Wednesday, October 18, 2017

হারাম ও কবিরা গুনাহ্’র কিছু ছুতানাতা !!

গুনাহ্’র কিছু ছুতানাতা
অনেকেই মনে করে থাকেন, গুনাহ্ করতেই থাকবো। আর সকাল-বিকাল ‘‘সুব্হানাল্লাহি ওয়া বিহাম্দিহী’’ ১০০ বার বলে দেবো। তখন সকল গুনাহ্ মাফ হয়ে যাবে অথবা এক বার হজ্জ করে ফেলবো তা হলে পূর্বের সকল গুনাহ্ মাফ হয়ে যাবে।
তাদেরকে আমরা জিজ্ঞাসা করবো, আপনি শুধু আল্লাহ্ তা‘আলার রহমত ও দয়ার আয়াত এবং এ সংক্রান্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীসগুলোই দেখছেন। কুর‘আন ও হাদীসে কি আল্লাহ্ তা‘আলার শাস্তির কোন উল্লেখ নেই? সুতরাং

হারাম ও কবিরা গুনাহ গ্রন্থ ভূমিকা !

হারাম ও কবিরা গুনাহ গ্রন্থ ভূমিকা!
নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা আল্লাহ্ তা‘আলার জন্য। আমরা সবাই তাঁরই প্রশংসা করছি, তাঁরই নিকট সাহায্য ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁরই নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি প্রবৃত্তির অনিষ্ট ও খারাপ আমল থেকে। যাকে আল্লাহ্ তা‘আলা হিদায়াত দিবেন তাকে পথভ্রষ্ট করার আর কেউ নেই এবং যাকে আল্লাহ্ তা‘আলা পথভ্রষ্ট করবেন তাকে হিদায়াত দেয়ারও আর কেউ নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ তা‘আলা ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্ তা‘আলার বান্দাহ্ ও একমাত্র তাঁরই প্রেরিত রাসূল।
আল্লাহ্ তা‘আলা মানুষের উপর যা যা ফরয করে দিয়েছেন তা অবশ্যই করতে হবে এবং যা যা হারাম করে দিয়েছেন তা অবশ্যই ছাড়তে হবে।
আবূ সা’লাবাহ্ খুশানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

ইসলামে দৃষ্টিতি গর্ভ ও জন্মনিয়ন্ত্রণ করার বিধান কি?

গর্ভ ও জন্মনিয়ন্ত্রণ
সন্তান এক সম্পদ। নিঃস্ব হলেও সন্তানের আকাঙ্ক্ষা প্রত্যেক মা-বাপের। তাই তো নিঃসন্তান পিতা-মাতা চিকিৎসার্থে কিনা খায়, কোথা না যায়? অবশ্য বৈধভাবে চিকিৎসা-বিজ্ঞানের সাহায্য নেওয়া দূষণীয় নয়। দূষণীয় হল সন্তানলোভে কোন পীর-ঠাকুর-মাযারের নিকট গেয়ে নযরাদি মেনে সন্তান-কামনা; বরং এ হল খাঁটি শির্ক। আল্লাহই যাকে ইচ্ছা সন্তান দেন এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা রাখেন। সুতরাং মুসলিমের উচিৎ, তাঁরই নিকট এই বলে সন্তান চাওয়াঃ-
رَبِّ هَبْ لِيْ مِنَ الصَّالِحِيْنَ
অর্থাৎ, হে প্রভু! আমাকে নেক সন্তান দান কর।[1]
رَبِّ هَبْ لِيْ مِنْ لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً، إِنَّكَ سَمِيْعُ الدُّعَاءِ
অর্থাৎ, হে আমার প্রতিপালক! তুমি তোমার তরফ থেকে আমাকে সৎ বংশধর দান কর, নিশ্চয় তুমি অত্যাধিক প্রার্থনা শ্রবণকারী।[2]
চিকিৎসা-বিজ্ঞানের সাহায্যে কৃত্রিম উপায়ে গর্ভসঞ্চারণ পদ্ধতির মাধ্যমে

আত্মা শুদ্ধি বা তাযকিয়াহ

আত্মাশুদ্ধি
এতো গেল দেহশুদ্ধির কথা। কিন্তু এর পূর্বে আত্মাশুদ্ধিও একান্ত প্রয়োজনীয় বিষয়; যা না হলে দেহ ইবাদত কিছুই শুদ্ধ নয়। আল্লাহ বলেন,
﴿يَوْمَ لا يَنْفَعُ مَالٌ وَلا بَنُونَ- إِلاَّ مَنْ أَتَى اللهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ﴾
  ‘‘যেদিন ধন-সম্পদ সন্তান-সন্ততি কোন কাজে আসবে না। সেদিন উপকৃত হবে কেবল সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহর নিকট বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে উপস্থিত হবে।’’[1] 
﴿قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَكَّاهَا- وَقَدْ خَابَ مَنْ دَسَّاهَا﴾
‘‘যে আত্মা পরিশুদ্ধ করবে, সেই সফলকাম হবে এবং সে ব্যর্থ হবে, যে আত্মাকে কলুষিত করবে।’’[2]
সুতরাং যে ব্যক্তি অমূলক বিশ্বাস, শির্ক, বিদআত, বাতিল অভিমত, সন্দেহ ও সংশয়, বৈষয়িক আসক্তি (ধন, নারী, গদি, যশ প্রভৃতির লোভ) রিপুর আক্রমণ, শরয়ী জ্ঞান শূন্যতা, অধিক বিলাসিতা ও হাসি, নোংরা ও কদর্যgআচরণ এবং পাপাচরণ থেকে নিজ আত্মা ও মনকে পবিত্র ও বিশুদ্ধ রাখবে এবং

নিফাস এর বিধিবিধান।

নিফাস
প্রসবের ২/১ দিন পূর্ব থেকে বা প্রসবের পর থেকেই লাগাতার ক্ষরণীয় খুনকে নিফাসের খুন বলে। এই খুন সর্বাধিক ৪০ দিন ঝরতে থাকে এবং এটাই তার সর্বশেষ সময়। সুতরাং ৪০ দিন পর খুন দেখা দিলেও মহিলা গোসল করে নামায-রোযা করবে। অবশ্য ৪০ দিনের মাথায় যদি প্রসূতির মাসিক আসার সময় হয় এবং খুন একটানা থেকে যায়, তবে তার অভ্যাসমত মাসিককালও অপেক্ষা করে তারপর গোসল করবে।
৪০ দিন পূর্বে এই খুন বন্ধ হলেও গোসল সেরে নামায-রোযা করবে।  স্বামী সহবাসও বৈধ হবে। কিন্তু

ইস্তিহাযার বিস্তারিত বিধিবিধান।

ইস্তিহাযা
মাসিকের খুন একটানা আসতেই থাকলে অথবা ২/১ দিন ছাড়া সারা মাসে খুন বন্ধ না হলে এমন খুনকে ইস্তিহাযার খুন বলে। আর যে নারীর এমন খুন আসে তাকে মুস্তাহাযা বলে।
মুস্তাহাযার তিন অবস্থা হতে পারেঃ-
১- একজন মহিলার পূর্বে যথানিয়মে মাসিক হত। কিন্তু পরে ধারাবাহিক খুন এসে আর বন্ধ হয় না। সুতরাং এমন মহিলার অভ্যাসগতভাবে যে ক’দিন খুন আসত সেই ক’দিনকে মাসিক ধরে বাকী পরের দিনগুলিকে ইস্তিহাযার খুন ধরে নেবে। সুতরাং

নারীর মাসিক বা হায়েজের বিস্তারিত বিধিবিধান। মাসিক অবস্থায় নারীদের জন্য যেসকল কাজকর্ম হারাম!

অশুচিতা
যুবতী নারীর সৃষ্টিগত প্রকৃতি মাসিক রক্তস্রাব তার ইদ্দত ইত্যাদির হিসাব দেয়, গর্ভের খবর জানা যায়। আর ঐ স্রাবই তার গর্ভস্থিত ভ্রূণের আহার হয়।
গর্ভাবস্থাতেও মাসিক আসতে পারে। এমন হলে এই মাসিকে তালাক হারাম নয়। কারণ, তার ইদ্দত হল গর্ভকাল।[1]
অভ্যাসগত দিনে আগে-পিছে হয়ে মাসিক হলেও তা মাসিকের খুন, অভ্যাস ৭ দিনের থাকলে যদি ৬ দিনে পবিত্রা হয় তবে সে পবিত্রা, ৮ম দিনেও খুন বিদ্যমান থাকলে তা মাসিকের খুন।[2]
মাসিকের খুন সাধারণতঃ রক্তের ন্যায়। কিন্তু

স্ত্রী হারাম বা যিহার করলে করণীয় কি?

স্ত্রী হারাম করলে
‘যদি টেলিভিশনে দ্বীনী প্রোগ্রাম ছাড়া অন্য কিছু দেখ, তবে তুমি হারাম’ বলে স্ত্রী হারাম করলে বা কোন অন্য কারণে ‘তুমি আমার জন্য হারাম’ ইত্যাদি বললে এবং তালাকের নিয়ত না হলে তালাক হবে না। বরং স্ত্রী সহবাস হারাম করার নিয়ত হলে তার সঙ্গে সঙ্গম অবৈধ হয়ে যাবে। বৈধ করতে চাইলে কসমের কাফ্ফারা জরুরী।  আল্লাহ বলেন,
﴿يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللهُ لَكَ تَبْتَغِي مَرْضَاتَ أَزْوَاجِكَ وَاللهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ (1) قَدْ فَرَضَ اللَّهُ لَكُمْ تَحِلَّةَ أَيْمَانِكُمْ وَاللهُ مَوْلَاكُمْ وَهُوَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ ﴾ (2) سورة التحريم
‘‘হে নবী! আল্লাহ তোমার জন্য যা বৈধ করেছেন তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্য তা তোমার উপর অবৈধ করে নিচ্ছ কেন?

স্বামী তালাক দিলে স্ত্রী ইদ্দত পালন না করে দ্বিতীয়  স্বামী গ্রহণ করতে পারে কি? ইদ্দত পালনের সময় কত দিন?

ইদ্দত
স্বামী তালাক দিলে স্ত্রী ইদ্দত পালন না করে দ্বিতীয়  স্বামী গ্রহণ করতে পারে না। এতে  স্বামী-স্ত্রীকে বিবাহ-বিচ্ছেদের ব্যাপারে পুনর্বিবেচনা করতে সুযোগ দেওয়া হয়। ফলে সেই সুযোগে স্ত্রী প্রত্যানীতা করতে পারে। তাছাড়া ইদ্দত বিধিবদ্ধ করায় এ কথার ইঙ্গিত রয়েছে যে, বিবাহ কোন ছেলেখেলার বিষয় নয়। এর আগে-পিছে রয়েছে বিভিন্ন নিয়ম-নীতি ও সীমা-সময়।
পরন্তু ইদ্দতের মাঝে নারীর গর্ভাশয় পরীক্ষা হয়। যাতে দুই  স্বামীর তরফ থেকে বংশের সংমিশ্রণ না ঘটে।
তালাকপ্রাপ্ত নারী যদি

তালাকের বিস্তারিত বিধিবিধান।

ত্বালাক্ব
স্ত্রী গর্ভবতী থাকলে অথবা পবিত্রা থাকলে এবং ঐ পবিত্রতায় কোন সঙ্গম না করে থাকলে এক তালাক দেবে।[1] 
আর এর ব্যাপারে দুই ব্যক্তিকে সাক্ষী রাখবে।[2]
অতঃপর  স্বামী স্ত্রীকে ঘর থেকে যেতে বলবে না এবং স্ত্রীও  স্বামী-গৃহ ত্যাগ করবে না। বরং গর্ভকাল বা তিন মাসিক পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। এই ইদ্দতের মাঝে স্ত্রী ভরণ-পোষণও পাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ لِعِدَّتِهِنَّ وَأَحْصُوا الْعِدَّةَ وَاتَّقُوا اللهَ رَبَّكُمْ لا تُخْرِجُوهُنَّ مِنْ بُيُوتِهِنَّ وَلا يَخْرُجْنَ إِلاَّ أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ وَتِلْكَ حُدُودُ اللهِ وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودَ اللهِ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُ لا تَدْرِي لَعَلَّ اللهَ يُحْدِثُ بَعْدَ ذَلِكَ أَمْراً﴾
‘‘হে নবী! তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে ইচ্ছা কর তখন ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে তালাক দিও, ইদ্দতের হিসাব রেখো এবং তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো। তোমরা ওদেরকে সবগৃহ হতে বের করো না এবং

স্বামী - স্ত্রীর মনোমালিন্য হলে করণীয় কি?



মনোমালিন্য
 ‘‘সংসার সাগরে দুঃখ-তরঙ্গের খেলা,
  আশা তার একমাত্র ভেলা।’’
কিন্তু সেই ভেলা ডুবে গেলে আর কার কি সাধ্য?  স্বামী যদি স্ত্রীকে না চায়। তার কোন ত্রুটির কারণে তাকে উপেক্ষা করে, তবে স্ত্রী চাইলেও কি করতে পারে? মহান আল্লাহ তার সমাধান দিয়েছেনঃ-
‘‘স্ত্রী যদি তার  স্বামীর দুর্ব্যবহার ও উপেক্ষার আশঙ্কা করে, তবে তারা আপোস-নিষ্পত্তি করতে চাইলে তাদের কোন দোষ নেই। বস্ত্ততঃ আপোস করা অতি উত্তম।[1]
স্ত্রী নিজের কিছু অধিকার বিসর্জন দিয়ে

ঘর জামাই কেমন হয়?

ঘর জামাই
পুত্র পোষার মত জামাই পোষার রেওয়াজও একান্ত নিরুপায় বা শখের ক্ষেত্রে কোন কোন লোকে মেনে থাকে। আর সাধারণতঃ কোন নিরুপায় অথবা আদরলোভী যুবকই ঘর-জামাই গিয়ে থাকে। অবশ্য ইসলামের নীতি হল,  স্বামী তার স্ত্রী নিজের কাছে রাখবে। অর্থাৎ স্ত্রীর ভরণ-পোষণ ও বাসস্থানের দায়িত্ব  স্বামীর উপর।[1]
এর বিপরীত হলে সাধারণতঃ ফলও বিপরীত হয়। অর্থাৎ

নববধূর ঘর-সংসার

ঘর-সংসার
নববধূ যখন সংসারে আসে তখন সে একেবারে অপরিচিতা অনভিজ্ঞা থাকে। সাংসারিক কাজে থতমত খাওয়া তার স্বাভাবিক। কোন কাজ ঠিকভাবে না পারাটাই প্রকৃতি। কারণ সকলে মায়ের বাড়ি থেকে পাকা গিন্নী হয়ে শবশুরালয় আসতে পারে না, তাছাড়া শিক্ষিতা হলে তো মোটেই না। কারণ, তার অধিকাংশ সময় শিক্ষালাভেই ব্যয় হয়ে থাকে। তাই শাশুড়ী-ননদের উচিৎ, তা মেনে নিয়ে নববধূকে স্নেহের সাথে কাজ শিক্ষা দেওয়া, সংসার বুঝিয়ে দেওয়া। কাঁধে জোঁয়াল দিলেই যে সব গরু গাড়ি টানবে--তা নয়। অতএব

পুরুষের ভাগ্যে সাধারণতঃ তিন প্রকার স্ত্রী জোটে


পুরুষের ভাগ্যে সাধারণতঃ তিন প্রকার স্ত্রী জোটে
১। কারো ভাগ্যে জোটে প্রভু! ফলে সে স্ত্রীর নিকট স্ত্রৈণ হয়। নিহাতই বিবির গোলাম হয়ে তার আঁচল ধরে সংসার করে। বিবি যেমন বলে ঠিক তেমনি চলে। দাড়িকে ‘ছিঃ’ করলে চট্ ক’রে গাল তেল পারা করে। সিনেমায় যাওয়ার বায়না ধরলে শতখুশী হয়ে স্ত্রীর পশ্চাতে পশ্চাতে চলে। দ্বীন শিখতে, লেখাপড়া করতে বাধা দিলে তাই মানে। মা-বাপকে দেখতে মানা করলে তাই শোনে। ঘরে থাকে সে, আর বাজার করে বিবি। মাছ ধরে সে, ভাগ করে বিবি! আল্লাহর অবাধ্যাচরণ করেও বিবির বাধ্য থেকে সুখানুভব করে। কোন বিষয়ে স্ত্রীকে শাসন করার কথা কল্পনাই করা যায় না, উল্টে সেই  স্বামীকে

স্বামী-স্ত্রীর যৌথ অধিকার গুলো কি কি?


স্বামী-স্ত্রীর যৌথ অধিকার
১- ব্যবহারিক অধিকারঃ- পরস্পর পরস্পরকে ক্ষমার নজরে দেখবে। ভুল হওয়া মানুষের সহজাত প্রকৃতি। মানুষ যে কাজ করে সে কাজেই নিজেকে অনেক সময় ভ্রান্ত রূপে পায়। কিন্তু তখন নিজেকে তো শাস্তি দেওয়া যায় না। বড়জোর আক্ষেপ করা যায়। সুতরাং

স্ত্রীর উপর স্বামীর অনস্বীকার্য অধিকার গুলো কি কি?

স্ত্রীর উপর স্বামীরও অনস্বীকার্য অধিকার রয়েছেঃ-
প্রথম অধিকার হল বৈধ কর্মে ও আদেশে  স্বামীর আনুগত্য।  স্বামী সংসারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি। সংসার ও দাম্পত্য বিষয়ে তার আনুগত্য স্ত্রীর জন্য জরুরী। যেমন কোন স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক, অফিসের ম্যানেজার বা ডিরেক্টর প্রভৃতির আনুগত্য অন্যান্য সকলকে করতে হয়।
স্ত্রী সাধারণতঃ  স্বামীর চেয়ে বয়সে ছোট হয়। মাতৃলয়ে মা-বাপের (বৈধ বিষয়ে) আদেশ যেমন মেনে চলতে ছেলে-মেয়ে বাধ্য, তেমনি

দাম্পত্য ও অধিকার (স্বামীর উপর স্ত্রীর অনস্বীকার্য অধিকার গুলো কি কি? )

দাম্পত্য ও অধিকার
‘‘এ জগতে যত ফুটিয়াছে ফুল, ফলিয়াছে যত ফল,
নারী দিল তাহে রূপ-রস-মধু-গন্ধ সুনির্মল।
কোনো কালে একা হয়নি কো জয়ী পুরুষের তরবারী,
 প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়-লক্ষমী নারী।’’
নারী পুরুষের অর্ধাঙ্গিনী, সমাজের সচল জোড়া চাকার অন্যতম। পরিবারের ভিত্তি ও শিক্ষার প্রথম স্কুল এই নারী। প্রত্যেক মহান পুরুষের পশ্চাতে কোন না কোন নারী লুক্কায়িত থাকে অথবা পুরুষের মহত্বের পিছনে এই নারীর হাত অবশ্যই থাকে। 
দাম্পত্য জীবনে  স্বামী-স্ত্রী উভয়েই উভয়ের মুখাপেক্ষী। প্রত্যেকের

বিবাহে অন্যান্য লোকাচার

অন্যান্য লোকাচার
বরযাত্রীর অর্ধেক সংখায় কনেযাত্রী আসে বরের বাড়ি কনে-জামাই নিতে। অপ্রয়োজনে কনের বাপও এর মাধ্যমে বহু কুটুমের মান রক্ষা বা বর্ধন করে থাকে। যাই বা হোক বরের বাপের কাছে হাফ প্রতিশোধ তো নেওয়া হয়!
কোন কোন অঞ্চলে নববধূর মাতৃলয় যাত্রার পূর্বের রাত্রে  স্বামী-স্ত্রী উভয়কে অনুষ্ঠান করে ‘চৌথী গোসল’ দেওয়া হয়। অতঃপর  স্বামী তার স্ত্রীকে কোলে তুলে কোন ঘরে প্রবেশ করতে চাইলে বখশিশের লোভে দরজা আগলে দাঁড়ায়  স্বামীর কিংবা

বিবাহের বা আকদের পর দেশাচার!

আকদের পর দেশাচার
এরপর জামাইকে কোলে তুলে আনা হয় শ্বশুর বাড়িতে। বসানো হয় সুসজ্জিত বরাসনে বা বিছানায়। বসার আগে কপালে হাত ঠেকিয়ে ‘আলমতালায়’ সালাম করে বর।  নিজের শালীর তরফ হতে উপহার আসে দোলাভায়ের গলায় ফুলের মালা, পাড়া-সম্বন্ধে শালী দেয় বিস্কুটের মালার উপহার। শালা দেয় টাকার মালা গলায় পরিয়ে। এরপর একটা একটা করে মেয়েরা আসে এবং বিভিন্ন উপহার দিয়ে ‘জামাই দর্শন’ করে যায়। অবৈধ হলেও দেখা দেয় জামাইকে, জামায়ের ভাই-বন্ধু-বুনাইকে! বাড়ি তখন তো খোলা-মেলা হাসপাতাল। অনেক মহিলা আবার

অলীমাহ বা বউভোজ অনুষ্ঠান করার গুরুত্ব!!

অলীমাহ
অলীমাহ বা বউভোজ করা ওয়াজেব।[1] যদিও বা একটি মাত্র ছাগল যবেহ করা হয়।[2] এই ভোজ অনুষ্ঠান তিন দিন পর্যন্ত করা চলে।[3]
এই ভোজের অধিক হকদার দ্বীনদার পরহেযগার মুসলিমরা। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন,
لاَ تُصَاحِبْ إِلاَّ مُؤْمِنًا وَلاَ يَأْكُلْ طَعَامَكَ إِلاَّ تَقِىٌّ.
‘‘মুমিন ছাড়া কারো সঙ্গী হয়ো না এবং পরহেযগার ব্যক্তি ছাড়া তোমার খাদ্য যেন অন্য কেউ না খেতে পায়।’’[4]
অলীমার জন্য গোশত হওয়া জরুরী নয়। যে কোন খাদ্য দ্বারা

মধু-মিলন বা সহবাস কখন কখন করা যায়?

মধু-মিলন
হৃদয়ের আদান-প্রদানের এই প্রথম সাক্ষাতে যৌন-মিলন করতে চেষ্টা না করাই  স্বামীর উচিৎ। অবশ্য স্ত্রী রাজী ও প্রস্ত্তত থাকলে সে কথা ভিন্ন। স্ত্রীর কর্তব্য  স্বামীর ইঙ্গিতে সাড়া দেওয়া। এমন কি গোসলের পানি না থাকলেও স্ত্রীর ‘না’ করার অধিকার নেই।[1]
যেহেতু  স্বামী যখন তার স্ত্রীকে বিছানার দিকে ডাকে, তখন স্ত্রী যেতে অস্বীকার করলে এবং  স্বামী রাগান্বিত অবস্থায় রাত্রি কাটালে প্রভাতকাল পর্যন্ত ফিরিশ্তাবর্গ স্ত্রীর উপর অভিশাপ করে থাকেন।[2]
স্ত্রী রান্নাশালে রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকলেও

শুভ বাসর রজনী পালন করবেন কিভাবে?

শুভ বাসর
শুভ বাসর রজনী। জীবনের মধুরতম রাত্রি। রোমাঞ্চকর পুলকময়ী যামিনী। নব দম্পতির, নব দুই প্রেমিক-প্রেমিকার প্রথম সাক্ষাৎ ও প্রথম মিলনের শুভ সন্ধিক্ষণ। এই বাসর-কক্ষটি হবে মনোরম, সৌরভময়, সুসজ্জিত ও আলোকমন্ডিত। (অবশ্য এতে অপব্যয় করা উচিৎ নয়।) কক্ষের একপাশের্ব থাকবে কিছু ফলফ্রুট, দুধ অথবা মিষ্টান্ন ও পানি। বর ওযু করে বাসরে নব সাথীর অপেক্ষা করবে। নববধূকে ওযু করিয়ে সুসজ্জিতা ও সুরভিতা করে ভাবীরা এবং অন্যান্য মহিলারাও এই দুআ বলবে,

বধু বরণে এদেশের কালচার!

বধু বরণ
নববধূ এল শ্বশুর বাড়িতে। বাড়িতে পড়েছে হৈচৈ। এরই ফাঁকে শাশুড়ি বরণডালায় সিঁদুর, ধান, পান, চিনি, দুর্বাঘাস প্রভৃতি নিয়ে দরজায় হাজির। জামাই (নন্দাই) নববধূকে কোলে তুলে নিয়ে এল। ইতিমধ্যে বাড়ির প্রবেশপথে নতুন শাড়ি বিছানো হয়েছে। নববধূ আলতারাঙা পায়ে তার উপর হেঁটে বাড়িতে শুভাগমন করল। শাশুড়ীকে দেখেই বা চিনতে পেরেই বধূ ঝুঁকে তার পায়ে হাত ঠেকিয়ে সালাম (কদমবুসি) জানাল। শাশুড়ী উপর উপর বলল,

কন্যা বিদায়ের সময়ে এক কন্যাকে তার মাতার উপদেশ নিম্নরুপঃ

কন্যা বিদায়
কন্যা বিদায় করার পূর্বে পিতা-মাতার উচিৎ, তাকে আল্লাহ-ভীতি ও নতুন সংসারের উপর বিশেষ উপদেশ দান করা। যেমন উচিৎ ছিল তার জীবনকে সুন্দর ও আদর্শময় করে গড়ে তোলা।
এক কন্যাকে তার মাতার উপদেশ নিম্নরূপঃ
‘বেটী! তোমাকে যে শিক্ষা দিয়েছি তাতে অতিরিক্ত উপদেশ নিষ্প্রয়োজন। তবুও উপদেশ বিস্মৃত ও উদাসীনকে স্মরণ ও সজাগ করিয়ে দেয়।
বেটী! মেয়েদের যদি  স্বামী ছাড়া চলত এবং তাদের জন্য মা-বাপের ধন-দৌলত ও স্নেহ-ভালোবাসাই যদি যথেষ্ট হত, তাহলে নিশ্চয় তোমাকে শবশুরবাড়ি পাঠাতাম না। কিন্তু 

আক্দ বা বিবাহ হয় কিভাবে?

আক্দ কিভাবে হয়?
মোহরাদি ধার্য ইত্যাদি হয়ে থাকলে কাজী বা ইমাম সাহেব সূক্ষ্মভাবে খোঁজ নেবেন যে, অলী কে এবং শরয়ী কিনা? বরের চার স্ত্রীর বর্তমানে এটা পঞ্চম বিবাহ তো নয়? বর মুসলিম তো? পাত্রী ইদ্দতের মধ্যে তো নয়? গর্ভবতী তো নয়? পাত্রের দ্বিতীয় বিবাহ হলে পূর্বের স্ত্রীর বর্তমানে এই পাত্রী তার বোন, ফুফু, বুনঝি বা ভাইঝি তো নয়। এই পাত্রী সধবা হয়ে কারো  স্বামীত্বে নেই তো? পাত্রীর দ্বিতীয় বিবাহ হলে তার পূর্ব স্বামী যথারীতি তালাক দিয়েছে তো? পাত্রী রাজী আছে তো?

বিবাহ-বন্ধনের জন্য শর্ত গুলো কি কি?


বিবাহ-বন্ধন
ইসলাম এক সুশৃঙ্খল জীবন-ব্যবস্থা। বিবাহ কোন খেলা নয়। এটা হল দু’টি জীবনের চির-বন্ধন। তাই এই বন্ধনকে সুশৃঙ্খলিত ও শক্ত করার উদ্দেশ্যে ইসলামে রয়েছে বিভিন্ন নিয়ম-নীতি।
ইসলামী বিবাহ-বন্ধনের জন্য প্রথমতঃ শর্ত হল পাত্র-পাত্রীর সম্মতি। সুতরাং তারা যেখানে বিবাহ করতে সম্মত নয় সেখানে জোরপূর্বক বিবাহ দেওয়া তাদের অভিভাবকের জন্য বৈধ নয়। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, ‘‘অকুমারীর পরামর্শ বা জবানী অনুমতি না নিয়ে এবং কুমারীর সম্মতি না নিয়ে তাদের বিবাহ দেওয়া যাবে না। আর কুমারীর সম্মতি হল মৌন থাকা।[1]
সুতরাং অকুমারীর জবানী অনুমতি এবং কুমারীর মৌনসম্মতি বিনা বিবাহ শুদ্ধ হয় না। এই অনুমতি নেবে কনের বাড়ির লোক।

বিবাহের দিনে করণীয় - বর্জনীয়

বিবাহের দিন
বিবাহ বন্ধন ও মজলিসের জন্য বর, কনে ও অভিভাবক ছাড়া আর মাত্র দুটি লোকের প্রয়োজন। তাও তো মিনিট কয়েকের ব্যাপার। কিন্তু এত বিপুল আয়োজন, এত ঘটা কিসের? এগুলো লোক প্রদর্শন নয় কি? ১০/২০টা ডুলার বিবি, ৮০/১০০টা বরযাত্রী; তাতে অমুসলিমও থাকবে! এত লোকের রাখা ও খাওয়ানোর দায়িত্ব পাত্রীপক্ষের ঘাড়ে। কোন অধিকারে? ‘এত জন পারব না’ বললেও উপায় নেই। সমস্ত কুটুম্বের মান রাখতেই হবে। জোর করে যাবে ১০০ জন বরযাত্রী। পাত্রীপক্ষ বাধ্য হয়েই রাজী হয়। এটা কি যুলুম নয়? যুলুম করে কি কারো বাড়িতে নিমন্ত্রণ খাওয়া চলে? এমন পেটুকেরা কি লুটেরা নয়? কুটুম বুঝাতে নিজে খাওয়াও। পরের ঘাড়ে কেন কুটুমের মান রাখ? নাকি ‘পরের লেজে পা পড়লে তুলোপানা ঠেকে, আর নিজের লেজে পা পড়লে ক্যঁাক করে ডাকে।’ তাই না?

বিবাহের পূর্বে দেশাচার! আমাদের সমাজের হালচাল!

বিবাহের পূর্বে দেশাচার
কথা পাকাপাকি হলে বিবাহের দিন হবে। তবে কেবল দিন করার জন্য ঘটা ও আড়ম্বরপূর্ণ মজলিস করা এবং রাজকীয় পান-ভোজনের বিপুল আয়োজন ও ব্যবস্থা করা অপব্যয়ের পর্যায়ভুক্ত। বরপক্ষের উচিৎ, তা খেয়াল রাখা এবং সর্বোত্তম খাওয়ার ব্যবস্থা না হলে দুর্নাম না করা। কেবলমাত্র একজন লোক গিয়ে অথবা না গিয়ে টেলিফোনের মাধ্যমেও বিবাহের দিন ঠিক করা যায়। নিজেদের সুবিধামত যে কোন দিনে যে কোন মাসে দিন স্থির করতে কোন বাধা নেই। আল্লাহর দিন সবই সমান। পঞ্জিকা দেখে শুভাশুভ দিন নির্বাচন বিদআত এবং বিজাতির অনুকরণ।
নিমন্ত্রণ করার সময় নিমন্ত্রণপত্রের কোণে হলুদ লাগিয়ে দেওয়া বিদআত। এতে কোন শুভলক্ষণ আছে বলে মনে করা শির্ক।
এরপর

দেনমোহর বা মোহরানার বিস্তারিত বিধিবিধান।



দেনমোহর
এতক্ষণ এমন এক স্বপ্নজগৎ ও আজব দেশের কথা বলছিলাম যেখানে ‘রাত্তিরেতে বেজায় রোদ, দিনে চাঁদের আলো।’ যে দেশে কিছু কিনতে গেলে ক্রীতবস্ত্তর বিনিময়ে কোন অর্থ দিতে হয় না; বরং বস্ত্তর সাথে ইচ্ছামত অর্থ পাওয়া যায়! এখন বাস্তব-জগতের কথায় আসা যাক।
বিবাহ এক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি।  স্বামী-স্ত্রী উভয়েই একে অন্যের কাছে উপকৃত ও পরিতৃপ্ত। কিন্তু  স্বামীর অধিকার বেশী। তাই স্ত্রীর কর্তব্য অধিক। স্ত্রী তার দেহ-যৌবন সহ  স্বামীর বাড়িতে এসে বা সদা ছায়ার ন্যায়  স্বামী-পাশে থেকে তার অনুসরণ ও সেবা করে। তাই

পণ ও যৌতুক প্রথা ইসলামে হারাম কেন?

পণ ও যৌতুক
এ তো গেল কনে ও মনের কথা; কিন্তু আসল ও পণের কথাটা বাকীই থেকে গেছে; যা বর্তমান বিবাহের মূল স্তম্ভ! বউ কেমন হবে না হবে, তার  দ্বীন ও চরিত্র কেমন সে তো গৌণ বিষয়। মুখ্য বিষয় হল, ‘কত কি দিতে পারবে?’ তাই তো নতুন জামাই শবশুর বাড়ি গেলে ‘জামাইটা কার?’ প্রশ্নের উত্তরে একই কথা বলা হয় ‘জামাই টাকার!’
পণ? পণ এক আশ্চর্য যাদু! পণের ‘সোনার কাঠি’ ও যৌতুকের ‘রূপার কাঠি’ দ্বারা মেয়ে শবশুরবাড়িতে ইচ্ছাসুখ পেতে পারে।
পণ; জাহান্নামকে জান্নাত এবং জান্নাতকে জাহান্নাম বানাতে পারে!

পাত্রী পছন্দ! কি কি গুণ দেখে মেয়ে পছন্দ করবেন?

পাত্রী পছন্দ
 পত্নী পুরুষের সহধর্মিনী, অর্ধাঙ্গিনী, সন্তানদাত্রী, জীবন-সঙ্গিনী, গৃহের গৃহিণী, সন্তানের জননী, হৃদয়ের শান্তিদায়িনী, রহস্য রক্ষাকারিণী, তার সুখী সংসারের প্রধান সদস্যা। সুতরাং এমন সাথী নির্বাচনে পুরুষকে সত্যই ভাবতে হয়, বুঝতে হয়। শুধুমাত্র প্রেম, উচ্ছৃঙ্খলতা ও আবেগে নয়; বরং বিবেক ও দিমাগে সে বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হয়।
সাধারণতঃ মানুষ তার

অবৈধ বিবাহ! নারী ও পুরুষের যাদের সাথে বিবাহ হারাম!!

অবৈধ বিবাহ
বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নারী-পুরুষ বৈধভাবে যৌনসুখ উপভোগ করতে পারে। কিন্তু কোন্ পুরুষ নারীর জন্য বৈধ এবং কোন্ নারী পুরুষের জন্য অবৈধ বা অগম্যা তার বিস্তারিত বিধান রয়েছে ইসলামে।[1]
অবৈধ নারীকে অথবা অবৈধ নিয়মে বিবাহ করে সংসার করলে ব্যভিচার করা হয়।
এমন কতকগুলি কারণ রয়েছে যার কারণে নারী-পুরুষের আপোসে কোন সময়ে বিবাহ বৈধ নয়।
প্রথম কারণ, রক্তের সম্পর্কঃ
নারী-পুরুষের মাঝে রক্তের সম্পর্ক থাকলে যেহেতু এক অপরের অংশ গণ্য হয় তাই তাদের আপোসে বিবাহ হারাম। এরা হল;

মানব জীবনে বিবাহের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?

বিবাহের প্রয়োজনীয়তা
মানুষ প্রকৃতিগতভাবে সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করতে অভ্যস্ত। একাকী বাস তার সবভাব-সিদ্ধ নয়। তাই প্রয়োজন পড়ে সঙ্গিনীর ও কিছু সাথীর; যারা হবে একান্ত আপন। বিবাহ মানুষকে এমন সাথী দান করে।
মানুষ সংসারে সবয়ংসম্পূর্ণ নয়। বিবাহ মানুষকে দান করে বহু আত্মীয়-সবজন, বহু সহায় ও সহচর।
মানুষের প্রকৃতিতে যে যৌন-ক্ষুধা আছে, তা দূর করার বৈধ ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা হল বিবাহ।
বিবাহ মানুষকে সুন্দর চরিত্র দান করে, অবৈধ দৃষ্টি থেকে চক্ষুকে সংযত রাখে, লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে।

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ