Monday, November 13, 2017

১৬৮. তিনটি বিশেষ সময়ে নফল নামায পড়া ও মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা তিনটি বিশেষ সময়ে নফল নামায পড়া ও মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা হারাম। ’উক্ববাহ্ বিন্ ‘আমির জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: ثَلَاثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ  يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيْهِنَّ أَوْ أَنْ نَقْبُـرَ فِيْهِنَّ مَوْتَانَا، حِيْنَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ، وَحِيْنَ يَقُوْمُ قَائِمُ الظَّهِيْرَةِ حَتَّى تَمِيْلَ الشَّمْسُ، وَحِيْنَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوْبِ حَتَّى تَغْرُبَ. ‘‘তিনটি সময় এমন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সে সময়গুলোতে নামায পড়তে অথবা মৃত ব্যক্তিকে দাফন করতে নিষেধ করেছেন। সূর্য উঠার সময় যতক্ষণ না তা পূর্ণভাবে উঠে যায়। ঠিক দুপুর বেলায় যতক্ষণ না তা মধ্যাকাশ থেকে সরে যায়। সূর্য ডুবার সময় যতক্ষণ না তা সম্পূর্ণরূপে ডুবে যায়’’। (মুসলিম ৮৩১) ‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: إِذَا طَلَعَ حَاجِبُ الشَّمْسِ فَأَخِّرُوْا الصَّلَاةَ حَتَّى تَرْتَفِعَ، وَإِذَا غَابَ حَاجِبُ الشَّمْسِ فَأَخِّرُوْا الصَّلَاةَ حَتَّى تَغِيْبَ. ‘‘যখন সূর্যের কিয়দংশ উদিত হয় তখন নামায পড়তে একটু দেরি করো যতক্ষণ না সূর্য সম্পূর্ণরূপে উঠে যায় এবং যখন সূর্যের কিয়দংশ ডুবে যায় তখন নামায পড়তে একটু দেরি করো যতক্ষণ না সূর্য সম্পূর্ণরূপে ডুবে যায়’’। (বুখারী ৫৮৩)

১৬৮. তিনটি বিশেষ সময়ে নফল নামায পড়া ও মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা


তিনটি বিশেষ সময়ে নফল নামায পড়া ও মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা হারাম।
’উক্ববাহ্ বিন্ ‘আমির জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
ثَلَاثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيْهِنَّ أَوْ أَنْ نَقْبُـرَ فِيْهِنَّ مَوْتَانَا، حِيْنَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ، وَحِيْنَ يَقُوْمُ قَائِمُ الظَّهِيْرَةِ حَتَّى تَمِيْلَ الشَّمْسُ، وَحِيْنَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوْبِ حَتَّى تَغْرُبَ.
‘‘তিনটি সময় এমন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সে সময়গুলোতে নামায পড়তে অথবা মৃত ব্যক্তিকে দাফন করতে নিষেধ করেছেন। সূর্য উঠার সময় যতক্ষণ না তা পূর্ণভাবে উঠে যায়। ঠিক দুপুর বেলায় যতক্ষণ না তা মধ্যাকাশ থেকে সরে যায়। সূর্য ডুবার সময় যতক্ষণ না তা সম্পূর্ণরূপে ডুবে যায়’’। (মুসলিম ৮৩১)
‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৬৭. কুকুরের বিক্রিমূল্য, ব্যভিচারিণীর ব্যভিচারলব্ধ পয়সা অথবা গণকের গণনালব্ধ পয়সা গ্রহণ করা

১৬৭. কুকুরের বিক্রিমূল্য, ব্যভিচারিণীর ব্যভিচারলব্ধ পয়সা অথবা গণকের গণনালব্ধ পয়সা গ্রহণ করা


কুকুরের বিক্রিমূল্য, ব্যভিচারিণীর ব্যভিচারলব্ধ পয়সা অথবা গণকের গণনালব্ধ পয়সা গ্রহণ করা হারাম।
আবূ মাস্’ঊদ্ আন্সারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
نَهَى رَسُوْلُ اللهِ عَنْ ثَمَنِ الْكَلْبِ وَمَهْرِ الْبَغِيِّ وَحُلْوَانِ الْكَاهِنِ.
 ‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন কুকুরের বিক্রিমূল্য, ব্যভিচারিণীর ব্যভিচারলব্ধ পয়সা এবং গণকের গণনালব্ধ পয়সা গ্রহণ করতে’’। (মুসলিম ১৫৬৭)
রা’ফি’ বিন্ খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৬৬. শক্ত হওয়া বা পাকার আগে কোন ফল-শস্য বিক্রি করা

১৬৬. শক্ত হওয়া বা পাকার আগে কোন ফল-শস্য বিক্রি করা


শক্ত হওয়া বা পাকার আগে কোন ফল-শস্য বিক্রি করা হারাম।
জাবির বিন্ ‘আব্দুল্লাহ্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
نَهَى رَسُوْلُ اللهِ عَنْ بَيْعِ الثَّمَـرِ حَتَّى يَبْدُوَ صَلَاحُـهُ، وَفِيْ رِوَايَةٍ: حَتَّى يَطِيْبَ، وَفِيْ رِوَايَةٍ: عَنْ بَيْعِ الثَّمَرَةِ حَتَّى تُطْعِمَ، وَفِيْ رِوَايَةٍ: حَتَّى تُشْقِهَ، وَفِيْ رِوَايَةٍ: حَتَّى تُشْقِحَ وَفِيْ رِوَايَةٍ: وَتَأْمَنَ الْعَاهَةَ.
‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন কোন ফল বা শস্য বিক্রি করতে যতক্ষণ না তা খাওয়ার উপযুক্ত হয়, পাকে তথা লাল বা হলদে রং ধারণ করে কিংবা তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কামুক্ত হয়’’।
(মুসলিম ১৫৩৬ স্বা’হীহুল-জা’মি’, হাদীস ৬৯২৪)
‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

১৬৫. কবর বা মাজারের দিকে ফিরে নামায পড়া

১৬৫. কবর বা মাজারের দিকে ফিরে নামায পড়া


কবর বা মাজারের দিকে ফিরে নামায পড়া হারাম।
আবূ মার্সাদ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَا تَجْلِسُوْا عَلَى الْقُبُوْرِ وَلَا تُصَلُّوْا إِلَيْهَا.
‘‘তোমরা কবরের উপর বসোনা এবং উহার দিকে ফিরে নামাযও পড়ো না’’। (মুসলিম ৯৭২; আবূ দাউদ ৩২২৯ ইব্নু খুযাইমাহ্, হাদীস ৭৯৩)
আনাস্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৬৪. বংশ নিয়ে অন্যের সাথে গর্ব করা

১৬৪. বংশ নিয়ে অন্যের সাথে গর্ব করা


বংশ নিয়ে অন্যের সাথে গর্ব করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
আবূ মালিক আশ্‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
أَرْبَعٌ فِيْ أُمَّتِيْ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ، لَا يَتْرُكُوْنَهُنَّ: الْفَخْـرُ فِيْ الْأَحْسَابِ، وَالطَّعْنُ فِيْ الْأَنْسَابِ، وَالاسْتِسْقَاءُ بِالنُّجُوْمِ، وَالنِّيَاحَةُ.
‘‘আমার উম্মতের মাঝে জাহিলী যুগের চারটি কাজ চালু থাকবে। তারা তা কখনোই ছাড়বে না। বংশ নিয়ে গৌরব, অন্যের বংশে আঘাত, কোন কোন নক্ষত্রের উদয়াস্তের কারণে বৃষ্টি হয় বলে বিশ্বাস এবং বিলাপ’’। (মুসলিম ৯৩৪ ’হা-কিম : ১/৩৮৩ ত্বাবারানি/কাবীর, হাদীস ৩৪২৫, ৩৪২৬ বায়হাক্বী: ৪/৬৩; বাগাওয়ী ১৫৩৩ ইব্নু আবী শাইবাহ্ : ৩/৩৯০; আহমাদ : ৫/৩৪২, ৩৪৩, ৩৪৪ ‘আব্দুর রায্যাক : ৩/৬৬৮৬)
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৬৩. নামাযের ভেতর দো‘আ অবস্থায় আকাশের দিকে তাকানো

১৬৩. নামাযের ভেতর দো‘আ অবস্থায় আকাশের দিকে তাকানো


নামাযের ভেতর দো‘আ অবস্থায় আকাশের দিকে তাকানো হারাম।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৬২. রামাযান বা কুরবানের ঈদের দিনে রোযা রাখা

১৬২. রামাযান বা কুরবানের ঈদের দিনে রোযা রাখা


রামাযান বা কুরবানের ঈদের দিনে রোযা রাখা হারাম।
আবূ ’উবাইদ্ (রাহিমাহুল্লাহ্) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা আমি ’উমর (রাঃ) এর সাথে ঈদের নামায পড়ার জন্য উপস্থিত হলাম। তিনি নামায শেষে খুতবায় দাঁড়িয়ে বললেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৬১. কোন মহিলাকে বিবাহ্ করার পর সে স্ত্রী থাকাবস্থায় তার আপন খালা অথবা ফুফীকে বিবাহ্ করা

১৬১. কোন মহিলাকে বিবাহ্ করার পর সে স্ত্রী থাকাবস্থায় তার আপন খালা অথবা ফুফীকে বিবাহ্ করা


কোন মহিলাকে বিবাহ্ করার পর সে স্ত্রী থাকাবস্থায় তার আপন খালা অথবা ফুফীকে বিবাহ্ করা হারাম।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৬০. শিগার বিবাহ্

১৬০. শিগার বিবাহ্


শিগার বিবাহ্ তথা একজন অপরজনকে এমন বলা যে, আমি তোমার নিকট আমার বোন বা মেয়েটিকে বিবাহ্ দিচ্ছি এ শর্তে যে, তুমি আমার নিকট তোমার বোন বা মেয়েটিকে বিবাহ্ দিবে। তবে তাতে কোন ধরনের মোহরের আদান-প্রদান হবে না অথবা হতেও পারে এমন কাজ হারাম।
আবূ হুরাইরাহ্, জাবির বিন্ আব্দুল্লাহ্ ও আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তাঁরা বলেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৫৯. মুত্‘আ বিবাহ্ তথা কোন কিছুর বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিবাহ্ করা

১৫৯. মুত্‘আ বিবাহ্ তথা কোন কিছুর বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিবাহ্ করা


মুত্‘আ বিবাহ্ তথা কোন কিছুর বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিবাহ্ করা হারাম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«وَالَّذِيْنَ هُمْ لِفُرُوْجِهِمْ حَافِظُوْنَ، إِلاَّ عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُوْمِيْنَ، فَمَنِ ابْتَغَى وَرَآءَ ذَلِكَ فَأُوْلَآئِكَ هُمُ الْعَادُوْنَ».
‘‘আর যারা নিজ যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী। তবে যারা নিজ স্ত্রী ও অধিকারভুক্ত দাসীদের সঙ্গে যৌনকর্ম সম্পাদন করে তারা অবশ্যই নিন্দিত নয়। এ ছাড়া অন্যান্য পন্থায় যৌনক্রিয়া সম্পাদনকারীরা অবশ্যই সীমালংঘনকারী’’। (মা‘আরিজ : ২৯-৩১)
উক্ত আয়াতের মর্মানুযায়ী যে মহিলার সাথে মুত্‘আ করা হচ্ছে সে প্রথমত: সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিয়মিত স্ত্রী নয়। কারণ, এ জাতীয় মহিলা বিধিসম্মতভাবে তার পক্ষ থেকে কোন মিরাস পায় না, চুক্তি শেষে তাকে তালাকও দিতে হয় না এবং তাকে ইদ্দতও পালন করতে হয় না। এমনকি সে তার অধিকারভুক্ত দাসীও নয়। সুতরাং তার সাথে যৌনক্রিয়া সম্পাদন করা সীমালংঘনই বটে।
সাব্রাহ্ আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৫৮. গৃহপালিত গাধার গোস্ত খাওয়া

১৫৮. গৃহপালিত গাধার গোস্ত খাওয়া


গৃহপালিত গাধার গোস্ত খাওয়া হারাম।
আনাস্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
لَـمَّا فَتَحَ رَسُوْلُ اللهِ خَيْبَرَ أَصَبْنَا حُمُرًا خَارِجَ الْقَرْيَةِ، فَطَبَخْنَا مِنْهَا، فَنَادَى مُنَادِيْ رَسُوْلِ اللهِ : أَلَا إِنَّ اللهَ وَرَسُوْلَهُ يَنْهَيَانِكُمْ عَنْهَا، فَإِنَّهَا رِجْسٌ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَأُكْفِئَتِ الْقُدُوْرُ بِمَا فِيْهَا، وَإِنَّهَا لَتَفُوْرُ بِمَا فِيْهَا.
‘‘যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবার বিজয় করলেন তখন আমরা জনবসতির বাইরে কিছু গাধা পেয়ে যাই। আমরা তা যবাই করে কিছু পাকিয়ে ফেললাম। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ থেকে জনৈক ঘোষণাকারী ঘোষণা করেন: তোমরা জেনে রাখো, আল্লাহ্ তা‘আলা এবং তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদেরকে গাধার গোস্ত খেতে নিষেধ করছেন। কারণ,

কবীরা গুনাহঃ ১৫৭. বড়ো বড়ো দাঁত বিশিষ্ট থাবা মেরে ছিঁড়ে খাওয়া হিংস্র পশু ও বড়ো বড়ো নখ বিশিষ্ট থাবা মেরে ছিঁড়ে খাওয়া হিংস্র পাখির গোস্ত খাওয়া

১৫৭. বড়ো বড়ো দাঁত বিশিষ্ট থাবা মেরে ছিঁড়ে খাওয়া হিংস্র পশু ও বড়ো বড়ো নখ বিশিষ্ট থাবা মেরে ছিঁড়ে খাওয়া হিংস্র পাখির গোস্ত খাওয়া


বড়ো বড়ো দাঁত বিশিষ্ট থাবা মেরে ছিঁড়ে খাওয়া হিংস্র পশু ও বড়ো বড়ো নখ বিশিষ্ট থাবা মেরে ছিঁড়ে খাওয়া হিংস্র পাখির গোস্ত খাওয়া হারাম।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
كُلُّ ذِيْ نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ فَأَكْلُهُ حَرَامٌ.
‘‘প্রত্যেক বড়ো বড়ো দাঁত বিশিষ্ট থাবা মেরে ছিঁড়ে খাওয়া হিংস্র পশুর গোস্ত খাওয়া হারাম’’। (মুসলিম ১৯৩৩)
‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৫৬. কোন হারাম বস্ত্তর ক্রয়-বিক্রি ও এর বিক্রয়লব্ধ পয়সা খাওয়া

১৫৬. কোন হারাম বস্ত্তর ক্রয়-বিক্রি ও এর বিক্রয়লব্ধ পয়সা খাওয়া


কোন হারাম বস্ত্তর ক্রয়-বিক্রি ও এর বিক্রিলব্ধ পয়সা খাওয়া হারাম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«وَتَعَاوَنُوْا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى، وَلَا تَعَاوَنُوْا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ، وَاتَّقُوْا اللهَ إِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ».
‘‘তোমরা একে অপরকে নেক কাজ ও আল্লাহ্ভীরুতা প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করো। তবে গুনাহ্’র কাজ ও শত্রুতা বিকাশে কারোর সাহায্য করো না এবং আল্লাহ্ তা‘আলাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই তিনি কঠিন শাস্তিদাতা’’। (মা’য়িদাহ্ : ২)
এ কথা নিশ্চিত যে,

১৫৫. স্বামী ছাড়া অন্য কোন আত্মীয়া-বান্ধবীর জন্য কোন মহিলার তিন দিনের বেশি শোক পালন করা

১৫৫. স্বামী ছাড়া অন্য কোন আত্মীয়া-বান্ধবীর জন্য কোন মহিলার তিন দিনের বেশি শোক পালন করা


স্বামী ছাড়া অন্য কোন আত্মীয়া-বান্ধবীর জন্য কোন মহিলার তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম।
যায়নাব বিন্তে আবী সালামাহ্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: যখন শাম দেশ থেকে আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ) এর মৃত্যু সংবাদ আসলো তখন এর তৃতীয় দিনে (তাঁর মেয়ে) উম্মে ’হাবীবাহ্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হা) তাঁর দু’ হাত ও উভয় গন্ডদেশে হলুদ রঙ্গের খোশবু লাগিয়ে বললেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৫৪. উচ্চ স্বরে কুর‘আন তিলাওয়াত করে অথবা যে কোন কথা বলে মসজিদের কোন মুসল্লিকে কষ্ট দেয়া

১৫৪. উচ্চ স্বরে কুর‘আন তিলাওয়াত করে অথবা যে কোন কথা বলে মসজিদের কোন মুসল্লিকে কষ্ট দেয়া


উচ্চ স্বরে কুর‘আন তিলাওয়াত করে অথবা যে কোন কথা বলে মসজিদের কোন মুসল্লিকে কষ্ট দেয়া হারাম কাজ।
আবূ সা’ঈদ্ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা মসজিদে ই’তিকাফ করলে সাহাবাদের উচ্চ কিরাত শুনতে পান। তখন তিনি পর্দা উঠিয়ে বলেন:
أَلَا إِنَّ كُلَّكُمْ مُنَاجٍ رَبَّهُ، فَلَا يُؤْذِيَنَّ بَعْضُكُمْ بَعْضًا، وَلَا يَرْفَعْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَعْضٍ فِيْ الْقِرَاءَةِ أَوْ قَالَ: فِيْ الصَّلَاةِ.
‘‘জেনে রাখো, তোমাদের প্রত্যেকেই তার প্রভুর সাথে একান্তে আলাপ করে। সুতরাং তোমাদের কেউ যেন এ সময় অন্যকে কষ্ট না দেয় এবং নামাযের ভেতরে বা বাইরে উচ্চ স্বরে কিরাত না পড়ে’’।
 (আবূ দাউদ ১৩৩২)
উচ্চ স্বরে কিরাত পড়ার চাইতে নিচু স্বরে কিরাত পড়ায় সাওয়াব বেশি।
’উক্ববাহ্ বিন্ ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
الْـجَاهِرُ بِالْقُرْآنِ كَالْجَاهِرِ بِالصَّدَقَةِ، وَالْـمُسِرُّ بِالْقُرْآنِ كَالْـمُسِرِّ بِالصَّدَقَةِ.
‘‘উচ্চ স্বরে কুর‘আন পড়া প্রকাশ্য সাদাকার ন্যায়। আর নিচু স্বরে কুর‘আন পড়া লুক্কায়িত সাদাকার ন্যায়’’। (আবূ দাউদ ১৩৩৩)
তবে উচ্চ স্বরে কুর‘আন পড়ায় কারোর কোন ক্ষতি না হয়ে যদি লাভ হয় তা হলে তাতে কোন অসুবিধে নেই।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা রাত্রি বেলায় ঘর থেকে বের হয়ে দেখলেন আবূ বকর (রাঃ) নিচু স্বরে নামায পড়ছেন আর ’উমর (রাঃ) উচ্চ স্বরে। যখন তাঁরা উভয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট একত্রিত হলেন তখন তিনি বললেন: হে আবূ বকর! আমি একদা তোমাকে নিচু স্বরে নামায পড়তে দেখলাম। তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন: হে আল্লাহ্’র রাসূল! আমি যাঁর সাথে একান্তে আলাপ করছিলাম তিনি তো আমার আওয়ায শুনেছেন। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’উমর (রাঃ) কে উদ্দেশ্য করে বললেন: হে ’উমর! আমি একদা তোমাকে উচ্চ স্বরে নামায পড়তে দেখলাম। তখন ’উমর (রাঃ) বললেন: হে আল্লাহ্’র রাসূল! আমি শয়তানকে তাড়াচ্ছিলাম আর ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগাচ্ছিলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো দেখলেন বিলাল (রাঃ) এক সূরাহ থেকে কিছু আয়াত আবার অন্য সূরাহ থেকে আরো কিছু আয়াত তিলাওয়াত করছেন। তখন তিনি বিলাল (রাঃ) কে একদা এ ব্যাপারে জানালে তিনি বলেন: কথাগুলো খুবই সুন্দর! আল্লাহ্ তা‘আলা সবগুলো একত্রিত করে নিবেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবাইকে বললেন: তোমরা সবাই ঠিক করেছো। (আবূ দাউদ ১৩৩০)
‘আয়িশা (রাযিয়াল্লাহু আন্হা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা জনৈক সাহাবী রাত্রি বেলার নামাযে উচ্চ স্বরে কিরাত পড়েছেন। ভোর হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সম্পর্কে বললেন: আল্লাহ্ তা‘আলা অমুককে দয়া করুন! সে গতরাত আমাকে অনেকগুলো আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যা আমার পড়া থেকে বাদ পড়ে গিয়েছিলো। (আবূ দাউদ ১৩৩১)

১৫৩. বিচারকের মাধ্যমে কারোর নিকট এমন কিছু দাবি করা যা আপনার নয়

১৫৩. বিচারকের মাধ্যমে কারোর নিকট এমন কিছু দাবি করা যা আপনার নয়


বিচারকের মাধ্যমে কারোর নিকট এমন কিছু দাবি করা যা আপনার নয় হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
আবূ যর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৫২. যে মজলিসে হারামের আদান-প্রদান হয় এমন মজলিসে অবস্থান করা

১৫২. যে মজলিসে হারামের আদান-প্রদান হয় এমন মজলিসে অবস্থান করা


যে মজলিসে হারামের আদান-প্রদান হয় এমন মজলিসে অবস্থান করা হারাম।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৫১. সাধারণ শৌচাগারে নিম্নবসন ছাড়া কারোর প্রবেশ করা অথবা নিজ স্ত্রীকে প্রবেশ করতে দেয়া

১৫১. সাধারণ শৌচাগারে নিম্নবসন ছাড়া কারোর প্রবেশ করা অথবা নিজ স্ত্রীকে প্রবেশ করতে দেয়া


সাধারণ শৌচাগারে নিম্নবসন ছাড়া কারোর প্রবেশ করা অথবা নিজ স্ত্রীকে প্রবেশ করতে দেয়াও হারাম। কারণ, এ জাতীয় শৌচাগারে পর্দা রক্ষা করা অসম্ভবই বটে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৫০. মানুষকে দেখানো অথবা গর্ব করার জন্য ঘোড়ার প্রতিপালন

১৫০. মানুষকে দেখানো অথবা গর্ব করার জন্য ঘোড়ার প্রতিপালন


মানুষকে দেখানো অথবা গর্ব করার জন্য ঘোড়ার প্রতিপালন হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
الْـخَيْلُ لِثَلَاثَةٍ: لِرَجُلٍ أَجْرٌ وَلِرَجُلٍ سِتْرٌ وَعَلَى رَجُلٍ وِزْرٌ، فَأَمَّا الَّذِيْ لَهُ أَجْرٌ: فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ.. وَرَجُلٌ رَبَطَهَا تَغَنِّيًا وَتَعَفُّفًا وَلَمْ يَنْسَ حَقَّ اللهِ فِيْ رِقَابِهَا وَلَا ظُهُوْرِهَا فَهِيَ لَهُ سِتْرٌ، وَرَجُلٌ رَبَطَهَا فَخْرًا وَرِيَاءً فَهِيَ عَلَى ذَلِكَ وِزْرٌ.
‘‘ঘোড়া তিন জাতীয় মানুষের জন্য। কারোর জন্য তা সাওয়াব কামানোর মাধ্যম হবে। আবার কারোর জন্য তা নিজ সম্মান রক্ষা করার মাধ্যম হবে। আবার কারোর জন্য তা গুনাহ্’র কারণ হবে। যার জন্য তা সাওয়াব কামানোর মাধ্যম হবে সে ওই ব্যক্তি যে ঘোড়াটিকে আল্লাহ্’র রাস্তায় জিহাদের জন্য প্রতিপালন করছে। ... দ্বিতীয় ব্যক্তি হচ্ছে সে যে ঘোড়াটিকে সচ্ছলতা ও আরেক জনের নিকট হাত পাতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রতিপালন করছে। আর সে এ ব্যাপারে আল্লাহ্ তা‘আলার অধিকারসমূহ ভুলে যায়নি। তা হলে তা তার জন্য সম্মান রক্ষার মাধ্যম হবে। আরেকজন ঘোড়াটিকে লোক দেখানো এবং গর্ব করার জন্য প্রতিপালন করছে। তা হলে তা তার জন্য গুনাহ্’র কারণ হবে’’। (বুখারী ৭৩৫৬; মুসলিম ৯৮৭)

কবীরা গুনাহঃ ১৪৯. জনসম্মুখে বুযুর্গি দেখিয়ে ভেতরে ভেতরে হারাম কাজ করা

১৪৯. জনসম্মুখে বুযুর্গি দেখিয়ে ভেতরে ভেতরে হারাম কাজ করা


জনসম্মুখে বুযুর্গি দেখিয়ে ভেতরে ভেতরে হারাম কাজ করা আরেকটি কবীরা গুনাহ্।
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَأَعْلَمَنَّ أَقْوَامًا مِنْ أُمَّتِيْ يَأْتُوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِحَسَنَاتٍ أَمْثَالِ جِبَالِ تِهَامَةَ بِيْضًا، فَيَجْعَلُهَا اللهُ عَزَّ وَجَلَّ هَبَاءً مَنْثُوْرًا، قَالَ ثَوْبَانُ: يَا رَسُوْلَ اللهِ! صِفْهُمْ لَنَا، جَلِّهِمْ لَنَا ؛ أَنْ لَا نَكُوْنَ مِنْهُمْ وَنَحْنُ لَا نَعْلَمُ، قَالَ: أَمَا إِنَّهُمْ إِخْوَانُكُمْ وَمِنْ جِلْدَتِكُمْ وَيَأْخُذُوْنَ مِنَ اللَّيْلِ كَمَا تَأْخُذُوْنَ، وَلَكِنَّهُمْ أَقْوَامٌ إِذَا خَلَوْا بِمَحَارِمِ اللهِ انْتَهَكُوْهَا.
‘‘আমি আমার উম্মতের এমন কিছু সম্প্রদায়কে চিনি যারা কিয়ামতের দিন তিহামা পাহাড়ের ন্যায় শুভ্র-পরিচ্ছন্ন অনেকগুলো নেকি নিয়ে মহান আল্লাহ্ তা‘আলার সামনে উপস্থিত হবে। তখন আল্লাহ্ তা‘আলা সেগুলোকে ধূলিকণার ন্যায় উড়িয়ে দিবেন। সাওবান বলেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৪৮. কোন দুনিয়ার স্বার্থের জন্য প্রশাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা

১৪৮. কোন দুনিয়ার স্বার্থের জন্য প্রশাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা


কোন দুনিয়ার স্বার্থের জন্য প্রশাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৪৭. সন্তান প্রসবের পূর্বে কোন গর্ভবতী বান্দির সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া

১৪৭. সন্তান প্রসবের পূর্বে কোন গর্ভবতী বান্দির সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া


সন্তান প্রসবের পূর্বে কোন গর্ভবতী বান্দির সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম কাজ।
আবুদ্দারদা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা জনৈক ব্যক্তি একটি গর্ভবতী বান্দি তার তাঁবুর সামনে নিয়ে আসলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন: মনে হয় লোকটি সঙ্গম করার জন্যই ওকে নিয়ে এসেছে ?! তাঁরা বললেন: হ্যাঁ, তাই তো মনে হয়। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৪৬. যিহার তথা নিজ স্ত্রীকে আপন মায়ের কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে তুলনা করা

১৪৬. যিহার তথা নিজ স্ত্রীকে আপন মায়ের কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে তুলনা করা


যিহার তথা নিজ স্ত্রীকে আপন মায়ের কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে তুলনা করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৪৫. কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া কোন মহিলা তার স্বামী থেকে তালাক চাওয়া

১৪৫. কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া কোন মহিলা তার স্বামী থেকে তালাক চাওয়া


কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া কোন মহিলা তার স্বামী
থেকে তালাক চাওয়া হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا طَلَاقًا فِيْ غَيْرِ مَا بَأْسٍ ؛ فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْـجَنَّةِ.
‘‘যে কোন মহিলা কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া নিজ স্বামীর নিকট তালাক চাইলো তার উপর জান্নাতের সুগন্ধি হারাম হয়ে যাবে’’। (আবূ দাউদ ২২২৬; তিরমিযী ১১৮৭; ইব্নু মাজাহ্ ২০৫৫)
সাওবান (রাঃ) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৪৪. স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সংঘটিত সহবাসের ব্যাপারটি অন্য কাউকে জানানো

১৪৪. স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সংঘটিত সহবাসের ব্যাপারটি অন্য কাউকে জানানো


স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সংঘটিত সহবাসের ব্যাপারটি অন্য কাউকে জানানো হারাম ও কবীরা গুনাহ্। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৪৩. দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করা

১৪৩. দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করা


যে কোন মানুষের সাথে দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্। কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট এ জাতীয় লোক হবে সর্ব নিকৃষ্ট লোকদের অন্যতম।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৪২. কোন মোসলমানকে নিয়ে ঠাট্টা-মশ্কারা করা

১৪২. কোন মোসলমানকে নিয়ে ঠাট্টা-মশ্কারা করা


কোন মোসলমানকে নিয়ে ঠাট্টা-মশ্কারা করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا لَا يَسْخَرْ قَوْمٌ مِّنْ قَوْمٍ، عَسَى أَنْ يَّكُوْنُوْا خَيْرًا مِّنْهُمْ، وَلَا نِسَآءٌ مِّنْ نِّسَآءٍ، عَسَى أَنْ يَّكُنَّ خَيْرًا مِّنْهُنَّ، وَلَا تَلْمِزُوْآ أَنْفُسَكُمْ، وَلَا تَنَابَزُوْا بِالْأَلْقَابِ، بِئْسَ الْاِسْمُ الْفُسُوْقُ بَعْدَ الْإِيْمَانِ، وَمَنْ لَّـمْ يَتُبْ فَأُوْلَآئِكَ هُمُ الظَّالِمُوْنَ».
‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্যকার কোন পুরুষ যেন অন্য কোন পুরুষকে নিয়ে ঠাট্টা না করে। কারণ, যাকে নিয়ে ঠাট্টা করা হচ্ছে হয় তো বা সে (আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট) ঠাট্টাকারীর চাইতেও উত্তম। তেমনিভাবে তোমাদের মধ্যকার কোন মহিলা যেন অন্য কোন মহিলাকে নিয়ে ঠাট্টা না করে। কারণ, যাকে নিয়ে ঠাট্টা করা হচ্ছে হয় তো বা সে (আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট) ঠাট্টাকারিণীর চাইতেও উত্তম। তোমরা কেউ একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করো না এবং মন্দ নামে ডেকো না। কারণ, ঈমানের পর কুফরি খুবই নিকৃষ্টতম ভূষণ। যারা এ রকম আচরণ থেকে তাওবা করবে না তারা অবশ্যই যালিম’’।(’হুজুরাত : ১১)
ঠাট্টা বলতেই তা একটি হারাম কাজ। চাই তা কথার মাধ্যমেই হোক অথবা অভিনয়ের মাধ্যমে। চাই তা ইঙ্গিতে হোক অথবা প্রকাশ্যে। চাই তা কোন ব্যক্তির গঠন নিয়েই হোক অথবা তার কথা নিয়ে কিংবা তার কোন বৈশিষ্ট্য নিয়ে।

কবীরা গুনাহঃ ১৪১. মিথ্যা কসম খেয়ে পণ্য বিক্রি করা

১৪১. মিথ্যা কসম খেয়ে পণ্য বিক্রি করা


মিথ্যা কসম খেয়ে পণ্য বিক্রি করা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম কাজ।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
ثَلَاثَةٌ لَا يَنْظُرُ اللهُ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَا يُزَكِّيْهِمْ وَلَـهُمْ عَذَابٌ أَلِيْـمٌ: أُشَيْمِطٌ زَانٍ، وَعَائِلٌ مُسْتَكْبِرٌ، وَرَجُلٌ جَعَلَ اللهُ بِضَاعَتَهُ لَا يَشْتَرِيْ إِلاَّ بِيَمِيْنِهِ، وَلَا يَبِيْعُ إِلاَّ بِيَمِيْنِهِ.
‘‘তিন জাতীয় মানুষের প্রতি আল্লাহ্ তা‘আলা কিয়ামতের দিন (সুদৃষ্টিতে) তাকাবেন না, তাদেরকে গুনাহ্ থেকে পবিত্রও করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। তারা হচ্ছে, বৃদ্ধ ব্যভিচারী, নির্ধন গর্বকারী এবং এমন এক ব্যক্তি যার পণ্যের অবস্থা আল্লাহ্ তা‘আলা এমন করেছেন যে, কিনতে গেলেও সে কসম খায় এবং বিক্রি করতে গেলেও সে কসম খায়’’। (স’হী’হুল-জা’মি’, হাদীস ৩০৭২)
ব্যবসার ক্ষেত্রে

কবীরা গুনাহঃ ১৪০. সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধের মহান দায়িত্ব পরিহার করা

১৪০. সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধের মহান দায়িত্ব পরিহার করা


সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধের মহান দায়িত্ব পরিহার করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«لُعِنَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنْ بَنِيْ إِسْرَآئِيْلَ عَلَى لِسَانِ دَاوُوْدَ وَعِيْسَى بْنِ مَرْيَمَ، ذَلِكَ بِمَا عَصَوْا وَّكَانُوْا يَعْتَدُوْنَ، كَانُوْا لَا يَتَنَاهَوْنَ عَنْ مُّنْكَرٍ فَعَلُوْهُ، لَبِئْسَ مَا كَانُوْا يَفْعَلُوْنَ».
‘‘বানী ইস্রাঈলের (ইহুদি ও খ্রিস্টানদের) কাফিরদের উপর লা’নত দাঊদ ও ’ঈসা বিন্ মারইয়াম (‘আলাইহিমুস-সালাম) এর মুখে এবং তা এ কারণে যে, তারা ছিলো ওহীর আদেশ বিরোধী এবং সীমা লঙ্ঘনকারী। তারা একে অপরকে কৃত গর্হিত কাজ থেকে নিষেধ করতো না। মূলতঃ তাদের উক্ত কাজ ছিলো অত্যন্ত নিকৃষ্ট’’। (মা’য়িদাহ্ : ৭৮-৭৯)
’হুযাইফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

১৩৯. কোন পশুকে খাদ্য-পানীয় না দিয়ে দীর্ঘ সময় এমনিতেই ইচ্ছাকৃতভাবে বেঁধে রাখা যাতে সে ক্ষিধা-পিপাসায় মরে যায়

১৩৯. কোন পশুকে খাদ্য-পানীয় না দিয়ে দীর্ঘ সময় এমনিতেই ইচ্ছাকৃতভাবে বেঁধে রাখা যাতে সে ক্ষিধা-পিপাসায় মরে যায়


কোন পশুকে খাদ্য-পানীয় না দিয়ে দীর্ঘ সময় এমনিতেই ইচ্ছাকৃতভাবে বেঁধে রাখা যাতে সে ক্ষিধা-পিপাসায় মরে যায় এমন করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৩৮. মানুষের চলাচলের পথে, গাছের ছায়ায় কিংবা পুকুর ও নদ-নদীর ঘাটে মল ত্যাগ

১৩৮. মানুষের চলাচলের পথে, গাছের ছায়ায় কিংবা পুকুর ও নদ-নদীর ঘাটে মল ত্যাগ


মানুষের চলাচলের পথে, গাছের ছায়ায় কিংবা পুকুর ও নদ-নদীর ঘাটে মল ত্যাগ আরেকটি হারাম কাজ কিংবা কবীরা গুনাহ্।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
اتَّقُوْا اللَّاعِنَيْنِ، قَالُوْا: وَمَا اللَّاعِنَانِ يَا رَسُوْلَ اللهِ ؟! قَالَ: الَّذِيْ يَتَخَلَّى فِيْ طَرِيْقِ النَّاسِ أَوْ ظِلِّهِمْ.
‘‘তোমরা অভিশাপের দু’টি কারণ হতে দূরে থাকো। সাহাবা (রাযিয়াল্লাহু আন্হুম) বললেন: অভিশাপের কারণ দুটি কি? তিনি বললেন: পথে-ঘাটে অথবা ছায়াবিশিষ্ট গাছের তলায় মল-মূত্র ত্যাগ করা’’। (আবূ দাউদ ২৫)
মু‘আয (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

১৩৭. সন্দেহের দিনে রামাযানের রোযা রাখা

১৩৭. সন্দেহের দিনে রামাযানের রোযা রাখা


সন্দেহের দিনে রামাযানের রোযা রাখা আরেকটি হারাম কাজ।
‘আম্মার বিন্ ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
مَنْ صَامَ الْيَوْمَ الَّذِيْ يَشُكُّ فِيْهِ النَّاسُ فَقَدْ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ .
‘‘যে ব্যক্তি এমন দিনে রামাযানের রোযা রাখলো যে দিন রামাযানের প্রথম দিন হওয়া সম্পর্কে মানুষের সন্দেহ রয়েছে তা হলে সে সত্যিই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিরুদ্ধাচরণ করলো’’। (তিরমিযী ৬৮৬; আবূ দাউদ ২৩৩৪; ইব্নু মাজাহ্ ১৬৬৮)
শা’বানের ত্রিশতম দিন রামাযানের প্রথম দিন হওয়া সম্পর্কে সন্দেহ দেখা দিলে শা’বান মাস পুরা করাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

১৩৬. আযানের পর কোন ওযর ছাড়া জামাতে নামায না পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া

১৩৬. আযানের পর কোন ওযর ছাড়া জামাতে নামায না পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া


আযানের পর কোন ওযর ছাড়া জামাতে নামায না পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া আরেকটি হারাম কাজ।
আবুশ্শা’সা’ (রাহিমাহুল্লাহ্) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৩৫. মক্কার হারাম শরীফের কোন গাছ কাটা, শিকারের উদ্দেশ্যে সেখানকার কোন পশু-পাখি তাড়ানো এবং সেখানকার রাস্তা থেকে কোন হারানো জিনিস কুড়িয়ে নেয়া

১৩৫. মক্কার হারাম শরীফের কোন গাছ কাটা, শিকারের উদ্দেশ্যে সেখানকার কোন পশু-পাখি তাড়ানো এবং সেখানকার রাস্তা থেকে কোন হারানো জিনিস কুড়িয়ে নেয়া


মক্কার হারাম শরীফের কোন গাছ কাটা, শিকারের উদ্দেশ্যে সেখানকার কোন পশু-পাখিকে তাড়ানো এবং সেখানকার রাস্তা থেকে কোন হারানো জিনিস কুড়িয়ে নেয়া আরেকটি হারাম কাজ।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

১৩৪. বিক্রি করতে গিয়ে বান্দিকে তার সন্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করা

১৩৪. বিক্রি করতে গিয়ে বান্দিকে তার সন্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করা


বিক্রি করতে গিয়ে বান্দিকে তার সন্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করা আরেকটি হারাম কাজ।
আবূ আইয়ূব আন্সারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৩৩. অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে অতঃপর তা ভুলে যাওয়া

১৩৩. অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে অতঃপর তা ভুলে যাওয়া


অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে অতঃপর তা ভুলে যাওয়া বিশেষ করে (তীর, গোলা, বারুদ ইত্যাদি) নিক্ষেপ করা শিখে অতঃপর তা পরিচালনা করা ভুলে যাওয়া আরেকটি হারাম কাজ। কারণ, এভাবে একে একে সবাই তা ভুলে গেলে মুসলিমরা একদা আর শত্রুর মুকাবিলা করতে সক্ষম হবে না।
’উক্ববাহ্ বিন্ ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৩২. মসজিদে থুথু ফেলা

১৩২. মসজিদে থুথু ফেলা


মসজিদে থুথু ফেলা আরেকটি হারাম কাজ।
আনাস্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
الْبُزَاقُ فِيْ الْـمَسْجِدِ خَطِيْئَةٌ، وَكَفَّارَتُهَا دَفْنُهَا.
‘‘মসজিদে থুথু ফেলা গুনাহ্’র কাজ। যার কাফ্ফারা হলো তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলা’’। (বুখারী ৪১৫)

কবীরা গুনাহঃ ১৩১. ইহুদি ও খ্রিস্টানকে সর্ব প্রথম নিজ থেকেই সালাম দেয়া

১৩১. ইহুদি ও খ্রিস্টানকে সর্ব প্রথম নিজ থেকেই সালাম দেয়া


ইহুদি ও খ্রিস্টানকে সর্ব প্রথম নিজ থেকেই সালাম দেয়া আরেকটি হারাম কাজ।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَا تَبْدَؤُوْا الْيَهُوْدَ وَلَا النَّصَارَى بِالسَّلَامِ، فَإِذَا لَقِيْتُمْ أَحَدَهُمْ فِيْ طَرِيْقٍ فَاضْطَرُّوْهُ إِلَى أَضْيَقِهِ.
‘‘তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানকে সর্ব প্রথম নিজ থেকেই সালাম দিও না। বরং যখনই তাদের কাউকে রাস্তায় পাবে তখনই তাকে একেবারে সংকীর্ণ পথেই চলতে বাধ্য করবে’’।
(মুসলিম ২১৬৭)
এ ছাড়াও সালাম তো ভালোবাসারই একান্ত প্রতীক। তাই ওদেরকে সালাম দেয়া যাবে না। কারণ, তাদের সাথে ভালোবাসা ঈমান বিধ্বংসীই বটে।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

কবীরা গুনাহঃ ১৩০. তৃতীয় জনকে দূরে রেখে অন্য দু’ জন পরস্পর চুপিসারে কথা বলা

১৩০. তৃতীয় জনকে দূরে রেখে অন্য দু’ জন পরস্পর চুপিসারে কথা বলা


তৃতীয় জনকে দূরে রেখে অন্য দু’ জন পরস্পর চুপিসারে কথা বলা আরেকটি হারাম কাজ। তেমনিভাবে তৃতীয় জনের সামনে অন্য দু’ জন এমন ভাষায় কথা বলা যা সে বুঝে না অথবা এমন আকার-ইঙ্গিতে কথা বলা যা সে বুঝে না তাও হারাম। কারণ, তাতে সে সত্যিই ব্যথিত হবে।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ মাস্’ঊদ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১২৯. দাবা খেলা

১২৯. দাবা খেলা


দাবা খেলা আরেকটি হারাম কাজ। এতে করে জুয়ার প্রশস্ত পথ খুলে যায় এবং প্রচুর মূল্যবান সময় বিনষ্ট হয়।
আবূ মূসা আশ্‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১২৮. পণ্যের দোষ-ত্রুটি ক্রেতাদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা

১২৮. পণ্যের দোষ-ত্রুটি ক্রেতাদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা


পণ্যের দোষ-ত্রুটি ক্রেতাদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা আরেকটি হারাম কাজ।
’উক্ববাহ্ বিন্ ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
الْـمُسْلِمُ أَخُوْ الْـمُسْلِمِ، وَلَا يَحِلُّ لـِمُسْلِمٍ بَاعَ مِنْ أَخِيْهِ بَيْعًا فِيْهِ عَيْبٌ إِلاَّ بَيَّنَهُ لَهُ.
‘‘একজন মুসলিম অন্য মুসলিমের ভাই। অতএব কোন মুসলিম অন্য কোন মুসলিম ভাইয়ের কাছে ত্রুটিযুক্ত কোন কিছু বিক্রি করলে তার জন্য সে ত্রুটি লুকিয়ে রাখা কখনোই জায়িয নয়। বরং তা তাকে অবশ্যই জানিয়ে দিতে হবে’’।
 (ইব্নু মাজাহ্ ২২৭৬ স’হীহুল্ জামি’, হাদীস ৬৭০৫)
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদ্যের একটি স্তূপের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি উক্ত স্তূপে হাত ঢুকিয়ে দিলে ভেতরের খাদ্য ভেজা দেখতে পান। তখন তিনি বলেন:
مَا هَذَا يَا صَاحِبَ الطَّعَامِ ؟ قَالَ: أَصَابَتْهُ السَّمَاءُ يَا رَسُوْلَ اللهِ! قَالَ: أَفَلَا جَعَلْتَهُ فَوْقَ الطَّعَامِ كَيْ يَرَاهُ النَّاسُ؟ مَنْ غَشَّ فَلَيْسَ مِنِّيْ.
‘‘এটা কি, হে খাদ্যের মালিক? সে বললো: হে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! বৃষ্টি হয়েছিলো তো তাই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তুমি কেন ভেজা খাদ্যগুলো উপরে রাখলে না তা হলেই তো মানুষ তা দেখতে পেতো। যে কোন মুসলিমকে ধোঁকা দিলো তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই’’।
(মুসলিম ১০২)
প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে এ কথা জানতে হবে যে, বেচা-বিক্রিতে কাউকে ধোঁকা দিলে সে ব্যবসায় বরকত ও সত্যিকারের সমৃদ্ধি কখনোই আসে না। হঠাৎ দেখা যাবে কোন একটি জটিল রোগ একই চোটে লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট করে দিলো। হঠাৎ ব্যবসায় ধস নেমে কোটি কোটি টাকা নষ্ট হয়ে গেলো।
’হাকীম বিন্ ’হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا، فَإِنْ صَدَقَا وَبَيَّنَا بُـوْرِكَ لَهُمَا فِيْ بَيْعِهِمَا، وَإِنْ كَذَبَا وَكَتَمَا مُحِقَتْ بَرَكَةُ بَيْعِهِمَا.
‘‘ক্রেতা-বিক্রেতা ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারে স্বাধীন যতক্ষণ না তারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়। যদি তারা এ ক্ষেত্রে সত্যবাদিতার পরিচয় দেয় এবং পণ্যের দোষ-ত্রুটির ব্যাপারে উভয়ে খোলাখুলি আলোচনা করে তা হলে আল্লাহ্ তা‘আলা তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত দিবেন। আর যদি তারা এ ক্ষেত্রে মিথ্যার আশ্রয় নেয় এবং পণ্যের দোষ-ত্রুটি একে অপর থেকে লুকিয়ে রাখে তা হলে আল্লাহ্ তা‘আলা তাদের ক্রয়-বিক্রয় থেকে বরকত উঠিয়ে নিবেন’’। (বুখারী ২১১০)

কবীরা গুনাহঃ ১২৭. কোন পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে দালালি করা

১২৭. কোন পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে দালালি করা


কোন পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে দালালি করা আরেকটি হারাম কাজ। দালালি বলতে নিলামে বিক্রি কোন মাল তো তার কেনার কোন ইচ্ছে নেই; অথচ সে উক্ত পণ্যের বেশি দাম হাঁকিয়ে ওর মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন কাজ করতে সবাইকে নিষেধ করে দিয়েছেন।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১২৬. কারোর কাছে মিথ্যা স্বপ্ন তথা স্বপ্ন বানিয়ে বলা

১২৬. কারোর কাছে মিথ্যা স্বপ্ন তথা স্বপ্ন বানিয়ে বলা


কারোর কাছে মিথ্যা স্বপ্ন তথা স্বপ্ন বানিয়ে বলা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম কাজ।
‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১২৫. কারোর অনুমতি ছাড়া তার ঘরে উঁকি মারা

১২৫. কারোর অনুমতি ছাড়া তার ঘরে উঁকি মারা


কারোর অনুমতি ছাড়া তার ঘরে উঁকি মারা কবীরা গুনাহ্ ও হারাম।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
مَنِ اطَّلَعَ فِيْ بَيْتِ قَوْمٍ بِغَيْرِ إِذْنِهِمْ فَقَدْ حَلَّ لَهُمْ أَنْ يَّفْقَؤُوْا عَيْنَهُ.
‘‘যে ব্যক্তি কারোর ঘরে উঁকি মারলো তাদের অনুমতি ছাড়া তার চোখটি গুঁটিয়ে দেয়া হালাল’’। (মুসলিম ২১৫৮)
সাহ্ল বিন্ সা’দ্ সা’য়িদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: জনৈক ব্যক্তি একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরোজার ফাঁক দিয়ে তাঁর ঘরে উঁকি মারছিলো। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে ছিলো একটি শলা যা দিয়ে তিনি নিজ মাথা খানি চুলকাচ্ছিলেন। যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উঁকি মারার ব্যাপারটা টের পেয়ে গেলেন তখন তিনি তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন:

কবীরা গুনাহঃ ১২৪. শরয়ী কোন দোষের কারণে মুসল্লীরা কারোর ইমামতি অপছন্দ করা সত্ত্বেও তার সেই ইমামতি পদে বহাল থাকা

১২৪. শরয়ী কোন দোষের কারণে মুসল্লীরা কারোর ইমামতি অপছন্দ করা সত্ত্বেও তার সেই ইমামতি পদে বহাল থাকা


শরয়ী কোন দোষের কারণে মুসল্লীরা কারোর ইমামতি অপছন্দ করা সত্ত্বেও তার সেই ইমামতি পদে বহাল থাকা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম কাজ।
আবূ উমামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

১২৩. কোন গুনাহ্ একাকীভাবে করে পরে তা অন্যের কাছে বলে বেড়ানো

১২৩. কোন গুনাহ্ একাকীভাবে করে পরে তা অন্যের কাছে বলে বেড়ানো


কোন গুনাহ্ একাকীভাবে করে পরে তা অন্যের কাছে বলে বেড়ানো আরকটি কবীরা গুনাহ্ বা হারাম।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
كُلُّ أُمَّتِيْ مُعَافًى إِلاَّ الْمُجَاهِرِيْنَ، وَإِنَّ مِنَ الْـمُجَاهَرَةِ أَنْ يَّعْمَـلَ الرَّجُلُ بِاللَّيْلِ عَمَلًا، ثُمَّ يُصْبِحُ وَقَدْ سَتَرَهُ اللهُ، فَيَقُوْلُ : يَا فُلَانُ! عَمِلْتُ الْبَارِحَةَ كَذَا وَكَذَا، وَقَدْ بَاتَ يَسْتُرُهُ رَبُّهُ، وَيُصْبِحُ يَكْشِفُ سِتْرَ اللهِ عَنْهُ.
‘‘আমার প্রতিটি উম্মতই নিরাপদ তথা ক্ষমার যোগ্য। তবে প্রকাশ্য গুনাহ্গাররা নয়। আর প্রকাশ্য গুনাহ্ বলতে এটাকেও বুঝানো হয় যে, কেউ রাত্রিবেলায় মানব সমাজের অলক্ষ্যেই গুনাহ্’র কাজটা করলো। ভোর পর্যন্ত কারোর নিকট তা ফাঁস হয়ে যায়নি; অথচ

সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ দুআ কোনটি ? জান্নাতে যাওয়ার নিশ্চিত গ্যারান্টি কে পেতে চান?

সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ দুআ কোনটি ? জান্নাতে যাওয়ার নিশ্চিত গ্যারান্টি কে পেতে চান?
“সায়্যিদুল ইস্তিগফার” বা “ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দুয়া” নামে একটা দুয়া আছে – আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে কেউ যদি প্রতিদিন সকাল (ফযরের পরে) ও সন্ধ্যায় (আসর বা মাগরিবের পরে) পড়ে – আর সে ঐদিন মারা যায় – ইন শা’ আল্লাহ সে জান্নাতে যাবে। এই গ্যারান্টি দিয়ে গেছেন স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সাঃ)। (বুখারী, তিরমিযী ৫/৪৬৬) দুয়াটা পাবেন হিসনুল মুসলিম বইয়ের ১২৭ নাম্বার পৃষ্ঠাতে।

কবীরা গুনাহঃ ১২২. কোন পুরুষের উপুড় হয়ে শোয়া বা ঘুমানো

১২২. কোন পুরুষের উপুড় হয়ে শোয়া


কোন পুরুষের উপুড় হয়ে শোয়া আরেকটি হারাম কাজ ও কবীরা গুনাহ্।
ত্বিহ্ফাহ্ আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা আমাকে মসজিদের মধ্যে উপুড় হয়ে শুতে দেখে পা দিয়ে ধাক্কা মেরে বললেন:

আমি এক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বা সুপারভাইজার। আমার আন্ডারে অনেক লোক চাকরি করে। কিছু লোক ডিউটিতে ফাঁকি দেওয়ার জন্য মিথ্যা ওজর পেশ করে ছুটি নেয়। তাদেরকে ছুটি দেওয়া কি আমার জন্য বৈধ?


আপনি একজন দায়িত্বশীল অফিসার। যখন আপনি জানবেন যে, বাস্তবেই তাদের ওজর মিথ্যা, তখন তাদেরকে ছুটি দেওয়া এবং প্রতিষ্ঠানের কাজের ক্ষতি করা আপনার জন্য বৈধ নয়। কারণ
তা এক প্রকার খেয়ানত এবং খেয়ানতের সহযোগিতা। আর মহান আল্লাহ বলেছেন, “হে বিশ্বাসীগণ! জেনে শুনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করো না এবং তোমাদের পরস্পরের আমানত (গচ্ছিত দ্রব্য) সম্পর্কেও নয়।” (আনফালঃ ২৭)
“নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তাঁর মালিককে প্রত্যপণ। করবে। (নিসাঃ ৫৮)
আর আল্লাহর নবী (সঃ) বলেন,

আমি এক কোম্পানিতে চাকরি করি। আমার ব্যক্তিগত কাজে এক জায়গায় গেলে সেখানে আমার গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়। চিকিৎসা ও গাড়ির খরচ অনেক বেশি হবে বুঝে কোম্পানির কাজে গিয়ে এক্সিডেন্ট হয়েছে বলে চালিয়ে দিই। কোম্পানি আমার সমস্ত খরচ বহন করে। কিন্তু বর্তমানে আমার বিবেক আমাকে কামড় দিচ্ছে। সে কাজ কি আমার ঠিক ছিল? এখন আমি কি করতে পারি?


যা করেছেন, তা প্রতারণা ও ধোঁকাবাজি। এখন আপনার উচিৎ, কোম্পানিকে আসল কথা খুলে বলা এবং যে অর্থও ব্যয় করেছে, তা আপনার বেতন থেকে কেটে নেওয়ার আর্জি পেশ করা। অতঃপর যদি কোম্পানি আপনাকে ক্ষমা করে দেয়, তাহলে উত্তম। আর আপনি এই প্রতারণার জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করুন। (ইবনে উসাইমিন)

হাতের ইশারায় সালাম দেয়া কি বৈধ? অনেকে শ্রদ্ধাভাজনের পা ছুঁয়ে সালাম করে, তা কি বৈধ?

হাতের ইশারায় সালাম দেয়া কি বৈধ?


কেবল হাতের ইশারা করা এবং মুখে সালাম উচ্চারণ না করা বৈধ নয়। যে ব্যক্তির কাছে আওয়াজ পৌছবে না, সে ব্যক্তিকে সালাম জানাতে হাতের ইশারার সাথে মুখে সালাম দিতে হবে। যেহেতু

সালামের পর কি শ্রদ্ধাভাজনের হাতে বা কপালে চুমু কি জায়েয? অনেকে সালাম করার সময় মাথা নত করে, তা কি বৈধ?

সালামের পর কি শ্রদ্ধাভাজনের হাতে বা কপালে চুমু কি জায়েয?


দুই চোখের মাঝে কপাল চুম্বন দেওয়া বৈধ। জাফর হাবসা থেকে ফিরে এলে মহানবী (সঃ) তার সাথে মুয়ানাকা করে তার দুই চোখের মাঝে (কপালে) চুম্বন দিয়েছিলেন।( সিলসিলাহ সহিহাহ ৬/১/ ৩৩৮ )
কিছু শর্তের সাথে আলেম (পিতা মাতা বা গুরুজন) দের হাতে বুসা দেওয়া বৈধ।

অমুসলিমদেরকে সালাম দেওয়া যায় কি?

অমুসলিমদেরকে সালাম দেওয়া যায় কি?

অমুসলিমদের প্রথমে সালাম দেওয়া হারাম, বৈধ নয়। যেহেতু ‘সালাম’ কেবল ইসলাম ওয়ালাদের অভিবাদন। মহানবী (সঃ) বলেছেন, “ইয়াহুদি ও নাসাদেরকে প্রথমে সালাম দিও না। ওদের সাথে পথে দেখা হলে সংকীর্ণতার প্রতি বাধ্য কর।” কিন্তু ওরা যদি তোমাদেরকে প্রথমে সালাম দেয়, তাহলে তাঁর উত্তর দেওয়া আমাদের জন্য ওয়াজেব হবে।  যেহেতু সাধারণভাবেই আল্লাহ বলেন,

“আর যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয়, তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন করবে অথবা ওরই অনুরূপ উত্তর দেবে।”  (সূরা নিশা)
ইয়াহুদিরা মহানবী (সঃ) কে সালাম দিত, বলত

একত্রে মুসলিম অমুসলিম উভয়ই থাকলে কোন শব্দে সালাম দেওয়া যাবে? এ ক্ষেত্রে কি ‘আস- সালামু আলা মানিত্তাবাআলা হুদা’ বলে সালাম দিতে হবে?


এ ক্ষেত্রে মুসলিমদের উদ্দেশ্যে ‘আস সালামু আলাইকুম’ বলেই সালাম দিতে হবে। প্রশ্নে উক্ত বাক্য অমুসলিমদেরকে চিঠি লেখার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। (ইবনে উসাইমিন)
কেউ কেউ বলেছেন, অমুসলিমদের কে সালাম দিতে ‘আস সালামু আলা মানিত্তাবাআল হুদা’ বা ‘আসসালামু আলাইনা অয়ালা ইবাদিল্লাহিস শ্বালিহিন ও ব্যবহার করা যায়।

দেখেছি, অনেক লোক নামাযে সালাম ফিরার পর তাদের ডানে বামের লোকেদের সাথে মুসাফাহাহ করে। এটা কি সুন্নত?

দেখেছি, অনেক লোক নামাযে সালাম ফিরার পর তাদের ডানে বামের লোকেদের সাথে মুসাফাহাহ করে। এটা কি সুন্নত?


না, বরং এ কাজ বিদআত। তবে যদি তা মুসাফাহাহ প্রথম সাক্ষাতের জন্য সালাম-সহ হয়, তাহলে তা সুন্নত। অর্থাৎ, নামায শুরু হওয়ার পর পাশে দাঁড়ানোর সময় সালাম-মুসাফাহাহ সুযোগ না হওয়ার ফলে নামায শেষ হওয়ার পরে তা করলে দূষণীয় নয়। ১৪৪

কবীরা গুনাহঃ ৯১. বেগানা কোন মহিলার সাথে কোন পুরুষের মুসাফাহা করা

৯১. বেগানা কোন মহিলার সাথে কোন পুরুষের মুসাফাহা করা


বেগানা কোন মহিলার সাথে কোন পুরুষের মুসাফাহা করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَأَنْ يُّطْعَنَ فِيْ رَأْسِ أَحَدِكُمْ بِمِخْيَطٍ مِنْ حَدِيْدٍ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَّمَسَّ امْرَأَةً لَا تَحِلُّ لَهُ.
‘‘তোমাদের কারোর মাথায় লোহার সুঁই দিয়ে আঘাত করা তার জন্য অনেক শ্রেয় বেগানা কোন মহিলাকে স্পর্শ করার চাইতে যা তার জন্য হালাল নয়’’।
 (স’হীহুল্ জা’মি’ ৪৯২১)
কেউ কেউ মনে করেন, আমার মন খুবই পরিষ্কার। তাঁকে আমি মা, খালা অথবা বোনের মতোই মনে করি ইত্যাদি ইত্যাদি। তা হলে মুসাফাহা করতে অসুবিধে কোথায়। আমরা তাদেরকে বলবো: আপনার চাইতেও বেশি পরিষ্কার ছিলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্তর। এরপরও তিনি যে কোন বেগানা মহিলার সাথে মুসাফাহা করতে অস্বীকৃতি জানান।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১২১. কারোর কবরের উপর মসজিদ বানানো

১২১. কারোর কবরের উপর মসজিদ বানানো


কারোর কবরের উপর মসজিদ বানানো হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ মাস্ঊদ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
إِنَّ مِنْ شِرَارِ النَّاسِ مَنْ تُدْرِكُهُمُ السَّاعَةُ وَهُمْ أَحْيَاءُ، وَالَّذِيْنَ يَتَّخِذُوْنَ الْقُبُوْرَ مَسَاجِدَ.
‘‘সর্ব নিকৃষ্ট মানুষ ওরা যারা জীবিত থাকতেই কিয়ামত এসে গেলো এবং ওরা যারা কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করলো’’।
(ইব্নু খুযাইমাহ্, হাদীস ৭৮৯ ইব্নু হিববান/ইহ্সান, হাদীস ৬৮০৮; ত্বাবারানী/কাবীর ১০৪১৩ বায্যার/কাশ্ফুল আস্তার, হাদীস ৩৪২০)
‘আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আন্হা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: উম্মে হাবীবাহ্ ও উম্মে সালামাহ্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) ইথিওপিয়ায় একটি গির্জা দেখেছিলেন যাতে অনেকগুলো ছবি টাঙ্গানো রয়েছে। তাঁরা তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জানালে তিনি বলেন:

কবীরা গুনাহঃ ১২০. যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, মানুষ তাকে দেখলেই তার সম্মানে দাঁড়িয়ে যাক তা হলে সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়’’

১২০. তাকে দেখে অন্য লোক তার সম্মানে দাঁড়িয়ে যাক তা পছন্দ করা


তাকে দেখে অন্য লোক তার সম্মানে দাঁড়িয়ে যাক তা পছন্দ করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
মু‘আবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَّتَمَثَّلَ لَهُ النَّاسُ قِيَامًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ.
‘‘যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, মানুষ তাকে দেখলেই তার সম্মানে দাঁড়িয়ে যাক তা হলে সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়’’। (বুখারী/আদাবুল্ মুফ্রাদ্, হাদীস ৯৭৭; আবূ দাউদ ৫২২৯ তিরমিযী ২/১২৫; আহমাদ ৪/৯৩, ১০০ ত্বাহাবী/মুশ্কিলুল্ আসার ২/৪০)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদের নিকট এতো প্রিয় পাত্র ছিলেন তবুও তাঁরা তাঁর সম্মানে দাঁড়াতেন না।
আনাস্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

ঋণে দেওয়া টাকা বা অন্য কাজে পড়ে থাকা টাকার যাকাত দিতে হবে কি?

ঋণে দেওয়া টাকা বা অন্য কাজে পড়ে থাকা টাকার যাকাত দিতে হবে কি?


নিসাব পরিমাণ টাকা কাউকে ঋণ দেওয়া থাকলে, কিছুর ভাড়া আদায় বাকি থাকলে, মালের মূল্য বকেয়া থাকলে, দেনমোহর বাকি থাকলে আদায় হওয়া মাত্র সেই বছরের যাকাত আদায় দিতে হবে। এর পূর্বের বছরগুলো যাকাত লাগবে না। বলা বাহুল্য, যদি কোন এমন ব্যক্তি বা সংস্থাকে ঋণ দেওয়া থাকে, যার নিকট চাওয়া মাত্র পরিশোধ পাওয়া যাবে না, তাহলে এমন ঋণে দেওয়া টাকার যাকাত আদায় করা ফরয নয়। অবশ্য পরিশোধ পেলেই সেই বছরের যাকাত (বছর পূর্ণ না হলেও) আদায় করতে হবে।
তদানুরুপ

ঋণে নেওয়া টাকার যাকাত আদায় করতে হবে কি?

ঋণে নেওয়া টাকার যাকাত আদায় করতে হবে কি?


ঋণে নেওয়া টাকা যদি যাকাতের নিসাব পরিমাণ হয় অথবা তা মিলিয়ে নিসাব পূর্ণ হয় এবং তা ব্যবসা ইত্যাদিতে থেকে বছর পূর্ণ হয়, তাহলে ঋণগ্রহীতাকে তাঁর যাকাত আদায় করতে হবে।
ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি যাকাতের নিসাব পরিমাণ অর্থ থাকে এবং ঋণ পরিশোধ করার পরও নিসাব বহাল থাকে, তাহলে তাকে যাকাত অবশ্যই আদায় করতে হবে। অন্যথা ঋণ পরিশোধ করার পর যদি নিসাব বহাল না থাকে, তাহলে তাঁর উপর যাকাত ফরয নয়।
জ্ঞাতব্য যে, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জমির ওশর অথবা পশুর যাকাত ফরয হলেও অনুরূপ তাঁর উচিৎ আগে ঋণ পরিশোধ করা। অতঃপর নিসাব পরিমাণ থাকলে তাঁর ওশর বা যাকাত আদায় করা।

১০২. কারোর থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করা অথবা পরিশোধ করতে টালবাহানা করা

১০২. কারোর থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করা অথবা পরিশোধ করতে টালবাহানা করা


কারোর থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করা অথবা পরিশোধ করতে টালবাহানা করা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ বা হারাম।
শরীয়তে ঋণের ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা পরিশোধ না করে কিয়ামতের দিন এক কদমও সামনে এগুনো যাবে না। এমনকি যে ব্যক্তি নিজের জীবন ও ধন-সম্পদ সবকিছুই আল্লাহ্’র রাস্তায় বিলিয়ে দিয়েছে সেও নয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

ডিউটির ফিক্সড টাইম আট ঘণ্টা। শুরুতে ১০/১৫ মিনিট দেরি করে এলে এবং শেষে ১০/১৫ মিনিট আগে বেরিয়ে গেলে কোন ক্ষতি হবে কি?


এ ক্ষতির কথা ম্যানেজারের কাছে বলুন। সে চাইলে দেরিতে আসা ও আগে বেরিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে। অনুমতি না দিলে ডিউটির বাঁধা সময় চুরি করা বৈধ নয়। (ইবনে উসাইমিন)

যে কর্মচারী কাজে ফাঁকি দেয়, ঠিকমতো ডিউটি পালন করে না, তার বেতন কি হালাল?

যে কর্মচারী কাজে ফাঁকি দেয়, ঠিকমতো ডিউটি পালন করে না, তার বেতন কি হালাল?

যে কর্মচারী কাজে ফাঁকি দেয়, ঠিকমতো ডিউটি পালন করে না, তার বেতন পুরো হালাল নয়। ফাঁকি অনুযায়ী হারামের পরিমাণ কম বেশি হবে। (ইবনে বাজ)

অসুস্থ হলে আমি অফিস থেকে দশ দিনের ছুটি নিয়েছিলাম। কিন্তু পাঁচ দিনের মাথায় আমার অসুখ সেরে যায়। বাকি ছুটি ভোগ করার অধিকার কি আমার ছিল?

অসুস্থ হলে আমি অফিস থেকে দশ দিনের ছুটি নিয়েছিলাম। কিন্তু পাঁচ দিনের মাথায় আমার অসুখ সেরে যায়। বাকি ছুটি ভোগ করার অধিকার কি আমার ছিল?

আপনার উচিৎ ছিল অসুখ সেরে যাবার পর অফিসে হাজির হওয়া এবং ম্যানেজারের কাছে সে কথা জানানো। সে অনুমতি দিলে আপনি বাকি ছুটি ভোগ করতেন। না দিলে কাজে যোগ দিতেন। (ইবনে উসাইমিন)

কবীরা গুনাহঃ ৫৮. কোন গোলাম বা যার পেছনে অগ্রিম টাকা খরচ করে চুক্তিভিত্তিক কাজের জন্য আনা হয়েছে চুক্তি শেষ না হতেই তার পলায়ন।

৫৮. কোন গোলাম বা যার পেছনে অগ্রিম টাকা খরচ করে চুক্তিভিত্তিক কাজের জন্য আনা হয়েছে চুক্তি শেষ না হতেই তার পলায়ন


কোন গোলাম বা যার পেছনে অগ্রিম টাকা খরচ করে চুক্তিভিত্তিক কাজের জন্য আনা হয়েছে চুক্তি শেষ না হতেই তার পলায়ন হারাম বা কবীরা গুনাহ্।
জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
أَيُّمَا عَبْدٍ أَبَقَ مِنْ مَوَالِيْهِ فَقَدْ كَفَرَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَيْهِمْ.
‘‘কোন গোলাম নিজ মনিব থেকে পলায়ন করলে সে কাফির হয়ে যাবে যতক্ষণ না তার মনিবের কাছে ফিরে আসে’’। (মুসলিম ৬৮)
জারীর (রাঃ) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ৬৭. কাউকে ধোঁকা দেয়া বা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা

৬৭. কাউকে ধোঁকা দেয়া বা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা


যে কোনভাবে কাউকে ধোঁকা দেয়া বা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করাও আরেকটি কবীরা গুনাহ্।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«وَلَا يَحِيْقُ الْـمَكْرُ السَّيِّئُ إِلاَّ بِأَهْلِهِ»
‘‘কূট ষড়যন্ত্র একমাত্র ষড়যন্ত্রকারীদেরকেই বেষ্টন করে নেয়’’। (ফাত্বির : ৪৩)
ক্বাইস্ বিন্ সা’দ্ ও আনাস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তাঁরা বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১০০. কোন মজুরকে কাজে খাটিয়ে তার মজুরি না দেয়া

১০০. কোন মজুরকে কাজে খাটিয়ে তার মজুরি না দেয়া


কোন মজুরকে কাজে খাটিয়ে তার মজুরি না দেয়া আরেকটি হারাম কাজ ও কবীরা গুনাহ্।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
قَالَ اللهُ تَعَالَى: ثَلَاثَةٌ أَنَا خَصْمُهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ: رَجُلٌ أَعْطَى بِيْ ثُمَّ غَدَرَ، وَرَجُلٌ بَاعَ حُرًّا فَأَكَلَ ثَمَنَهُ، وَرَجُلٌ اسْتَأْجَرَ أَجِيْرًا فَاسْتَوْفَى مِنْهُ وَلَمْ يُعْطِهِ أَجْرَهُ.
‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন: কিয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেবো। তাদের একজন হচ্ছে, যে ব্যক্তি আমার নামে কসম খেয়ে কারোর সাথে কোন অঙ্গীকার করে তা ভঙ্গ করেছে। দ্বিতীয়জন হচ্ছে, যে ব্যক্তি কোন স্বাধীন পুরুষকে বিক্রি করে বিক্রিলব্ধ পয়সা খেয়েছে। আর তৃতীয়জন হচ্ছে, যে ব্যক্তি কোন পুরুষকে মজুর হিসেবে খাটিয়ে তার মজুরি দেয়নি’’। (বুখারী ২২২৭, ২২৭০)
এ জাতীয় ব্যক্তি কিয়ামতের দিন সত্যিকার অর্থেই দরিদ্র।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ৪১. যে কোন ধরনের আত্মসাৎ বা বিশ্বাসঘাতকতা

৪১. যে কোন ধরনের আত্মসাৎ বা বিশ্বাসঘাতকতা


যে কোন ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা, আত্মসাৎ বা খেয়ানত আরেকটি কবীরা গুনাহ্ এবং হারাম কাজ। চাই সে বিশ্বাসঘাতকতা আল্লাহ্ তা‘আলা এবং তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথেই হোক অথবা ধর্মের সাথে। চাই সে খেয়ানত জাতীয় সম্পদেই হোক অথবা কারোর ব্যক্তিগত সম্পদে। চাই তা যুদ্ধলব্ধ সম্পদেই হোক অথবা সংগৃহীত যাকাতের মালে। চাই তা কারোর কথার আমানতেই হোক অথবা ইয্যতের আমানতে ইত্যাদি ইত্যাদি। তাই তো আল্লাহ্ তা‘আলা ঈমানের দোহাই পূর্বক সকল ঈমানদারদেরকে এমন করতে বারণ করেছেন।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

ধূমপান ছাড়ার বিজ্ঞান সম্মত উপায়!

ধূমপান ছাড়ার বিজ্ঞানসম্মত উপায়! ধূমপান ত্যাগ করা খুব সহজ কোনো ব্যাপার নয়। তামাকের ব্যবহার প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। কিন্তু বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে, সম্পূর্ণ ধূমপান ত্যাগের জন্য ৩০বার পর্যন্ত চেষ্টা করা লাগতে পারে। গত জুলাইতে যুক্তরাষ্ট্রের এফ.ডি.এ. (ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) সিগারেটে নিকোটিনের এর পরিমাণ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করে যাতে ব্যাবহারকারীদের এর প্রতি আসক্তি কমে। গবেষকরা মনে করেন সিগারেটে নিকোটিন এর পরিমান কমিয়ে আনা গেলে ধূমপায়ীদের জন্য ধূমপান ছাড়াও সহজ হবে, একই সঙ্গে নতুন ধূমপায়ীদের ধূমপানে আসক্তি থেকে বিরত রাখাও সহজ হবে। ধূমপান ত্যাগের সহায়ক হিসেবে আছে চমৎকার কিছু বৈজ্ঞানিক উপায়।

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ