Sunday, November 5, 2017

কবিরা গুনাহঃ ১১. ফরয নামায আদায় না করা

১১. ফরয নামায আদায় না করা


ফরয নামায আদায় না করাও একটি মারাত্মক অপরাধ। যা শির্ক তথা কুফরও বটে এবং যার পরিণতিই হচ্ছে জাহান্নাম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার অপকারসমূহ

মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার অপকারসমূহ


ক. বিচারককে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছার ব্যাপারে লক্ষ্যভ্রষ্ট করা। কারণ, বিচার ফায়সালা নির্ণিত হয় বাদীর পক্ষের সাক্ষী অথবা বিবাদীর কসমের উপর। অতএব বাদীর পক্ষের সাক্ষী ভুল হলে এবং বিচার সে সাক্ষীর ভিত্তিতেই হলে ফায়সালা নিশ্চয়ই ভুল হতে বাধ্য। আর তখন এর একমাত্র দায়-দায়িত্ব সাক্ষীকেই বহন করতে হবে এবং এ জন্য সেই গুনাহ্গার হবে।
উম্মে সালামাহ্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবিরা গুনাহঃ ১০. মিথ্যা বলা অথবা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া

১০. মিথ্যা বলা অথবা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া


মিথ্যা বলা অথবা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া একটি মারাত্মক অপরাধ।
কোন বিষয়ে নিশ্চিত জানাশোনা না থাকা সত্ত্বেও সে বিষয়ে অনুমান ভিত্তিক কোন কথা বলা সত্যিই অপরাধ এবং তা অধিকাংশ সময় মিথ্যা হতেই বাধ্য।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

নিম্নোক্ত কয়েকটি কাজ করলে কারোর মধ্যে ধীরে ধীরে লজ্জাবোধ জন্ম নেয়

নিম্নোক্ত কয়েকটি কাজ করলে কারোর মধ্যে ধীরে ধীরে লজ্জাবোধ জন্ম নেয়


১. বেশি বেশি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনী পড়বেন।
২. সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) ও প্রসিদ্ধ লজ্জাশীল সাল্ফে সা’লি’হীনদের জীবনী পড়বেন।
৩. লজ্জাশীলতার ফলাফল সম্পর্কে ভালোভাবে চিন্তা করবেন। বিশেষ করে লজ্জাহীনতার ভীষণ কুফল সম্পর্কেও সর্বদা ভাববেন।
৪. এমন কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকবেন যা বললে বা করলে লজ্জাবোধ কমে যায়।
৫. লজ্জাশীলদের সাথে বেশি বেশি উঠাবসা করবেন এবং লজ্জাহীনদের থেকে একেবারেই দূরে থাকবেন।
৬. বার বার লজ্জাশীলতার কসরত করলে একদা সে ব্যক্তি অবশ্যই লজ্জাশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
বিশেষ করে বাচ্চাদের মধ্যে এমন গুণ থাকা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। তখনই সে বড় হলে তা তার বিশেষ কাজে আসবে।
ওয়াহাব বিন্ মুনাবিবহ্ (রাহিমাহুল্লাহ্) বলেন:

সমকামের চিকিৎসা - রোগাক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা

সমকামের চিকিৎসা - রোগাক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা


তাওহীদ বিরোধী উক্ত রোগে কেউ আক্রান্ত হলে তাকে সর্ব প্রথম এ কথা অবশ্যই বুঝতে হবে যে, সে উক্ত রোগে আক্রান্ত হয়েছে শুধু মূর্খতা এবং গাফিলতির দরুনই। অতএব সর্ব প্রথম তাকে আল্লাহ্ তা‘আলার তাওহীদ তথা একত্ববাদ, তাঁর সাধারণ নীতি ও নিদর্শন সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে হবে। অতঃপর তাকে এমন কিছু প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য ইবাদত করতে হবে যার দরুন সে উক্ত মত্ততা থেকে রক্ষা পেতে পারে। এরই পাশাপাশি সে আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট সবিনয়ে সর্বদা এ দো‘আ করবে যে, আল্লাহ্ তা‘আলা যেন তাকে উক্ত রোগ থেকে ত্বরিত মুক্তি দেন। বিশেষ করে সম্ভাবনাময় স্থান, সময় ও অবস্থায় দো‘আ করবে। যেমন: আযান ও ইক্বামতের মধ্যবর্তী সময়, রাত্রের শেষ তৃতীয়াংশ, সিজদাহ্ এবং জুমার দিনের শেষ বেলা ইত্যাদি ইত্যাদি।
সংক্ষিপ্তাকারে প্রস্তাবিত চিকিৎসাসমূহ:

সমকামের চিকিৎসা - রোগাক্রান্ত হওয়ার আগের চিকিৎসা (তা থেকে দূরে রাখে এমন বস্ত্ত নিয়ে ব্যস্ততার মাধ্যমে। )

সমকামের চিকিৎসা - রোগাক্রান্ত হওয়ার আগের চিকিৎসা (তা থেকে দূরে রাখে এমন বস্ত্ত নিয়ে ব্যস্ততার মাধ্যমে। )


আর তা হচ্ছে আল্লাহ্ তা‘আলা সম্পর্কে অধিক ভয় বা অধিক ভালোবাসা। অর্থাৎ অন্যকে ভালোবাসার কারণে আল্লাহ্ তা‘আলার ভালোবাসা না পাওয়ার আশঙ্কা করা অথবা আল্লাহ্ তা‘আলাকে এমনভাবে ভালোবাসা যে, তিনি ভিন্ন অন্যকে আর ভালোবাসার সুযোগ না পাওয়া যার ভালোবাসা আল্লাহ্ তা‘আলার ভালোবাসার অধীন নয়। কারণ,

সমকামের চিকিৎসা - রোগাক্রান্ত হওয়ার আগের চিকিৎসা (দৃষ্টিশক্তি হিফাযতের মাধ্যমে)

সমকামের চিকিৎসা - রোগাক্রান্ত হওয়ার আগের চিকিৎসা (দৃষ্টিশক্তি হিফাযতের মাধ্যমে)


কারণ, দৃষ্টিই হচ্ছে শয়তানের বিষাক্ত একটি তীর যা শুধু মানুষের আফসোসই বাড়িয়ে দেয়। সুতরাং শ্মশ্রুবিহীন ছেলেদের প্রতি দৃষ্টিপাত করা থেকে একেবারেই বিরত থাকতে হবে। তা হলেই সমকামের প্রতি অন্তরে আর উৎসাহ জন্ম নিবে না। এ ছাড়াও দৃষ্টিশক্তি নিয়ন্ত্রণের অনেকগুলো ফায়দা রয়েছে যা নিম্নরূপ:
১. তাতে আল্লাহ্ তা‘আলার আদেশ মানা হয়। যা ইবাদতেরই একাংশ এবং ইবাদাতের মধ্যেই সমূহ মানব কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
২. বিষাক্ত তীরের প্রভাব থেকে অন্তর বিমুক্ত থাকে। কারণ, দৃষ্টিই হচ্ছে শয়তানের একটি বিষাক্ত তীর।
৩. মন সর্বদা আল্লাহ্ অভিমুখী থাকে।
৪. মন সর্বদা সন্তুষ্ট ও শক্তিশালী থাকে।
৫. অন্তরে এক ধরনের নূর তথা আলো জন্ম নেয় যার দরুন সে উত্তরোত্তর ভালোর দিকেই ধাবিত হয়।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

সমকামের শাস্তি কি ?

সমকামের শাস্তি


কারোর ব্যাপারে সমকাম প্রমাণিত হয়ে গেলে তাকে ও তার সমকামী সঙ্গীকে শাস্তি স্বরূপ হত্যা করতে হয়।
‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

সমকামের অপকার ও তার ভয়াবহতা

সমকামের অপকার ও তার ভয়াবহতা


সমকামের মধ্যে এতো বেশি ক্ষতি ও অপকার নিহিত রয়েছে যার সঠিক গণনা সত্যিই দুষ্কর। যা ব্যক্তি ও সমষ্টি পর্যায়ের এবং দুনিয়া ও আখিরাত সম্পর্কীয়। যার কিয়দংশ নিম্নরূপ:
ধর্মীয় অপকারসমূহ:
প্রথমত: তা কবীরা গুনাহ্সমূহের একটি। তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অনেক অনেক নেক আমল থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। এমনকি তা যে কারোর তাওহীদ বিনষ্টে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আর তা এভাবে যে, এ নেশায় পড়ে শ্মশ্রুবিহীন ছেলেদের সাথে ধীরে ধীরে ভালোবাসা জন্ম নেয়। আর তা একদা তাকে শির্ক পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেয়। কখনো ব্যাপারটি এমন পর্যায়ে দাঁড়ায় যে, সে ধীরে ধীরে অশ্লীলতাকে ভালোবেসে ফেলে এবং

কবিরা গুনাহঃ ৯. সমকাম বা পায়ুগমন

৯. সমকাম বা পায়ুগমন


সমকাম বা পায়ুগমন বলতে পুরুষে পুরুষে একে অপরের মলদ্বার ব্যবহারের মাধ্যমে নিজ যৌন উত্তেজনা নিবারণ করাকেই বুঝানো হয়।
সমকাম একটি মারাত্মক গুনাহ্’র কাজ। যার ভয়াবহতা কুফরের পরই। হত্যার চাইতেও মারাত্মক। বিশ্বে সর্বপ্রথম লূত্ব (আঃ) এর সম্প্রদায় এ কাজে লিপ্ত হয় এবং আল্লাহ্ তা‘আলা তাদেরকে এমন শাস্তি প্রদান করেন যা ইতিপূর্বে কাউকে প্রদান করেননি। তিনি তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছেন। তাদের ঘরবাড়ি তাদের উপরই উল্টিয়ে দিয়ে ভূমিতে তলিয়ে দিয়েছেন। অতঃপর আকাশ থেকে পাথর বর্ষণ করেছেন।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

ব্যভিচারের দন্ডবিধি সংক্রান্ত কিছু কথা

দন্ডবিধি সংক্রান্ত কিছু কথা


কাউকে লুক্কায়িতভাবে ব্যভিচার কিংবা যে কোন হারাম কাজ করতে দেখলে তা তড়িঘড়ি বিচারককে না জানিয়ে তাকে ব্যক্তিগতভাবে নসীহত করা ও পরকালে আল্লাহ্ তা‘আলার কঠিন শাস্তির ভয় দেখানো উচিত।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
 مَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللهُ فِيْ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ.
‘‘কোন মুসলিমের দোষ লুকিয়ে রাখলে আল্লাহ্ তা‘আলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষও লুকিয়ে রাখবেন’’।
 (তিরমিযী ১৪২৫; ইব্নু মাজাহ্ ২৫৯২)
দন্ডবিধি প্রয়োগের সময় চেহারার প্রতি লক্ষ্য রাখবে:

বিবাহিত এবং অবিবাহিতের ব্যভিচারের শাস্তি কি ?

ব্যভিচারের শাস্তি


কেউ শয়তানের ধোকায় পড়ে ব্যভিচার করে ফেললে সে যদি অবিবাহিত হয় তা হলে তাকে একশ’টি বেত্রাঘাত ও এক বছরের জন্য দেশান্তর করা হবে। আর যদি সে বিবাহিত হয় তা হলে তাকে রজম তথা পাথর মেরে হত্যা করা হবে।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«الزَّانِيَةُ وَالزَّانِيْ فَاجْلِدُوْا كُلَّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا مِئَةَ جَلْدَةٍ، وَلَا تَأْخُذْكُمْ بِهِمَا رَأْفَةٌ فِيْ دِيْنِ اللهِ، إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُوْنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، وَلْيَشْهَدْ عَذَابَهُمَا طَائِفَةٌ مِّنَ الْـمُؤْمِنِيْنَ»
‘‘ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী; তাদের প্রত্যেককে তোমরা একশ’ করে বেত্রাঘাত করবে। আল্লাহ্’র বিধান কার্যকরী করণে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদেরকে প্রভাবিত করতে না পারে যদি তোমরা আল্লাহ্ তা‘আলা ও পরকালে বিশ্বাসী হয়ে থাকো এবং মু’মিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে’’। (নূর : ২)
আবূ হুরাইরাহ্ ও যায়েদ বিন্ খালিদ জুহানী (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তাঁরা বলেন:

ব্যভিচারের স্তর বিন্যাস

ব্যভিচারের স্তর বিন্যাস


১. অবিবাহিতা মেয়ের সঙ্গে ব্যভিচার। এতে মেয়েটির সম্মানহানি ও চরিত্র বিনষ্ট হয়। কখনো কখনো ব্যাপারটি সন্তান হত্যা পর্যন্ত পৌঁছোয়।
২. বিবাহিতা মহিলার সঙ্গে ব্যভিচার। এতে উপরন্তু স্বামীর সম্মানও বিনষ্ট হয়। তার পরিবার ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছোয়। তার বংশ পরিচয়ে ব্যাঘাত ঘটে। কারণ, সন্তানটি তারই বলে বিবেচিত হয়; অথচ সন্তানটি মূলতঃ তার নয়।
যেন এমন ঘটনা ঘটতেই না পারে সে জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বামী অনুপস্থিত এমন মহিলার বিছানায় বসা ব্যক্তির এক ভয়ানক রূপ চিত্রায়ন করেছেন।
‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

ব্যভিচারের অপকার ও তার ভয়াবহতা

ব্যভিচারের অপকার ও তার ভয়াবহতা


১. কোন বিবাহিতা মহিলা ব্যভিচার করলে তার স্বামী, পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন মারাত্মকভাবে লাঞ্ছিত হয়। জনসমক্ষে তারা আর মাথা উঁচু করে কথা বলতে সাহস পায় না।
২. কোন বিবাহিতা মহিলার ব্যভিচারের কারণে যদি তার পেটে সন্তান জন্ম নেয় তা হলে তাকে হত্যা করা হবে অথবা জীবিত রাখা হবে। যদি তাকে হত্যাই করা হয় তা হলে দু’টি গুনাহ্ একত্রেই করা হলো। আর যদি তাকে জীবিতই রাখা হয় এবং তার স্বামীর সন্তান হিসেবেই তাকে ধরে নেয়া হয় তখন এমন ব্যক্তিকেই পরিবারভুক্ত করা হলো যে মূলতঃ সে পরিবারের সদস্য নয় এবং এমন ব্যক্তিকেই ওয়ারিশ বানানো হলো যে মূলতঃ ওয়ারিশ নয়। তেমনিভাবে সে এমন ব্যক্তির সন্তান হিসেবেই পরিচয় বহন করবে যে মূলতঃ তার পিতা নয়। আরো কত্তো কি?

চারটি অঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই ব্যভিচার থেকে রক্ষা পাওয়া যায় - ৪. পদ ও পদক্ষেপ

চারটি অঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই ব্যভিচার থেকে রক্ষা পাওয়া যায় - ৪. পদ ও পদক্ষেপ


অর্থাৎ সাওয়াবের কাজ ছাড়া অন্য কোন কাজে পদক্ষেপণ করা যাবে না।
মনে রাখতে হবে যে, প্রতিটি জায়িয কাজ একমাত্র নিয়্যাতের কারণেই সাওয়াবে রূপান্তরিত হয়।
উক্ত দীর্ঘ আলোচনা থেকে আমরা সহজে এ কথাই বুঝতে পারলাম যে, কোন ব্যক্তি তার চোখ, মন, মুখ ও পা সর্বদা নিজ নিয়ন্ত্রণে রাখলে তার থেকে কোন গুনাহ্ বিশেষ করে ব্যভিচার কর্মটি কখনো প্রকাশ পেতে পারে না। কারণ, দেখলেই তো ইচ্ছে হয়। আর ইচ্ছে হলেই তো তা মুখ খুলে বলতে মনে চায়। আর তখনই মানুষ তা অধীর আগ্রহে পাওয়ার অপেক্ষায় থাকে।
বিচ্যুতি তথা স্খলন যখন দু’ ধরনেরই তাই আল্লাহ্ তা‘আলা উভয়টিকে কুর‘আন মাজীদের মধ্যে একই সঙ্গে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন:

চারটি অঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই ব্যভিচার থেকে রক্ষা পাওয়া যায় - ৩. মুখ ও বচন

চারটি অঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই ব্যভিচার থেকে রক্ষা পাওয়া যায় - ৩. মুখ ও বচন


কখনো অযথা কথা বলা যাবে না। অন্তরে কথা বলার ইচ্ছা জাগলেই চিন্তা করতে হবে, এতে কোন ফায়দা আছে কি না? যদি তাতে কোন ধরনের ফায়দা না থাকে তা হলে সে কথা কখনো বলবে না। আর যদি তাতে কোন ধরনের ফায়দা থেকে থাকে তাহলে দেখবে, এর চাইতে আরো লাভজনক কোন কথা আছে কি না? যদি থেকে থাকে তাহলে তাই বলবে। অন্যটা নয়।
কারোর মনোভাব সরাসরি বুঝা অসম্ভব। তবে

চারটি অঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই ব্যভিচার থেকে রক্ষা পাওয়া যায় - ২. মন ও মনোভাব

চারটি অঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই ব্যভিচার থেকে রক্ষা পাওয়া যায় - ২. মন ও মনোভাব


এ পর্যায় খুবই কঠিন। কারণ, মানুষের মনই হচ্ছে ন্যায়-অন্যায়ের একমাত্র উৎস। মানুষের ইচ্ছা, স্পৃহা, আশা ও প্রতিজ্ঞা মনেরই সৃষ্টি। সুতরাং যে ব্যক্তি নিজ মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে সে নিজ কুপ্রবৃত্তির উপর বিজয় লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি নিজ মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না নিশ্চিতভাবে সে কুপ্রবৃত্তির শিকার হবে। পরিশেষে তার ধ্বংস একেবারেই অনিবার্য।
মানুষের মনোভাবই পরিশেষে দুরাশার রূপ নেয়। মনের দিক থেকে

চারটি অঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই ব্যভিচার থেকে রক্ষা পাওয়া যায় - ১. চোখ ও দৃষ্টিশক্তি।

চারটি অঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই ব্যভিচার থেকে রক্ষা পাওয়া যায় - ১. চোখ ও দৃষ্টিশক্তি।


কোন ব্যক্তি চারটি অঙ্গকে সঠিক ও শরীয়ত সম্মতভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই সত্যিকারার্থে সে অনেকগুলো গুনাহ্ বিশেষভাবে ব্যভিচার থেকে রক্ষা পেতে পারে। তেমনিভাবে তার ধার্মিকতাও অনেকাংশে রক্ষা পাবে। আর তা হচ্ছে:
১. চোখ ও দৃষ্টিশক্তি। তা রক্ষা করা লজ্জাস্থানকে রক্ষা করার শামিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবিরা গুনাহঃ ৮. যেনা- ব্যভিচার করা

৮. ব্যভিচার


ব্যভিচার একটি মারাত্মক অপরাধ। হত্যার পরই যার অবস্থান। কারণ, তাতে বংশ পরিচয় সঠিক থাকে না। লজ্জাস্থানের হিফাযত হয় না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সামাজিক সম্মান রক্ষা পায় না। মানুষে মানুষে কঠিন শত্রুতার জন্ম নেয়। দুনিয়ার সুস্থ পারিবারিক ব্যবস্থা এতটুকুও অবশিষ্ট থাকে না। একে অন্যের মা, বোন, স্ত্রী, কন্যাকে সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট করে দেয়। এ কারণেই তো আল্লাহ্ তা‘আলা এবং তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হত্যার পরই এর উল্লেখ করেছেন।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

কবিরা গুনাহঃ ৭. সতী-সাধ্বী মহিলাদেরকে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া

৭. সতী-সাধ্বী মহিলাদেরকে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া


সতী-সাধ্বী মহিলাদেরকে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া আরেকটি কঠিন অপরাধ তথা কবীরা গুনাহ্।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«إِنَّ الَّذِيْنَ يَرْمُوْنَ الْـمُحْصَنَاتِ الْغَافِلَاتِ الْـمُؤْمِنَاتِ لُعِنُوْا فِيْ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَلَـهُمْ عَذَابٌ عَظِيْمٌ»
‘‘নিশ্চয়ই যারা সতী-সাধ্বী সরলমনা মু’মিন মহিলাদেরকে ব্যভিচারের অপবাদ দেয় তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত এবং তাদের জন্য (আখিরাতে) রয়েছে মহা শাস্তি’’। (নূর : ২৩)
কোন সতী-সাধ্বী মহিলাকে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়ার শাস্তি:

কবিরা গুনাহঃ ৬- কাফিরদের সাথে সম্মুখযুদ্ধ থেকে পলায়ন করা

৬. কাফিরদের সাথে সম্মুখযুদ্ধ থেকে পলায়ন


কাফিরদের সাথে সম্মুখযুদ্ধ থেকে পলায়নও একটি মারাত্মক অপরাধ তথা কবীরা গুনাহ্।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا لَقِيْتُمُ الَّذِيْنَ كَفَـرُوْا زَحْفًا فَلَا تُوَلُّوْهُمُ الْأَدْبَارَ، وَمَنْ يُّوَلِّـهِمْ يَوْمَئِذٍ دُبُرَهُ إِلاَّ مُتَحَرِّفًا لِّقِتَالٍ أَوْ مُتَحَيِّزًا إِلَى فِئَةٍ، فَقَدْ بَآءَ بِغَضَبٍ مِّنَ اللهِ، وَمَأْوَاهُ جَهَنَّمُ، وَبِئْسَ الْـمَصِيْرُ»
‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখনই কাফিরদের সম্মুখীন হবে তখন তোমরা কখনোই তাদেরকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করো না। যে ব্যক্তি সে দিন যুদ্ধ কৌশল অবলম্বন অথবা নিজেদের অন্য সেনাদলের নিকট অবস্থান নেয়া ছাড়া যুদ্ধাবস্থায় কাফিরদের প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে সে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা‘আলার কোপানলে পতিত হবে এবং তার আশ্রয়স্থল হবে জাহান্নাম। যা একেবারেই নিকৃষ্টতম স্থান’’। (আন্ফাল্ : ১৫-১৬)

কবিরা গুনাহঃ ৫- ইয়াতীমের ধন-সম্পদ ভক্ষণ করা

ইয়াতীমের ধন-সম্পদ ভক্ষণ


ইয়াতীমের ধন-সম্পদ ভক্ষণও একটি বড় অপরাধ তথা কবীরা গুনাহ্।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«إِنَّ الَّذِيْنَ يَأْكُلُوْنَ أَمْـوَالَ الْيَتَامَى ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُوْنَ فِيْ بُطُوْنِهِمْ نَارًا، وَسَيَصْلَوْنَ سَعِيْرًا»
‘‘নিশ্চয়ই যারা অন্যায়ভাবে ইয়াতীমের ধন-সম্পদ ভক্ষণ করে তারা সত্যিকারার্থে আগুন দিয়ে নিজের পেট ভরছে এবং অচিরেই তারা জাহান্নামের অগ্নিতে দগ্ধ হবে’’। (নিসা’ : ১০)

কবিরা গুনাহঃ ৪-সুদ

৪. সুদ


সুদ খাওয়া মারাত্মক অপরাধ। এ জন্যই তো আল্লাহ্ তা‘আলা সুদখোরের সাথে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। যা অন্য কোন পাপীর সাথে দেননি।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اتَّقُوْا اللهَ وَذَرُوْا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِيْنَ، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوْا فَأْذَنُوْا بِحَرْبٍ مِّنَ اللهِ وَرَسُوْلِهِ»
‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্ তা‘আলাকে ভয় করো এবং সুদের যা অবশিষ্ট রয়েছে তা বর্জন করো যদি তোমরা মু’মিন হওয়ার দাবি করে থাকো। আর যদি তোমরা তা না করো তাহলে আল্লাহ্ তা‘আলা ও তদীয় রাসূলের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্ত্তত হয়ে যাও’’। (বাক্বারাহ্ : ২৭৮-২৭৯)
অর্থনৈতিক মন্দাভাব, ঋণ পরিশোধে অক্ষমতা, অকর্মের সংখ্যাবৃদ্ধি,

সরকারী কোষাগার চার ধরনের দায়ভার গ্রহণ করতে বাধ্য (হত্যাকারীর শাস্তি)

সরকারী কোষাগার চার ধরনের দায়ভার গ্রহণ করতে বাধ্য (হত্যাকারীর শাস্তি)


সরকারী কোষাগার চার ধরনের দায়ভার গ্রহণ করতে বাধ্য। যা নিম্নরূপ:
১. কোন মুসলিম ঋণগ্রস্তাবস্থায় মারা গেলে এবং ঋণ পরিশোধ করার মতো কোন সম্পদ সে রেখে না গেলে উক্ত ঋণ তার সরকারই পরিশোধ করবে।
২. কেউ কাউকে ভুলবশত: অথবা তুলনামূলক ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করলে এবং

অবৈধভাবে কেউ কাউকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করলে হত্যাকারীর শাস্তি কি?

হত্যাকারীর শাস্তি


অবৈধভাবে কেউ কাউকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করলে তার শাস্তি হচ্ছে, ক্বিসাস্ তথা হত্যার পরিবর্তে হত্যা অথবা দিয়াত তথা ক্ষতিপূরণ স্বরূপ শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত সম্পদ। তবে এ ব্যাপারে হত্যাকৃত ব্যক্তির ওয়ারিশরা রাজি থাকতে হবে অথবা আপোস-মীমাংসার মাধ্যমে নির্ধারিত সম্পদ। অনুরূপভাবে হত্যাকৃত ব্যক্তির ওয়ারিশরা হত্যাকারীকে একেবারে ক্ষমাও করে দিতে পারে।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

সালাম

সালাম


অতঃপর নবী মুবাশ্‌শির (সাঃ) তাশাহহুদ ও দুআ আদি পড়ে ডান দিকে মুখ ফিরিয়ে বলতেন,

اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ الله

‘আস্‌সালা-মু আলাইকুম অরাহ্‌মাতুল্লা-হ্‌।’
অর্থাৎ, তোমাদের উপর শান্তি ও আল্লাহর করুণা বর্ষিত হোক।
তিনি এতটা মুখ ফিরাতেন যে, (পেছন থেকে) তাঁর ডান গালের শুভ্রতা দেখা যেত। অতঃপর বাম দিকে মুখ ফিরিয়ে অনুরুপ বলে সালাম ফিরতেন। আর এতেও তাঁর বাম গালের শুভ্রতা (পেছন থেকে) দেখা যেত। (মুসলিম, সহীহ ৫৮২, আবূদাঊদ, সুনান ৯৯৬ নং, নাসাঈ, সুনান)
কখনো কখনো তিনি

নামাজের চতুর্থ রাকআত

চতুর্থ রাকআত


নামায ৩ রাকআত বিশিষ্ট (মাগরেবের) হলে ৩ রাকআত পড়ে, নচেৎ ৪ রাকআত বিশিষ্ট হলে তা তৃতীয় রাকআতের মত পড়ে শেষ তাশাহহুদের জন্য বসে যেতেন। এই বৈঠকে তিনি তাঁর বাম পাছার উপর বসতেন। এতে তাঁর দু’টি পায়ের পাতা এক দিকে হয়ে যেত। (বুখারী ৮২৮, আবূদাঊদ, সুনান ৯৬৫নং, বায়হাকী) বাম পা-কে ডান পায়ের রলা ও ঊরুর নিচে রাখতেন। (মুসলিম, সহীহ ৫৭৯ নং, আহমাদ, মুসনাদ) আর ডান পায়ের পাতাকে খাড়া রাখতেন। (বুখারী ৮২৮নং) কখনো কখনো

নামাজের তৃতীয় রাকআত

তৃতীয় রাকআত


তাশাহহুদ শেষ করে তিন বা চার রাকআত বিশিষ্ট নামাযের জন্য যখন মহানবী (সাঃ) উঠতেন, তখন ‘তকবীর’ (আল্লাহু আকবার) বলতেন। (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত ৭৯৯নং) তিনি ওঠার পূর্বেই তকবীর দিতেন। (আবূ য়্যা’লা, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ৬০৪নং) ওঠার পর নয়।
দুই হাত দ্বারা মাটির উপর ভর করে (খমীর সানার মত উভয় হাতকে মাটিতে রেখে) উঠে খাড়া হতেন। (আবূ ইসহাকহারবী, বায়হাকী, তামামুল মিন্নাহ্‌, আলবানী ১৯৬পৃ:)
আযরাক বিন কাইস বলেন,

তাশাহহুদের পর

তাশাহহুদের পর


নামায ২ রাকআত বিশিষ্ট (যেমন ফজর, জুমুআহ, ঈদ প্রভৃতি) হলে দুআ মাসূরার পর সালাম ফিরলে নামায শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ৩ বা ৪ রাকআত বিশিষ্ট (মাগরিব, এশা, যোহ্‌র, আসর, ইত্যাদি) হলে তাশাহহুদ পড়ে তৃতীয় রাকআতের জন্য উঠে যেতে হবে। ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, ‘---অতঃপর নামাযের মাঝে হলে নবী (সাঃ) তাশাহহুদ পাঠ করে উঠে যেতেন। নচেৎ নামাযের শেষে হলে তাশাহহুদের পর যতক্ষণ ইচ্ছা (মাশাআল্লাহ) দুআ পড়তেন, তারপর

দুআ-এ মাসূরাহ্‌ সমূহ

দুআ-এ মাসূরাহ্‌


নবী মুবাশ্‌শির (সাঃ) নামাযে বহু প্রকার দুআ (প্রার্থনা) করতেন। এক এক সময়ে এক এক প্রকার দুআ তিনি পাঠ করে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করতেন। সাহাবাগণকে ‘তাহিয়্যাত’ শিখানোর পর বলেছিলেন, “এরপর তোমাদের মধ্যে যার যা ইচ্ছা ও পছন্দ সেই দুআ বেছে নিয়ে দুআ করা উচিৎ।” (বুখারী ৮৩৫, মুসলিম,  মিশকাত ৯০৯নং) অবশ্য সেই দুআ অপেক্ষা আর কোন্‌ দুআ অধিকতর পছন্দনীয় হতে পারে, যা তিনি নিজে পড়েছেন বা অপরকে শিখিয়েছেন? তাঁর ঐ সকল দুআকে ‘দুআয়ে মাসূরাহ্‌’ বলা হয়, যা নিম্নরুপ:-
  1. اَللّهًمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَ مِنَ الْمَغْرَمِ
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল মা’সামি অ মিনাল মাগরাম।
অর্থ- হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট পাপ ও ঋণ হতে পানাহ চাচ্ছি। (বুখারী, মুসলিম,  প্রভৃতি, মিশকাত ৯৩৯নং)
  1. اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلْتُ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ أَعْمَلْ
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন শার্রি মা আমিলতু অ মিন শার্রি মা লাম আ’মাল।
 অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আমার কৃত (পাপের) অনিষ্ট হতে এবং অকৃত (পুন্যের) মন্দ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (নাসাঈ, সুনান ১৩০৬)
  1.   اَللّهُمَّ حَاسِبْنِيْ حِسَاباً يَسِيْراً
উচ্চারণ- আল্লা-হুম্মাহা-সিবনী হিসা-বাই য়্যাসীরা।
অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি আমার সহ্‌জ হিসাব গ্রহণ করো। (আহমাদ, মুসনাদ ৬/৪৮,হাকেম, মুস্তাদরাক)
  1. اَللّهُمَّ بِعِلْمِكَ الْغَيْبَ وَقُدْرَتِكَ عَلَى الْخَلْقِ، أَحْيِنِيْ مَا عَلِمْتَ الْحَيَاةَ خَيْراً  لِّيْ وَتَوَفَّنِيْ إِذَا كَانَتِ  الْوَفَاةُ خَيْراً لِّيْ، اَللّهُمَّ وَ أَسْأَلُكَ خَشْيَتَكَ فِي الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ، وَ أَسْأَلُكَ كَلِمَةَ الْحَقِّ وَالْعَدْلِفِي الْغَضَبِ وَالرِّضى، وَ أَسْأَلُكَ الْقَصْدَ  فِي الْفَقْرِ وَالْغِنى، وَ أَسْأَلُكَ نَعِيْماً لاَّ يَبِيْدُ، وَأَسْأَلُكَ قُرَّةَ عَيْنٍ لاَّ تَنْفَدُ  وَلاَ تَنْقَطِعُ، وَ أَسْأَلُكَ الرِّضى بَعْدَ الْقَضَاءِ، وَأَسْأَلُكَ بَرْدَ الْعَيْشِ بَعْدَ الْمَوْتِ،  وَأَسْأَلُكَ لَذَّةَ النَّظَرِ إِلى وَجْهِكَ، وَالشَّوْقَ إِلى لِقَائِكَ، فِيْ غَيْرِ ضَرَّآءَ مُضِرَّةٍ، وَلاَ فِتْنَةٍ مُضِلَّةٍ، اَللّهُمَّ زَيِّنَّا بِزِيْنَةِ الإِيْمَانِ وَاجْعَلْناَ هُدَاةً مُهْتَدِيْنَ
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা বিইলমিকাল গাইবা অক্বুদরাতিকা আলাল খালক্ব, আহ্‌য়িনী মা আলিমতালহায়্যাতা খাইরাল লী, অতাওয়াফফানী ইযা কা-নাতিল অফা-তু খাইরাল লী। আল্লা-হুম্মা অ আসআলুকা খাশয়্যাতাকা ফিল গাইবি অশশাহা-দাহ্‌। অ আসআলুকা কালিমাতালহা ক্বি অলআদলি ফিল গাযাবি অররিযা। অ আসআলুকাল ক্বাসদা ফিল ফাক্বরি অলগিনা। অ আসআলুকা নাঈমাল লা য়্যাবীদ। অ আসআলুকা ক্বুর্রাতা আইনিল লা তানফাদু অলা তানক্বাতি’। অ আসআলুকার রিযা বা’দাল ক্বাযা-ই, অ আসআলুকা বারদাল আইশি বা’দাল মাউত। অ আসআলুকা লাযযাতান নাযারি ইলা অজহিক, অশশাওক্বা  ইলা  লিক্বা-ইক, ফী গাইরি যার্রা-আ মুযির্রাহ্‌, অলা ফিতনাতিম মুযিল্লাহ্‌। আল্লা-হুম্মা যাইয়িন্না বিযীনাতিল ঈমান, অজ্‌আলনা হুদা-তাম মুহ্‌তাদ্বীন।
  অর্থ- হে আল্লাহ! তোমার অদৃশ্যের জ্ঞানে এবং সৃষ্টির উপর শক্তিতে আমাকে জীবিত রাখ যতক্ষণ জীবনকে আমার জন্য কল্যাণকর জান এবং আমাকে মৃত্যু দাও যদি মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর হয়। হে আল্লাহ আর আমি গোপনে ও প্রকাশ্যে তোমার ভীতি চাই, ক্রোধ ও সন্তুষ্টিতে সত্য ও ন্যায্য কথা চাই, দারিদ্র ও ধনবত্তায় মধ্যবর্তিতা চাই, সেই সম্পদ চাই যা বিনাশ হয় না। সেই চক্ষুশীতলতা চাই যা নিঃশেষ ও বিচ্ছিন্ন হয় না। ভাগ্য-মীমাংসার পরে সন্তুষ্টি চাই, মৃত্যুর পরে জীবনের শীতলতা চাই, তোমার চেহারার প্রতি দর্শনের স্বাদ চাই, তোমার সাক্ষাতের প্রতি আকাঙ্খা চাই, বিনা কোন কষ্ট ও ক্ষতিতে, কোন ভ্রষ্টকারী  ফিতনায়। হে আল্লাহ! আমাদেরকে ঈমানের সৌন্দর্যে সুন্দর কর এবং আমাদেরকে হেদায়াতকারী ও হেদায়াতপ্রাপ্ত কর। (নাসাঈ১৩০৮, আহমাদ৪/ ৩৬৪)
  1. اَللّهُمَّ إِنِّييْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْماً كَثِيْراً وَّلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِيْ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুলমান কাসী রাঁ উঅলা য়্যাগ্‌ফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা ফাগ্‌ফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা অরহামনী ইন্নাকা আন্তাল গাফূরুর রাহীম।
অর্থ- হে আল্লাহ! আমি নিজের উপর অনেক অত্যাচার করেছি এবং তুমি ভিন্ন অন্য কেহ্‌ গুনাহসমূহ মাফ করতে পারে না। অতএব তোমার তরফ থেকে আমাকে ক্ষমা করে দাও এবং আমার উপর দয়া কর। নিশ্চয় তুমি মহা ক্ষমাশীল বড় দয়াবান। (বুখারী, মুসলিম)
  1. اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مِنَ الْخَيْرِ كُلِّهِ عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ مَا عَلِمْتُ مِنْهُ وَمَا لَمْ أَعْلَمْ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ الشَّرِّ كُلِّهِ عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ مَا عَلِمْتُ مِنْهُ وَمَا لَمْ أَعْلَمْ، وَأَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ،وَّأَعُوْذُ بِكَ مِنَ النَّارِ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ، وَأَسْأَلُكَ مِنَ الْخَيْرِ مَا سَألَكَ عَبْدُكَ وَ رَسُوْلُكَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا اسْتَعَاذَكَ مِنْهُ عَبْدُكَ وَ رَسُوْلُكَ مُحَمَّدٌصَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَ أَسْأَلُكَ مَا قَضَيْتَ لِيْ مِنْ أَمْرٍ أَنْ تَجْعَلَ عَاقِبَتَهُ لِيْ رُشْداً
উচ্চারণ:-  আল্লা-হুম্মাইন্নীআসআলুকা  মিনাল  খাইরি  কুল্লিহীআ’ জিলিহী  অ আ-জিলিহী মা আলিমতু মিনহু অমা লাম আ’লাম। অ আউযু বিকা মিনাশ শার্রি কুল্লিহী আ’-জিলিহী অ আ-জিলিহী মা আলিমতু মিনহু অমা লাম আ’লাম, অ আসআলুকাল জান্নাতা অমা ক্বার্রাবা ইলাইহা মিন ক্বাউলিন  আউআমাল। অ আঊযু বিকা মিনান্না-রি অমা ক্বার্রাবা ইলাইহা মিন ক্বাউলিন আউআমাল। অ আসআলুকা মিনাল খাইরি মা সাআলাকা আব্‌দুকা অ রাসূলুকা মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম। অ আঊযু বিকা মিন শার্রি মাসতাআ-যাকা মিনহু আব্‌দুকা অরাসূলুকা মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম। অ আসআলুকা মা ক্বাযাইতা লী মিন আমরিন আন তাজ্‌আলা আ-ক্বিবাতাহু লী রুশ্‌দা।
অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আমার জানা ও অজানা, অবিলম্বিত ও বিলম্বিত সকল প্রকার কল্যাণ প্রার্থনা করছি এবং আমার জানা ও অজানা, অবিলম্বিত ও বিলম্বিত সকল প্রকার অকল্যাণ থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তোমার নিকট জান্নাত এবং তার প্রতি নিকটবর্তীকারী কথা ও কাজ প্রার্থনা করছি, এবং জাহান্নাম ও তার প্রতি নিকটবর্তীকারী কথা ও কাজ থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি তোমার নিকট সেই কল্যাণ ভিক্ষা করছি যা তোমার দাস ও রসূল মুহাম্মদ (সাঃ) তোমার নিকট চেয়েছিলেন। আর সেই অকল্যাণ থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি যা থেকে তোমার দাস ও রসূল মুহাম্মদ (সাঃ) তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। যে বিষয় আমার উপর মীমাংসা করেছ তার পরিণাম যাতে মঙ্গলময় হয় তা আমি তোমার নিকট কামনা করছি। (মুসলিম, সহীহ আহমাদ ৬/১৩৪, ত্বায়ালিসী)
  1. اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ النَّارِ
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা অ আঊযু বিকা মিনান্না-র।
অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট জান্নাত চাচ্ছি এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবু দাঊদ, সহীহ ইবনে মাজাহ্‌ ২/৩২৮)
  1. اَللّهُمَّ قِنِيْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ। 
  উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ক্বিনী আযা-বাকা ইয়াওমা তাবআসু ইবা-দাক।
  অর্থ:- হে আল্লাহ! যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে পুনরুত্থিত করবে সেদিনকার আযাব থেকে আমাকে রক্ষা করো। (মুসলিম,  মিশকাত ৯৪৭নং)
  1. اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ يَا الله بِأَنَّكَ الْوَاحِدُ الأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِيْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ أَنْ تَغْفِرَ ليِْ ذُنُوِبْي إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইয়া-ল্লা-হু বিআন্নাকাল ওয়া-হিদুল আহাদুস স্বামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ অলাম ইউলাদ অলাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ, আন তাগ্‌ফিরা লী যুনূবী, ইন্নাকা আন্তাল গাফূরুর রাহীম।
  অর্থ, হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি, হে এক, একক, ভরসাস্থল আল্লাহ! যিনি জনক নন জাতকও নন এবং যাঁর সমকক্ষ কেউনেই, তুমি আমার গুনাহসমূহকে ক্ষমা করে দাও, নিশ্চয় তুমি ক্ষমাশীল দয়াবান।
এই দুআটি এক ব্যক্তি তাশাহ্‌হুদে পাঠ করেছিল। মহানবী (সাঃ) তা শুনে বললেন, “ওকে ক্ষমা করা হল, ওকে ক্ষমা করা হল।” (অর্থাৎ, আল্লাহ ওর দুআ কবুল করে নিয়েছেন।) (আবূদাঊদ, সুনান ৯৮৫নং, সহিহ,নাসাঈ, সুনান ১২৩৪নং, আহমাদ, মুসনাদ, ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ,হাকেম, মুস্তাদরাক)
  1. اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدُ، لاَ إِلهَ إِلاَّ أَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيْعُ السَّموَاتِ وَالأَرْضِ،
 يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ। إِنِّيْ أَسْاَلُكَ الْجَنَّةَ وَ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ النَّارِ
  উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআ লু কা বিআন্না লাকালহাম্‌দ, লা ইলা-হা ইল্লা আন্তাল মান্না-নু বাদীউস সামা-ওয়া-তি অল আরয্ব, ইয়া যাল জালা-লি অল ইকরা-ম, ইয়্যাহাই য়্যু ইয়া কায়্যূম। ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা অআঊযু বিকা মিনান্না-র।
অর্থ, হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি এই অসীলায় যে, সমস্ত প্রশংসা তোমারই, তুমি ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই। তুমি পরম অনুগ্রহদাতা, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর আবিষ্কর্তা, হে মহিমাময় এবং মহানুভব, হে চিরঞ্জীব অবিনশ্বর! আমি তোমার নিকট বেহেশ্‌ত প্রার্থনা করছি এবং দোযখ থেকে পানাহ চাচ্ছি।
এক ব্যক্তি তাশাহ্‌হুদে এই দুআ পাঠ করছিল। তা শুনে নবী (সাঃ) সাহাবাগণকে বললেন, “তোমরা কি জান, ও কি (বাক্য) দিয়ে দুআ করল?” তাঁরা বললেন, ‘আল্লাহ এবং তাঁর রসূলই জানেন।’ তিনি বললেন, “সেই সত্তার কসম! যাঁরহাতে আমার প্রাণ আছে। ও তো আল্লাহর নিকট তাঁর ইসমে আ’যম (বৃহত্তম নাম) দ্বারা প্রার্থনা করেছে; যা দ্বারা দুআ করলে তিনি কবুল করেন ও যা দ্বারা তাঁর কাছে চাইলে তিনি দিয়ে থাকেন।” (আবূদাঊদ, সুনান ১৪৯৫, নাসাঈ, সুনান, আহমাদ, মুসনাদ, ত্বাবারানীরানী, মু’জাম, প্রমুখ)
  1. মুআয বলেন, একদা আল্লাহর রসূল (সাঃ) আমারহাত ধরে বললেন, “মুআয! আমি তোমাকে অবশ্যই ভালোবাসি।” আমি বললাম, আমিও আপনাকে ভালোবাসি, হে আল্লাহর রসূল! এরপর তিনি বললেন, “সুতরাং প্রত্যেক নামাযের পশ্চাতে তুমি এই দুআ বলতে ছেড়ো না,
  2. اَللُّهُمَّ أَعِنِّيْ عَلى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ 
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা আইন্নী আলা যিক্‌রিকা অশুকরিকা অহুসনি ইবা-দাতিক।
অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার যিক্‌র (স্মরণ), শুক্‌র (কৃতজ্ঞতা) এবং সুন্দর ইবাদত করতে সাহায্য দান কর। (আহমাদ, মুসনাদ ৫/২৪৪, ২৪৫, ২৪৭, আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ১৩০২ নং)
  1. اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَأعُوْذُ بِكَ مِنْ أَنْ أُرَدَّ إِلى أَرْذَلِ الْعُمُرِ وَ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَ عَذَابِ الْقَبْرِ
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল বুখলি অ আউযু বিকা মিনাল জুবনি অ আউযু বিকা মিন আন উরাদ্দা ইলা আরযালিল উমুরি অ আঊযু বিকা মিন ফিতনাতুদ্দুন্‌য়্যা অ আযা-বিল ক্বাব্‌র।
অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট কার্পণ্য ও ভীরুতা থেকে পানাহ চাচ্ছি, স্থবিরতার বয়সে কবলিত হওয়া থেকে আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি আর দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের আযাব থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। (বুখারী, মিশকাত ৯৬৪নং)
  1.   اللّهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ، إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الْغَفُوْر
 উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মাগফির লী অতুব আলাইয়্যা, ইন্নাকা আন্তাত তাউওয়াবুল গাফূর।
অর্থ:- আল্লাহ গো! তুমি আমাকে ক্ষমা কর এবং আমার তওবা গ্রহণ কর। নিশ্চয় তুমি তওবাগ্রহণকারী, বড় ক্ষমাশীল।
এই দুআটি তিনি নামাযের শেষাংশে ১০০ বার পাঠ করতেন। (আহমাদ, মুসনাদ ৫/৩৭১, ইবনে আবী শাইবা, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২৬০৩নং)
  1.   اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল কুফরি অলফাক্বরি অআযা-বিল ক্বাবর।
অর্থ:- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট কুফরী, দারিদ্র ও কবরের আযাব থেকে পানাহ চাচ্ছি। (হাকেম, মুস্তাদরাক ১/৩৫, নাসাঈ, সুনান, আহমাদ, মুসনাদ, তামামুল মিন্নাহ্‌, আলবানী ২৩৩পৃ:)
  1. اَللّهُمَّ اغْفِرْ لِيْ مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ
أَعْلَمُ بِهِ مِنِّيْ، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لآ إِلهَ إِلاَّ أَنْتَ
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু অমা আখখারতু অমা আসরারতু অমা আ’লানতু অমা আসরাফতু অমা আন্তা আ’লামু বিহী  মিন্নী, আন্তাল মুক্বাদ্দিমু  অ আন্তাল মুআখখিরু লা ইলা-হা ইল্লা আন্ত।
অর্থ - হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মার্জনা কর, যে অপরাধ আমি পূর্বে করেছি এবং যা পরে করেছি, যা গোপনে করেছি এবং যা প্রকাশ্যে করেছি, যা অতিরিক্ত করেছি এবং যা তুমি অধিক জান। তুমি আদি তুমিই অন্ত। তুমি ব্যতীত কেউসত্য উপাস্য নেই।
 এই দুআটি সবার শেষে পাঠ করে তিনি সালাম ফিরতেন। (মুসলিম, সহীহ ৭৭১নং)

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ