Friday, January 19, 2018

(৪৩৪) মিথ্যা স্বাক্ষী দেয়ার বিধান কি? ইহা কি ছিয়াম নষ্ট করে?

(৪৩৪) মিথ্যা স্বাক্ষী দেয়ার বিধান কি? ইহা কি ছিয়াম নষ্ট করে?


মিথ্যা স্বাক্ষী দেয়া অন্যতম কাবীরা গুনাহ্‌। আর তা হচ্ছে না জেনে কোন বিষয়ে স্বাক্ষ্য দেয়া অথবা জেনে শুনে বাস্তবতার বিপরীত সাক্ষ্য প্রদান করা। এতে ছিয়াম বিনষ্ট হবে না। কিন্তু ছিয়ামের ছওয়াব কমিয়ে দিবে।

(৪৩৬) ইফতারের জন্য কোন দু’আ কি প্রমাণিত আছে? রোযাদার কি মুআয্‌যিনের জবাব দিবে নাকি ইফতার চালিয়ে যাবে?

(৪৩৬) ইফতারের জন্য কোন দু’আ কি প্রমাণিত আছে? রোযাদার কি মুআয্‌যিনের জবাব দিবে নাকি ইফতার চালিয়ে যাবে?


দু’আ কবূল হওয়ার অন্যতম সময় হচ্ছে ইফতারের সময়। কেননা সময়টি হচ্ছে ইবাদতের শেষ মূহুর্ত। তাছাড়া মানুষ সাধারণতঃ ইফতারের সময় অধিক দুর্বল হয়ে পড়ে। আর মানুষ যত দুর্বল হয় তার অন্তর তত নরম ও বিনয়ী হয়। তখন দু’আ করলে মনোযোগ আসে বেশী এবং আল্লাহ্‌র দিকে অন্তর ধাবিত হয়। ইফতারের সময় দু’আ হচ্ছেঃ

(৪৩৭) ছিয়াম কাযা থাকলে শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখার বিধান কি?

(৪৩৭) ছিয়াম কাযা থাকলে শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখার বিধান কি?


নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ بِسِتٍّ مِنْ شَوَّالٍ فَكَأَنَّمَا صَامَ الدَّهْرَ
“যে ব্যক্তি রামাযানের রোযা রাখার পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা রাখবে, সে সারা বছর রোযা রাখার প্রতিদান লাভ করবে।” কোন মানুষের যদি রোযা কাযা থাকে আর সে শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখে, সে কি রামাযানের পূর্বে রোযা রাখল না রামাযানের পর।
উদাহরণঃ

(৪৩৮) জনৈক অসুস্থ ব্যক্তি রামাযানে রোযা কাযা করেছে। কিন্তু পরবর্তী মাস শুরু হওয়ার চারদিনের মাথায় তার মৃত্যু হয়। তার পক্ষ থেকে কি কাযা রোযাগুলো আদায় করতে হবে?

(৪৩৮) জনৈক অসুস্থ ব্যক্তি রামাযানে রোযা কাযা করেছে। কিন্তু পরবর্তী মাস শুরু হওয়ার চারদিনের মাথায় তার মৃত্যু হয়। তার পক্ষ থেকে কি কাযা রোযাগুলো আদায় করতে হবে?


তার এই অসুখ যদি চলতেই থাকে সুস্থ না হয় এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যু বরণ করে তবে তার পক্ষ থেকে কাযা আদায় করতে হবেনা। কেননা আল্লাহ্‌ বলেন,

(৪৩৯) রামাযানের রোযা বাকী থাকাবস্থায় পরবর্তী রামাযান এসে গেলে কি করবে?

(৪৩৯) রামাযানের রোযা বাকী থাকাবস্থায় পরবর্তী রামাযান এসে গেলে কি করবে?


একথা সবার জানা যে, আল্লাহ্‌ তা‘আলা বলেছেন,
]فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمْ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ[
“কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ অথবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে, সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করে নিবে।” (সূরা বাক্বারাঃ ১৮৫) অতএব এ লোকটি যখন শরীয়ত সম্মত দলীলের ভিত্তিতে রোযা ভঙ্গ করেছে, তখন আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নার্থে তা কাযা আদায় করা উচিৎ। পরবর্তী রামাযান আসার পূবেই উহা কাযা আদায় করা তার উপর ওয়াজিব। কেননা আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘আমার রামাযানের কিছু রোযা বাকী রয়ে যেত। কিন্তু

(৪৪০) শাওয়ালের ছয়টি রোযা পালন করার ক্ষেত্রে উত্তম পদ্ধতি কি?

(৪৪০) শাওয়ালের ছয়টি রোযা পালন করার ক্ষেত্রে উত্তম পদ্ধতি কি?


শাওয়ালের ছয়টি রোযা পালন করার ক্ষেত্রে উত্তম পদ্ধতি হচ্ছে, ঈদের পর পরই উহা আদায় করা এবং পরস্পর আদায় করা। বিদ্বানগণ এভাবেই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। কেননা এতে রামাযানের অনুসরণ বাস্তবায়ন হয়। হাদীছে বলা হয়েছে “যে ব্যক্তি রামাযানের পরে পরে শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখে..।” তাছাড়া এতে নেক কাজ সম্পাদনে তাড়াহুড়া করা হল, যে ব্যাপারে প্রতিযোগিতা করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া এতে বান্দার দৃঢ়তার প্রমাণ রয়েছে। দৃঢ়তা মানুষের পরিপূর্ণতার লক্ষণ। সচেতন বান্দা সুযোগ হাতছাড়া করে না। কেননা

(৪৪১) শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখার জন্য কি ইচ্ছামত দিন নির্ধারণ করা জায়েয? নাকি তার জন্য কোন সময় নির্দিষ্ট করা আছে? এ দিনগুলো রোযা রাখলে কি উহা ফরযের মত হয়ে যাবে এবং প্রতি বছর আবশ্যিকভাবে রোযা পালন করতে হবে?

(৪৪১) শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখার জন্য কি ইচ্ছামত দিন নির্ধারণ করা জায়েয? নাকি তার জন্য কোন সময় নির্দিষ্ট করা আছে? এ দিনগুলো রোযা রাখলে কি উহা ফরযের মত হয়ে যাবে এবং প্রতি বছর আবশ্যিকভাবে রোযা পালন করতে হবে?


নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে ছহীহ্‌ সূত্রে প্রমাণিত হয়েছে তিনি বলেনঃ

(৪৪২) আশুরা ছিয়ামের বিধান কি?

(৪৪২) আশুরা ছিয়ামের বিধান কি?


নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হিজরত করে মদ্বীনা আগমণ করে দেখেন ইহুদীরা মুহার্‌রামের দশ তারিখে রোযা পালন করছে। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
فَأَنَا أَحَقُّ بِمُوسَى مِنْكُمْ فَصَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ
“আমরা মূসার অনুসরণ করার ব্যাপারে তোমাদের চাইতে অধিক হকদার। তিনি নিজে সে দিনের রোযা রাখলেন এবং ছাহাবীদেরকেও নির্দেশ দিলেন।” বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত ইবনু আব্বাসের হাদীছে বলা হয়েছে,

(৪৪৩) শাবান মাসে রোযা রাখার বিধান কি?

(৪৪৩) শাবান মাসে রোযা রাখার বিধান কি?


শাবান মাসে রোযা রাখা এবং অধিক হারে রাখা সুন্নাত। আয়েশা (রাঃ) বলেন, مَا رَأَيْتُهُ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ “শাবান মাস ছাড়া অন্য কোন সময় আমি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে এত বেশী রোযা রাখতে দেখিনি।” এ হাদীছ অনুযায়ী শাবান মাসে অধিকহারে রোযা রাখা উচিৎ।
বিদ্বানগণ বলেন,

৪৪৪) যার অভ্যাস আছে একদিন রোযা রাখা ও একদিন ছাড়া। সে কি শুক্রবারেও রোযা রাখতে পারে?

৪৪৪) যার অভ্যাস আছে একদিন রোযা রাখা ও একদিন ছাড়া। সে কি শুক্রবারেও রোযা রাখতে পারে?


হ্যাঁ। কোন মানুষ যদি এক দিন পর পর রোযা রাখার অভ্যাস করে থাকে এবং তার রোযার দিন শুক্রবার হয় বা শনিবার বা রোববার হয়, তবে কোন অসুবিধা নেই। তবে সে দিন যেন এমন না হয় যখন রোযা রাখা হারাম। যেমন দু’ঈদের দিন, আইয়্যামে তাশরীকের দিন (কুরবানী ঈদের পরের তিন দিনকে

(৪৪৫) ছওমে বিছাল কাকে বলে? এটা কি শরীয়ত সম্মত?

(৪৪৫) ছওমে বিছাল কাকে বলে? এটা কি শরীয়ত সম্মত?


ছওমে বিসাল বা অবিচ্ছিন্ন ছিয়াম হচ্ছে, ইফতার না করে দু’দিন একাধারে রোযা রাখা। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরকম রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেন, কেউ যদি অবিচ্ছিন্ন করতে চায়, তবে শেষ রাতে সাহুরের সময় পর্যন্ত মিলিত করতে পারে।” সাহুর পর্যন্ত রোযাকে অবিচ্ছিন্ন করণ জায়েয, সুন্নাত নয়; কোন ফযীলতপূর্ণ কাজও নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্যাসে-র সাথে সাথে ইফতার করাকে কল্যাণের কাজ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেনঃ

(৪৪৬) বিশেষভাবে জুমআর দিবস রোযা নিষেধ। এর কারণ কি? কাযা ছিয়ামও কি এদিন রাখা নিষেধ?

(৪৪৬) বিশেষভাবে জুমআর দিবস রোযা নিষেধ। এর কারণ কি? কাযা ছিয়ামও কি এদিন রাখা নিষেধ?


নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে ছহীহ্‌ সূত্রে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, لا تَخُصُّوا يَوْمَ الْجُمُعَةِ بِصِيَامٍ ولا ليلتها بقيام “এককভাবে শুধুমাত্র শুক্রবারের দিনে রোযা রাখবে না এবং রাতে ক্বিয়াম করবে না।” রোযা রাখার জন্য এককভাবে এ দিনকে বেছে নেয়া নিষেধের হিকমত হচ্ছে, জুমআর দিন সপ্তাহিক ঈদের দিন। জুমআ ইসলামের তৃতীয় ঈদ হিসেবে গণ্য। প্রথম ঈদ হচ্ছে রামাযান শেষে ঈদুল ফিতর। দ্বিতীয়টি কুরবানীর ঈদ। আর তৃতীয়টি হচ্ছে, সাপ্তাহিক ঈদ জুমআর দিন। একারণেই আলাদাভাবে এদিনে রোযা রাখতে নিষেধ করা হয়েছে।
তাছাড়া এদিনে পুরুষদের জন্য উচিৎ হচ্ছে

(৪৪৭) কোন মানুষ যদি নফল ছিয়াম ইচ্ছাকৃত ভঙ্গ করে ফেলে, তবে কি গুনাহগার হবে? যদি সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করে, তবে কি কাফ্‌ফারা দিতে হবে?

(৪৪৭) কোন মানুষ যদি নফল ছিয়াম ইচ্ছাকৃত ভঙ্গ করে ফেলে, তবে কি গুনাহগার হবে? যদি সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করে, তবে কি কাফ্‌ফারা দিতে হবে?


কোন মানুষ নফল রোযা রেখে যদি পানাহার বা স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করে ফেলে, তবে কোন গুনাহ্‌ নেই। নফল রোযা শুরু করলেই তা পূর্ণ করা আবশ্যক নয়। তবে হজ্জ-ওমরার কাফ্‌ফারার রোযা পূর্ণ করতে হবে। কিন্তু নফল ছিয়াম শুরু করার পর পূর্ণ করাই উত্তম। তাই নফল ছিয়াম রেখে স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করলে কাফ্‌ফারা দিতে হবে না। কেননা তা পূর্ণ করা আবশ্যক নয়।
কিন্তু

(৪৪৮) এ‘তেকাফ এবং এ‘তেকাফকারীর বিধান কি?

(৪৪৮) এ‘তেকাফ এবং এ‘তেকাফকারীর বিধান কি?


এ‘তেকাফ হচ্ছে নিঃসঙ্গ অবস্থায় আল্লাহ্‌র আনুগত্য করার জন্য মসজিদে অবস্থান করা। লায়লাতুল কদর অনুসন্ধান করার জন্য এ‘তেকাফ করা সুন্নাত। আল্লাহ্‌ তা’আলা পবিত্র কুরআনে এদিকে ইঙ্গিত করে এরশাদ করেন,
 وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنْتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ
“মসজিদে এ‘তেকাফ করা অবস্থায় তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস করো না।” (সূরা বাক্বারাঃ ১৮৭) ছহীহ্‌ বুখারীতে প্রমাণিত আছে, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ‘তেকাফ করেছেন, তাঁর সাথে ছাহাবায়ে কেরামও এ‘তেকাফ করেছেন। এ‘তেকাফের এই বিধান শরীয়ত সম্মত। তা রহিত হয়ে যায়নি। ছহীহ্‌ বুখারী ও মুসলিমে আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, “নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রামাযানের শেষ দশকে এ‘তেকাফ করেছেন,

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ