ও দ্বীনদারি। পরহেজগারি ও দ্বীনদারি হল, দ্বীনের খুঁটিসমূহ তথা ভিত্তিসমূহের একটি অন্যতম ভিত্তি ও খুটি। তাকওয়া, পরহেজগারি ও আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর ভয় ছাড়া ঈমানদারি চলে না। মনে রাখতে হবে,

অন্তর-বিধ্বংসী বিষয়সমূহ : ঝগড়া-বিবাদ।

অন্তর-বিধ্বংসী বিষয়সমূহ : ঝগড়া-বিবাদ

ভূমিকা
 
الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على أشرف المرسلين، نبينا محمد، وعلى آله وأصحابه أجمعين.
ঝগড়া-বিবাদ এমন একটি কঠিন ব্যাধি ও মহা মুসিবত, যা মানুষের অন্তরকে করে কঠিন আর জীবনকে করে ক্ষতি ও হুমকির সম্মুখীন।
ওলামায়ে কেরামগণ এর ক্ষতির দিক বিবেচনার বিষয়টি সম্পর্কে উম্মতদের খুব সতর্ক করেন এবং এ নিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি করেন। এটি এমন একটি দুশ্চরিত্র যাকে সলফে সালেহীনরা খুব ঘৃণা করত এবং এ থেকে অনেক দূরে থাকত। আব্দুল্লাহ বিন আমর রা. বলেন, একজন কুরআন ওয়ালা বা জ্ঞানীর জন্য যে ঝগড়া করে তার সাথে ঝগড়া করা অনুরূপভাবে কোন মূর্খের সাথে তর্ক করা কোন ক্রমেই উচিত নয়। তার জন্য উচিত হল, ঝগড়া- বিবাদ পরিহার করা। ইব্রাহিমে নখয়ী রহ. বলেন, সালফে সালেহীন ঝগড়া-বিবাদকে অধিক ঘৃণা করত।
তবে এ বিষয়ে প্রথমে আমাদের কয়েকটি বিষয় জানা অপরিহার্য।

অন্তর মরে যাওয়ার দশ কারণ!!

অন্তর মরে যাওয়ার দশ কারণ!!! ইবরাহীম বিন আদহাম (মৃত্যু ১৬২ হিজরী) বসরার বাজার দিয়ে যাওয়ার পথে লোকজন তাকে ঘিরে ধরল। তারা তাঁকে জিজ্ঞেস করল, হে আবু ইসহাক, আমাদের কী হয়েছে যে, আমরা দুয়া করি কিন্তু দুয়া কবুল হয় না? তিনি বললেন, কারণ, তোমাদের অন্তরগুলো মরে গেছে দশটি কারণে। সেগুলো হল:
▲ প্রথম: তোমরা আল্লাহর পরিচয় পেয়েছ কিন্তু তাঁর হক আদায় করো নি।
▲ দ্বিতীয়: তোমরা বলে থাক যে, তোমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লামকে ভালবাসো কিন্তু তার সুন্নত ও আদর্শকে পরিত্যাগ করেছ।
▲ তৃতীয়: তোমরা কুরআন পাঠ করেছ কিন্তু তদনুযায়ী আমল করো নি।
▲ চতুর্থ: তোমরা আল্লাহর নিয়ামত খেয়েছ কিন্তু তার শুকরিয়া আদায় করো নি।
▲ পঞ্চম: তোমরা বলেছ যে, শয়তান তোমাদের দুশমন কিন্তু তাকে সমর্থন করেছো।
▲ ষষ্ঠ: তোমরা স্বীকৃতি দিয়েছো যে, জান্নাত সত্য কিন্তু তার জন্য আমল করো নি।

অন্তর বিধ্বংসী বিষয়: দুনিয়ার মহব্বত

ভূমিকা
الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على أشرف المرسلين، نبينا محمد، وعلى آله وأصحابه أجمعين.
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার যিনি সমগ্র জাহানের প্রতিপালক। আর সালাত ও সালাম নাযিল হোক সমস্ত নবীগণের সেরা ও সর্ব শ্রেষ্ঠ নবী আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর। আরও সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার পরিবার, পরিজন ও সাথী-সঙ্গীদের উপর।
মনে রাখতে হবে, মানুষের অন্তর হল, তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রাজা আর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হল, তার অধীনস্থ প্রজা। যখন রাজা ঠিক হয়, তখন তার অধীনস্থ প্রজারাও ঠিক থাকে। আর যখন রাজা খারাপ হয়, তার অধীনস্থ প্রজারাও খারাপ হয়। নোমান ইবনে বাসির রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

অন্তর বিধ্বংসী বিষয়: আসক্তি

অন্তর বিধ্বংসী বিষয়: আসক্তি

ভূমিকা
الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على نبينا محمد، وعلى آله وصحبه أجمعين.
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য যিনি সমগ্র সৃষ্টিকুলের রব। আর সালাত ও সালাম নবীগণের সেরা ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর এবং তার পরিবার-পরিজন ও সাথী-সঙ্গীদের সকলের উপর।
মনে রাখতে হবে, আসক্তি ও আসক্তির আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলা বর্তমান যুগে প্রতিটি নর নারীর জন্য অতি জরুরি। কারণ, বর্তমানে আসক্তি-উত্তেজনা ও এর প্রভাব এতই বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আমাদের দেশ ও সমাজ এক অজানা গন্তব্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তারপরও দেশ, জাতি ও সমাজকে পশুত্ব ও পাশবিকতার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করার জন্য এ বিষয়ে জাতিকে সতর্ক করা ও খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানিয়ে দেয়া একান্ত জরুরী। পুস্তিকাটিতে আসক্তির বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে। যেমন,
আসক্তি কি?
আসক্তিকে কেন সৃষ্টি করা হয়েছে?

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ