Friday, December 1, 2017

প্রশ্ন (১/৮১) : আমি ইরাক প্রবাসী। আশূরা উপলক্ষে শী‘আরা বিশেষ খাবার রান্না করে এবং বলে যে, এই খাবার আল্লাহর জন্য, কিন্তু এর ছওয়াব হুসাইন (রাঃ)-এর জন্য। আমি যদি তা না খাই তবে অনেক সমস্যায় পতিত হ’তে হবে। এক্ষণে সেটা খাওয়া কি জায়েয হবে?

প্রশ্ন (১/৮১) : আমি ইরাক প্রবাসী। আশূরা উপলক্ষে শী‘আরা বিশেষ খাবার রান্না করে এবং বলে যে, এই খাবার আল্লাহর জন্য, কিন্তু এর ছওয়াব হুসাইন (রাঃ)-এর জন্য। আমি যদি তা না খাই তবে অনেক সমস্যায় পতিত হ’তে হবে। এক্ষণে সেটা খাওয়া কি জায়েয হবে?

-আযীয, বছরা, ইরাক।

উত্তর : আশূরা উপলক্ষে ফেরাঊনের কবল থেকে নাজাতে মূসার শুকরিয়ার নিয়তে দু’দিন নফল ছিয়াম রাখা ব্যতীত আর সকল কর্মই বিদ‘আত। অতএব

প্রশ্ন (২/৮২) : বাংলাদেশের বর্তমান আদালতগুলি বৃটিশ আইনে পরিচালিত হয়। এক্ষণে এখানে আইন পেশায় অংশগ্রহণ করা জায়েয হবে কি?

প্রশ্ন (২/৮২) : বাংলাদেশের বর্তমান আদালতগুলি বৃটিশ আইনে পরিচালিত হয়। এক্ষণে এখানে আইন পেশায় অংশগ্রহণ করা জায়েয হবে কি?

-মিছবাহুল ইসলাম, পাবনা।
উত্তর : সাধারণভাবে আইনী সহায়তা কোন নাজায়েয পেশা নয়। তবে সেখানে সর্বদা সত্যকে বিজয়ী করা, যুলুমের প্রতিরোধ করা এবং মানুষকে তার হক ফেরত দেয়ার কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। যাতে কোন নিরপরাধ ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত না হয় এবং অপরাধী ছাড়া না পায়। আল্লাহ বলেন,

প্রশ্ন (৩/৮৩) : শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) সূরা ক্বাছাছ ৮৮ আয়াতের তা’বীলের কারণে ইমাম বুখারীকে কাফের আখ্যায়িত করেছেন কি?

প্রশ্ন (৩/৮৩) : শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) সূরা ক্বাছাছ ৮৮ আয়াতের তা’বীলের কারণে ইমাম বুখারীকে কাফের আখ্যায়িত করেছেন কি?

-গোলাম কাদের, চট্টগ্রাম।
উত্তর : নাঊযুবিল্লাহ! ইমাম বুখারী (রহঃ)-কে কাফের আখ্যায়িত করার প্রশ্নই  আসে না।  আলবানীসহ সকল যুগের  বিদ্বানগণের নিকট ইমাম বুখারী (রহঃ) পরম শ্রদ্ধার পাত্র। মূলতঃ বিষয়টি যে প্রসঙ্গে উত্থাপিত হয়েছে তা হ’ল, আল্লাহর বাণী  ‘সব কিছুই ধ্বংস হবে তাঁর চেহারা ব্যতীত’ (ক্বাছাছ ৮৮) আয়াতের ব্যাখ্যায় ‘ইল্লা ওয়াজহাহু’ (তাঁর চেহারা ব্যতীত)-এর অর্থ ইমাম বুখারী (রহঃ) ‘তাঁর রাজত্ব’ করেছেন (বুখারী ৬/১১২, সূরা ক্বাছাছের আলোচনা)। যা বাহ্যদৃষ্টিতে তা’বীল মনে হয়। এর উত্তর হ’ল, প্রথমতঃ ছহীহ বুখারীর নাসাফী বর্ণিত নুসখা মোতাবেক তাফসীরটি ইমাম বুখারীর নয়, বরং মা‘মারের (ফাৎহুল বারী ৮/৫০৫)। দ্বিতীয়তঃ

প্রশ্ন (৫/৮৫) : কোন ইবাদতের ক্ষেত্রে বেশী ছওয়াব পাওয়ার জন্য কষ্টকর অবস্থাকে বেছে নেয়া কি ব্যক্তির জন্য শরীআ‘তসম্মত? যেমন- গরম পানি থাকা সত্ত্বেও ঠান্ডা পানি দিয়ে ওযূ করা কিংবা নিকটে মসজিদ থাকা সত্ত্বেও দূরের মসজিদে যাওয়া। কারণ আমি শুনেছি, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্টকর বিষয় খুঁজে বেড়ায় সে ছওয়াব পাবে না। সঠিক উত্তর জানতে চাই।

প্রশ্ন (৫/৮৫) : কোন ইবাদতের ক্ষেত্রে বেশী ছওয়াব পাওয়ার জন্য কষ্টকর অবস্থাকে বেছে নেয়া কি ব্যক্তির জন্য শরীআ‘তসম্মত? যেমন- গরম পানি থাকা সত্ত্বেও ঠান্ডা পানি দিয়ে ওযূ করা কিংবা নিকটে মসজিদ থাকা সত্ত্বেও দূরের মসজিদে যাওয়া। কারণ আমি শুনেছি, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্টকর বিষয় খুঁজে বেড়ায় সে ছওয়াব পাবে না। সঠিক উত্তর জানতে চাই।

-পারভেয আলম সরদার, বিনোদপুর, রাজশাহী।
উত্তর : ইবাদত করার জন্য অধিকতর কষ্টকর অবস্থাকে ছওয়াব হাছিলের লক্ষ্য বানানো শরী‘আতসম্মত নয়। এতে কোন ছওয়াব নেই। কেননা কৃচ্ছ্রতা সাধন ইসলামী ইবাদতের ঈপ্সিত লক্ষ্য নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন,

প্রশ্ন (৬/৮৬) : ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির উপর হজ্জ ফরয হয় না। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রেও কি এটি প্রযোজ্য হবে? যেমন কোন ব্যক্তির রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় ঋণ নেয়া আছে। যে ঋণ পরিশোধ করতে তার আজীবন লেগে যাবে। এই ব্যক্তির উপর কি হজ্জ ফরয?

প্রশ্ন (৬/৮৬) : ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির উপর হজ্জ ফরয হয় না। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রেও কি এটি প্রযোজ্য হবে? যেমন কোন ব্যক্তির রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় ঋণ নেয়া আছে। যে ঋণ পরিশোধ করতে তার আজীবন লেগে যাবে। এই ব্যক্তির উপর কি হজ্জ ফরয?

-মীর কাসেম আলী, বাঘা, রাজশাহী।
উত্তর: যদি কোন ঋণ তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করা আবশ্যিক হয়, তাহ’লে হজ্জের উপর ঋণ পরিশোধ প্রাধান্য পাবে। কেননা হজ্জ ফরয হওয়ার আগেই ঋণ হয়েছে। কিন্তু যদি তা দীর্ঘমেয়াদী ঋণ হয়, সেক্ষেত্রে ব্যক্তি যদি মনে করে যে,

প্রশ্ন (৭/৮৭) : জনৈক ব্যক্তি মসজিদের পার্শ্ববর্তী বাড়ী থেকে শয়তান তাড়ানোর জন্য আযান দিয়ে থাকে। এর কোন ভিত্তি আছে কি?

প্রশ্ন (৭/৮৭) : জনৈক ব্যক্তি মসজিদের পার্শ্ববর্তী বাড়ী থেকে শয়তান তাড়ানোর জন্য আযান দিয়ে থাকে। এর কোন ভিত্তি আছে কি?

-আনোয়ার হোসাইন, শাখারীপাড়া, নাটোর।

উত্তর : মুওয়াযযিন আযান ও ইক্বামত দিলে শয়তান বায়ু নিঃসরণ করতে করতে পালিয়ে যায়’ (বুখারী হা/৬০৮; মুসলিম হা/৩৮৯; মিশকাত হা/৬৫৫)। কিন্তু শয়তান তাড়ানোর জন্য পৃথকভাবে আযান দেওয়ার কোন বিধান নেই। তবে এজন্য ‘আঊযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্ব-নির রজীম’ পাঠ করা যায়

প্রশ্ন (৮/৮৮) : মায়ের গোসলের পানি দ্বারা বরকত হাছিল করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৮/৮৮) : মায়ের গোসলের পানি দ্বারা বরকত হাছিল করা যাবে কি?

-মুবারক হোসাইন, আটঘরিয়া, পাবনা।
উত্তর : এটি বিদ‘আতী কাজ। রাসূল (ছাঃ) ব্যতীত অন্য কারো পানি বা অন্য কিছু দ্বারা বরকত হাছিলের কামনা করা বিদ‘আত (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/৬৭; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৭/৬৫)। ইমাম শাত্বেবী বলেন,

প্রশ্ন (৯/৮৯) : ফেরাঊন যখন নীল নদে পানিতে ডুবে যাচ্ছিল তখন জিব্রীল (আঃ) তার মুখে মাটি প্রবেশ করিয়েছিলেন যাতে সে কালেমা পড়ে আল্লাহর রহমত লাভ করতে না পারে। উক্ত ঘটনাটি কি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত?

প্রশ্ন (৯/৮৯) : ফেরাঊন যখন নীল নদে পানিতে ডুবে যাচ্ছিল তখন জিব্রীল (আঃ) তার মুখে মাটি প্রবেশ করিয়েছিলেন যাতে সে কালেমা পড়ে আল্লাহর রহমত লাভ করতে না পারে। উক্ত ঘটনাটি কি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত?

-আব্দুল আহাদ, মধ্য নওদাপাড়া, রাজশাহী।
উত্তর : হাদীছটি বিভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে। ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা ফেরাঊনকে যখন পানিতে ডুবিয়ে দিলেন তখন সে বলল, ‘আমি ঈমান আনলাম তার প্রতি, যার উপর বনু ইসরাঈল ঈমান এনেছে। নিশ্চয়ই তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই’ (ইউনুস ১০/৯০)। জিব্রীল বললেন,

প্রশ্ন (১০/৯০) : নারীদের ফোঁটা ফোঁটা রক্ত বের হ’লে তা কি হায়েয হিসাবে গণ্য হবে এবং এ অবস্থায় ছিয়াম পালন করা যাবে কি?

প্রশ্ন (১০/৯০) : নারীদের ফোঁটা ফোঁটা রক্ত বের হ’লে তা কি হায়েয হিসাবে গণ্য হবে এবং এ অবস্থায় ছিয়াম পালন করা যাবে কি?

-হেলেনা আখতার, ভদ্রা, রাজশাহী।
উত্তর : এটি হায়েয হিসাবে গণ্য হবে না। বরং প্রদর রোগ। অতএব ছিয়াম পালনে কোন বাধা নেই। ‘হায়েয’ বলা হয় প্রবহমান রক্তকে, যা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবিরতভাবে নির্গত হয়। কিন্তু প্রশ্নে বর্ণিত বিষয়টি তা নয়। উছায়মীন বলেন,

প্রশ্ন (১১/৯১) : জুম‘আর ছালাতে খত্বীব ছাহেবের জন্য ছালাতের ইমামতি করা সুন্নাত কি?

প্রশ্ন (১১/৯১) : জুম‘আর ছালাতে খত্বীব ছাহেবের জন্য ছালাতের ইমামতি করা সুন্নাত কি?

-আব্দুল আলীম, দেবিদ্বার, কুমিল্লা।
উত্তর : হ্যাঁ সুন্নাত। কারণ রাসূল (ছাঃ) নিজে খুৎবা দিতেন এবং তিনিই ইমামতি করতেন। ইবনু কুদামা বলেন, সুন্নাত হ’ল যিনি খুৎবা দিবেন তিনিই ইমামতি করবেন। কেননা নবী করীম (ছাঃ) উভয়টি নিজেই করতেন। অনুরূপভাবে

প্রশ্ন (১২/৯২) : আত-তাহরীক একাধিকবার ফৎওয়া প্রদান করেছে যে, ইসলামী ব্যাংকের সাথে লেনদেন সূদের পর্যায়ভুক্ত। অথচ এর বিকল্প কোন সমাধান দেওয়া হয় না। তাহ’লে কি ইসলাম অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অপূর্ণাঙ্গ? না-কি ফৎওয়া বোর্ডের ব্যর্থতা?

প্রশ্ন (১২/৯২) : আত-তাহরীক একাধিকবার ফৎওয়া প্রদান করেছে যে, ইসলামী ব্যাংকের সাথে লেনদেন সূদের পর্যায়ভুক্ত। অথচ এর বিকল্প কোন সমাধান দেওয়া হয় না। তাহ’লে কি ইসলাম অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অপূর্ণাঙ্গ? না-কি ফৎওয়া বোর্ডের ব্যর্থতা?

-মকবূল হোসাইন, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
উত্তর : ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। রাজনীতি, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রেই এটি পূর্ণাঙ্গ (বাক্বারাহ ২০৮; মায়েদাহ ৩)। কিন্তু মুসলিম রাষ্ট্রনেতাদের হাতেই এর রাজনীতি ও অর্থনীতি উপেক্ষিত। অথচ দু’টি পরস্পরে সম্পর্কিত।
ইসলামী অর্থনীতি এবং প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা ভিন্ন বিষয়। কেবল মাসিক আত-তাহরীক-এর ফৎওয়া বোর্ড নয় বরং ইসলামী ব্যাংকের জনক বলে পরিচিত শেখ ছালেহ কামেল সহ সংশ্লিষ্টগণই এ ব্যাপারে স্বীকৃতি দিয়েছেন যে,

প্রশ্ন (১৩/৯৩) : হজের সময় আরাফাহ ময়দানে মু‘আল্লিমগণ তাদের হাজীদের নিয়ে দলবদ্ধ মুনাজাত করেন। এটি শরী‘আত সম্মত হবে কি?

প্রশ্ন (১৩/৯৩) : হজের সময় আরাফাহ ময়দানে মু‘আল্লিমগণ তাদের হাজীদের নিয়ে দলবদ্ধ মুনাজাত করেন। এটি শরী‘আত সম্মত হবে কি?

-আসাদুল ইসলাম, মুর্শিদাবাদ, ভারত।
উত্তর : এটি শরী‘আত সম্মত নয়। কেননা হজ্জের সময় আরাফাহ ময়দানে রাসূল (ছাঃ) বা সালাফে ছালেহীন দলবদ্ধভাবে মুনাজাত করেছিলেন মর্মে কোন দলীল নেই। বরং আরাফাহ ময়দানে প্রত্যেকে একাকী আল্লাহর দরবারে বিনয়ের সাথে ক্ষমাপ্রাপ্তির আশায় প্রার্থনা করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন,

প্রশ্ন (১৪/৯৪) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, এই দুনিয়ায় ওলীগণ আমাদের সাহায্যকারী। তারা আমাদের বিপদে সাহায্য করে থাকেন যেমন আব্দুল ক্বাদের জীলানী (রহঃ)। তারা দলীল হিসাবে সূরা মায়েদাহ ৫৫ আয়াতটি পেশ করে থাকে। এই বক্তব্যের কোন সত্যতা আছে কি?

প্রশ্ন (১৪/৯৪) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, এই দুনিয়ায় ওলীগণ আমাদের সাহায্যকারী। তারা আমাদের বিপদে সাহায্য করে থাকেন যেমন আব্দুল ক্বাদের জীলানী (রহঃ)। তারা দলীল হিসাবে সূরা মায়েদাহ ৫৫ আয়াতটি পেশ করে থাকে। এই বক্তব্যের কোন সত্যতা আছে কি?

-নূর জাহান বেগম, কালিয়াকৈর, গাযীপুর।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। সূরা মায়েদাহ ৫৫ আয়াতের অনুবাদ হ’ল- ‘তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মুমিনগণ। যারা ছালাত কায়েম করে, যাকাত আদায় করে এবং তারা হয় বিনয়ী’। অত্র আয়াতে ওলী বলে আল্লাহ,

প্রশ্ন (১৫/৯৫) : আমি নানীর দুধ পান করে বড় হয়েছি। বড় হয়ে বড় মামার মেয়েকে বিয়ে করেছি এবং একটি ছেলে সন্তান হয়েছে। এক্ষণে আমাদের বিবাহ কি শুদ্ধ ছিল? শুদ্ধ না হ’লে আমাদের সন্তানের কি হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (১৫/৯৫) : আমি নানীর দুধ পান করে বড় হয়েছি। বড় হয়ে বড় মামার মেয়েকে বিয়ে করেছি এবং একটি ছেলে সন্তান হয়েছে। এক্ষণে আমাদের বিবাহ কি শুদ্ধ ছিল? শুদ্ধ না হ’লে আমাদের সন্তানের কি হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন।

- মাহবূব আলম, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।
উত্তর : উক্ত বিবাহ শরী‘আতসম্মত হয়নি। কারণ আপনার মামা আপনার দুধভাই। যেমন হামযা (রাঃ) চাচা হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন রাসূল (ছাঃ)-এর দুধভাই। আর দুধ ভাইয়ের মেয়েকে বিবাহ করা হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন,

প্রশ্ন (১৬/৯৬) : জনৈক আলেম বলেন, সাত প্রকারের ঘুম আছে। যেমন ১. নাওমুল গাফেলীন, ওয়ায মাহফিলে ঘুমানো। ২. নাওমুল আশক্বিয়া, ছালাতের সময় ঘুমানো। ৩. নাওমুল মালঊনীন, ফজরের ছালাতের সময় ঘুমানো। ৪. নাওমুল মু‘আয্যিবীন, ফজরের আযান থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত ঘুমানো। ৫. নাওমুর রাহাহ অর্থ প্রশান্তির ঘুম। এসময়ের স্বপ্ন সত্য হয়। ৬. নাওমুল মারখূছ, মাগরিব ও এশার ছালাতদ্বয়ের পরে ঘুমানো। এসময় ঘুমানোয় কোন দোষ নেই। ৭. নাওমুল হাসরাহ অর্থ ক্ষতির ঘুম। এটি হ’ল জুম‘আর রাতের ঘুম। এমন ভাগাভাগির কোন শারঈ ভিত্তি আছে কি?

প্রশ্ন (১৬/৯৬) : জনৈক আলেম বলেন, সাত প্রকারের ঘুম আছে। যেমন ১. নাওমুল গাফেলীন, ওয়ায মাহফিলে ঘুমানো। ২. নাওমুল আশক্বিয়া, ছালাতের সময় ঘুমানো। ৩. নাওমুল মালঊনীন, ফজরের ছালাতের সময় ঘুমানো। ৪. নাওমুল মু‘আয্যিবীন, ফজরের আযান থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত ঘুমানো। ৫. নাওমুর রাহাহ অর্থ প্রশান্তির ঘুম। এসময়ের স্বপ্ন সত্য হয়। ৬. নাওমুল মারখূছ, মাগরিব ও এশার ছালাতদ্বয়ের পরে ঘুমানো। এসময় ঘুমানোয় কোন দোষ নেই। ৭. নাওমুল হাসরাহ অর্থ ক্ষতির ঘুম। এটি হ’ল জুম‘আর রাতের ঘুম। এমন ভাগাভাগির কোন শারঈ ভিত্তি আছে কি?

-আনছারুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও।
উত্তর : এভাবে শ্রেণী বিন্যাসের কোন শারঈ ভিত্তি নেই। তাছাড়া এতে কিছু বাড়াবাড়ি রয়েছে। কারণ ঘুমের মৌলিক বিষয় হ’ল সেটি জায়েয এবং যেকোন সময় যেকোন কারণে তা হ’তে পারে। আল্লাহ বলেন, ‘তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে অন্যতম হ’ল রাত্রি ও দিবাভাগে তোমাদের নিদ্রা ও তার মধ্যে আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান। নিশ্চয়ই

প্রশ্ন (১৭/৯৭) : আমার মা পাঁচ বছর পূর্বে মারা গেছেন। আমি তার মুছল্লায় (জায়নামাযে) ছালাত আদায় করি এবং নিয়ত করি যে, এতে আমার যে ছাওয়াব হবে তার সমপরিমাণ আমার মায়ের জন্যও যেন হয়। এরূপ নিয়ত করা কি শরী‘আত সম্মত?

প্রশ্ন (১৭/৯৭) : আমার মা পাঁচ বছর পূর্বে মারা গেছেন। আমি তার মুছল্লায় (জায়নামাযে) ছালাত আদায় করি এবং নিয়ত করি যে, এতে আমার যে ছাওয়াব হবে তার সমপরিমাণ আমার মায়ের জন্যও যেন হয়। এরূপ নিয়ত করা কি শরী‘আত সম্মত?

-মায়মূনা ফারযানা, ঘোড়ামারা, রাজশাহী।
উত্তর : এরূপ নিয়ত শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ দৈহিক ইবাদত অন্যের উপকারে আসে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘মানুষের জন্য ততটুকুই প্রাপ্য, যতটুকুর জন্য সে চেষ্টা করে’ (নাজম ৫/৩৯)। তবে নির্দিষ্ট কিছু নেকীর কাজ রয়েছে যা একজন পালন করে অন্যজনকে পৌঁছাতে পারে।

প্রশ্ন (১৮/৯৮) : হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, অচিরেই ফোরাত নদী তার মধ্যস্থিত স্বর্ণভান্ডার উন্মুক্ত করে দিবে। কিন্তু তা গ্রহণ করা যাবে না। হাদীছটির ব্যাখ্যা কি

প্রশ্ন (১৮/৯৮) : হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, অচিরেই ফোরাত নদী তার মধ্যস্থিত স্বর্ণভান্ডার উন্মুক্ত করে দিবে। কিন্তু তা গ্রহণ করা যাবে না। হাদীছটির ব্যাখ্যা কি?

-আব্দুল ওয়াজেদ, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল।
উত্তর : এটি ক্বিয়ামতের আলামতসমূহের অন্যতম, যা এখনও প্রকাশিত হয়নি। আব্দুল্লাহ ইবনুল হারিছ ইবনু নাওফাল (রহঃ) বলেন, আমি উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)-এর সাথে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় তিনি বললেন, মানুষ বিভিন্নভাবে দুনিয়াবী সম্পদ উপার্জনে ব্যস্ত থাকবে। আমি বললাম, হ্যাঁ, ঠিকই। তখন তিনি বললেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি,

প্রশ্ন (১৯/৯৯) : রাসূল (ছাঃ)-এর বাণী ‘তুমি (কুরবানীর দিনে) তোমার চুল ও নখ কাটবে, তোমার গোঁফ খাট করবে এবং নাভীর নীচের লোম ছাফ করবে। এটাই তোমার জন্য আল্লাহর নিকট পূর্ণ কুরবানী হিসাবে গৃহীত হবে’। অত্র হাদীছটির ব্যাপারে শু‘আইব আরনাউত্ব সনদ হাসান এবং আলবানী সনদ যঈফ বলেছেন। উপরোক্ত মতামতগুলির মধ্যে কোনটি অগ্রাধিকারযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবে?

প্রশ্ন (১৯/৯৯) : রাসূল (ছাঃ)-এর বাণী ‘তুমি (কুরবানীর দিনে) তোমার চুল ও নখ কাটবে, তোমার গোঁফ খাট করবে এবং নাভীর নীচের লোম ছাফ করবে। এটাই তোমার জন্য আল্লাহর নিকট পূর্ণ কুরবানী হিসাবে গৃহীত হবে’। অত্র হাদীছটির ব্যাপারে শু‘আইব আরনাউত্ব সনদ হাসান এবং আলবানী সনদ যঈফ বলেছেন। উপরোক্ত মতামতগুলির মধ্যে কোনটি অগ্রাধিকারযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবে?

-রফীকুল ইসলাম, পাঁচরুখী, নারায়ণগঞ্জ।
উত্তর :  হাদীছটি মুসনাদে আহমাদ (হা/৬৫৭৫), আবুদাঊদ (হা/২৭৮৯), নাসাঈ (হা/৪৪৩৯), ছহীহ ইবনে হিববান (হা/৫৯১৪), ত্বাবারাণী মু‘জামুল কাবীর (হা/১৫৭, ১৫৮), সুনান দারাকুৎনী (হা/৪৭৪৯), হাকেম মুস্তাদরাক (হা/৭৫২৯), বায়হাক্বী সুনানুল কুবরা (হা/১৯০২৮-২৯) প্রভৃতি গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। শায়খ আলবানী দু’টি কারণে হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন। (১) তিনি ঈসা বিন হেলাল আছ-ছাদাফীকে অজ্ঞাত ও অপ্রসিদ্ধ বলেছেন এবং

প্রশ্ন (২০/১০০) : সূরা বাক্বারাহ ৩০ আয়াতে মানুষকে আল্লাহর খলীফা বলা হয়েছে। এর ব্যাখ্যা কি?

প্রশ্ন (২০/১০০) : সূরা বাক্বারাহ ৩০ আয়াতে মানুষকে আল্লাহর খলীফা বলা হয়েছে। এর ব্যাখ্যা কি?

-তানভীর আহমাদ, আড়াইহাযার, নারায়ণগঞ্জ।
উত্তর : ‘খলীফা’ অর্থ প্রতিনিধি বা স্থলাভিষিক্ত। মানুষকে যেহেতু জিন জাতির পর পৃথিবীকে আবাদ করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, সেহেতু তাদেরকে খলীফা বা জিন জাতির স্থলাভিষিক্ত বলা হয়েছে (তাফসীর ত্বাবারী হা/৬০১, ১/৪৫০)। ইবনু কাছীর বলেন, এর দ্বারা এমন জাতিকে বুঝানো হয়েছে যারা শতাব্দীর পর শতাব্দী এবং বংশ পরম্পরায় আগমন করতে থাকবে (ইবনু কাছীর, তাফসীর বাক্বারাহ ৩০ আয়াত)। এই আয়াতের ভিত্তিতে মুসলিম সমাজে নেতা বা খলীফা নির্বাচন আবশ্যিক বলে ইমাম কুরতুবী মন্তব্য করেছেন,

প্রশ্ন (২১/১০১) : আমি গ্রীসে পুলিশের হেফাযতে শরণার্থী ক্যাম্পে আছি। এখানে মুরগীর গোশত, কাবাব ও অন্যান্য খাবার দেয়, যা খৃষ্টানদের যবেহকৃত। এগুলি খাওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (২১/১০১) : আমি গ্রীসে পুলিশের হেফাযতে শরণার্থী ক্যাম্পে আছি। এখানে মুরগীর গোশত, কাবাব ও অন্যান্য খাবার দেয়, যা খৃষ্টানদের যবেহকৃত। এগুলি খাওয়া যাবে কি?

-শফীউল ইসলাম, গ্রীস।
উত্তর : আহলে কিতাব তথা ইহূদী এবং খৃষ্টানদের যবেহ করা হালাল পশু খাওয়া জায়েয, যদি তারা যবহের সময় আল্লাহর নাম নেয়। আল্লাহ বলেন, ‘আর আহলে কিতাবদের যবেহকৃত পশু তোমাদের জন্য হালাল এবং তোমাদের যবেহকৃত পশু তাদের জন্য হালাল’ (মায়েদাহ ৫/৫)। যবেহের সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলেছে কি-না সে ব্যাপারে যদি সন্দেহ থাকে, সেক্ষেত্রে

প্রশ্ন (২২/১০২) : আমি প্রিন্টিং-এর ব্যবসা করি। ব্যবসায়িক স্বার্থে আমাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিরক-বিদ‘আত, হারাম-হালাল ইত্যাদি কার্যাবলীর পোস্টার, দাওয়াতকার্ড ইত্যাদি ছাপাতে হয়। এগুলি করা বাদ দিলে ক্ষতির সম্মুখীন হ’তে হয়। আবার অর্ডার নিলে হারাম কাজের সাথে হালাল কাজও পাওয়া যায়। এক্ষণে হারাম কার্যাবলী করে দিয়ে সেগুলির লভ্যাংশ নেকীর আশা ব্যতীত দান করে দিলে উক্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (২২/১০২) : আমি প্রিন্টিং-এর ব্যবসা করি। ব্যবসায়িক স্বার্থে আমাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিরক-বিদ‘আত, হারাম-হালাল ইত্যাদি কার্যাবলীর পোস্টার, দাওয়াতকার্ড ইত্যাদি ছাপাতে হয়। এগুলি করা বাদ দিলে ক্ষতির সম্মুখীন হ’তে হয়। আবার অর্ডার নিলে হারাম কাজের সাথে হালাল কাজও পাওয়া যায়। এক্ষণে হারাম কার্যাবলী করে দিয়ে সেগুলির লভ্যাংশ নেকীর আশা ব্যতীত দান করে দিলে উক্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে কি?

-যাকারিয়া হোসাইন, কামারখন্দ, সিরাজগঞ্জ।
উত্তর : পাপমুক্তির জন্য এরূপ চেষ্টা ও পরিকল্পনা প্রশংসনীয়। তবে এতে সত্যিকার পাপমুক্তি ঘটবে না। কেননা এক্ষেত্রে শিরক-বিদ‘আত ও হারামযুক্ত কার্যাবলী বন্ধ করে কেবল বৈধ ও শিরক-বিদ‘আত মুক্ত কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং যদি ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হ’তে হয়, তবুও তা-ই করতে হবে। কারো অন্যায়ের সহযোগী হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে এ ব্যবসা ত্যাগ করে অন্য হালাল ব্যবসা করতে হবে। আল্লাহর প্রতি ভরসা করে কাজ করলে তিনি রিযিকের হাযারও দুয়ার খুলে দিবেন। আল্লাহ বলেন,

প্রশ্ন (২৩/১০৩) : পিতা-মাতার সেবা, সাংসারিক দায়িত্ব পালন ও সন্তান প্রতিপালনে অবহেলা করে দাওয়াতী কাজে বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে সময় কাটানো জায়েয হবে কি?

প্রশ্ন (২৩/১০৩) : পিতা-মাতার সেবা, সাংসারিক দায়িত্ব পালন ও সন্তান প্রতিপালনে অবহেলা করে দাওয়াতী কাজে বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে সময় কাটানো জায়েয হবে কি?

-ইদ্রীস আলী, দৌলতপুর বাজার, কুষ্টিয়া।
উত্তর : ভারসাম্য বজায় রেখে উভয়টিই করতে হবে। নিঃসন্দেহে পরিবারের হক আদায় করা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ইবাদতের পরেই পিতা-মাতার সেবা করার আদেশ দিয়েছেন (ইসরা ১৭/২৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন,

প্রশ্ন (২৪/১০৪) : কবরে তিনটি প্রশ্ন করা হবে যার শেষটি নবী সম্পর্কে। এক্ষণে নবীকে শেষ প্রশ্নটি কিভাবে করা হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (২৪/১০৪) : কবরে তিনটি প্রশ্ন করা হবে যার শেষটি নবী সম্পর্কে। এক্ষণে নবীকে শেষ প্রশ্নটি কিভাবে করা হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন।

-নাঈমা খাতুন, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
উত্তর : এ ব্যাপারে কুরআনে বা হাদীছে কোন বর্ণনা নেই। তবে একদল বিদ্বান মনে করেন, যেমনভাবে শহীদগণ কবরে প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন না’

প্রশ্ন (২৫/১০৫) : হাদীছে বর্ণিত আছে যে, আলী (রাঃ) ছালাতের রুকূ অবস্থায় তার হাতের আংটিটি ছাদাক্বা করলে সূরা মায়েদার একটি আয়াত নাযিল হয়। বর্ণনাটির সত্যতা জানতে চাই।

প্রশ্ন (২৫/১০৫) : হাদীছে বর্ণিত আছে যে, আলী (রাঃ) ছালাতের রুকূ অবস্থায় তার হাতের আংটিটি ছাদাক্বা করলে সূরা মায়েদার একটি আয়াত নাযিল হয়। বর্ণনাটির সত্যতা জানতে চাই।

-মুকতাদির হোসেন, বাঘা, রাজশাহী।
উত্তর : উক্ত মর্মের বর্ণনাটি জাল। যা শী‘আ রাফেযীরা আলী (রাঃ)-এর প্রতি অতিভক্তির আতিশয্যে তৈরী করেছে (সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৯২১)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, কতিপয় মহামিথ্যুক বর্ণনা করেছে যে, আলী (রাঃ) ছালাতরত অবস্থায় হাতের আংটি দান করলে সূরা মায়েদাহ ৫৫ আয়াতটি নাযিল হয় (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৩৫৯)। এক্ষণে উক্ত আয়াতের অর্থ দাঁড়াবে

প্রশ্ন (২৬/১০৬) : ঈদগাহে আদায়কৃত অর্থ ব্যয়ের খাত কি কি?

প্রশ্ন (২৬/১০৬) : ঈদগাহে আদায়কৃত অর্থ ব্যয়ের খাত কি কি?

-হাজী আব্দুর রহমান, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
উত্তর : ঈদগাহে আদায়কৃত অর্থ মূলতঃ ঈদগাহের উন্নয়নে ব্যয় করবে। উদ্বৃত্ত অর্থ সমাজ কল্যাণমূলক যে কোন খাতে ব্যয় করা যাবে (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৬/৩১; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘

প্রশ্ন (২৭/১০৭) : জোববা ও পায়জামা পরিহিত অবস্থায় তা টাখনুর নীচে নেমে গেলে গোনাহগার হ’তে হবে কি?

প্রশ্ন (২৭/১০৭) : জোববা ও পায়জামা পরিহিত অবস্থায় তা টাখনুর নীচে নেমে গেলে গোনাহগার হ’তে হবে কি?

-যয়নাল আবেদীন, চারঘাট, রাজশাহী।
উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরলে গোনাহগার হ’তে হবে। হাদীছে পোশাক ঝুলিয়ে টাখনু বা গোড়ালীর নীচে পরতে নিষেধ করা হয়েছে। তা জুববা, পায়জামা বা লুঙ্গী হ’লেও বিধান একই থাকবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন,

প্রশ্ন (২৮/১০৮) : জানা সত্ত্বেও মাযহাবী কারণে ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক ছালাত আদায় না করলে তা কবুলযোগ্য হবে কি?

প্রশ্ন (২৮/১০৮) : জানা সত্ত্বেও মাযহাবী কারণে ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক ছালাত আদায় না করলে তা কবুলযোগ্য হবে কি?

-সাদমান, কলাবাগান, ঢাকা।
উত্তর : এভাবে ছালাত কবূলযোগ্য হবে না। কারণ আল্লাহ অজান্তে কৃত অপরাধ ক্ষমা করতে পারেন। কিন্তু স্পষ্ট ছহীহ হাদীছ জানা সত্ত্বেও কেবল মাযহাবী গোঁড়ামীর কারণে তা ছেড়ে দিলে অবশ্যই সে ব্যক্তি গোনাহগার হবে। কেননা ইবাদত কবূলের শর্ত ২টি।

প্রশ্ন (২৯/১০৯) : রাসূল (ছাঃ) থেকে প্রমাণিত না হ’লেও সম্মানিত ইমামগণ থেকে বর্ণিত অনেক দো‘আ পাওয়া যায়। যেমন আল্লাহু আকবার কাবীরা.... আছীলা। এক্ষণে এসব দো‘আ পাঠ উত্তম বা সুন্নাত বলা যাবে কি?

প্রশ্ন (২৯/১০৯) : রাসূল (ছাঃ) থেকে প্রমাণিত না হ’লেও সম্মানিত ইমামগণ থেকে বর্ণিত অনেক দো‘আ পাওয়া যায়। যেমন আল্লাহু আকবার কাবীরা.... আছীলা। এক্ষণে এসব দো‘আ পাঠ উত্তম বা সুন্নাত বলা যাবে কি?

-আব্দুর রহমান, পীরগঞ্জ, নাটোর।
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত দো‘আটি জনৈক ছাহাবী পাঠ করলে রাসূল (ছাঃ) তার ফযীলত বর্ণনা করে বলেন, আমি বিস্মিত হ’লাম যে, তার জন্য আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হ’ল (মুসলিম হা/৬০১; মিশকাত হা/৮১৭)। এটি প্রমাণ করে যে, দো‘আটি রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক অনুমোদিত। তবে দো‘আটি ইমাম শাফেঈ ঈদায়েনের তাকবীর হিসাবে পড়তেন, যা রাসূল (ছাঃ) থেকে সরাসরি প্রমাণিত নয়। এতদসত্ত্বেও যেহেতু রাসূল (ছাঃ)

প্রশ্ন (৩০/১১০) : চুরি, মদ্যপান, জুয়া খেলা ও মিথ্যা কথা বলায় অভ্যস্ত জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে এসে তওবা করতে চাইলে তিনি তাকে কেবল মিথ্যা বলা থেকে নিষেধ করেন। লোকটি তা মেনে নিয়ে বাকী তিনটি কাজ করতে চায়। কিন্তু সত্য কথা বলতে গিয়ে পর্যায়ক্রমে সে বাকী কাজগুলি থেকে তওবা করতে বাধ্য হয়। এ কাহিনীটির কোন সত্যতা আছে কি?

প্রশ্ন (৩০/১১০) : চুরি, মদ্যপান, জুয়া খেলা ও মিথ্যা কথা বলায় অভ্যস্ত জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে এসে তওবা করতে চাইলে তিনি তাকে কেবল মিথ্যা বলা থেকে নিষেধ করেন। লোকটি তা মেনে নিয়ে বাকী তিনটি কাজ করতে চায়। কিন্তু সত্য কথা বলতে গিয়ে পর্যায়ক্রমে সে বাকী কাজগুলি থেকে তওবা করতে বাধ্য হয়। এ কাহিনীটির কোন সত্যতা আছে কি?

-মামূন, মালিটোলা, ঢাকা।
উত্তর : কাহিনীটি ভিত্তিহীন। তবে এটি বিভিন্ন গল্প ও সাহিত্যের বইপুস্তকে পাওয়া যায় (জাহিয, আল-মাহাসিন ওয়াল আযদাদ ১/৬০; যামাখশারী, রবী‘ঊল আবরার ৪/৩৪০; মুবাররাদ, আল-কামিল ফিল আদাব ২/১৫৬)। তাই রাসূল (ছাঃ)-এর নামে উক্ত কাহিনী বর্ণনা করার কোন সুযোগ নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন,

প্রশ্ন (৩১/১১১) : শিরক-বিদ‘আত সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও যেসব সমাজ প্রধানগণ উক্ত কাজে বাধা না দিয়ে বরং প্ররোচিত করে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি কি হবে?

প্রশ্ন (৩১/১১১) : শিরক-বিদ‘আত সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও যেসব সমাজ প্রধানগণ উক্ত কাজে বাধা না দিয়ে বরং প্ররোচিত করে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি কি হবে?

-নাজমুল হোসাইন, চারঘাট, রাজশাহী।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, অবশ্যই তোমরা সৎকাজের আদেশ দিবে ও অসৎকাজে নিষেধ করবে। নইলে সত্বর আল্লাহ তার পক্ষ হ’তে তোমাদের উপর শাস্তি প্রেরণ করবেন। অতঃপর তোমরা দো‘আ করবে, কিন্তু তা আর কবুল করা হবে না’ (তিরমিযী হা/২১৬৯; মিশকাত হা/৫১৪০)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘কোন জাতির মধ্যে পাপ হ’তে থাকলে এবং

প্রশ্ন (৩২/১১২) : যাকাত ফরয হয়, এরূপ সম্পদ থাকলে কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায় কি?

প্রশ্ন (৩২/১১২) : যাকাত ফরয হয়, এরূপ সম্পদ থাকলে কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায় কি?

-সুজন মোল্লা*, আমীনপুর, পাবনা।
*[আরবীতে সুন্দর নাম রাখুন (স.স.)]
উত্তর : কুরবানী সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। এটি যাকাত ফরয হওয়ার সাথে সম্পর্কিত নয়। তবে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী না করলে রাসূল (ছাঃ) তাদেরকে ঈদগাহে যেতে নিষেধ করেছেন (ইবনু মাজাহ হা/৩১২৩; হাকেম হা/৩৪৬৮; ছহীহ আত-তারগীব হা/১০৮৭)। এটা ওয়াজিব নয় যে, যেকোন মূল্যে করতেই হবে। লোকেরা যাতে এটাকে ওয়াজিব মনে না করে,

প্রশ্ন (৩৩/১১৩) : আমার কবরপূজারী জনৈক আত্মীয় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এক পীরের মুরীদ হিসাবে কবরপূজায় লিপ্ত ছিলেন। এক্ষণে তার জানাযা পড়া বা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা জায়েয হবে কি?

প্রশ্ন (৩৩/১১৩) : আমার কবরপূজারী জনৈক আত্মীয় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এক পীরের মুরীদ হিসাবে কবরপূজায় লিপ্ত ছিলেন। এক্ষণে তার জানাযা পড়া বা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা জায়েয হবে কি?

-জালালুদ্দীন, ধুনট, বগুড়া।
উত্তর : এরূপ ব্যক্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা জায়েয নয়। আল্লাহ বলেন, ‘নবী ও মুমিনের উচিত নয়, মুশরিকদের মাগফিরাত কামনা করা, যদিও তারা আত্মীয় হয়। এ কথা স্পষ্ট হওয়ার পর যে, তারা জাহান্নামী’ (তওবা ৯/১১৩)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন,

প্রশ্ন (৩৪/১১৪) : স্যান্ডো গেঞ্জীর সাথে পাতলা জামা পরিধান করলে কাঁধ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে। এতে ছালাতের কোন ক্ষতি হবে কি?

প্রশ্ন (৩৪/১১৪) : স্যান্ডো গেঞ্জীর সাথে পাতলা জামা পরিধান করলে কাঁধ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে। এতে ছালাতের কোন ক্ষতি হবে কি?

-আব্দুল ওয়াদূদ, বাগমারা, রাজশাহী।
উত্তর : ছালাতের ক্ষতি হবে না ইনশাআল্লাহ। তবে এ থেকে বেঁচে থাকা উত্তম। কেননা এর দ্বারা সত্যিকার অর্থে কাঁধ ঢাকা হয় না। আর উভয় কাঁধ পূর্ণরূপে ঢেকে রাখাই সুন্নাত (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৭৫৪)। অতএব সতর ঢাকার স্বার্থে পাতলা কাপড় নারী-পুরুষ সবারই পরিহার করা কর্তব্য। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও তাক্বওয়াপূর্ণ সুন্দর পোষাক পরে আল্লাহর সামনে দন্ডায়মান হওয়া যরূরী। আল্লাহ বলেন,

প্রশ্ন (৩৫/১১৫) : কাফেরদের সাদৃশ্যের প্রকৃত ব্যাখ্যা ও হুকুম সম্পর্কে জানতে চাই। কাফেরদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ পোষাক পরা নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হবে কি?

প্রশ্ন (৩৫/১১৫) : কাফেরদের সাদৃশ্যের প্রকৃত ব্যাখ্যা ও হুকুম সম্পর্কে জানতে চাই। কাফেরদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ পোষাক পরা নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হবে কি?

-সুরাইয়া, সাভার, ঢাকা।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে’ (আবুদাঊদ হা/৪০৩১; মিশকাত হা/৪৩৪৭)। এর ব্যাখ্যায় ত্বীবী বলেন, এর দ্বারা চেহারায়, চরিত্রে ও পোষাকে সাদৃশ্য বুঝানো হয়েছে। তবে পোষাকে সাদৃশ্যই প্রধান’। মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী বলেন, পোশাক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে কাফিরদের সাথে কিংবা ফাসিক, পাপাচারী কিংবা ছূফী ও নেককার ব্যক্তিদের সাথে সাদৃশ্য রাখা, অর্থাৎ ভালো কিংবা খারাপ যে সকল মানুষের সাথে সাদৃশ্য রাখবে, সে তাদেরই দলভুক্ত হবে (মিরক্বাত হা/৪৩৪৭-এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য, ৭/২৭৮২)। মানাভী বলেন,

প্রশ্ন (৩৬/১১৬) : পবিত্র কুরআনে দাওয়াতী ক্ষেত্রে হিকমত অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। এক্ষণে উক্ত নির্দেশনার ভিত্তিতে সত্য গোপন করা বা নিফাকের আশ্রয় নেওয়া কি জায়েয হবে? হিকমতের প্রকৃত ব্যাখ্যা কি?

প্রশ্ন (৩৬/১১৬) : পবিত্র কুরআনে দাওয়াতী ক্ষেত্রে হিকমত অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। এক্ষণে উক্ত নির্দেশনার ভিত্তিতে সত্য গোপন করা বা নিফাকের আশ্রয় নেওয়া কি জায়েয হবে? হিকমতের প্রকৃত ব্যাখ্যা কি?

-মুস্তাফীযুর রহমান, তানোর, রাজশাহী।
উত্তর : কোন অবস্থাতেই সত্য গোপন বা নিফাকের আশ্রয় গ্রহণ করা যাবে না। হিকমত বলতে প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে কাজ করতে বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহবান কর প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে’ (নাহল ১৬/১২৫)। ‘হিকমত’ বলতে দলীল-প্রমাণ ও সঠিক জ্ঞানকে বুঝানো হয়েছে। যেমন আল্লাহ অন্যত্র বলেন,

প্রশ্ন (৩৮/১১৮) : আল্লাহ কুরআনকে ‘শিফা’ বা আরোগ্য বলেছেন। এক্ষণে দ্রুত কল্যাণ লাভের জন্য কুরআনের বিভিন্ন আয়াত যেমন ‘রবিব ইন্নী বিমা আনঝালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাক্বীর’ ৪০ বার, পাগলামী থেকে আরোগ্যের জন্য ‘ইন্নাকা লামিনাল মুরসালীন’ ১৩১ বার ইত্যাদি পাঠ করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩৮/১১৮) : আল্লাহ কুরআনকে ‘শিফা’ বা আরোগ্য বলেছেন। এক্ষণে দ্রুত কল্যাণ লাভের জন্য কুরআনের বিভিন্ন আয়াত যেমন ‘রবিব ইন্নী বিমা আনঝালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাক্বীর’ ৪০ বার, পাগলামী থেকে আরোগ্যের জন্য ‘ইন্নাকা লামিনাল মুরসালীন’ ১৩১ বার ইত্যাদি পাঠ করা যাবে কি?

-আবু তালেব, সেতাবগঞ্জ, দিনাজপুর।
উত্তর : ছহীহ হাদীছের প্রমাণ ব্যতীত কুরআনের নির্দিষ্ট কোন আয়াত নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ও নির্দিষ্টবার পাঠ করা যাবে না। এটা বিদ‘আত। তবে কুরআন মানসিক ও শারীরিক ব্যাধির মহৌষধ (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ৪/৩২২-৩২৩)। তাই কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থবোধক আয়াত অনির্দিষ্টবার পাঠ করায় কোন বাধা নেই। কারণ

প্রশ্ন (৩৯/১১৯) : আমি কোম্পানিতে চাকরী করি। অফিসের বাইরে কাজ করলে দুপুরের খাবার বাবদ ১৫০ টাকা নির্দিষ্টভাবে প্রদান করা হয়। ১৫ দিন পরপর বিল করে জমা দিলে কোম্পানি টাকা দেয়। এক্ষণে আমি ১০০ টাকার বা ৩০০ টাকার খেয়ে ১৫০ টাকার বিল জমা দিলে তা জায়েয হবে কি?

প্রশ্ন (৩৯/১১৯) : আমি কোম্পানিতে চাকরী করি। অফিসের বাইরে কাজ করলে দুপুরের খাবার বাবদ ১৫০ টাকা নির্দিষ্টভাবে প্রদান করা হয়। ১৫ দিন পরপর বিল করে জমা দিলে কোম্পানি টাকা দেয়। এক্ষণে আমি ১০০ টাকার বা ৩০০ টাকার খেয়ে ১৫০ টাকার বিল জমা দিলে তা জায়েয হবে কি?

-মুহাম্মাদ শরীফ, বুড়িচং, কুমিল্লা।
উত্তর : কোম্পানীর নিয়ম অনুযায়ী জায়েয হবে। তবে বাস্তবতায় তা মিথ্যা ভাউচার প্রদানের নামান্তর। এক্ষণে কোম্পানী যদি দিন হিসাব করে গড়ে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দুপুরে খাবার জন্য প্রদান করে এবং

প্রশ্ন (৪০/১২০) : মহিলা ও পুরুষের কাফনের কাপড়ের সংখ্যায় কোন পার্থক্য আছে কি?

প্রশ্ন (৪০/১২০) : মহিলা ও পুরুষের কাফনের কাপড়ের সংখ্যায় কোন পার্থক্য আছে কি?

-শফীক, সাপাহার, নওগাঁ।
উত্তর : মহিলা ও পুরুষের কাফনের কাপড়ে কোন পার্থক্য নেই। উভয়কে তিনটি কাপড় দিয়ে কাফন দিতে হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৬৩৫)। মহিলাদের জন্য প্রচলিত পাঁচ

প্রশ্ন (৪/৮৪) : আমার সৎমা আমার সহোদর ভাইয়ের ছেলেকে দুধ পান করিয়েছেন। তিনি কত ঢোক পান করিয়েছেন এ নিয়ে তার সন্দেহ আছে। একারণে কি তিনি মাহরাম সাব্যস্ত হবেন? কারণ আমার এই ভাইপো আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। এ বিষয়ে সঠিক সমাধান জানতে চাই।

প্রশ্ন (৪/৮৪) : আমার সৎমা আমার সহোদর ভাইয়ের ছেলেকে দুধ পান করিয়েছেন। তিনি কত ঢোক পান করিয়েছেন এ নিয়ে তার সন্দেহ আছে। একারণে কি তিনি মাহরাম সাব্যস্ত হবেন? কারণ আমার এই ভাইপো আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। এ বিষয়ে সঠিক সমাধান জানতে চাই।

-আব্দুল মজীদ, ঝিকরগাছা, যশোর।
উত্তর : ঢোক নয় বরং অধিকতর গ্রহণযোগ্য মতে, পৃথক পৃথক সময়ে পাঁচবার দুধ পান করালেই একজন নারী দুধ মা হিসাবে সাব্যস্ত হবেন (মুসলিম হা/১৪৫১; মিশকাত হা/৩১৬৭; আশ-শারহুল মুমতে‘ ১২/১১২-১১৩, ১৩/৪২৭)। অন্য বর্ণনায় আছে, ‘একবার বা দু’বার দুধপান অথবা এক চুমুক বা দু’চুমুক হারাম সাব্যস্ত করে না (মুসলিম হা/১৪৫১; মিশকাত হা/৩১৬৪)
প্রশ্নমতে দুধ পান করানোর সংখ্যায় যেহেতু সন্দেহ বিদ্যমান, সেহেতু প্রথমতঃ নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন,

প্রশ্ন ১: ফজরের পরপরই যদি কোন ঋতুবতী মহিলা ঋতুস্রাব মুক্ত হয়, তাহলে কি সে খানাপিনা ত্যাগ করতঃ ঐ দিনের রোযা রাখবে? তার ঐ দিনের রোযা কি আদায় হয়ে যাবে নাকি পরে ক্বাযা আদায় করতে হবে?

প্রশ্ন ১: ফজরের পরপরই যদি কোন ঋতুবতী মহিলা ঋতুস্রাব মুক্ত হয়, তাহলে কি সে খানাপিনা ত্যাগ করতঃ ঐ দিনের রোযা রাখবে? তার ঐ দিনের রোযা কি আদায় হয়ে যাবে নাকি পরে ক্বাযা আদায় করতে হবে?


উত্তরঃ ফজরের পরে কোন মহিলা ঋতুস্রাবমুক্ত[1] হলে ঐ দিনে তার রোযা রাখার ক্ষেত্রে আলেমগণের দুটো অভিমত রয়েছেঃ
প্রথম অভিমতঃ ঐ দিনের বাকী অংশে তাকে খানা-পিনা, যৌনসঙ্গম ইত্যাকার কর্মকাণ্ড থেকে বেঁচে থাকতে হবে। তবে তা ঐ দিনের রোযা হিসাবে পরিগণিত হবে না; বরং তাকে পরে ক্বাযা আদায় করতে হবে। এটা হাম্বলী মাযহাবের প্রসিদ্ধ অভিমত।
দ্বিতীয় অভিমতঃ ঐ দিনের বাকী অংশে তাকে খানাপিনা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে না। কেননা সে ঐ দিনের শুরুতে ঋতুবতী থাকার কারণে সেদিনের রোযা তার জন্য শুদ্ধ নয়। আর রোযা যেহেতু শুদ্ধ নয়,

প্রশ্ন ২: প্রশ্নকারী বলছেন, ঋতুবর্তী যদি [ফজরের আগে] ঋতুস্রাব মুক্ত হয় এবং ফজরের পরে গোসল করে নামায আদায় করতঃ ঐ দিনের রোযা পূর্ণ করে, তাহলে কি তাকে আবার ক্বাযা আদায় করতে হবে?

প্রশ্ন ২: প্রশ্নকারী বলছেন, ঋতুবর্তী যদি [ফজরের আগে] ঋতুস্রাব মুক্ত হয় এবং ফজরের পরে গোসল করে নামায আদায় করতঃ ঐ দিনের রোযা পূর্ণ করে, তাহলে কি তাকে আবার ক্বাযা আদায় করতে হবে?


উত্তরঃ ঋতুবর্তী ফজরের এক মিনিট আগে হলেও যদি নিশ্চিত ঋতুস্রাব মুক্ত হয়, তাহলে রমযান মাস হলে তাকে ঐ দিনের রোযা আদায় করতে হবে এবং তার ঐ দিনের রোযা শুদ্ধ রোযা হিসাবে পরিগণিত হবে। তাকে আর ক্বাযা আদায় করতে হবে না। কেননা সে পবিত্র অবস্থায় রোযা রেখেছে। আর ফজরের পরে ছাড়া গোসল করার সুযোগ না পেলেও কোন সমস্যা নেই। যেমনিভাবে কোন পুরুষ সহবাস জনিত কারণে অথবা স্বপ্নদোষের কারণে যদি অপবিত্র থাকে এবং

প্রশ্ন ৩: সদ্য সন্তান প্রসবকারিণী নারী যদি চল্লিশ দিনের আগে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে কি তার উপরে রোযা রাখা এবং নামায আদায় করা ওয়াজিব হবে?

প্রশ্ন ৩: সদ্য সন্তান প্রসবকারিণী নারী যদি চল্লিশ দিনের আগে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে কি তার উপরে রোযা রাখা এবং নামায আদায় করা ওয়াজিব হবে?


উত্তরঃ হ্যাঁ, সদ্য সন্তান প্রসবকারিণী নারী চল্লিশ দিনের আগে যখনই পবিত্র হবে, তখনই তার উপর রোযা রাখা অপরিহার্য হয়ে যাবে- যদি তখন রমযান মাস চলে। অনুরূপভাবে তার উপরে নামায আদায়ও ওয়াজিব হবে এবং তার স্বামীর জন্য তার সাথে সহবাস করাও বৈধ হবে। কেননা সে একজন পবিত্র নারী হিসাবে বিবেচিত হবে। যার মধ্যে

প্রশ্ন ৪: কোন মহিলার ঋতুস্রাবের সময়সীমা যদি প্রত্যেক মাসে আট অথবা সাতদিন হয়; কিন্তু দেখা গেল, মাঝেমধ্যে অভ্যাস ভঙ্গ করে ২/১ দিন বেশী সময় ধরে ঋতুস্রাব চলে, তাহলে সেক্ষেত্রে বিধান কি?

প্রশ্ন ৪: কোন মহিলার ঋতুস্রাবের সময়সীমা যদি প্রত্যেক মাসে আট অথবা সাতদিন হয়; কিন্তু দেখা গেল, মাঝেমধ্যে অভ্যাস ভঙ্গ করে ২/১ দিন বেশী সময় ধরে ঋতুস্রাব চলে, তাহলে সেক্ষেত্রে বিধান কি?


উত্তরঃ  যদি উক্ত মহিলার মাসিক ঋতুস্রাবের সময়সীমা ছয় বা সাত দিন হয় কিন্তু মাঝে-মধ্যে এ সময়সীমা বৃদ্ধি হয়ে আট, নয়, দশ অথবা এগারো দিনে গড়ায়, তাহলে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাকে নামায আদায় করতে হবে না। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঋতুস্রাবের কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেননি। আর আল্লাহ তা‘আলা বলছেন,

প্রশ্ন ৫: সদ্য প্রসবকারিণী নারী কি ছালাত-ছিয়াম (নামায-রোযা) পরিত্যাগ করে চল্লিশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে নাকি রক্ত বন্ধ হওয়া না হওয়াই হলো মূল বিষয়? অর্থাৎ যখনই রক্ত বন্ধ হয়ে যাবে, তখনই কি পবিত্র হয়ে যাবে এবং নামায শুরু করবে? আর পবিত্র হওয়ার সর্বনিম্ন কোন সময়সীমা আছে কি?

প্রশ্ন ৫: সদ্য প্রসবকারিণী নারী কি ছালাত-ছিয়াম (নামায-রোযা) পরিত্যাগ করে চল্লিশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে নাকি রক্ত বন্ধ হওয়া না হওয়াই হলো মূল বিষয়? অর্থাৎ যখনই রক্ত বন্ধ হয়ে যাবে, তখনই কি পবিত্র হয়ে যাবে এবং নামায শুরু করবে? আর পবিত্র হওয়ার সর্বনিম্ন কোন সময়সীমা আছে কি?


উত্তরঃ প্রসূতি মহিলার নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা নেই; বরং যতদিন রক্ত থাকবে, ততদিন অপেক্ষা করবে। এমতাবস্থায় নামায পড়বে না, রোযা রাখবে না এবং তার স্বামী তার সাথে সহবাসও করবে না। পক্ষান্তরে যখনই সে পবিত্র হয়ে যাবে-যদিও তা চল্লিশ দিনের আগে হয়; এমনকি দশ বা পাঁচ দিনেও যদি সে পবিত্র হয়- তাহলে সে নামায পড়বে, রোযা রাখবে এবং

প্রশ্ন ৬: যদি রমযান মাসে দিনের বেলায় কোন মহিলার সামান্য রক্তের ফোটা পড়ে এবং সারা রমযান এই রক্ত চালু থাকা অবস্থায় সে রোযা রাখে, তাহলে কি তার রোযা শুদ্ধ হবে?

প্রশ্ন ৬: যদি রমযান মাসে দিনের বেলায় কোন মহিলার সামান্য রক্তের ফোটা পড়ে এবং সারা রমযান এই রক্ত চালু থাকা অবস্থায় সে রোযা রাখে, তাহলে কি তার রোযা শুদ্ধ হবে?


উত্তরঃ হ্যাঁ, তার রোযা শুদ্ধ হবে। আর এই রক্ত তেমন কোন বিষয় না। কারণ এটা শিরা থেকে আসে। আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

প্রশ্ন ৭: ঋতুবর্তী অথবা প্রসূতি নারী যদি ফজরের পূর্বে রক্তমুক্ত হয় এবং ফজরের পরে গোসল করে, তাহলে কি তার রোযা শুদ্ধ হবে?

প্রশ্ন ৭: ঋতুবর্তী অথবা প্রসূতি নারী যদি ফজরের পূর্বে রক্তমুক্ত হয় এবং ফজরের পরে গোসল করে, তাহলে কি তার রোযা শুদ্ধ হবে?


উত্তরঃ হ্যাঁ, ঋতুবর্তী যদি ফজরের পূর্বে পবিত্র হয় এবং ফজরের পরে গোসল করে, তাহলে তার রোযা শুদ্ধ হবে। অনুরূপ বিধান প্রসূতি নারীর ক্ষেত্রেও। কেননা তারা তখন রোযা রাখার উপযুক্ত প্রমাণিত হবে। তাদের বিধান ঐ ব্যক্তির বিধানের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, যে ফজরের সময় সহবাস জনিত কারণে অপবিত্র রয়েছে। কেননা তার রোযাও শুদ্ধ হবে। মহান আল্লাহ বলেন,

প্রশ্ন ৮: কোন মহিলা যদি রক্ত আসার ভাব অনুভব করে অথবা তার অভ্যাস অনুযায়ী ব্যথা অনুভব করে অথচ সূর্যাস্তের পূর্বে রক্ত বের না হয়, তাহলে তার ঐ দিনের রোযা কি শুদ্ধ হবে নাকি তাকে ক্বাযা আদায় করতে হবে?

প্রশ্ন ৮: কোন মহিলা যদি রক্ত আসার ভাব অনুভব করে অথবা তার অভ্যাস অনুযায়ী ব্যথা অনুভব করে অথচ সূর্যাস্তের পূর্বে রক্ত বের না হয়, তাহলে তার ঐ দিনের রোযা কি শুদ্ধ হবে নাকি তাকে ক্বাযা আদায় করতে হবে?


উত্তরঃ কোন মহিলা যদি রোযা অবস্থায় ঋতুস্রাব আসার আলামত টের পায় অথবা ব্যথা অনুভব করে অথচ সূর্যাস্তের পরে ছাড়া রক্ত বের না হয়, তাহলে তার ঐ দিনের রোযা শুদ্ধ হয়ে যাবে। ফরয রোযা হলে তাকে আবার আদায় করতে হবে না এবং

প্রশ্ন ৯: কোন মহিলা যদি রক্ত দেখতে পায় কিন্তু সে নিশ্চিত নয় যে, সেটা ঋতুস্রাবের রক্ত, তাহলে ঐদিন তার রোযার বিধান কি?

প্রশ্ন ৯: কোন মহিলা যদি রক্ত দেখতে পায় কিন্তু সে নিশ্চিত নয় যে, সেটা ঋতুস্রাবের রক্ত, তাহলে ঐদিন তার রোযার বিধান কি?


উত্তরঃ তার ঐদিনের রোযা শুদ্ধ হবে। কেননা [নারীর] আসল অবস্থা হলো, ঋতু না থাকা। তবে ঋতুর বিষয়টা স্পষ্ট হলে

প্রশ্ন ১০: কোন কোন সময় মহিলারা রক্তের সামান্য আলামত দেখতে পায় অথবা সারাদিনে বিচ্ছিন্নভাবে খুব অল্প কয়েক ফোটা রক্ত দেখতে পায়। আর এটা সে কখনও প্রত্যেক মাসের ঋতুস্রাবের নির্ধারিত সময়ে কিন্তু ঋতু না আসা অবস্থায় দেখতে পায়, আবার কখনও অন্য সময়ে দেখতে পায়। এক্ষণে উভয় অবস্থায় উক্ত মহিলার রোযার বিধান কি?

প্রশ্ন ১০: কোন কোন সময় মহিলারা রক্তের সামান্য আলামত দেখতে পায় অথবা সারাদিনে বিচ্ছিন্নভাবে খুব অল্প কয়েক ফোটা রক্ত দেখতে পায়। আর এটা সে কখনও প্রত্যেক মাসের ঋতুস্রাবের নির্ধারিত সময়ে কিন্তু ঋতু না আসা অবস্থায় দেখতে পায়, আবার কখনও অন্য সময়ে দেখতে পায়। এক্ষণে উভয় অবস্থায় উক্ত মহিলার রোযার বিধান কি?


উত্তরঃ ইতিপূর্বে এ জাতীয় প্রশ্নের উত্তর গত হয়ে গেছেকিন্তু এখানে একটা বিষয় হলো, এই রক্তবিন্দুগুলো যদি মাসের নির্ধারিত সময়ে হয় এবং সে উহাকে তার পূর্ব পরিচিত ঋতুস্রাব জ্ঞান করে, তাহলে

প্রশ্ন ১১: ঋতুবতী এবং প্রসূতি মহিলা কি রমযানের দিনের বেলায় খানাপিনা করবে?

প্রশ্ন ১১: ঋতুবতী এবং প্রসূতি মহিলা কি রমযানের দিনের বেলায় খানাপিনা করবে?


উত্তরঃ হ্যাঁ, তারা রমযানের দিবসে পানাহার করবে। তবে উত্তম হলো, যদি তাদের নিকটে কোন বাচ্চাকাচ্চা থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে খানাপিনা গোপনে করা উচিত। কেননা

প্রশ্ন ১২: ঋতুবতী অথবা প্রসূতি নারী আছরের সময় পবিত্র হলে তাকে কি আছরের সাথে যোহরের নামাযও আদায় করতে হবে নাকি শুধু আছর পড়লেই চলবে?

প্রশ্ন ১২: ঋতুবতী অথবা প্রসূতি নারী আছরের সময় পবিত্র হলে তাকে কি আছরের সাথে যোহরের নামাযও আদায় করতে হবে নাকি শুধু আছর পড়লেই চলবে?


উত্তরঃ এই মাস্আলায় অগ্রাধিকারযোগ্য কথা হলো, তাকে কেবল আছরের ছালাত আদায় করতে হবে। কেননা তার উপর যোহরের নামায ওয়াজিব হওয়ার দলীল নেই। আর মানুষের আসল হলো, সে দায়মুক্ত। তদুপরি রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূর্যাস্তের পূর্বে আছরের এক রাকআত পেল, সে পুরো আছরের নামায পেল।”[1] এখানে রাসূল  (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেননি যে, সে যোহরের নামাযও পেল। আর যোহরের নামায যদি তার উপর ওয়াজিবই হত, তাহলে

প্রশ্ন ১৩: কিছু কিছু মহিলার অকাল গর্ভপাত ঘটে। এর দুটো অবস্থা হতে পারেঃ- হয় গর্ভস্থ সন্তান আকৃতি ধারণের আগে তাকে গর্ভপাত করে, না হয় আকৃতি ধারণের পরে গর্ভপাত করে। এক্ষণে উক্ত মহিলার গর্ভপাত ঘটার দিন এবং পরবর্তী যে দিনগুলোতে রক্ত আসবে, সেগুলোতে তার রোযা রাখার বিধান কি হবে?

প্রশ্ন ১৩: কিছু কিছু মহিলার অকাল গর্ভপাত ঘটে। এর দুটো অবস্থা হতে পারেঃ- হয় গর্ভস্থ সন্তান আকৃতি ধারণের আগে তাকে গর্ভপাত করে, না হয় আকৃতি ধারণের পরে গর্ভপাত করে। এক্ষণে উক্ত মহিলার গর্ভপাত ঘটার দিন এবং পরবর্তী যে দিনগুলোতে রক্ত আসবে, সেগুলোতে তার রোযা রাখার বিধান কি হবে?


উত্তরঃ যদি গর্ভস্থ সন্তান আকৃতি ধারণ না করে, তাহলে সে ক্ষেত্রে তার এই রক্ত প্রসূতি অবস্থার রক্ত হিসাবে গণ্য হবে না। অতএব তাকে রোযা রাখতে হবে, নামায পড়তে হবে এবং তার রোযা শুদ্ধ রোযা হিসাবে পরিগণিত হবে। পক্ষান্তরে যদি সন্তান আকৃতি ধারণ করে, তাহলে উক্ত মহিলার রক্ত প্রসূতির রক্ত হিসাবে গণ্য হবে। অতএব, নামায পড়া, রোযা রাখা তার জন্য বৈধ হবে না। এই মাসআলায় নিয়ম হলো এই যে,

প্রশ্ন ১৪: রমযানের দিবসে গর্ভবতী মায়ের রক্ত বের হলে তা কি তার রোযায় কোন প্রভাব ফেলবে?

প্রশ্ন ১৪: রমযানের দিবসে গর্ভবতী মায়ের রক্ত বের হলে তা কি তার রোযায় কোন প্রভাব ফেলবে?


উত্তরঃ কোন মহিলা রোযা থাকা অবস্থায় যদি তার ঋতুর রক্ত আসে, তাহলে তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “মহিলার বিষয়টা কি এমন নয় যে, যখন সে ঋতুবতী হয়, তখন সে নামায আদায় করে না এবং রোযাও রাখে না?”।[1] এজন্য ঋতুস্রাবকে আমরা রোযা ভঙ্গকারী বিষয়সমূহের অন্তর্ভুক্ত গণ্য করি। অনুরূপভাবে প্রসূতি অবস্থার রক্তও।
অতএব,

প্রশ্ন ১৫: যদি কোন মহিলা তার মাসিক ঋতুস্রাবের নির্ধারিত সময়ে একদিন রক্ত দেখতে পায় কিন্তু পরেরদিন সারাদিনে রক্ত দেখতে না পায়, তাহলে সেক্ষেত্রে তার করণীয় কি?

প্রশ্ন ১৫: যদি কোন মহিলা তার মাসিক ঋতুস্রাবের নির্ধারিত সময়ে একদিন রক্ত দেখতে পায় কিন্তু পরেরদিন সারাদিনে রক্ত দেখতে না পায়, তাহলে সেক্ষেত্রে তার করণীয় কি?


উত্তরঃ স্বাভাবিকভাবে মনে হয়, ঋতুস্রাবের দিনগুলোতে তার ক্ষণিকের এই পবিত্রতা ঋতুর অন্তর্ভুক্ত ধরা হবে, সেটাকে পবিত্রতা গণ্য করা হবে না। অতএব, সাধারণ ঋতুবতী যেগুলো থেকে বিরত থাকে, উক্ত মহিলাও সেগুলো থেকে বিরত থাকবে। অবশ্য কোন কোন আলেম বলেছেন, যদি কোন মহিলা একদিন রক্ত এবং আরেক দিন স্বচ্ছতা দেখতে পায়, তাহলে

প্রশ্ন ১৬: ঋতুর শেষ দিনগুলোতে পবিত্র হওয়ার পূর্বে মহিলারা সাধারণতঃ রক্তের চিহ্ন দেখতে পায় না। এক্ষণে সাদা জাতীয় পদার্থ* [যা ঋতুর শেষের দিকে কোন কোন মহিলার হয়ে থাকে] না দেখা সত্ত্বেও কি সে ঐ দিনগুলোতে রোযা রাখবে, না কি করবে?


প্রশ্ন ১৬: ঋতুর শেষ দিনগুলোতে পবিত্র হওয়ার পূর্বে মহিলারা সাধারণতঃ রক্তের চিহ্ন দেখতে পায় না। এক্ষণে সাদা জাতীয় পদার্থ* [যা ঋতুর শেষের দিকে কোন কোন মহিলার হয়ে থাকে] না দেখা সত্ত্বেও কি সে ঐ দিনগুলোতে রোযা রাখবে, না কি করবে?


উত্তরঃ যদি তার অভ্যাস এমন হয় যে, [নিশ্চিত পবিত্র হওয়ার আলামত হিসাবে] সে সাদা জাতীয় পদার্থ দেখতে পায় না-যেমনটি কোন কোন মহিলার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, তাহলে সে রোযা রাখবে। পক্ষান্তরে সাদা জাতীয় পদার্থ দেখা যদি তার অভ্যাস হয়ে থাকে, তাহলে

প্রশ্ন ১৭: জরূরী প্রয়োজনে ঋতুবতী এবং প্রসূতি মহিলার দেখে ও মুখস্ত কুরআন তেলাওয়াতের বিধান কি-যেমন যদি সে ছাত্রী অথবা শিক্ষিকা হয়?


প্রশ্ন ১৭: জরূরী প্রয়োজনে ঋতুবতী এবং প্রসূতি মহিলার দেখে ও মুখস্ত কুরআন তেলাওয়াতের বিধান কি-যেমন যদি সে ছাত্রী অথবা শিক্ষিকা হয়?


উত্তরঃ ঋতুবতী এবং প্রসূতি মহিলার [জরূরী] প্রয়োজনেঃ যেমন শিক্ষিকা ও ছাত্রীর ক্ষেত্রে কুরআন তেলাওয়াত করাতে কোন দোষ নেই। তবে শুধুমাত্র ছওয়াবের উদ্দেশ্যে তেলাওয়াত না করাই উত্তম। কেননা অধিকাংশ আলেম মনে করেন যে,

প্রশ্ন ১৮: ঋতুবতীর ঋতু বন্ধ হওয়ার পর তার পোষাকে রক্ত বা অপবিত্র কোন কিছু লাগেনি জেনেও কি তাকে পোষাক বদলাতে হবে?

প্রশ্ন ১৮: ঋতুবতীর ঋতু বন্ধ হওয়ার পর তার পোষাকে রক্ত বা অপবিত্র কোন কিছু লাগেনি জেনেও কি তাকে পোষাক বদলাতে হবে?


উত্তরঃ এটা তার জন্য যরূরী নয়। কেননা ঋতুস্রাব পুরো শরীরকে অপবিত্র করে না; বরং শরীরের যে অংশে লাগে, কেবল সে অংশকেই অপবিত্র করে। আর এ কারণে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলাদের পোষাকের যে অংশে ঋতুস্রাব লাগে,

প্রশ্ন ১৯: প্রশ্নকারী বলেন, একজন মহিলা প্রসূতি থাকা অবস্থায় সাতদিন রোযা ভেঙ্গেছে এবং স্তন্যদানকারিণী থাকা অবস্থায় পরবর্তী রমযানের সাতদিন অতিবাহিত হয়ে গেছে-তথাপিও অসুস্থতার অজুহাতে সে রোযার ক্বাযা আদায় করেনি। এমনকি তৃতীয় রমযানও আসার উপক্রম হয়েছে! এক্ষণে তার করণীয় কি? জানিয়ে বাধিত করবেন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

প্রশ্ন ১৯: প্রশ্নকারী বলেন, একজন মহিলা প্রসূতি থাকা অবস্থায় সাতদিন রোযা ভেঙ্গেছে এবং স্তন্যদানকারিণী থাকা অবস্থায় পরবর্তী রমযানের সাতদিন অতিবাহিত হয়ে গেছে-তথাপিও অসুস্থতার অজুহাতে সে রোযার ক্বাযা আদায় করেনি। এমনকি তৃতীয় রমযানও আসার উপক্রম হয়েছে! এক্ষণে তার করণীয় কি? জানিয়ে বাধিত করবেন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।


উত্তরঃ উক্ত মহিলার বক্তব্য অনুযায়ী যদি সে সত্যিই অসুস্থ হয়ে থাকে এবং ক্বাযা আদায় করতে সক্ষম না হয়, তাহলে যখনই সক্ষম হবে তখনই ক্বাযা আদায় করবে। এক্ষেত্রে পরবর্তী রমযান এসে গেলেও সমস্যা নেই। কেননা সে ওযরগ্রস্ত। কিন্তু যদি তার ওযর না থাকে; বরং অহেতুক অজুহাত দেখায় এবং বিষয়টা তুচ্ছ জ্ঞান করে, তাহলে তার জন্য এক রমযানের ক্বাযা রোযা অন্য রমযান পর্যন্ত বিলম্বিত করা বৈধ নয়। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন,

প্রশ্ন ২০: কতিপয় মহিলা পরবর্তী রমযানে পদার্পণ করেছে অথচ বিগত রমযানের কয়েক দিনের রোযা তারা রাখে নি! এক্ষণে তাদের করণীয় কি?

প্রশ্ন ২০: কতিপয় মহিলা পরবর্তী রমযানে পদার্পণ করেছে অথচ বিগত রমযানের কয়েক দিনের রোযা তারা রাখে নি! এক্ষণে তাদের করণীয় কি?


উত্তরঃ তাদের করণীয় হলো, এহেন কাজ থেকে ফিরে এসে আল্লাহর নিকট তওবা করতে হবে। কেননা বিনা ওযরে কারো জন্য এক রমযানের রোযা অন্য রমযানে ঠেলে নিয়ে যাওয়া জায়েয নয়। এ মর্মে আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, “আমার উপর রমযানের রোযা বাকী থাকত এবং আমি তা শাবান মাসে ছাড়া আদায়ে সক্ষম হতাম না।”  এই হাদীছ প্রমাণ করে যে,

প্রশ্ন ২১: কোন মহিলা বেলা ১টার সময় ঋতুবতী হলো [অর্থাৎ নামাযের সময় হওয়ার পরে তার ঋতুস্রাব আসল] কিন্তু তখনও সে যোহরের নামায আদায় করেনি, তাহলে ঋতু বন্ধ হওয়ার পরে কি তাকে ঐ নামাযের ক্বাযা আদায় করতে হবে?

প্রশ্ন ২১: কোন মহিলা বেলা ১টার সময় ঋতুবতী হলো [অর্থাৎ নামাযের সময় হওয়ার পরে তার ঋতুস্রাব আসল] কিন্তু তখনও সে যোহরের নামায আদায় করেনি, তাহলে ঋতু বন্ধ হওয়ার পরে কি তাকে ঐ নামাযের ক্বাযা আদায় করতে হবে?


উত্তরঃ এই মাসআলায় আলেমগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তাঁদের কেউ কেউ বলেছেন, তাকে ঐ নামাযের ক্বাযা আদায় করতে হবে না। কেননা সে অবহেলা করে ছেড়ে দেয়নি। অনুরূপভাবে সে পাপীও হবে না। কেননা নামাযের শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত নামাযকে বিলম্বিত করা তার জন্য জায়েয রয়েছে।
আবার কেউ কেউ বলেছেন, তাকে ঐ নামাযের ক্বাযা আদায় করতে হবে। কেননা রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

প্রশ্ন ২২: গর্ভবতী মহিলা যদি সন্তান প্রসবের ২/১ দিন আগে রক্ত দেখতে পায়, তাহলে এই কারণে কি সে নামায-রোযা পরিত্যাগ করবে না কি করবে?

প্রশ্ন ২২: গর্ভবতী মহিলা যদি সন্তান প্রসবের ২/১ দিন আগে রক্ত দেখতে পায়, তাহলে এই কারণে কি সে নামায-রোযা পরিত্যাগ করবে না কি করবে?


উত্তরঃ গর্ভবতী মহিলা যদি সন্তান প্রসবের ২/১ দিন আগে রক্ত দেখতে পায় এবং তার সাথে প্রসব বেদনা থাকে, তাহলে উহা প্রসূতি অবস্থার রক্ত। এই কারণে সে নামায-রোযা পরিত্যাগ করবে। কিন্তু যদি তার সাথে প্রসব বেদনা না থাকে, তাহলে উহা কূ-রক্ত। এটাকে কোন কিছু গণ্য করা হবে না এবং

প্রশ্ন ২৩: মানুষের সাথে রোযাব্রত পালনের স্বার্থে মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধের পিল সেবনের বিষয়ে আপনার মতামত কি?

প্রশ্ন ২৩: মানুষের সাথে রোযাব্রত পালনের স্বার্থে মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধের পিল সেবনের বিষয়ে আপনার মতামত কি?


উত্তরঃ আমি এ থেকে সাবধান করছি! কারণ এই বড়িগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি রয়েছে- যা ডাক্তারগণের মাধ্যমে আমার কাছে প্রমাণিত হয়েছে। সেজন্য মহিলাদেরকে বলব, এটা আদম সন্তানের নারীকূলের উপর আল্লাহপাক নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং

প্রশ্ন ২৪: প্রশ্নকারী বলছেন, একজন মহিলা প্রসূতি অবস্থা থেকে পবিত্র হওয়ার দুই মাস পরে রক্তের ছোট ছোট কিছু বিন্দু দেখতে পেয়েছে। এক্ষণে সে কি নামায-রোযা পরিত্যাগ করবে না কি করবে?

প্রশ্ন ২৪: প্রশ্নকারী বলছেন, একজন মহিলা প্রসূতি অবস্থা থেকে পবিত্র হওয়ার দুই মাস পরে রক্তের ছোট ছোট কিছু বিন্দু দেখতে পেয়েছে। এক্ষণে সে কি নামায-রোযা পরিত্যাগ করবে না কি করবে?


উত্তরঃ ঋতুস্রাব ও প্রসূতি অবস্থার ক্ষেত্রে মহিলাদের সমস্যাগুলো কিনারা বিহীন সাগরের মত। আর এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, জন্মবিরতিকরণ এবং ঋতুস্রাব প্রতিরোধক পিল ব্যবহার। আগে মানুষ এ জাতীয় সমস্যা সম্পর্কে তেমন অবগত ছিল না। তবে একথা ঠিক যে, মুহাম্মদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রাসূল হিসাবে আবির্ভাবের পর থেকে শুধু নয়; বরং মহিলাদের সৃষ্টিলগ্ন থেকেই তাদের সমস্যা ছিল। তবে দুঃখজনক বিষয় হলো,

প্রশ্ন ২৫: কিছু কিছু মহিলার ঋতুস্রাব চলতে থাকে এবং মাঝে মাঝে ২/১ দিনের বিরতি দিয়ে আবার শুরু হয়। এমতাবস্থায় নামায-রোযা সহ অন্যান্য ইবাদতের হুকুম কি?

প্রশ্ন ২৫: কিছু কিছু মহিলার ঋতুস্রাব চলতে থাকে এবং মাঝে মাঝে ২/১ দিনের বিরতি দিয়ে আবার শুরু হয়। এমতাবস্থায় নামায-রোযা সহ অন্যান্য ইবাদতের হুকুম কি?


উত্তরঃ বেশীর ভাগ আলেমগণের নিকট প্রসিদ্ধ কথা হলো, যদি উক্ত মহিলার নির্দিষ্ট কোন দিনে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পূর্বাভ্যাস থাকে এবং সেই নির্দিষ্ট দিন শেষ হয়ে যায়, তাহলে সে গোসল করে নামায-রোযা করবে। আর এর ২/৩ দিন পর যা বের হতে দেখবে, তা মূলত ঋতুস্রাব হিসাবে গণ্য হবে না। কেননা তাদের নিকট একজন মহিলার পবিত্র থাকার সর্বনিম্ন সময় হচ্ছে ১৩ দিন [অর্থাৎ দুই হায়েযের মাঝখানে ১৩ দিনের কম সময় বিরতি থেকে রক্ত দেখা দিলে তাকে পবিত্র গণ্য করা হবে। আর ১৩ দিনের বেশী

প্রশ্ন ২৬: রমযানের রাত্রিগুলোতে মহিলাদের বাড়ীতে নামায পড়া উত্তম নাকি মসজিদে- বিশেষ করে মসজিদে যদি ওয়ায-নছীহতের ব্যবস্থা থাকে? যেসব মহিলা মসজিদে নামায পড়ে, তাদের ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কি?

প্রশ্ন ২৬: রমযানের রাত্রিগুলোতে মহিলাদের বাড়ীতে নামায পড়া উত্তম নাকি মসজিদে- বিশেষ করে মসজিদে যদি ওয়ায-নছীহতের ব্যবস্থা থাকে? যেসব মহিলা মসজিদে নামায পড়ে, তাদের ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কি?


উত্তরঃ মহিলাদের বাড়ীতে নামায পড়াই উত্তম। এমর্মে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাধারণ ঘোষণা হচ্ছে, “তাদের জন্য তাদের বাড়ীই উত্তম”[1]। তাছাড়া মহিলাদের বাড়ীর বাইরে হওয়ার বিষয়টা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ফেৎনামুক্ত নয়। সে দৃষ্টিকোণ থেকে মসজিদে যাওয়ার চেয়ে বাড়ীতে অবস্থান করাই তাদের জন্য অধিক কল্যাণকর। ওয়ায-নছীহত ক্যাসেটের মাধ্যমে তারা বাড়ীতেই শোনার ব্যবস্থা করতে পারবে।
 আর যারা মসজিদে নামায পড়তে যায়,

প্রশ্ন ২৭: রমযান মাসে দিনের বেলায় রোযা অবস্থায় কোন মহিলার খাদ্যের স্বাদ চেখে দেখার হুকুম কি?

প্রশ্ন ২৭: রমযান মাসে দিনের বেলায় রোযা অবস্থায় কোন মহিলার খাদ্যের স্বাদ চেখে দেখার হুকুম কি?


উত্তরঃ প্রয়োজনে স্বাদ চেখে দেখলে কোন অসুবিধা নেই। তবে সে যেন স্বাদ চেখে দেখার পর মুখ থেকে ঐ জিনিষটা ফেলে

প্রশ্ন ২৮: গর্ভধারণের প্রাথমিক অবস্থায় থাকা একজন মহিলা দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। অতঃপর প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের পর তার গর্ভপাত ঘটে। এমতাবস্থায় উক্ত মহিলার জন্য কি রোযা ছেড়ে দেওয়া জায়েয নাকি সে রোযা চালিয়ে যাবে? আর রোযা ভাঙলে কি তার কোন গোনাহ হবে?

প্রশ্ন ২৮: গর্ভধারণের প্রাথমিক অবস্থায় থাকা একজন মহিলা দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। অতঃপর প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের পর তার গর্ভপাত ঘটে। এমতাবস্থায় উক্ত মহিলার জন্য কি রোযা ছেড়ে দেওয়া জায়েয নাকি সে রোযা চালিয়ে যাবে? আর রোযা ভাঙলে কি তার কোন গোনাহ হবে?


উত্তরঃ আমাদের বক্তব্য হলো, গর্ভবতীর সাধারণতঃ ঋতুস্রাব আসে না, যেমনটি ইমাম আহমাদ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, “মহিলারা ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার মাধ্যমে গর্ভাবস্থা টের পায়।” আর আলেম সমাজের বক্তব্য অনুযায়ী, আল্লাহপাক এই ঋতুস্রাবকে অন্তর্নিহিত এক তাৎপর্যকে লক্ষ্য করে সৃষ্টি করেছেন। তাহলো এই যে, গর্ভজাত সন্তানের জন্য খাদ্য হিসাবে কাজ করা। সেজন্য যখন পেটে সন্তান আসে, তখন ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু

প্রশ্ন ২৯: গত বছর গর্ভধারণের তৃতীয় মাসে আমার গর্ভপাত ঘটে এবং পবিত্র হওয়ার আগে আমি নামায আদায় করিনি। তখন আমাকে বলা হয়েছিল, তোমার নামায পড়া উচিৎ ছিল। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি? উল্লেখ্য যে, নির্দিষ্টভাবে সেই দিনগুলোর সংখ্যা আমার জানা নেই।

প্রশ্ন ২৯: গত বছর গর্ভধারণের তৃতীয় মাসে আমার গর্ভপাত ঘটে এবং পবিত্র হওয়ার আগে আমি নামায আদায় করিনি। তখন আমাকে বলা হয়েছিল, তোমার নামায পড়া উচিৎ ছিল। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি? উল্লেখ্য যে, নির্দিষ্টভাবে সেই দিনগুলোর সংখ্যা আমার জানা নেই।


উত্তরঃ আলেমগণের নিকট প্রসিদ্ধ কথা হলো, তিন মাসে কোন মহিলার গর্ভপাত ঘটলে সে নামায পড়বে না। কেননা কোন মহিলার যখন গর্ভপাত হয়, তখন গর্ভস্থ সন্তানের যদি আকৃতি প্রকাশ পায়, তাহলে উক্ত মহিলার ঐ রক্ত প্রসূতি অবস্থার রক্ত হিসাবে পরিগণিত হবে। ফলে সে নামায আদায় করবে না।
বিদ্বানগণ বলেন, ৮১ দিন পূর্ণ হলে গর্ভস্থ বাচ্চার আকৃতি প্রকাশ পাওয়া সম্ভব। আর এটা তিন মাসেরও কম সময়। সুতরাং উক্ত মহিলা যদি নিশ্চিত হয় যে, তিন মাসেই তার গর্ভপাত ঘটেছে, তাহলে তার রক্ত প্রসূতি অবস্থার রক্ত* হিসাবে পরিগণিত হবে। কিন্তু

প্রশ্ন ৩০: একজন মহিলা বলছে, সে তার উপর রমযানের রোযা ফরয হওয়ার পর থেকে রোযা রাখে কিন্তু মাসিক ঋতুস্রাবের কারণে ভাঙ্গা রোযাগুলোর ক্বাযা সে আদায় করে না । আর এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, ঐদিনগুলোর হিসাব তার কাছে থাকে না। এক্ষণে সে তার করণীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে চায়।

প্রশ্ন ৩০: একজন মহিলা বলছে, সে তার উপর রমযানের রোযা ফরয হওয়ার পর থেকে রোযা রাখে কিন্তু মাসিক ঋতুস্রাবের কারণে ভাঙ্গা রোযাগুলোর ক্বাযা সে আদায় করে না । আর এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, ঐদিনগুলোর হিসাব তার কাছে থাকে না। এক্ষণে সে তার করণীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে চায়।


উত্তরঃ মুমিন নারীদের এমন ঘটনা আমাদেরকে কষ্ট দেয়। কেননা ফরয রোযার ক্বাযা অনাদায়- হয় না জানার কারণে, না হয় অবহেলা করার কারণে হয়ে থাকে। আর এদুটোই মছীবত। কারণ মূর্খতার ঔষধ হলো জানা এবং জিজ্ঞেস করা। আর অবহেলার ঔষধ হলো আল্লাহভীতি, তাঁর নযরদারীর কথা চিন্তা করা, তাঁর শাস্তির ভয় পাওয়া এবং

প্রশ্ন ৩১: একজন প্রশ্নকারিণী বলছেন, নামাযের সময় শুরু হওয়ার পরে কোন মহিলা ঋতুবতী হলে তার হুকুম কি? পবিত্র হওয়ার পরে কি ঐ নামাযের ক্বাযা আদায় করা তার উপর ওয়াজিব হবে? নামাযের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্বে পবিত্র হলেও কি অনুরূপ বিধান?

প্রশ্ন ৩১: একজন প্রশ্নকারিণী বলছেন, নামাযের সময় শুরু হওয়ার পরে কোন মহিলা ঋতুবতী হলে তার হুকুম কি? পবিত্র হওয়ার পরে কি ঐ নামাযের ক্বাযা আদায় করা তার উপর ওয়াজিব হবে? নামাযের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্বে পবিত্র হলেও কি অনুরূপ বিধান?


উত্তরঃ প্রথমতঃ নামাযের সময় শুরু হওয়ার পরে কেউ ঋতুবতী হলে পবিত্র হওয়ার পর ঐ নামাযের ক্বাযা আদায় করা তার উপর ওয়াজিব- যদি ঋতুস্রাব আসার আগে সে ঐ নামায আদায় না করে থাকে। এ মর্মে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি নামাযের এক রাকআত পেল, সে পুরো নামাযই পেল।”[1] অতএব,

প্রশ্ন ৩২: নামাযরত অবস্থায় আমার ঋতুস্রাব এসেছে। এখন আমার করণীয় কি? আমি কি ঐ নামাযের ক্বাযা আদায় করব?

প্রশ্ন ৩২: নামাযরত অবস্থায় আমার ঋতুস্রাব এসেছে। এখন আমার করণীয় কি? আমি কি ঐ নামাযের ক্বাযা আদায় করব?


উত্তরঃ নামাযের সময় হওয়ার পর যদি ঋতুস্রাব আসে-যেমন সূর্য ঢলে যাওয়ার আধঘণ্টা পর কারো ঋতুস্রাব আসল, তাহলে সে ঋতুস্রাব থেকে মুক্ত হওয়ার পর ঐ নামাযের ক্বাযা আদায় করবে- যার ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সময় সে পবিত্র ছিল। এ মর্মে মহান আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই নামায বিশ্বাসীগণের উপর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্ধারিত” (নিসা ১০৩)। উক্ত মহিলা যে নামাযে তার ঋতু এসেছিল, সে নামাযের ক্বাযা আদায় করবে না। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দীর্ঘ এক হাদীছে এ মর্মে বলেন,

প্রশ্ন ৩৩: এক ব্যক্তি বলছেন, আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমার মায়ের বয়স ৬৫ বছর। ১৯ বছর ধরে তিনি কোন সন্তান প্রসব করেননি। বিগত তিন বছর ধরে তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এক্ষণে রমযানের আগমন উপলক্ষে তাঁকে নছীহতদানে বাধিত করবেন। এ জাতীয় মহিলারা কিভাবে চলবেন?

প্রশ্ন ৩৩: এক ব্যক্তি বলছেন, আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমার মায়ের বয়স ৬৫ বছর। ১৯ বছর ধরে তিনি কোন সন্তান প্রসব করেননি। বিগত তিন বছর ধরে তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এক্ষণে রমযানের আগমন উপলক্ষে তাঁকে নছীহতদানে বাধিত করবেন। এ জাতীয় মহিলারা কিভাবে চলবেন?


উত্তরঃ এ জাতীয় মহিলা- যার রক্তক্ষরণ হয়, সে এই ঘটনার আগের মাসিক ঋতুস্রাবের দিনগুলো হিসাব করে তদনুযায়ী প্রত্যেক মাসে নামায-রোযা পরিত্যাগ করবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, যদি আগে প্রত্যেক মাসের শুরুতে ছয় দিন ধরে ঋতুস্রাব চলা তার অভ্যাস থাকে, তাহলে এখনও সে প্রত্যেক মাসের শুরুতে ছয় দিন অপেক্ষা করবে- নামায পড়বে না, রোযাও রাখবে না। অতঃপর ছয় দিন শেষ হয়ে গেলে গোসল করে নামায-রোযা আদায় করবে।
উক্ত মহিলার এবং

প্রশ্ন ৩৪: হাদীছ এবং বক্তব্য শোনার জন্য ঋতুগ্রস্ত অবস্থায় কাবা শরীফে কোন মহিলার অবস্থানের বিধান কি?


প্রশ্ন ৩৪: হাদীছ এবং বক্তব্য শোনার জন্য ঋতুগ্রস্ত অবস্থায় কাবা শরীফে কোন মহিলার অবস্থানের বিধান কি?


উত্তরঃ কাবা ঘর অথবা অন্য কোন মসজিদে ঋতুবতীর অবস্থান জায়েয নয়। তবে প্রয়োজনে মসজিদের ভেতর দিয়ে যেতে পারে এবং প্রয়োজন মিটাতে পারে। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে “খুমরা”[1] আনতে বললে তিনি বলেন, ওটা তো মসজিদে আছে, আর আমি ঋতুগ্রস্ত। তখন রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,

প্রশ্ন ৩৫: মহিলাদের সাদা বা হলদে যে পদার্থ বের হয়, সেটা কি পবিত্র নাকি অপবিত্র? উহা অবিরামভাবে বের হওয়া সত্ত্বেও কি অযু করা আবশ্যক হবে? আর বিচ্ছিন্নভাবে বের হলেই বা তার হুকুম কি? কেননা বেশীরভাগ মহিলা -তম্মধ্যে শিক্ষিত মহল উল্লেখযোগ্য- মনে করে যে, এটা স্বাভাবিক সিক্ততা, যাতে অযু করা জরূরী নয়?

প্রশ্ন ৩৫: মহিলাদের সাদা বা হলদে যে পদার্থ বের হয়, সেটা কি পবিত্র নাকি অপবিত্র? উহা অবিরামভাবে বের হওয়া সত্ত্বেও কি অযু করা আবশ্যক হবে? আর বিচ্ছিন্নভাবে বের হলেই বা তার হুকুম কি? কেননা বেশীরভাগ মহিলা -তম্মধ্যে শিক্ষিত মহল উল্লেখযোগ্য- মনে করে যে, এটা স্বাভাবিক সিক্ততা, যাতে অযু করা জরূরী নয়?


উত্তরঃ গবেষণার পর আমার কাছে স্পষ্ট হয়েছে যে, মহিলাদের এই তরল পদার্থ যদি মূত্রাশয় থেকে না এসে গর্ভাশয় থেকে আসে, তাহলে তা পবিত্র। তবে পবিত্র হলেও তা অযু ভঙ্গ করবে। কেননা অযু ভঙ্গকারী হওয়ার জন্য অপবিত্র হওয়া শর্ত নয়। যেমন এই যে বায়ূ- যা পশ্চাদভাগ দিয়ে বের হয়, তার তো কোন দোষ নেই; অথচ তা অযু ভঙ্গ করে। অতএব,

প্রশ্ন ৩৬: যে মহিলার অবিরাম তরল পদার্থ বের হয়, সে যদি যে কোন এক ফরয নামাযের জন্য অযু করে, তাহলে ঐ ফরয নামাযের অযু দিয়ে পরবর্তী ফরয নামায পর্যন্ত সময়ে ইচ্ছামত নফল নামায পড়া এবং কুরআন তেলাওয়াত করা তার জন্য ঠিক হবে কি?

প্রশ্ন ৩৬: যে মহিলার অবিরাম তরল পদার্থ বের হয়, সে যদি যে কোন এক ফরয নামাযের জন্য অযু করে, তাহলে ঐ ফরয নামাযের অযু দিয়ে পরবর্তী ফরয নামায পর্যন্ত সময়ে ইচ্ছামত নফল নামায পড়া এবং কুরআন তেলাওয়াত করা তার জন্য ঠিক হবে কি?



উত্তরঃ যদি সে কোন ফরয নামাযের জন্য সেই নামাযের প্রথম ওয়াক্তে অযু করে, তাহলে পরবর্তী নামাযের ওয়াক্ত আসা পর্যন্ত সময়ে সে ইচ্ছামত ফরয ও নফল নামাযসমূহ পড়তে পারবে এবং

প্রশ্ন ৩৭: ঐ মহিলা কি ফজরের নামাযের অযু দিয়ে চাশতের নামায পড়তে পারবে?

প্রশ্ন ৩৭: ঐ মহিলা কি ফজরের নামাযের অযু দিয়ে চাশতের নামায পড়তে পারবে?


উত্তরঃ না, পড়তে পারবে না। কেননা চাশতের নামাযের সময় নির্দিষ্ট। সেজন্য এই নামাযের সময় হলে তাকে আবার অবশ্যই অযু করতে হবে। তাছাড়া ঐ মহিলা ইস্তেহাযাগ্রস্ত মহিলার মত। আর ইস্তেহাযাগ্রস্ত মহিলাকে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রত্যেক নামাযের জন্য অযু করতে বলেছেন।

প্রশ্ন ৩৮: উক্ত মহিলা মধ্যরাত শেষ হওয়ার পরে এশার অযুতে তাহাজ্জুদ নামায পড়লে কি শুদ্ধ হবে?

প্রশ্ন ৩৮: উক্ত মহিলা মধ্যরাত শেষ হওয়ার পরে এশার অযুতে তাহাজ্জুদ নামায পড়লে কি শুদ্ধ হবে?


উত্তরঃ [কেউ কেউ বলেন,] এশার অযুতে তাহাজ্জুদ নামায পড়লে শুদ্ধ হবে না। মধ্যরাত শেষ হওয়ার পর তার উপর নতুনভাবে অযু করা ওয়াজিব। আবার কেউ বলেন,

প্রশ্ন ৩৯: এশার শেষ ওয়াক্ত কোন্‌টি (অর্থাৎ উক্ত মহিলার নামাযের ক্ষেত্রে) এবং কিভাবে তা জানা সম্ভব?

প্রশ্ন ৩৯: এশার শেষ ওয়াক্ত কোন্‌টি (অর্থাৎ উক্ত মহিলার নামাযের ক্ষেত্রে) এবং কিভাবে তা জানা সম্ভব?


উত্তরঃ এশার শেষ ওয়াক্ত হলো অর্ধরাত্রি। আর উহা জানার উপায় হলো, সূর্যাস্ত থেকে ফজর পর্যন্ত সময়টাকে দুইভাগে ভাগ করতে হবে। প্রথম ভাগে এশার ওয়াক্ত শেষ হবে এবং

প্রশ্ন ৪০: তরল ঐ পদার্থ যার বিচ্ছিন্নভাবে আসে, সে অযু করলে এবং অযুর পরে ও নামাযের আগে আবার তা বের হলে সেক্ষেত্রে তার করণীয় কি?

প্রশ্ন ৪০: তরল ঐ পদার্থ যার বিচ্ছিন্নভাবে আসে, সে অযু করলে এবং অযুর পরে ও নামাযের আগে আবার তা বের হলে সেক্ষেত্রে তার করণীয় কি?


উত্তরঃ যার বিচ্ছিন্নভাবে তরল পদার্থ আসে, সে উহা বন্ধ হওয়ার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। কিন্তু যদি তার এমন কোন অভ্যাস না থাকে; বরং এই হচ্ছে এই নাই এমন অবস্থা হয়, তাহলে সে নামাযের সময় হলে অযু করে নামায পড়বে। এতে

প্রশ্ন: হাদিসে আছে, সাদ বিন মুয়াজ (রা:) এর মৃত্যুতে আল্লাহর আরশ কেপে উঠেছিল এই কথা কি ঠিক আছে ? আমি এই শব্দটা নিয়ে সন্দেহে আছি।

প্রশ্ন: হাদিসে আছে, সাদ বিন মুয়াজ (রা:) এর মৃত্যুতে আল্লাহর আরশ কেপে উঠেছিল এই কথা কি ঠিক আছে ? আমি এই শব্দটা নিয়ে সন্দেহে আছি।
============================ 
উত্তর দিয়েছেন শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদী
---
জি, ‘আল্লাহর আরশ কেঁপেছে’ মর্মে বর্ণিত হাদীসট সহীহ।
যেমন:
روى البخاري (3803) ، ومسلم (2466) عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: ( اهْتَزَّ العَرْشُ لِمَوْتِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ ) .

সাহাবী জাবের রা. বলেন, আমি রাসুল সা.কে বলতে শুনেছি, যে, সাদ বিন মুয়ায রা. এর মৃত্যুতে আরশ কেঁপে উঠেছে।” 
(সহীহ বুখারী/৩৮০৩ ও মুসলিম/২৪৬৬)

ইমাম হাসান বলেন, তাঁর রূহের আগমণের খুশিতে আল্লাহর আরশ কেঁপেছে। 
(ইবনে তাইমিয়া রা. ও এই কথাই বলেছেন)

এটি সম্পূর্ণ ইলমে গায়ব বা অদৃশ্য জগতের বিষয়। সহীহ হাদীসে এসেছে তাই আমাদেরকে তাতে বিশ্বাস করতে হবে। আল্লাহু আলাম।

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ