Thursday, May 10, 2018

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা
কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না"
"FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"
.
"আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে
facebook এ কি করছেন ??"
.
" facebook তো ভাল জায়গা
নয়।তো FB এ কি করছেন ???"
.
" ইসলামে FB/internet
চালানো
জায়েজ নয় "
ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি.......
.
এমন অনেক কথাই শুনতে হয় আমরা
যারা FB-তে ইসলাম প্রচার করি,
ভাল কথা লিখি তাদেরকে।
.
কিন্তু যারা মনে করে যে fB মানেই
খারাপ তাদের বলছি।

.
ধরুন আপনার বাসার সামনে একটি
রাস্তা আছে,
সে রাস্তা দিয়ে ৫ মিনিট
হাঁটলে আপনি একটি নাইট ক্লাবে
পৌঁছে
যাবেন
।আবার সেই রাস্তা দিয়ে ৩০
মিনিট হাঁটলে মসজিদে পৌঁছতে পারবেন।
এখন বিষয়টি তাকওয়ার।
.
আপনি নাইট ক্লাবে যাবেন নাকি
মসজিদে যাবেন?
যদিও নাইট ক্লাবে
যাওয়া বেশি সহজ।
কম সময় লাগবে,
আর মসজিদে যেতে আপনার ৩০
মিনিট লাগবে।
কষ্ট হবে বেশি কিন্তু
আপনি যদি একজন খাঁটি মুসলিম হন
তাহলে কোথায় যাবেন?
.
নিশ্চয়ই মসজিদে ...
.
চিন্তা করে দেখুন রাস্তা কিন্তু একটাই!
কিন্ত কোথায় যাবেন সেটি আপনার
বিবেক আপনাকে বলে দিবে .....
Facebook / Internet বিষয়টিও
সেরকমই....
.এটাও একটা রাস্তাই ...
.
এই রাস্তায় আপনি যেমন মসজিদের
মত
ভাল বিষয় পাবেন
তেমনি নাইট ক্লাবের মত খারাপ বিষয়ও
পাবেন।
তবে হ্যাঁ খারাপ বিষয়টাতে ঝুঁকে
পরাটা সহজ
,আর ভালটা মেনে সেটি
বজায় রাখা কঠিন।
.
এখন চিন্তা করে দেখুন পৃথিবীতে
এখন সব জায়গাতেই অন্যায় অবিচার
হচ্ছে।
রাস্তায় বের হলেই আজে বাজে
জিনিস চোখে পড়ছে।
তবেকি এখন
পৃথিবীতে থাকা বাদ দিয়ে দিব ??
.
রাস্তায় চলাচল করা বাদ দিয়ে দিব?
.
নিশ্চয়ই না ....
.
সব কিছুরই ভালো এবং খারাপ দিক
রয়েছে।
এখন খারাপ দিক আছে
বলেই
কি সেটি বাদ দিয়ে দিব ?
.
নাকি খারাপ দিকটা বাদ দিয়ে ভাল
দিকটা গ্রহণ করব?
.
মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রধান
দায়িত্ত্বগুলির একটি হল আল্লাহ্ র
বাণী এবং রাসূলের সুন্নাত অন্যকে
জানানো।
কেহ যদি facebook
এ অন্যকে জানায় তবে ক্ষতিটা কোথায়?
বরং facebook একটি share
করার খুবই ভাল মাধ্যম ।
এখানে
একটি
কথা কেউ লিখলে সেটি মুহূর্তের মধ্যে
ছড়িয়ে পরে।
.
Internet এ আপনি সবই পাবেন,
কুরআন পাবেন আবার,
হিট সিনেমার তালিকাও পাবেন।
আপনি যাবেন কোন দিকে সেটিই
আল্লাহ্ দেখবেন।
আপনি যদি নেট
থেকে কোন ইসলামীক বিষয়ে জ্ঞান
অর্জন করেন সেটা কি সওয়াবের
কাজ নয়?
.
নাকি রাসূল ( সাঃ ) internet
চালান নাই তাই আপনার জন্য জায়েজ হবে না।
.
এসব চিন্তা কিন্তু একদমই ঠিক না।
অনেক রকমের মানুষ আছেন যারা
আধুনিক
প্রযুক্তির ব্যবহার করা শুনলেই ভাবে
এটা মুসলিমের ব্যবহার করা হারাম।
.
আরে জনাব একবার চিন্তা করুন।
কুরআনই তো বিজ্ঞানময়,
Supreme Science ...!!
.
চিন্তা করে দেখুন আঙ্গুলের ছাপ বা
Finger print এর বিষয়টি কিন্তু
আধুনিক বিজ্ঞানই আমাদের জানিয়েছে।
.
অথচ কুরআন এই বিষয়টিকে কত
আগেই আমাদের বলে দিয়েছে।
.
"মানুষ কি মনে করে যে,আমি কখনো
তার হাড়সমূহকে একত্রিত করব না?
হাঁ,সক্ষম,আমি তার আঙ্গুলের অগ্রভাগ
পর্যন্ত যথাযথভাবে সুবিন্যস্ত করতে
সক্ষম"
[সূরা আল ক্বিয়্যামাহ্ ৩-৪]
.
কেবল এই একটি নয়।এমন অনেক
অনেক উদাহরণ পাবেন যা কুরআন
অনেক আগেই বলেছে।
মহাকাশ
বিজ্ঞান,
চিকিৎসা বিজ্ঞান , ভূতত্ব বিজ্ঞান
ইত্যাদি সবকিছু নিয়েই কিন্তু কুরআনে
আয়াত আছে।
.
আমরা আসলে যা modern science
পড়ি সেটাতো A B C D পড়া। অর্থাত
খুব প্রাথমিক লেভেল এর পড়া ।
কুরআন সেটার চেয়েও অনেক
জটিল জিনিস।
.
এখন এসব বিষয় জানার জন্য কি
আপনি বিজ্ঞান চর্চা করবেন না ,
প্রযুক্তি স্পর্শ করবেন না ?
.
এসব কেমন যুক্তি ?
.
.
বরং আমাদের কাছে কুরআন আছে।
.
যেখানে আমরা মুসলিমরা জ্ঞানে
বিজ্ঞানে আরো এগিয়ে যাব সেখানে
আধুনিক প্রযুক্তি থেকে কেন দূরে
থাকব ?
.
আল্লাহ্ কুরআনে বৈজ্ঞানিক আয়াত
দিয়েছেন কি শুধু তিলাওয়াত করার
জন্য?
.
নাকি বুঝে পড়াটা আমাদের দায়িত্ব
নয় ....!!!
.
কোনটা ?
.
যেখানে কুরআন modern science
এর আঁধার,
সেখানে একজন মুসলিমের জন্য
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেটাকে
ইসলামের কাজে লাগানো কি ভাল
না মন্দ ?
.
অনেকে আবার বলে মেয়ে মানুষ
যদি মুসলিম হয় তাহলে FB এ কি
করছে?
.
তাদের নাকি এতে পর্দা নষ্ট হয়!
.
চিন্তা করে দেখুন কুরআন কি বলে।
.
"হে নবী পত্নীগণ ! তোমরা অন্য
নারীদের
মত নও ; তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর,
তবে পরপুরুষের সাথে কোমল এবং
আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না ।
ফলে সেই ব্যাক্তি কু'বাসনা করে,
যার অন্তরে ব্যধি রয়েছে ।তোমরা
সঙ্গত কথাবার্তা বলবে "
[সূরাঃআহযাব ৩২]
.
এখন চিন্তা করে দেখুন নবী পত্নী
দেরও কথা বলার সুযোগ ছিল ।
এমনকি গায়রে মাহরাম লোকের সাথেও।
.
তবে সঙ্গত কথা এবং কণ্ঠের
কোমলতা
প্রকাশ না করে।
উম্মুল মুমিনীন
আয়িশা
(রা) দুই হাজারেরও বেশি হাদীস
শিক্ষা দিয়েছিলেন।
.
সেখানে মেয়েদের facebook
ব্যবহার করে কিছু ভাল জিনিস শিখে
অন্যকে জানালে দোষ কোথায় ??
.
এখানে তো তাদেরকে দেখা দূরে থাক।
তাদের কণ্ঠও শুনা যায় না,তাহলে
নাজায়েজ যে বলছেন । তা কিসের
ভিত্তিতে?
.
পার্থিব জীবনে ততক্ষণ পর্যন্ত কাজ
করে যাওয়া যাবে যতক্ষণ না সেটি
হারাম হয়।
.
Facebook ও হারাম।যদি সেখানে
ছেলে মেয়ে প্রাইভেটলী chat করে
রসালাপ করে।মেয়েরা যদি তাদের
বেপর্দা ছবি পোস্ট করে বেড়ায় ।
অন্যায়, অশ্লীল,অসামাজিক কাজ
-
কর্ম করে বেড়ায় এবং সমর্থন করে।
তবে এটি পুরোপুরি হারাম।
.
কিন্তু এসব করা কি facebook
চালানোর rules ?
.
বিষয়টি কি এরকম যে এসব কাজ
না করলে আপনি fb চালাতে পারবেন
না ?
.
যদি এমনটি হয় তহলে আমিও বলব
এটা চালানো হারাম।
.
কিন্তু আসলে তো এসব ছাড়াই খুব
ভাল
পথেই facebook চালানো যায় .
এসব কথা যতই বলি আসলে তেমন
লাভ নেই। তবুও অনেকে অহেতুক
যুক্তি দিবে।
.
....জানি ....
.
আল্লাহ্ না হিদায়াত করলে কিছুই করার
নেই।
.
"দৃষ্টিমান ও দৃষ্টিহীন সমান নয় ।
সমান নয় অন্ধকার ও আলো। সমান
নয় ছায়া ও তপ্তরোধ।আরো সমান
নয় জীবিত ও মৃত।
আল্লাহ্ শ্রবণ করান যাকে ইচ্ছা ।
আপনি কবরে শায়িতদেরকে শুনাতে
পারবেন না ..."[ সূরাঃফাতির ১৯-২২]
বি:দ্র: post টি copy করা



ভাল না লাগলে ইগনোর করবেন।

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ