Tuesday, December 12, 2017

(৪৮৯) মীকাত থেকে ঋতুবতী অবস্থায় জনৈক নারী ইহরাম বাঁধে। মক্কায় এসে পবিত্র হওয়ার পর পরিধেয় ইহরাম বস্ত্র সে খুলে ফেলে। এর বিধান কি?

(৪৮৯) মীকাত থেকে ঋতুবতী অবস্থায় জনৈক নারী ইহরাম বাঁধে। মক্কায় এসে পবিত্র হওয়ার পর পরিধেয় ইহরাম বস্ত্র সে খুলে ফেলে। এর বিধান কি?


ঋতুবতী অবস্থায় নারী যদি মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধে, তারপর মক্কায় এসে পবিত্র হওয়ার পর পরিধেয় ইহরাম বস্ত্র খুলে ফেলে তাতে কোন অসুবিধা নেই। কারণ কাপড় পরিবর্তন করে ইচ্ছামত যে কোন বৈধ পোষাক পরিধান করা জায়েয। অনুরূপভাবে

(৪৯০) হজ্জের সময় নিকাব দিয়ে নারীর মুখ ঢাকার বিধান কি? আমি একটি হাদীছ পড়েছি যার অর্থ হচ্ছেঃ “ইহরামকারী নারী নেকাব পরবে না এবং হাত মোজা পরিধান করবে না।” আয়েশা (রাঃ)এর অন্য একটি কথা পড়েছি। তিনি বলেন, “আমাদের সামনে কোন পুরুষ এলে আমরা মুখের উপর কাপড় ঝুলিয়ে দিতাম। যখন আমরা ওদের সামনে চলে যেতাম, তখন মুখমন্ডল খুলে রাখতাম” সে সময় তারা হজ্জে ছিলেন। দু’টি হাদীছের মধ্যে সামঞ্জস্য কি?

(৪৯০) হজ্জের সময় নিকাব দিয়ে নারীর মুখ ঢাকার বিধান কি? আমি একটি হাদীছ পড়েছি যার অর্থ হচ্ছেঃ “ইহরামকারী নারী নেকাব পরবে না এবং হাত মোজা পরিধান করবে না।” আয়েশা (রাঃ)এর অন্য একটি কথা পড়েছি। তিনি বলেন, “আমাদের সামনে কোন পুরুষ এলে আমরা মুখের উপর কাপড় ঝুলিয়ে দিতাম। যখন আমরা ওদের সামনে চলে যেতাম, তখন মুখমন্ডল খুলে রাখতাম” সে সময় তারা হজ্জে ছিলেন। দু’টি হাদীছের মধ্যে সামঞ্জস্য কি?


এক্ষেত্রে বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে, হাদীছের মর্ম অনুযায়ী নারী ইহরাম অবস্থায় নেকাব পরবে না। পুরুষ তার সম্মুখে আসুক বা না আসুক কোন অবস্থাতেই তার জন্য নেকাব ব্যবহার করা জায়েয নয়। সে হজ্জে থাক বা ওমরায় । নেকাব নারী সমাজে পরিচিত। আর তা হচ্ছে একটি পর্দা দিয়ে মুখন্ডল ঢেকে নেয়া যাতে দু‘চোখের জন্য আলাদা আলাদা দু’টি ছিদ্র থাকে। কিন্তু আয়েশা (রাঃ) এর হাদীছ নেকাব নিষিদ্ধের হাদীছের সাথে সংঘর্ষপূর্ণ নয়। কেননা আয়েশার হাদীছে একথা বলা হয়নি যে তারা নেকাব পরতেন। বরং

(৪৯১) ভুল ক্রমে অথবা অজ্ঞতা বশতঃ ইহরামের নিষিদ্ধ কোন কাজ করে ফেললে, তার বিধান কি?

(৪৯১) ভুল ক্রমে অথবা অজ্ঞতা বশতঃ ইহরামের নিষিদ্ধ কোন কাজ করে ফেললে, তার বিধান কি?


ইহরামের কাপড় পরিধান করার পর অন্তরে দৃঢ় ইচ্ছা করে ইহরাম না বেঁধে থাকে আর নিষিদ্ধ কোন কাজ করে তবে কোন অসুবিধা নেই। কেননা নিয়ত করে ইহরামে প্রবেশ করাটাই ধর্তব্য। ইহরামের কাপড় পরিধান করা মানেই ইহরাম বাঁধা নয়।
কিন্তু সঠিকভাবে নিয়ত করে ইহরামে প্রবেশ করার পর যদি ভুলক্রমে বা অজ্ঞতা বশতঃ কোন নিষিদ্ধ কাজ করে ফেলে,

(৪৯২) জনৈক ব্যক্তি হজ্জ আদায় করার ক্ষেত্রে ভুলে লিপ্ত হয়েছে। ভুলের কাফ্‌ফারা দেয়ার জন্য তার কাছে তেমন কিছু ছিল না। সে দেশে ফেরত চলে গেছে। উক্ত কাফ্‌ফারা কি নিজ দেশে আদায় করা জায়েয হবে? নাকি মক্কাতেই পাঠাতে হবে? যদি মক্কাতেই পাঠাতে হয়, তবে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়া কি জায়েয হবে?


(৪৯২) জনৈক ব্যক্তি হজ্জ আদায় করার ক্ষেত্রে ভুলে লিপ্ত হয়েছে। ভুলের কাফ্‌ফারা দেয়ার জন্য তার কাছে তেমন কিছু ছিল না। সে দেশে ফেরত চলে গেছে। উক্ত কাফ্‌ফারা কি নিজ দেশে আদায় করা জায়েয হবে? নাকি মক্কাতেই পাঠাতে হবে? যদি মক্কাতেই পাঠাতে হয়, তবে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়া কি জায়েয হবে?


হজ্জ পালনকারী কি ভুল করেছেন তা নির্দিষ্টভাবে অবশ্যই জানতে হবে। যদি কোন ওয়াজিব পরিত্যাগ করে থাকে, তবে ফিদ্‌ইয়া হিসেবে মক্কাতে একটি কুরবানী করতে হবে। মক্কা ছাড়া অন্য কোথাও প্রদান করলে জায়েয হবে না। কেননা তা হজ্জের সাথে সম্পৃক্ত।
কিন্তু যদি ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কোন কাজ ইচ্ছাকৃতভাবে করে থাকে, তবে নিম্নলিখিত তিনটি পদ্ধতির যে কোন একটি অবলম্বন করতে পারেঃ

(৪৯৩) তওয়াফের পূর্বে সাঈ করা কি জায়েয?

(৪৯৩) তওয়াফের পূর্বে সাঈ করা কি জায়েয?


তওয়াফে এফাযার পূর্বে সাঈ করা জায়েয। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুরবানীর দিন একস্থানে দন্ডায়মান হলেন, লোকেরা তাকে প্রশ্ন করতে লাগল। কেউ প্রশ্ন করল, سَعَيْتُ قَبْلَ أَنْ أَطُوفَ  ‘তওয়াফ করার পূর্বে আমি সাঈ করে নিয়েছি।’ তিনি বললেন,

(৪৯৪) রামাযানে বারবার ওমরা করার বিধান কি? এরকম কোন সময় কি নির্দিষ্ট আছে যে, এতদিন পরপর ওমরা করতে হবে?

(৪৯৪) রামাযানে বারবার ওমরা করার বিধান কি? এরকম কোন সময় কি নির্দিষ্ট আছে যে, এতদিন পরপর ওমরা করতে হবে?


রামাযানে বারবার ওমরা করা বিদআত। কেননা এক মাসের মধ্যে বারবার ওমরা করা সালাফে সালেহীন তথা ছাহাবায়ে কেরামের নীতির বিপরীত। এমনকি শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়া (রহঃ) তাঁর ফতোয়ায় উল্লেখ করেছেন, সালাফে সালেহীনের ঐকমত্যে বারবার বেশী পরিমাণে ওমরা করা মাকরূহ। বিশেষ করে যদি ইহা রামাযানে হয়। বিষয়টি যদি পছন্দনীয় হত, তবে তাঁরা তো এব্যাপারে অধিক অগ্রগামী হতেন এবং

(৪৯৫) তওয়াফ চলাবস্থায় যদি নামাযের ইকামত হয়ে যায়, তবে কি করবে? তওয়াফ কি পুনরায় শুরু করবে? পুনরায় শুরু না করলে কোথা থেকে তওয়াফ পূর্ণ করবে?

(৪৯৫) তওয়াফ চলাবস্থায় যদি নামাযের ইকামত হয়ে যায়, তবে কি করবে? তওয়াফ কি পুনরায় শুরু করবে? পুনরায় শুরু না করলে কোথা থেকে তওয়াফ পূর্ণ করবে?


মানুষ যদি ওমরা বা হজ্জ বা বিদায়ী তওয়াফ বা নফল তওয়াফে লিপ্ত থাকে, আর ফরয নামাযের ইকামত হয়ে যায়, তবে তওয়াফ ছেড়ে দিয়ে নামাযের কাতারে শামিল হয়ে যাবে। নামায শেষ হলে যেখান থেকে

(৪৯৬) ওমরায় তওয়াফের পূর্বে সাঈ করার বিধান কি?

(৪৯৬) ওমরায় তওয়াফের পূর্বে সাঈ করার বিধান কি?


ওমরাকারী তওয়াফের পূর্বে যদি সাঈ করার পর তওয়াফ করে থাকে তবে তাকে পুনরায় সাঈ করতে হবে। কেননা দু’টি কাজে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব। প্রথমে তওয়াফ তারপর সাঈ। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরকম সিরিয়ালেই উহা আদায় করেছেন। তিনি বলেন, “তোমরা আমার নিকট থেকে হজ্জ-ওমরার নিয়ম শিখে নাও।” আমরা

(৪৯৭) ইয্‌তেবা’ কাকে বলে? এ কাজ কোন সময় সুন্নাত?

(৪৯৭) ইয্‌তেবা’ কাকে বলে? এ কাজ কোন সময় সুন্নাত?


ইয্‌তেবা’ হচ্ছে গায়ের চাদরকে ডান বগলের নীচ দিয়ে নিয়ে তার উভয় দিক বাম কাঁধের উপর রাখা এবং ডান কাঁধ খোলা রাখা।
তওয়াফে

(৪৯৮) নফল সাঈ করা কি জায়েয আছে?

(৪৯৮) নফল সাঈ করা কি জায়েয আছে?


নফল সাঈ করা জায়েয নয়। কেননা সাঈ শুধুমাত্র হজ্জ-ওমরার সময় শরীয়ত সম্মত। কেননা আল্লাহ্‌ বলেন,

(৪৯৯) অজ্ঞতা বশতঃ তওয়াফে এফাযা ছেড়ে দিলে করণীয় কি?


(৪৯৯) অজ্ঞতা বশতঃ তওয়াফে এফাযা ছেড়ে দিলে করণীয় কি?


তওয়াফে এফাযা (হজ্জের তওয়াফ) হজ্জের অন্যতম রুকন। ইহা আদায় না করলে হজ্জ সম্পন্ন হবে না। কোন মানুষ ইহা ছেড়ে দিলে তার হজ্জ পূর্ণ হল না। ইহা অবশ্যই আদায় করতে হবে- যদিও এজন্য তাকে নিজ দেশে ফিরে আসতে হয়। এই অবস্থায় যেহেতু

(৫০০) অনেক তওয়াফকারীকে দেখা যায় ভীড়ের মধ্যে ঠেলে ঠেলে তাদের নারীদেরকে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করার জন্য পাঠায়। তাদের জন্য কোনটি উত্তম হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করা? নাকি পুরুষদের ভীড় থেকে দূরে অবস্থান করা।

(৫০০) অনেক তওয়াফকারীকে দেখা যায় ভীড়ের মধ্যে ঠেলে ঠেলে তাদের নারীদেরকে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করার জন্য পাঠায়। তাদের জন্য কোনটি উত্তম হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করা? নাকি পুরুষদের ভীড় থেকে দূরে অবস্থান করা।


প্রশ্নকারী যখন এই আশ্চর্য বিষয় দেখেছে, আমি এর চাইতে অধিক আশ্চর্য জনক বিষয় দেখেছি। আমি দেখেছি কিছু লোক ফরয নামাযানে- এক দিকে সালাম ফেরানো হলে দ্বিতীয় সালাম ফেরানোর পূর্বে হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করার জন্য দৌড় দেয়। এতে তো তার ফরয নামাযই বাতিল হয়ে গেল। যে নামায কিনা ইসলামের অন্যতম প্রধান রুকন। অথচ সে এমন একটি কাজ করতে ছুটেছে যা ওয়াজিব নয়। এমনকি তওয়াফ অবস্থায় না থাকলে

(৫০২) ওমরা বা হজ্জকারী যদি দু’আ না জানে, তবে তওয়াফ, সাঈ প্রভৃতির সময় কি কোন বই হাতে নিয়ে দেখে দেখে দু’আ পাঠ করা জায়েয হবে?

(৫০২) ওমরা বা হজ্জকারী যদি দু’আ না জানে, তবে তওয়াফ, সাঈ প্রভৃতির সময় কি কোন বই হাতে নিয়ে দেখে দেখে দু’আ পাঠ করা জায়েয হবে?


হজ্জ বা ওমরাকারী যে সমস্ত দু’আ জানে এগুলোই তার জন্যে যথেষ্ট। কেননা সাধারণতঃ সে যা জানে তা সে বুঝে। আর বুঝে-শুনেই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা উচিৎ। কিন্তু যদি কোন বই হাতে নিয়ে দু’আ পড়ে বা কাউকে ভাড়া নিয়ে তার শিখিয়ে দেয়া দু’আ পড়ে- যার কিছুই সে বুঝে না, তবে তাতে কোনই উপকার হবে না। তাছাড়া বাজারের এই বইগুলোতে তওয়াফ-সাঈর জন্য যে দু’আ নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তা বিদআত এবং বিভ্রান্তি। কোন মুসলমানের জন্য এগুলো পাঠ করা জায়েয নয়। কেননা

(৫০৩) তওয়াফ-সাঈতে কি বিশেষ কোন দু’আ আছে?

(৫০৩) তওয়াফ-সাঈতে কি বিশেষ কোন দু’আ আছে?


হজ্জ-ওমরার জন্য নির্দিষ্ট কোন দু’আ নেই। মানুষ জানা যে কোন দু’আ পাঠ করতে পারবে। কিন্তু নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রমাণিত দু’আ সমূহ পাঠ করা উত্তম। বিশেষ করে রুকনে ইয়ামানী ও হাজরে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে এই দু’আ পাঠ করা সুন্নাতঃ

(৫০৪) ওমরা শেষ করার পর ইহরামের কাপড়ে নাপাকী দেখতে পেলে কি করবে?

(৫০৪) ওমরা শেষ করার পর ইহরামের কাপড়ে নাপাকী দেখতে পেলে কি করবে?


কোন মানুষ ওমরার তওয়াফ ও সাঈ শেষ করার পর যদি ইহরামের কাপড়ে নাপাকী দেখতে পায়, তবে তার তওয়াফ বিশুদ্ধ, সাঈ বিশুদ্ধ তথা ওমরা বিশুদ্ধ। কেননা কারো কাপড়ে যদি তার অজানাতে কোন নাপাকী লেগে থাকে অথবা জানে কিন্তু তা পরিস্কার করতে ভুলে যায় এবং সেই কাপড়ে নামায আদায় করে, তবে তার নামায বিশুদ্ধ। অনুরূপভাবে ঐ কাপড়ে যদি তওয়াফ করে তবে তওয়াফও বিশুদ্ধ। একথার দলীল আল্লাহ্‌র বাণীঃ

(৫০৫) মাক্বামে ইবরাহীমে যে পদচিহ্ন দেখা যায়, তা কি প্রকৃতই ইবরাহীম (আঃ) এর পায়ের চিহ্ন?

(৫০৫) মাক্বামে ইবরাহীমে যে পদচিহ্ন দেখা যায়, তা কি প্রকৃতই ইবরাহীম (আঃ) এর পায়ের চিহ্ন?


সন্দেহ নেই মাক্বামে ইবরাহীম সুপ্রমাণিত। কাঁচে ঘেরা স্থানটিই মাক্বামে ইবরাহীম। কিন্তু এর মধ্যে যে গর্ত দেখা যায় তাতে পায়ের কোন চিহ্ন প্রকাশিত নয়। কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে, বহুকাল পর্যন্ত পাথরের উপর দু’পায়ের চিহ্ন বিদ্যমান ছিল। কিন্তু বর্তমানের এই গর্তটি শুধুমাত্র পরিচয়ের জন্য করা হয়েছে। একথা নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না যে,

(৫০৬) কা’বা শরীফের গিলাফ ধরে দু’আ বা কান্নাকাটি করা জায়েয কি?

(৫০৬) কা’বা শরীফের গিলাফ ধরে দু’আ বা কান্নাকাটি করা জায়েয কি?


কা’বা শরীফের গিলাফ ধরে বরকত কামনা করা বা দু’আ বা কান্নাকাটি করা বিদআত। কেননা এ কাজ নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রমাণিত নেই। মুআবিয়া বিন আবু সুফিয়ান (রাঃ) তওয়াফ করার সময় যখন কা’বা ঘরের প্রতিটি কোণ স্পর্শ করছিলেন, তখন আবদুল্লাহ্‌ বিন আব্বাস (রাঃ) এর প্রতিবাদ করেছেন। মুআবিয়া বললেন,

(৫০৭) ওমরায় মাথা মুন্ডন বা চুল ছোট করার বিধান কি? এ দু’টির মধ্যে কোনটি উত্তম?

(৫০৭) ওমরায় মাথা মুন্ডন বা চুল ছোট করার বিধান কি? এ দু’টির মধ্যে কোনটি উত্তম?


ওমরায় মাথা মুন্ডন বা চুল ছোট করা ওয়াজিব। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হজ্জে মক্কায় আগমণ করে তওয়াফ ও সাঈ করার পর যারা কুরবানী সাথে নিয়ে আসেনি তাদেরকে নির্দেশ দিলেন, তারা যেন মাথার চুল ছোট করে হালাল হয়ে যায়। নবী  (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর এই আদেশ ওয়াজিবের অর্থ বহণ করে। অতএব

(৫০৮) জনৈক হাজী তামাত্তু হজ্জ করতে এসে, ওমরার তওয়াফ ও সাঈ শেষ করে ইহরাম খুলে সাধারণ পোশাক পরিধান করে নিয়েছে। মাথা মুন্ডন করেনি বা চুল ছোট করেনি। হজ্জের যাবতীয় কাজ শেষ করার পর এ সম্পর্কে সে জানতে চেয়েছে। এখন তার করণীয় কি?

(৫০৮) জনৈক হাজী তামাত্তু হজ্জ করতে এসে, ওমরার তওয়াফ ও সাঈ শেষ করে ইহরাম খুলে সাধারণ পোশাক পরিধান করে নিয়েছে। মাথা মুন্ডন করেনি বা চুল ছোট করেনি। হজ্জের যাবতীয় কাজ শেষ করার পর এ সম্পর্কে সে জানতে চেয়েছে। এখন তার করণীয় কি?


এ ব্যক্তি ওমরার একটি ওয়াজিব কাজ পরিত্যাগ করেছে। তা হচ্ছে, চুল খাটো করা বা মাথা মুন্ডন করা। বিদ্বানদের মতে তার উপর ওয়াজিব হচ্ছে ফিদ্‌ইয়া হিসেবে একটি কুরবানী করা। তা

(৫০৯) যে ব্যক্তি তামাত্তু হজ্জের ইহরাম বেঁধে ওমরা শেষ করে চুল কাটেনি বা মুন্ডনও করেনি। পরে হজ্জের সমস্ত কাজ শেষ করেছে তাকে কি করতে হবে?

(৫০৯) যে ব্যক্তি তামাত্তু হজ্জের ইহরাম বেঁধে ওমরা শেষ করে চুল কাটেনি বা মুন্ডনও করেনি। পরে হজ্জের সমস্ত কাজ শেষ করেছে তাকে কি করতে হবে?


এ ব্যক্তি ওমরায় চুল ছোট করা পরিত্যাগ করেছে। যা ওমরার একটি রুকন। বিদ্বানদের মতে ওয়াজিব পরিত্যাগ করলে দম তথা কুরবানী ওয়াজিব হবে। তা মক্কায় যবেহ করে সেখানকার ফকীরদের মাঝে বন্টন করতে হবে। আর এর মাধ্যমে হজ্জ ও ওমরা পূর্ণতা লাভ করবে। মক্কার বাইরে অবস্থান করলে যে কোন

(৫১০) তামাত্তুকারী কুরবানী দিতে পারেনি। হজ্জে সে তিনটি রোযা রেখেছে। কিন্তু হজ্জ থেকে ফিরে এসে সাতটি রোযা রাখেনি। এভাবে তিন বছর কেটে গেছে। তার করণীয় কি?

(৫১০) তামাত্তুকারী কুরবানী দিতে পারেনি। হজ্জে সে তিনটি রোযা রেখেছে। কিন্তু হজ্জ থেকে ফিরে এসে সাতটি রোযা রাখেনি। এভাবে তিন বছর কেটে গেছে। তার করণীয় কি?


তার উপর আবশ্যক হচ্ছে দশ দিনের মধ্যে থেকে অবশিষ্ট সাত দিনের ছিয়াম এখনই

(৫১১) ওমরা করে জনৈক লোক নিজ দেশে গিয়ে মাথা মুন্ডন করেছে। তার ওমরার বিধান কি?

(৫১১) ওমরা করে জনৈক লোক নিজ দেশে গিয়ে মাথা মুন্ডন করেছে। তার ওমরার বিধান কি?


বিদ্বানগণ বলেন, মাথা মুন্ডন করার জন্য নির্দিষ্ট কোন স্থান নেই। মক্কা বা মক্কা ছাড়া অন্য কোন স্থানে মুন্ডন করলে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু মাথা মুন্ডন করার উপর ইহরাম থেকে মুক্ত হওয়া নির্ভর করছে। তাছাড়া মুন্ডন করার পর বিদায়ী তওয়াফ করতে হবে। ওমরার কাজগুলোর ধারাবাহিকতা এরকমঃ ইহরাম, তওয়াফ, সাঈ, মাথা মুন্ডন বা ছোট করা এবং

(৫১২) তামাত্তু হজ্জের ইহরাম বেঁধে ওমরা করে কোন কারণ বশতঃ হজ্জের ইচ্ছা পরিত্যাগ করেছে। তাকে কি কোন কাফ্‌ফারা দিতে হবে?

(৫১২) তামাত্তু হজ্জের ইহরাম বেঁধে ওমরা করে কোন কারণ বশতঃ হজ্জের ইচ্ছা পরিত্যাগ করেছে। তাকে কি কোন কাফ্‌ফারা দিতে হবে?


তাকে কোন কাফ্‌ফারা দিতে হবে না। কেননা তামাত্তুকারী ওমরার ইহরাম বাঁধার পর ওমরা পূর্ণ করে যদি হজ্জের ইচ্ছা পরিত্যাগ করে তাতে কোন অসুবিধা নেই।  কেননা দু’টি কাজ আলাদা আলাদা ইহরামে সম্পাদন করতে হয়। হ্যাঁ,

(৫১৩) তামাত্তু হজ্জের ইহরাম বাঁধার পর ওমরা শেষ করে অজ্ঞতা বশতঃ হালাল হয়নি। এভাবে হজ্জের কাজ শেষ করে কুরবানী করেছে। তার করণীয় কি? তার হজ্জ কি বিশুদ্ধ?

(৫১৩) তামাত্তু হজ্জের ইহরাম বাঁধার পর ওমরা শেষ করে অজ্ঞতা বশতঃ হালাল হয়নি। এভাবে হজ্জের কাজ শেষ করে কুরবানী করেছে। তার করণীয় কি? তার হজ্জ কি বিশুদ্ধ?


জানা আবশ্যক যে, কোন মানুষ তামাত্তু হজ্জের ইহরাম বাঁধলে তার উপর ওয়াজিব হচ্ছে, তওয়াফ, সাঈ শেষ করে মাথার চুল খাটো করে হালাল হয়ে যাওয়া। কিন্তু ওমরার তওয়াফ শুরু করার পূর্বে যদি হজ্জের নিয়ত করে ফেলে এবং ইহরাম খোলার ইচ্ছা না করে, তবে কোন অসুবিধা নেই। এ অবস্থায় তার হজ্জ কেরাণ হজ্জে পরিণত হবে। তার কুরবানীও হবে কেরাণ হজ্জের কুরবানী।
কিন্তু যদি ওমরার নিয়তেই থাকে এমনকি তওয়াফ-সাঈ শেষ করে ফেলে, তবে

(৫১৪) আরাফাত থেকে ফেরার পথে একদল লোক মুযদালিফার রাস্তা হারিয়ে ফেলে। রাত একটার দিকে তারা মাগরিব ও এশা ছালাত আদায় করে। মুযদালিফা পৌঁছার সময় ফজরের আযান হয়ে যায়। সেখানে তারা ফজর নামায আদায় করে। এখন তাদেরকে কি কোন জরিমানা দিতে হবে?

(৫১৪) আরাফাত থেকে ফেরার পথে একদল লোক মুযদালিফার রাস্তা হারিয়ে ফেলে। রাত একটার দিকে তারা মাগরিব ও এশা ছালাত আদায় করে। মুযদালিফা পৌঁছার সময় ফজরের আযান হয়ে যায়। সেখানে তারা ফজর নামায আদায় করে। এখন তাদেরকে কি কোন জরিমানা দিতে হবে?


এদেরকে কোন ফিদ্‌ইয়া বা জরিমানা দিতে হবেনা। কেননা তারা ফজরের আযানের সময় মুযদালিফায় প্রবেশ করেছে এবং সেখানে অন্ধকার থাকতেই ফজর ছালাত আদায় করেছে। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রমাণিত আছে। তিনি বলেন,

(৫১৫) জনৈক নারী মুযদালিফা থেকে শেষ রাত্রে যাত্রা করেছে। এবং সামর্থ থাকা সত্বেও নিজের ছেলেকে তার পক্ষ থেকে কঙ্কর নিক্ষেপের দায়িত্ব প্রদান করেছে। এর বিধান কি?

(৫১৫) জনৈক নারী মুযদালিফা থেকে শেষ রাত্রে যাত্রা করেছে। এবং সামর্থ থাকা সত্বেও নিজের ছেলেকে তার পক্ষ থেকে কঙ্কর নিক্ষেপের দায়িত্ব প্রদান করেছে। এর বিধান কি?


হজ্জের কার্যাদির মধ্যে অন্যতম কাজ হচ্ছে কঙ্কর নিক্ষেপ করা। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একাজের নির্দেশ দিয়েছেন এবং নিজে কঙ্কর নিক্ষেপ করেছেন। তিনি বলেন,
إِنَّمَا جُعِلَ الطَّوَافُ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَرَمْيُ الْجِمَارِ لِإِقَامَةِ ذِكْرِ اللَّهِ
“আল্লাহর ঘরের তওয়াফ, সাফা-মারওয়ার সাঈ ও জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ প্রভৃতির লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহর যিকির প্রতিষ্ঠা করা।” এটি একটি ইবাদত। মানুষ এর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য কামনা করবে। তাঁর যিকিরকে প্রতিষ্ঠিত করবে। যেহেতু

(৫১৬) জনৈক হাজী পূর্ব দিক থেকে জামরা আক্বাবায় কঙ্কর মেরেছে। কিন্তু তা হাওয বা গর্তের মধ্যে পড়েনি। ঘটনাটি ছিল ১৩ তারিখে। তাকে কি তিনটি জামরাতেই পুনরায় কঙ্কর মারতে হবে?

(৫১৬) জনৈক হাজী পূর্ব দিক থেকে জামরা আক্বাবায় কঙ্কর মেরেছে। কিন্তু তা হাওয বা গর্তের মধ্যে পড়েনি। ঘটনাটি ছিল ১৩ তারিখে। তাকে কি তিনটি জামরাতেই পুনরায় কঙ্কর মারতে হবে?


সবগুলো স্থানে তাকে পুনরায় কঙ্কর মারতে হবে না; বরং যে ক্ষেত্রে ভুল করেছে সেটাই শুধু পুনরায় মারবে। অতএব শুধুমাত্র জামরা আক্বাবায় পুনরায় কঙ্কর মারবে। সঠিক পদ্ধতিতে মারবে। পূর্ব দিক থেকে মারলে যদি হাওযে কঙ্কর না পড়ে তবে

(৫১৭) সাতটি কঙ্করের মধ্যে থেকে যদি একটি বা দু’টি কঙ্কর জামরায় না পড়ে এবং এ ভাবে এক বা দু’দিন অতিবাহিত হয়ে যায়, তবে কি তাকে সবগুলো জামরায় পুনরায় কঙ্কর মারতে হবে?

(৫১৭) সাতটি কঙ্করের মধ্যে থেকে যদি একটি বা দু’টি কঙ্কর জামরায় না পড়ে এবং এ ভাবে এক বা দু’দিন অতিবাহিত হয়ে যায়, তবে কি তাকে সবগুলো জামরায় পুনরায় কঙ্কর মারতে হবে?


যদি কারো কোন জামরায় একটি বা দু’টি পাথর নিক্ষেপ বাকী থাকে, তবে ফিক্বাহবিদগণ বলেন, যদি এটা শেষ জামরায় হয়ে থাকে, তবে শুধু বাকীটা মেরে দিলেই হয়ে যাবে, পূর্বেরগুলো আর মারতে হবেনা। কিন্তু যদি প্রথম বা মধ্যবর্তী জামরার কোন একটিতে এক বা একাধিক পাথর মারা বাকী থাকে, তবে সেটা পূর্ণ করবে এবং

(৫১৮) কেউ কেউ বলেন, যে কঙ্কর একবার নিক্ষিপ্ত হয়েছে তা নাকি আবার নিক্ষেপ করা যাবে না। এ কথাটি কি ঠিক? এর কোন দলীল আছে কি?

(৫১৮) কেউ কেউ বলেন, যে কঙ্কর একবার নিক্ষিপ্ত হয়েছে তা নাকি আবার নিক্ষেপ করা যাবে না। এ কথাটি কি ঠিক? এর কোন দলীল আছে কি?


একথা সঠিক নয়। কেননা যারা নিক্ষিপ্ত কঙ্কর পুনরায় নিক্ষেপ করতে নিষেধ করেন তাদের যুক্তি হচ্ছেঃ
১)      নিক্ষিপ্ত কঙ্কর (মায়ে মুস্তা’মাল) তথা ব্যবহৃত পানির মত। ফরয পবিত্রতায় যদি কোন পানি ব্যবহার করা হয়, তবে ব্যবহৃত পানিটা পবিত্র থাকে কিন্তু সে পানি অন্যকে পবিত্র করতে পারে না।
২)      বিষয়টি ক্রীতদাসের মত। কাফ্‌ফারা প্রভৃতিতে যদি তাকে মুক্ত করে দেয়া হয়, তবে তো তাকে আবার মুক্ত করা যাবে না।
৩)      এতে বুঝা যায় সমস্ত হাজীর জন্য একটি মাত্র পাথর মারাই জায়েয হবে। আপনি পাথরটি মারবেন, তারপর আবার সেটা নিবেন এবং

(৫১৯) তওয়াফে এফাযার পূর্বে হজ্জের সাঈ করা কি জায়েয?

(৫১৯) তওয়াফে এফাযার পূর্বে হজ্জের সাঈ করা কি জায়েয?


হাজী সাহেব যদি ইফরাদ বা কেরাণকারী হয়, তবে তার জন্য তওয়াফে এফাযার পূর্বে হজ্জের সাঈ করা জায়েয আছে। তওয়াফে কুদুমের পর পরই উহা আদায় করে নিবে। যেমনটি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর ছাহাবীদের মধ্যে যারা কুরবানী সাথে নিয়ে এসেছিলেন তারা করেছিলেন।
কিন্তু তামাত্তুকারী হলে তাকে দু’বার সাঈ করতে হবে। প্রথমবার মক্কায় আগমণ করে ওমরার জন্য। প্রথমে তওয়াফ করবে, তারপর সাঈ করে চুল খাট করে হালাল হয়ে যাবে। আর দ্বিতীয়বার সাঈ করবে (আরাফাত দিবসের পর) হজ্জের জন্য। উত্তম হচ্ছে

(৫২০) কখন জামরা আক্বাবায় কঙ্কর মারলে আদায় হবে? এবং কখন মারলে কাযা মারা হবে?

(৫২০) কখন জামরা আক্বাবায় কঙ্কর মারলে আদায় হবে? এবং কখন মারলে কাযা মারা হবে?


ঈদের দিন সর্বসাধারণের জন্য কঙ্কর মারার সময় হচ্ছে, সূর্য উঠার পর থেকে শুরু হবে। আর দুর্বলদের জন্য এ সময় শুরু হবে শেষ রাত থেকে। কঙ্কর মারার শেষ সময় হচ্ছে পরবর্তী দিন ১১ তারিখ ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত। কিন্তু যদি উক্ত সময়ের মধ্যে মারা সম্ভব না হয়, তবে আইয়ামে তাশরীকের দিনগুলোতে (১১, ১২ ও ১৩ তারিখ) যে সময় কঙ্কর মারা শুরু হবে সে সময়ই

(৫২১) বিশেষ করে ঈদের দিনের তওয়াফের পূর্বে সাঈ করা কি জায়েয?

(৫২১) বিশেষ করে ঈদের দিনের তওয়াফের পূর্বে সাঈ করা কি জায়েয?


সঠিক কথা হচ্ছে ঈদের দিন বা অন্য দিনে কোন পার্থক্য নেই। সর্বাবস্থায় তওয়াফের পূর্বে সাঈ করা জায়েয আছে। এমনকি ঈদের দিনের পরও যদি হয়। কেননা হাদীছের সাধারণ অর্থ

(৫২২) সাঈ আবশ্যক ছিল কিন্তু তওয়াফ করার পর সরাসরি সাঈ না করে বাইরে বেরিয়ে গেছে। পরে তাকে বিষয়টি জানানো হলো, সে কি এখন শুধু সাঈ করবে? নাকি পুনরায় তওয়াফ করার পর সরাসরি সাঈ করবে?

(৫২২) সাঈ আবশ্যক ছিল কিন্তু তওয়াফ করার পর সরাসরি সাঈ না করে বাইরে বেরিয়ে গেছে। পরে তাকে বিষয়টি জানানো হলো, সে কি এখন শুধু সাঈ করবে? নাকি পুনরায় তওয়াফ করার পর সরাসরি সাঈ করবে?


কোন মানুষ যদি তওয়াফ করে এই বিশ্বাসে যে তাকে সাঈ করতে হবে না। কিন্তু পরে তাকে জানানো হল যে, তাকে অবশ্যই সাঈ করতে হবে। তখন সে শুধুমাত্র সাঈ করলেই হয়ে যাবে। পুনরায় তাওয়াফ করার দরকার নেই। কেননা তাওয়াফের পর পরই সাঈ করতে এরকম কোন শর্ত নেই।
এমনকি

(৫২৩) ওমরায় যে ব্যক্তি মাথার এদিক ওদিক থেকে অল্প করে চুল কাটে, তার সম্পর্কে আপনার মতামত কি?

(৫২৩) ওমরায় যে ব্যক্তি মাথার এদিক ওদিক থেকে অল্প করে চুল কাটে, তার সম্পর্কে আপনার মতামত কি?


আমি মনে করি এ লোকের চুল খাটো করা সম্পন্ন হয়নি। তার উপর ওয়াজিব হচ্ছে ইহরামের কাপড় পুনরায় পরিধান করে বিশুদ্ধভাবে মাথার সম্পূর্ণ অংশ থেকে চুল খাটো করা তারপর হালাল হওয়া।
এ উপলক্ষে আমি সতর্ক করতে চাই, কোন কাজের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করতে চাইলে সে সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা ওয়াজিব। আল্লাহ্‌ এবং তাঁর রাসূলের সীমারেখা জানা আবশ্যক। যাতে করে জেনে-শুনে আল্লাহ্‌র ইবাদত করতে পারে। ইবাদতটি যেন অজ্ঞতার সাথে না হয়। এজন্য আল্লাহ্‌ তা’আলা স্বীয় নবী মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলেছেনঃ

(৫২৪) কঙ্কর মারার সময় কি?

(৫২৪) কঙ্কর মারার সময় কি?


জামরা আক্বাবায় কঙ্কর মারার সময় হচ্ছে ঈদের দিন। সামর্থবান লোকদের জন্য এ সময় শুরু হবে ঈদের দিন সূর্যোদয়ের পর থেকে। আর মানুষের ভীড় সহ্য করতে পারবে না এরকম দুর্বল, নারী, শিশু, প্রভৃতির জন্য সময় হচ্ছে ঈদের দিন শেষ রাত থেকে। আসমা বিনতে আবু বকর (রাঃ) ঈদের রাতে চাঁদ অস্ত যাওয়ার অপেক্ষা করতেন। চাঁদ অস্ত গেলেই মুযদালিফা ছেড়ে মিনা রওয়ানা হতেন এবং জামরা আক্বাবায় কঙ্কর মারতেন। আর এর শেষ সময় হচ্ছে ঈদের দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত। কিন্তু যদি ভীড় প্রচন্ড থাকার কারণে বা জামরা থেকে দূরে অবস্থানের কারণে রাতে কঙ্কর মারে তবে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু পরবর্তী দিন ১১ তারিখের ফজর পর্যন্ত যেন বিলম্ব না করে।
আইয়্যামে তাশরীক তথা

(৫২৫) জনৈক হাজী আরাফাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় মীনায় রাত কাটায়নি, কঙ্কর নিক্ষেপ করেনি এবং তাওয়াফে এফাযাও করেনি। তাকে এখন কি করতে হবে?

(৫২৫) জনৈক হাজী আরাফাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় মীনায় রাত কাটায়নি, কঙ্কর নিক্ষেপ করেনি এবং তাওয়াফে এফাযাও করেনি। তাকে এখন কি করতে হবে?


আরাফাতের ময়দানে যে লোকটি অসুস্থ হয়েছে, তার অসুখ যদি এমন পর্যায়ের হয় যে, হজ্জের অবশিষ্ট কাজ পূর্ণ করা তার জন্য অসম্ভব, আর ইহরামের পূর্বে সে শর্ত করেছে (‘যদি আমি বাধাগ্রস্ত হই তবে যেখানে বাধাগ্রস্ত সেখানেই হালাল হয়ে যাব’ এরূপ কথা বলেছে।) তবে সে ইহরাম খুলে হালাল হয়ে যাবে কোন অসুবিধা হবে না। কিন্তু এটা ফরয হজ্জ হলে পরবর্তী বছর পুনরায় তা আদায় করতে হবে। আর ইহরাম বাঁধার সময় যদি শর্ত না করে থাকে এবং হজ্জের কাজ পূর্ণ করতে সক্ষম না হয়, তবে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী সে ইহরাম খুলে হালাল হয়ে যাবে। কিন্তু তাকে কুরবানী যবেহ করতে হবে। আল্লাহ্‌ বলেনঃ

(৫২৬) মুযদালিফার সীমা সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে বাইরে অবস্থান করলে করণীয় কি?

(৫২৬) মুযদালিফার সীমা সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে বাইরে অবস্থান করলে করণীয় কি?


বিদ্বানদের মতে তাকে ফিদ্‌ইয়া স্বরূপ একটি দম দিতে হবে অর্থাৎ- একটি কুরবানী যবেহ করতে হবে এবং উহা মক্কার ফক্বীরদের মাঝে বিতরণ করতে হবে। কেননা সে হজ্জের একটি ওয়াজিব পরিত্যাগ করেছে।
এ উপলক্ষে আমি সম্মানিত হাজী ভাইদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, হজ্জে এসে আরাফাত ও মুযদালিফার সীমনা সম্পর্কে আপনারা সতর্ক থাকবেন। দেখা যায়, অনেক হাজী আরাফাতের সীমানার বাইরে অবস্থান করেন এবং

(৫২৭) এফরাদ হজ্জকারী যদি তওয়াফে কুদূমের সাথে সাঈ করে নেয়, তবে তওয়াফে এফাযার পর তাকে কি আবার সাঈ করতে হবে?

(৫২৭) এফরাদ হজ্জকারী যদি তওয়াফে কুদূমের সাথে সাঈ করে নেয়, তবে তওয়াফে এফাযার পর তাকে কি আবার সাঈ করতে হবে?


তাওয়াফে এফাযার পর তাকে আর সাঈ করতে হবে না। কেননা তার ওমরা নেই। সুতরাং তওয়াফে কুদূমের সাথে সে যদি সাঈ করে থাকে, তবে

(৫২৮) ক্বিরাণকারীর জন্য একটি তওয়াফ ও একটি সাঈ যথেষ্ট হবে?

(৫২৮) ক্বিরাণকারীর জন্য একটি তওয়াফ ও একটি সাঈ যথেষ্ট হবে?


কোন মানুষ যদি ক্বিরাণ হজ্জ করতে চায়, তবে তার তওয়াফে এফাযা বা হজ্জের তওয়াফ ও হজ্জের সাঈ ওমরা ও হজ্জ উভয়টির জন্য যথেষ্ট হবে। তখন তওয়াফে কুদূম তার জন্য সুন্নাত। সে ইচ্ছা করলে হজ্জের সাঈ তওয়াফে কুদূমের পরপরই আদায় করে নিতে পারে। যেমনটি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) করেছিলেন। ইচ্ছা করলে সাঈ বাকী রেখে তওয়াফে এফাযার পর করতে পারে। কিন্তু পূর্বেই করে নেয়া উত্তম। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ করেছিলেন। অতঃপর

(৫২৯) জনৈক ব্যক্তি রাত বরোটা পর্যন্ত মিনায় অবস্থান করে মক্কা চলে গেছে, ফজরের পূর্বে আর মিনায় ফেরত আসেনি। তার বিধান কি?

(৫২৯) জনৈক ব্যক্তি রাত বরোটা পর্যন্ত মিনায় অবস্থান করে মক্কা চলে গেছে, ফজরের পূর্বে আর মিনায় ফেরত আসেনি। তার বিধান কি?


রাত বারোটা যদি মধ্য রাত্রি হয়, তবে তারপর মিনা থেকে বের হলে কোন অসুবিধা নেই। যদিও উত্তম হচ্ছে রাত ও দিনের পূর্ণ অংশ মিনাতেই অবস্থান করা। আর রাত বারোটা যদি মধ্য রাত্রি না হয় তবে বের হওয়া জায়েয হবে না। কেননা

(৫৩০) ১২ তারিখে সূর্যাস্তের পূর্বে মিনা ত্যাগ করার পর কাজ থাকার কারণে কেউ যদি সূর্যাস্তের পর আবার মিনায় ফিরে আসে। এখন কি মিনায় রাত থাকা তার উপর আবশ্যক হয়ে যাবে?

(৫৩০) ১২ তারিখে সূর্যাস্তের পূর্বে মিনা ত্যাগ করার পর কাজ থাকার কারণে কেউ যদি সূর্যাস্তের পর আবার মিনায় ফিরে আসে। এখন কি মিনায় রাত থাকা তার উপর আবশ্যক হয়ে যাবে?


না, মিনায় রাত থাকা তার উপর আবশ্যক হবে না। সে তাড়াহুড়াকারী হিসেবে গণ্য হবে। কেননা সে হজ্জের যাবতীয় কার্যাদী সম্পন্ন করে ফেলেছে। কাজের জন্য মিনায় ফিরে আসা তাড়াহুড়ার পরিপন্থী নয়। কেননা

(৫৩১) সঊদী আরবের বাইরে অবস্থান করে এমন জনৈক হাজী হজ্জের কাজ সম্পাদন করেছে। জিলহজ্জের ১৩ তারিখে আছর তথা বিকাল চারটার সময় তার সফরের সময় নির্দিষ্ট। কিন্তু ১২ তারিখ কঙ্কর মারার পর সে মিনা থেকে বের হয়নি। ১৩ তারিখের রাত সেখানেই অবস্থান করেছে। এখন ১৩ তারিখ সকালে কঙ্কর মেরে মিনা থেকে বের হওয়া তার জন্য জায়েয হবে কি? উল্লেখ্য যে, যোহরের পর কঙ্কর মেরে বের হলে নির্ঘাত তার সফর বাতিল হয়ে যাবে, ফলে সে বিরাট অসুবিধায় পড়বে। এর উত্তর যদি না জায়েয হয়, তবে যোহরের পূর্বে কঙ্কর মারার ব্যাপারে কি কোন মত পাওয়া যায় না?

(৫৩১) সঊদী আরবের বাইরে অবস্থান করে এমন জনৈক হাজী হজ্জের কাজ সম্পাদন করেছে। জিলহজ্জের ১৩ তারিখে আছর তথা বিকাল চারটার সময় তার সফরের সময় নির্দিষ্ট। কিন্তু ১২ তারিখ কঙ্কর মারার পর সে মিনা থেকে বের হয়নি। ১৩ তারিখের রাত সেখানেই অবস্থান করেছে। এখন ১৩ তারিখ সকালে কঙ্কর মেরে মিনা থেকে বের হওয়া তার জন্য জায়েয হবে কি? উল্লেখ্য যে, যোহরের পর কঙ্কর মেরে বের হলে নির্ঘাত তার সফর বাতিল হয়ে যাবে, ফলে সে বিরাট অসুবিধায় পড়বে। এর উত্তর যদি না জায়েয হয়, তবে যোহরের পূর্বে কঙ্কর মারার ব্যাপারে কি কোন মত পাওয়া যায় না?


কোন অবস্থাতেই যোহরের পূর্বে কঙ্কর মারা জায়েয নয়। জরূরী অবস্থা হিসেবে কঙ্কর নিক্ষেপ করা রহিত হবে না। তবে তার সমাধান হচ্ছে এ অবস্থায় কঙ্কর না মেরেই সে চলে যাবে এবং তার ফিদিয়া প্রদান করবে। আর তা হচ্ছে মক্কা বা মিনায় একটি কুরবানী করবে অথবা কাউকে এর দায়িত্ব প্রদান করবে। এবং উক্ত কুরবানী সেখানকার ফকীরদের মাঝে বিতরণ করে দিবে। এরপর বিদায়ী তওয়াফ করে মক্কা ত্যাগ করবে।
হ্যাঁ,

(৫৩২) জনৈক ব্যক্তি ১২ তারিখে কঙ্কর না মেরেই মিনা ছেড়েছে এ ধারণায় যে, এটাই অনুমদিত তাড়াহুড়া। এবং বিদায়ী তওয়াফও করেনি। তার হজ্জের কি হবে?

(৫৩২) জনৈক ব্যক্তি ১২ তারিখে কঙ্কর না মেরেই মিনা ছেড়েছে এ ধারণায় যে, এটাই অনুমদিত তাড়াহুড়া। এবং বিদায়ী তওয়াফও করেনি। তার হজ্জের কি হবে?


তার হজ্জ বিশুদ্ধ। কেননা সে হজ্জের কোন রুকন পরিত্যাগ করেনি। কিন্তু সে তিনটি ওয়াজিব পরিত্যাগ করেছে- যদি ১২ তারিখের রাত মিনায় না কাটিয়ে থাকে।
প্রথম ওয়াজিবঃ ১২ তারিখের রাত মিনায় কাটানো।
দ্বিতীয় ওয়াজিবঃ ১২ তারিখে কঙ্কর নিক্ষেপ করা।
তৃতীয় ওয়াজিবঃ বিদায়ী তওয়াফ।
তার উপর আবশ্যক হচ্ছে প্রতিটি ছেড়ে দেয়া ওয়াজিবের বিনিময়ে

(৫৩৩) মিনায় স্থান না পাওয়ার কারণে কোন লোক যদি সেখানে শুধুমাত্র রাতের বেলায় আগমণ করে মধ্য রাত্রি পর্যন্ত অবস্থান করে। তারপর মক্কা চলে যায় এবং রাত ও দিনের অবশিষ্ট অংশ তথায় অবস্থান করে তবে কি হবে?


(৫৩৩) মিনায় স্থান না পাওয়ার কারণে কোন লোক যদি সেখানে শুধুমাত্র রাতের বেলায় আগমণ করে মধ্য রাত্রি পর্যন্ত অবস্থান করে। তারপর মক্কা চলে যায় এবং রাত ও দিনের অবশিষ্ট অংশ তথায় অবস্থান করে তবে কি হবে?


তার এই কাজ যথেষ্ট হবে। কিন্তু এর বিপরীত করাই উত্তম। উচিৎ হচ্ছে, হাজী সাহেব রাত ও দিনের পূরা সময় মিনাতেই অতিবাহিত করবে। ভালভাবে অনুসন্ধান করার পরও যদি কোন মতেই মিনার অভ্যন্তরে স্থান করতে না পারে, তবে সর্বশেষ (খীমা বা) তাঁবুর সংলগ্ন স্থানে তাঁবু করে সেখানে অবস্থান করবে যদিও তা মিনার বাইরে পড়ে। বর্তমান যুগের কোন কোন বিদ্বান মত প্রকাশ করেছেন যে,

(৫৩৪) জনৈক ব্যক্তি সকালে বিদায়ী তওয়াফ করে ঘুমিয়ে পড়ে এবং আছরের পর সফর করার ইচ্ছা করে। তাকে কি কিছু করতে হবে?

(৫৩৪) জনৈক ব্যক্তি সকালে বিদায়ী তওয়াফ করে ঘুমিয়ে পড়ে এবং আছরের পর সফর করার ইচ্ছা করে। তাকে কি কিছু করতে হবে?


হজ্জ ও ওমরা উভয় ক্ষেত্রে তাকে পুনরায় বিদায়ী তওয়াফ করতে হবে। কেননা নবী (সাঃ) বলেনঃ
لا يَنْفِرَنَّ أَحَدٌ حَتَّى يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِ بِالْبَيْتِ
“সর্বশেষ কাজ বায়তুল্লাহ্‌র তওয়াফ না করে কেউ যেন বের না হয়।” একথাটি নবীজি বিদায় হজ্জে বলেছেন। সুতরাং বিদায়ী তওয়াফের বিধান সেই সময় থেকে শুরু হয়েছে। একথা বলা ঠিক হবে না যে, নবী তো বিদায় হজ্জের পূর্বে ওমরা করেছেন কিন্তু বিদায়ী তওয়াফ তো করেননি। কেননা বিদায়ী তওয়াফের আবশ্যকতার নির্দেশ তো বিদায় হজ্জে পাওয়া গেছে। আর তিনি এরশাদ করেছেন:

(৫৩৫) ওমরাকারীর জন্য বিদায়ী তওয়াফ করার বিধান কি?

(৫৩৫) ওমরাকারীর জন্য বিদায়ী তওয়াফ করার বিধান কি?


ওমরাকারী মক্কা আগমণ করার সময় যদি নিয়ত করে যে, তওয়াফ, সাঈ ও মাথা মুন্ডন তথা ওমরার কার্যাদী সম্পন্ন করার সাথে সাথে ফেরত চলে যাবে, তবে তাকে বিদায়ী তওয়াফ করতে হবেনা। কেননা তওয়াফে কুদূমই তার জন্য ওমরার তওয়াফ ও বিদায়ী তওয়াফ হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু ওমরা সম্পন্ন করার পর যদি মক্কায় অবস্থান করে তবে প্রাধান্যযোগ্য মত হচ্ছে, বিদায়ী তওয়াফ করা ওয়াজিব। একথার দীলল নিম্নরূপঃ
প্রথমতঃ নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ব্যাপক নির্দেশঃ

(৫৩৬) জনৈক ব্যক্তি মীক্বাত থেকে হজ্জের ইহরাম বেঁধেছে। কিন্তু মক্কা পৌঁছে সে প্রশাসন (ডিউটি পুলিশ) কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হয়। কেননা সে হজ্জের অনুমতি পত্র নেয়নি। এখন তার করণীয় কি?

(৫৩৬) জনৈক ব্যক্তি মীক্বাত থেকে হজ্জের ইহরাম বেঁধেছে। কিন্তু মক্কা পৌঁছে সে প্রশাসন (ডিউটি পুলিশ) কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হয়। কেননা সে হজ্জের অনুমতি পত্র নেয়নি। এখন তার করণীয় কি?


এ অবস্থায় মক্কা প্রবেশ করতে না পারলে সে ‘মুহছার’ বা বাধাগ্রস্ত বলে বিবেচিত হবে। তখন বাধাপ্রাপ্ত স্থানে কুরবানী যবেহ করে সে ইহরাম খুলে ফেলবে। যদি ইহা তার প্রথম ফরয হজ্জ হয়ে থাকে তবে পরবর্তী বছর তা আদায় করবে। আর ফরয না হয়ে থাকলে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী পরবর্তী বছর তা আদায় করার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হুদায়বিয়ার বছরে বাধাপ্রাপ্ত হলে পরবর্তী বছর তা কাযা আদায় করার নির্দেশ প্রদান করেননি। অতএব আল্লাহর কিতাবে ও রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সুন্নাতে বাধাপ্রাপ্ত হজ্জ বা ওমরা কাযা আদায় করার বাধ্যবাধকতা নেই। আল্লাহ্‌ বলেন,

(৫৩৭) হজ্জের ইচ্ছা করার পর যদি তাকে নিষেধ করে দেয়া হয়, তবে তার করণীয় কি?

(৫৩৭) হজ্জের ইচ্ছা করার পর যদি তাকে নিষেধ করে দেয়া হয়, তবে তার করণীয় কি?


যদি সে ইহরাম না করে থাকে তবে কোন অসুবিধা নেই। কোন কিছু তার উপর আবশ্যক হবে না। কেননা কোন লোক ইহরামে প্রবেশ করার পূর্ব পর্যন্ত ইচ্ছা করলে সম্মুখে অগ্রসর হতে পারে, ইচ্ছা করলে নিজ ঠিকানায় ফেরত আসতে পারে। কিন্তু হজ্জ ফরয হলে, যতদ্রুত সম্ভব আদায় করে নেয়া ভাল।
আর ইহরামে প্রবেশ করার পর বাধাগ্রস্ত হলে যদি ইহরাম বাধার সময় শর্ত করে থাকে এই বলে, “আল্লাহুম্মা ইন্‌ হাবাসানী হাবেস্‌, ফা মাহেল্লী হায়ছু হাবাস্‌তানী”,

(৫৩৮) হজ্জ করতে এসে পাপের কাজে লিপ্ত হলে কি হজ্জের ছওয়াব কমে যাবে?

(৫৩৮) হজ্জ করতে এসে পাপের কাজে লিপ্ত হলে কি হজ্জের ছওয়াব কমে যাবে?


সাধারণভাবে সবধরণের পাপকাজ হজ্জের ছওয়াব হরাস করে দেয়। কেননা আল্লাহ্‌ বলেন,
]فَمَنْ فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي الْحَجِّ[
“যে ব্যক্তি ঐ মাসগুলোর মধ্যে হজ্জের সংকল্প করবে, সে স্ত্রী সহবাস, গর্হিত কাজ ও ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হতে পারবে না।” (সূরা বাক্বারাঃ ১৯৭)
বরং বিদ্বানদের মধ্যে কেউ বলেছেন,

(৫৩৯) মিথ্যা পাসপোর্ট বানিয়ে হজ্জ করলে হজ্জ হবে কি?

(৫৩৯) মিথ্যা পাসপোর্ট বানিয়ে হজ্জ করলে হজ্জ হবে কি?


তার হজ্জ হয়ে যাবে। হজ্জ বিশুদ্ধ হবে। কেননা পাসপোর্ট নকল করা হজ্জের কর্ম সমূহের অন্তর্ভুক্ত নয়। এটা হজ্জের বাইরের কাজ। কিন্তু একাজের কারণে সে গুনাহগার হবে। তাকে তওবা করা উচিৎ। কেননা স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বা প্রশাসনকে ধোঁকা দেয়া একটি মারাত্মক অপরাধ ও বড় গুনাহর কাজ।
জেনে রাখা উচিৎ,

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ